নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শূন্য মানব , যে মুসলিম হিসাবে গর্বিত । যে সত্য বলতে পিছপা হয় না । যে ধর্মভিত্তিক মানবতায় বিশ্বাসী । যে কুরআন ভিত্তিক শাসনে বিশ্বাসী । এর মানে এই নয় যে আমি ধর্মব্যবসায়ীদের পক্ষে । কারন, এরাই ইসলামের বড় শত্রু ।

শূন্য মানব

শূন্য মানব , যে মুসলিম হিসাবে গর্বিত । যে সত্য বলতে পিছপা হয় না । যে ধর্মভিত্তিক মানবতায় বিশ্বাসী । যে কুরআন ভিত্তিক শাসনে বিশ্বাসী । এখন আমায় মৌলবাদ বলতে পারেন । এর মানে এই নয় যে আমি ধর্মব্যবসায়ীদের পক্ষে । কারন, এরাই ইসলামের বড় শত্রু ।

শূন্য মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুম’আর দিনের প্রয়োজনীয় কিছু আমল

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

১। জুম’আর দিন গোসল করা। যাদের উপর জুম’আ ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুলুল্লাহসাল্লাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াজিব করেছেন। [বুখারীঃ ৮৭৭]

২। জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। [বুখারীঃ ৮৮০]

৩। মিস্ওয়াক করা। [বুখারীঃ ৮৮৭]

৪। গায়ে তেল ব্যবহার করা। [বুখারীঃ ৮৮৩]

৫। উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। [ইবনে মাজাহঃ ১০৯৭]

৬। মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। [তিরমিযীঃ ৫০৯]

৭। মনোযোগ সহ খুত্বা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব।

[বুখারীঃ ৯৩৪]

৮। আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। [বুখারীঃ ৮৮১]

৯। সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে মসজিদেগমন। [আবু দাউদঃ ৩৪৫]

১০। জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। [আবু

দাউদঃ১০৪৭]

১১। নিজের সব কিছু চেয়ে এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।[বুখারীঃ ৯৩৫]

১২। খুত্বা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও

দু’রাকা’আত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’সালাত আদায়

করা ছাড়া না বসা। [বুখারীঃ ৯৩০]

১৩। কেউ মসজিদে কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা।

[বুখারীঃ ৯৩৪]

১৪। মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা।[বুখারীঃ ৮৫৩]

১৫। ইমামের খুত্বা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা।

[ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪]

১৬। খুত্বার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। কোনো ব্যাক্তি যদি জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হয়, কিন্তু, ইচ্ছা করে জুমুয়ার নামাজে ইমাম থেকে দূরে বসে, তবে সে বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ

করবে। [আবু দাউদঃ ১১০৮]

১৭। সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা,যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা [আবু দাউদঃ৮৬২]

অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।

১৮। এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। [আবু দাউদঃ ১৩৩২]

১৯। খুত্বার সময় খতীবের কোন কথার মার্জিত ভাবে সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। [বুখারীঃ ১০২৯]

আল্লাহ আমাদের জুমার নামাজ জামাতে আদায়ের তওফিক দান করুন।

আমিন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। এখন থেকেই আমল করা শুরু করে দিলাম। আরো অনেক এমন আমল সম্পর্কিত পোষ্ট চাই। তবে, সবগুলো আমলের সাথেই যেন হাদিসের রেফারেন্স থাকে, সেদিকে একটু খেয়াল করবেন।


দোয়া চাই, দোয়া করবেন।

জাযাকাল্লাহ............

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

চৌধুরী_সাহেব বলেছেন: হাদিসগুলো কমবেশি সবাই জানে, তবুও জুম'আর দিনে আবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদেরকে এগুলো যথাযথভাবে মেনে চলার তৌফিক দান করুন এবং আপনাকে এর উত্তর প্রতিদান দান করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.