নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলচ্চিত্র দেখার কোনো বিকল্পই নেই

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১২

কী যে পাগল ছিলাম সিনেমা দেখার, সে কথা মনে হলে এখনও অবাক হই। এখনও আমার সিনেমার নেশা কোনোভাবেই কমেনি।
শৈশবে একবার স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখতে গাড়িতে উঠবো, এমন সময়ে দেখি শহরে যাবেন বলে বাস গাড়িতে আমার এক শিক্ষক বসে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই গাড়ির ছাদে চলে গেলাম। পরের গাড়ির জন্যও অপেক্ষা সহ্য হচ্ছিল না। যদি ততক্ষণে সিনেমা শুরু হয়ে যায়।
সেই গাড়ি একটু এগোনোর পর আরেক গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তার পাশের বাবলা গাছের ডাল ঘেঁষে যায়। গাছের ডালের ছোবল খেয়ে সারা মুখে দাগ পড়ে যায় আমার। কিন্তু পেছন ফিরে তাকাইনি।
শৈশবে রাজ্জাক-রোজিনা এবং সোহেলরানা-ববিতা অভিনীত ‘শাস্তি’ ছবি দেখে মনে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের মতোই একদিন শৈশব পার হয়ে যৌবন পাবো। তারপর বুড়ো হয়ে ফুস করে মরে যাবো। এই বুড়িয়ে যাওয়া আর মরে যাওয়াকে আমি এখনও খুব ভয় পাই।
জসীম-সুচরিতা আর আলমগীর-শাবানা অভিনীত ‘নাগরানী’ ছবি দেখে সাপের ভয়ে পথেঘাটে আর চলতেই যেন পারতাম না। মনে হতো কোথাও না কোথাও কোনো সাপ লুকিয়ে রয়েছে। বেশি সুন্দরী মেয়ে দেখলেও তাকে তখন বিষাক্ত সাপ মনে হতো। সে কথার ব্যাখ্যায় এখন গেলাম না। জীবনের এ মধ্যপর্বে এসে আমার জীবনে সত্যি সত্যিই প্রমাণ হয়ে গেছে যে, সুন্দরী নারী আর বিষাক্ত সাপের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্যই নেই।
পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা সোমা আর সোহেলরানা অভিনীত ‘এপার-ওপার’ ছবি দেখে বুকে যে কষ্টটা লেগেছিল, সে কষ্ট মৃত্যুর পূর্বেও ভুলে যেতে পারবো না। আমার জীবনের অনেকাংশের সঙ্গে এ ছবির একটি প্রতীকী মিল রয়েছে।
ফারুক-কবরী অভিনীত ‘আরশীনগর’ ছবি দেখতে গিয়ে দেখলাম ছবি শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই অনেক দর্শক সিনেমা হল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ছবিতে একটু পর পরই লালনগীতিও রয়েছে। কিন্তু দর্শকের অভিযোগ হলো, এটা একটা ‘ঠান্ডা ছবি’। পুরো ছবিটই আমি দেখলাম। আমার কিন্তু খুবই ভালো লেগেছিলো।
শিবলী সাদিকের ‘জীবন নিয়ে জুয়া’-মিতার ‘লাঠিয়াল’, ‘আলোর মিছিল’-খান আতার ‘আবার তোরা মানুষ হ’-সি জামানের ‘ঝড়ের পাখি’-কাজল আরেফিনের ‘সুরুজ মিয়া’, বেলাল আহমেদের ‘নয়নের আলো’, খান আতার ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ছবির কথা খুবই স্মরণীয়।
ফখরুল হাসান বৈরাগীর ‘রাজিয়া সুলতানা’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৪ সালে। সে বছরই দেখেছিলাম এ ছবি। সিনেমাহলে এটাই আমার দেখা প্রথম ছবি। চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৪ সালেই। ইবনে মিজানের এ রঙিন ছবি দেখে আমি আরও অভিভূত হই। যদিও এসব ছবিতে কোনো কমিটমেন্টই ছিল না। সবই ছিল বাণিজ্যিক ধারার ছবি।
রহমানের ‘দরশন’ পাকিস্তান আমলের ছবি। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এ ছবির গান কখনোই ভোলার নয়।
শত শত ছবি দেখেছি। শৈশবের কথা বলছি। আর্ট ফিল্ম দেখার তো সুযোগই ছিলো না। সব ছবির কথা তো আর মনেও নেই। তাছাড়া প্রেম করে বিয়ে করা আমার সংসার ভাঙ্গার সময়ে আমি একেবারেই প্রায় তথ্যশূন্য হয়ে পড়ি। ফলে সবকিছু আজকাল আর গুছিয়ে লেখারও সুযোগ হয়ে উঠে না। ১৯৮৫ সালে শক্তি সামন্ত ও সৈয়দ হাসান ইমামের ‘অবিচার’ ছবি মুক্তি পায়। সেই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয় দেখে মনে হয়েছিল তারা আসলে অভিনয়ের জন্যই জন্মেছেন।
সে সময়টায় আসলে অনেক বাণিজ্যিক ধারার ছবিতেও একটা কমিটমেন্ট ছিল। আবুল খায়ের বুলবুলের ‘শাহীকানুন’-নূর হোসেন বলাইয়ের ‘ইন্সপেক্টর’ কামাল আহমেদের ‘আওয়ারা’ আজিজুর রহমানের ‘রঙিন রূপবান’-শামসুদ্দীন টগর এর ‘নকল শাহজাদা’ ইবনে মিজানের ‘রাজকুমারী’ শহিদুল আমিনের ‘রামের সুমতি’ মতিউর রহমানের ‘সাথী’ কামাল আহমেদের ‘মা ও ছেলে’, রাজ্জাক-শাবানা অভিনীত ‘মহানগর’, মাসুদ পারভেজের ‘এপার-ওপার’-‘দস্যু বনহুর’ দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘সালতানাৎ’ অশোক ঘোষের ‘হিম্মত ওয়ালী’ ইবনে মিজানের ‘পুনর্মিলন’ গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘শাস্তি’ আজিমের ‘গাদ্দার’ দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘নাগরানী’-এ.জে মিন্টুর ‘চ্যালেঞ্জ’ রূপ সনাতনের ‘দয়াল মুর্শিদ’ মমতাজ আলীর ‘রক্তাক্ত বাংলা’ সুভাষ দত্তের ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ চাষী নজরুলের ‘ওরা এগারজন’ জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ মিতার ‘নীল আকাশের নীচে’-ইত্যাদি ছবিগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না শ্রমজীবী মানুষের অর্থ অপহরণ। ওসব ছবি না দেখলে বুঝতে পারা যাবে না বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনেক প্রতিভাবান কুশলীদের কাজও।
মিতার ‘নীল আকাশের নীচে’ প্রথম মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালে। এ ছবিটি আমার মায়ের ভালো লাগা একটি ছবি। আমার বাবা-মা যখন পাকিস্তান আমলে ঢাকায় ছিলেন, তখনই তারা এ ছবি দেখেছিলেন। আমার জন্মের আগে। দীর্ঘ ২৫ বছর পর এ ছবি আবার দেখে মা বলেছিলেন, হায় কখন যে বুড়ো হয়ে গেলাম।
খান আতার ‘জোয়ার ভাটা’ প্রথম মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালে। বাবার ভালো লাগা ছবি এটি। আমি দেখি সম্ভবত ১৯৮৭ সালে।
এছাড়াও গাফ্ফার খানের প্রেমনগর-মাসুদ পারভেজের নাগপূর্ণিমা-এমএ মালেকের শাহী চোর-খান আতার আরশীনগর-এফ কবীরের ‘আবে হায়াৎ’ এফ কবীর চৌধুরীর ‘সওদাগর’ দেওয়ান নজরুলের ‘ওস্তাদ সাগরেদ’ শেখ নজরুল ইসলামের ‘এতিম’ আবদুস সামাদের ‘সূর্য সংগ্রাম’ ছবিগুলোর কথা এখনো মাথায় ভাসে।
জীবনে কতো কতো সিনেমা হলে যে এসব ছবি দেখার জন্য গিয়েছি আর কতো সময় খরচ করেছি, হিসেব করা যাবে না। ছুটির ঘন্টা-ছবি অবশ্য হিন্দিটা দেখেছি আগে। বাংলা ছবিটা দেখার সুযোগ হয়েছে পরে।
‘অবিচার’ ছবি দেখতে চলে গিয়েছিলাম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে। হলের নাম ছিল ‘পূর্ণিমা’। বোম্বের মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে বাংলাদেশের রোজিনার অভিনয় সত্যি সত্যি মনে রাখার মতো। সোহেলরানা-অঞ্জু-ইলিয়াস কাঞ্চন-রানী-দিলারা-প্রবীরমিত্র-রাজ-রাজিব-দারাশিকো অভিনীত ‘শাহী খান্দান’ ছবিটি দেখি কোম্পানীগঞ্জের ‘লাকী’ সিনেমা হলে। এ ছবিতে শরীরের অশ্লীল উপস্থাপন দেখে দীর্ঘদিন মনের দুঃখে আর সিনেমা হলমুখো হইনি। আলমগীর-শাবানা অভিনীত ‘শশী-পুন্নু’ ছবিটি দেখি কুমিল্লা শহরের ‘মধুমতি’ সিনেমাহলে। 1986 সালে।
আসলে সিনেমা দেখার এই নেশাটা আমার এখন আরও তীব্র হয়েছে। তবে রুচির পরিবর্তন হয়েছে। যেহেতু এখন ইচ্ছে করলেই ভালো ছবি দেখা যায়।
আর শুধু সিনেমাই নয়। সবকিছুকেই দেখা। মানুষ দেখা। প্রকৃতি দেখা। নারী দেখা। নারীর প্রকৃতি দেখা। কবরে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ দেখার আর শেখার সুযোগ রয়েছে। সিনেমা দেখেও এ সুযোগ অনেক কাজে লাগানো যায়। অশ্লীল ছবি দেখেও অসৎ মানুষের মনোজগতের বিকৃত উপস্থাপন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়। সুতরাং দেখা উচিত। সচেতনভাবেই। সিনেমাসহ সবকিছুই দেখতে হবে। সবটাই। শেষ পর্যন্ত। সবকিছুই। না দেখে সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে না। দার্শনিক রায়ও দেয়া যাবে না। আমেরিকারও গুণ আছে। কিন্তু সেটা কী? কতোটুকু? ইত্যাদি। জানতে হবেই।
একদিন আমরা [বামপন্থী?] কিছু বন্ধুবান্ধব মিলে এক জায়গায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। সিনেমা নিয়ে কথা বলতে বলতে শেষ পর্যন্ত কথা উঠলো বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাম্প্রদায়িক সাহিত্য বিষয়ে। বলতে বলতে বঙ্কিম সম্পর্কে এমনভাবেই বলা শুরু হলো যে, বুঝলাম না ওরা কি মার্কসবাদের মোল্লা নাকি লাদেনবাদের। পার্থক্য ঘুচে গেল কিছুক্ষণের জন্য। মোল্লা আসলে কোনো পক্ষেরই হওয়া উচিত নয়। কারণ মোল্লারা নিজ নিজ কিতাবের মধ্যে সর্বকালের সর্ব সমস্যার সমাধান খুঁজে বেড়ায়। যেহেতু ওদের বিরুদ্ধাচরণ করছি আমি, তাই ওদের নাম প্রকাশের সাহস দেখাচ্ছি না।
আমি বললাম, যেহেতু আমরা সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখি, সেহেতু আমাদের বঙ্কিমের কিছু গুণের কথাও জানা উচিত। বঙ্কিম চন্দ্র ‘সাম্য’ নামে একটি গ্রন্থ লিখেন, যা প্রকাশিত হয় ১৮৭৯ সালে। তখন এ অঞ্চলের মানুষের অনেকেই এভাবে চিন্তা করতে শেখেননি। ব্রিটিশ ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২১ সালে। রাশিয়ায় বলশেভিক পার্টি বিপ্লব সফল করে ১৯১৭ সালে। আর চীনে মাও সে তুঙ সমাজতন্ত্রের বিপ্লব সফল করেন ১৯৪৯ সালে। সুতরাং সমাজতন্ত্রের ভাবনায় অথবা সাম্যের স্বপ্নে বঙ্কিম অবশ্যই আমাদের পূর্বসূরী। এ কথা সত্যি যে তার ‘সাম্য’ গ্রন্থে তার সাম্য চিন্তার অনেক সীমাবদ্ধতাও ছিল। অনেক কারণে তা বরং থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে তার অবদানকে হেয় করে দেখার কিছু নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়নের জন্যে রাজাকারের ইতিহাসও ভালোভাবে জানা উচিত। জানা উচিত মুক্তিযোদ্ধারাও কেন এতদিন পরেও এতবেশি সংবর্ধনা নেয়ার জন্য পাগল হয়ে থাকে। অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। কোথায় পেল এত টাকা।
ছবি দেখছিলাম একবার ‘পথের পাঁচালী’। ভাবতে পারিনি মানুষ কিভাবে ঈশ্বর হয়ে উঠেন। মূল উপন্যাস ছিল বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কতোবার যে পড়েছি এ উপন্যাস। ছবি নির্মাণ করেছেন সত্যজিৎ রায়। ছবি দেখলাম ‘চারুলতা’। সত্যজিৎ রায় এর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত। গল্পটি আমাদের ক্লাশে পাঠ্য ছিল। এ গল্প যে আমার জীবনেও পাঠ্য হয়ে যাবে, কখনো বুঝিনি। ঢাকার সোনার গাঁয়ের রূপালি ছিল একজনের স্ত্রী। স্বামীর বয়স বেশি। ব্যস্ত মানুষ। সুতরাং বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠলো আমার সঙ্গে। এক সময় সে বেপরোয়াভাবেই আমার প্রেমে পড়লো ‘চারুলতা’র প্রেমিক সেই অমল চলে গেছে বিলাতে, আমি ছিন্নমূল মানুষ, তাই পেছন ফিরে চলে এসেছি কুমিল্লায়। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকলে আমিও তখন লন্ডনে চলে যেতাম। বিশেষ করে বাঙালী নীরদ চন্দ্র চৌধুরীর লন্ডনে বসে লেখা সে সময়ে পড়ে আমি খুবই প্রভাবিত হয়েছিলাম। স্বপ্ন দেখতাম বিলাতে যাওয়ার।
লেখক লিও টলস্টয় শেষ জীবনে অনেকটা ঋষি হয়েছিলেন। শিল্প করেছেন জীবনের জন্য। আমি আগে এ তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলাম। এখন শিল্পের জন্যই শিল্প করতে ইচ্ছুক। ধান দিয়ে প্রাণ বাঁচানো যায় বটে, ফুলের তৃষ্ণা মেটে না। ভারতে সম্রাটতো অনেকেই ছিলেন। কিন্তু তাজমহল গড়েছেন একজন শাহজাহানই। এ দিয়ে ভারত এখন বিশাল আয়ও করে। শেষ কথা হলো যা দেখিনি, দেখতে হবে। যা খাইনি, খেতে হবে। যা হইনি, হতে হবে। এমন মানব জীবন বন্দী করে, বিক্রি করে বাঁচা বৃথা। চলচ্চিত্রে সবই দেখা সম্ভব। এক জীবনে যত জায়গায় যাওয়া সম্ভব নয়, চলচ্চিত্রে তত জায়গা দেখা সম্ভব। এক জীবনে যত যুগে যাওয়া সম্ভব নয়, চলচ্চিত্রে তত যুগে যাওয়াই এখন সম্ভব। সুতরাং বলা যায়, চলচ্চিত্র দেখার কোনো বিকল্প নেই। তবে তা চলচ্চিত্র নামের অপদার্থ চলমান চিত্র যেন না হয়। শিল্পমান বিবর্জিত চলমানচিত্র কখনোই চলচ্চিত্র হতে পারেনা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

জসীম অসীম বলেছেন: শিল্পমান বিবর্জিত চলমানচিত্র কখনোই চলচ্চিত্র হতে পারেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.