নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোবাইলের পর্ণো ছবিতে বিপথগামী যুবসমাজ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০১



জসীম উদ্দিন অসীম

বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাল যুগ। এ যুগে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমই হলো ইন্টারনেট । এই ইন্টারনেটের সংযোগ রয়েছে এখন মোবাইল ফোনে। কিন্তু নোংরা মানসিকতার কিছু ব্যক্তি হীনস্বার্থে এই ইন্টারনেট এবং মোবাইলের চরম অপব্যবহার করছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পর্ণোগ্রাফি। মোবাইল ফোনে ছবি তোলা ও ভিডিও করার সুবিধা থাকায় এই পর্ণোগ্রাফি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে মহামারি আকারে। গোপনে মোবাইল ক্যামেরায় গোপন দৃশ্য ধারণ করার প্রবণতাও বাড়ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং কিছু বিপথগামী স্কুল, কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী এর সঙ্গে যুক্ত অথবা এর শিকার। এই পর্ণো ছবির প্রভাবে বাড়ছে ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্য কাজ। সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই পর্ণোগ্রাফি মহামারি যেভাবেই হোক , ঠেকাতে হবে। যদিও অনেকে মনে করেন শুধু কঠোর আইন করেই এটা বন্ধ করা সম্ভব নয় , দরকার ঐক্যবদ্ধতা এবং সামাজিক সচেতনতা। বর্তমান বাজারে ভিডিও ক্যামেরাসহ মোবাইল সেটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এসব সেট পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২-৩ হাজার টাকায়। নোয়াখালীতে কলেজ ছাত্রীর পর্ণোভিডিও ধারণ এক ছাত্রের কারাদন্ড কলেজ ছাত্রীর অশ্লীল ছবি ও পর্নোগ্রাফী ভিডিও ধারণ করে পরিবারসহ তাকে হুমকি দেওয়ার অপরাধে তন্ময় দেবনাথ (২১) নামের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো-বায়োলজি বিভাগের এক ছাত্রকে এক মাসের কারাদন্ড ও অনাদায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছে ভ্রামম্যাণ আদালত। কারাদন্ডপ্রাপ্ত তন্ময় দেবনাথ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার জহর লাল দেবনাথের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এর মাইক্রো-বায়োলজি বিভাগের ছাত্র তন্ময় দেবনাথের সাথে দুই বছর আগে কলেজ ছাত্রী (১৭) ফেইসবুকে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুযোগে তন্ময় দেবনাথ ভিকটিমের অশ্লীল ছবি ও পর্নোগ্রাফী ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। গত কয়েকদিন ধরে তন্ময় ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার পরিবারকে জিম্মি করার চেষ্টা করেন। এরপর ছাত্রীর বাবা ঘটনার বিবরণ দিয়ে সুধারাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তন্ময় দেবনাথকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে বেশকিছু অশ্লীল ছবি ও একটি ভিডিও জব্দ করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তন্ময় দেবনাথকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, তন্ময়কে ১ মাসের কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।



এক জরিপে দেখা গেছে পর্ণো ছবির ক্রেতা সাধারণত উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজে পড়ু–য়া শিক্ষার্থীরাই। শুধু তাই নয় , এই পর্ণোগ্রাফির মোহজালে ছড়িয়ে আছে যুবসমাজ থেকে মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিরাও। কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের পর এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই বাড়ছে পর্ণো ছবির ভয়াবহতা।

শুধু পর্ণো ছবি দেখাই নয়, অনেকে হয়ে যাচ্ছে পর্ণোর ছবির মডেলও। আর এর পেছনে রয়েছে সিন্ডিকেট ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা পর্ণো ছবি বাজারজাত করে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে নায়িকা, মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাঁচা স্কুল-কলেজে পড়ু–য়া শিক্ষার্থীরা । এদের অনেকেই অজান্তেই হয়ে যাচ্ছেন পর্ণো ছবির মডেল বা নায়িকা। এর ফলে কেউবা নিরুপায় বা বাধ্য হয়ে বেছে নিচ্ছেন যৌনকর্মীর মতো জঘন্য জীবন ,নয়তো আত্মহত্যার পথ। পর্ণো ছবির এই ভয়াবহতা নিরসন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে অভিভাবক এবং এনজিওগুলোকেও। তাছাড়া দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটর বিভিন্ন সময় এসএমসের মাধ্যমে পর্ণোগ্রাফির ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। এর ফলে জনগণ হয়তো কিছুটা হলেও সচেতন হবে। তা না হলে এই পর্ণোগ্রাফি শুধু ব্যাধি নয় , বরং এটা অনেক ভোগান্তিই বয়ে আনবে।

বিটিআরসিকে আইন করতে হবে ১৮ বছরের নিচে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে অভিভাবকের অনুমতিক্রমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে। তাহলে হয়ত এর ভয়াবহতা কিছুটা কমতে পারে। পর্ণোছবির কারণে অনেকে ধর্ষণের মতো কাজে উৎসাহিত হচ্ছে , এমনকি ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করছে। তারপর তা ছেড়ে দিচ্ছে বাজারে। অনেক স্কুল পড়–য়া ছেলেমেয়েরা কৌতুহলের বশে নিজের অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে এবং ব্লুটুথ ডিভাইস এর মাধ্যমে বন্ধুদের হাত ঘুরে এক ফোন থেকে অন্য ফোন এবং এক মেমোরি কার্ড থেকে অন্য মেমোরি কার্ড এবং এক পর্যায়ে তা চলে যায় অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে কিংবা ইন্টারনেটে এবং চলে আসে জনসম্মুখে। তাই তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে তথ্য প্রযুক্তির এ অপব্যবহারকে কঠোর হস্তে দমন করার এখনই সময়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.