নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রানী হেলেনকে নিয়ে ভয়াবহ এক যুদ্ধের ছবি ‘হেলেন অব ট্রয়’

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৫







জসীম উদ্দিন অসীম:পৃথিবীর সেরা মুভিগুলোর অনেকগুলোই আমার বর্তমান স্ত্রী সাদিয়া পলি দেখে ফেলেছে। কিন্তু সে ছবি যখন দেখে-এক ছবি বারবার দেখে এবং নানা প্রশ্ন করে। এমনকি ছবি দেখার আগে সম্ভব হলে একবার ছবিটি সম্পর্কে পড়ে নেবে। আবার ছবিটি দেখার পরও চলবে তার ছবি নিয়ে লেখাপড়া। কিছুদিন আগে আবারও পড়া শেষ করেছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাচালী’ উপন্যাস। এ উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায়ের এ নামের ছবিটি সে ২০০৭ সালে প্রায় অর্ধশতবার দেখেছে। পরে এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র অপূর্ব-এর নামকরণে আমার ছেলেরও নাম রেখেছে।

২০০৮ সাল আমরা একসঙ্গে অনেক ছবি দেখেছি। একদিন দেখলাম-হেলেন অব ট্রয়। গ্রীক কাহিনী অবলম্বনে আরও একটি ছবি দেখেছি তখন। সে ছবিটির নাম ছিল শুধুই ‘ট্রয়’। মহাকাব্যিক এক মুভি যেন ‘ট্রয়’।গ্রীকের অতীত ইতিহাসকে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এ ছবি। পুরো ছবিটিই একটি যুদ্ধনির্ভর ছবি। কোনো হারানো রাজ্যকে ফিরে পাওয়ার জন্য নয়-এ যুদ্ধের সূত্রপাত হয় একজন নারীকে নিয়ে। আর সেই নারী কোনো সাধারণ নারীও ছিলেন না। তিনি ছিলেন রানী হেলেন।

১৯৯২ সালে ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরীতে আমি প্রথম অন্ধ মহাকবি হোমারের মহাকাব্য ইলিয়াড ও ওডেসি সম্পর্কে পড়াশোনা করি। তারপর যখন থিয়েটার করার সময় গ্রীক নাট্যকলার ইতিহাস পড়ি , তখনও বিশেষভাবে পড়তে হয় ‘ইলিয়াড’ বিষয়ে। ‘ট্রয়’ মুভিটির থিম নেয়া হয়েছে সেই অন্ধ মহাকবি হোমারের মহাকাব্য ‘দি ইলিয়াড’ থেকে।

কোনো এক পত্রিকার খবরে একবার পড়েছিলাম এ ছবিটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন ডলার। পৃথিবীর ব্যয়বহুল মুভিগুলোর মধ্যে ‘ট্রয়’ অন্যতম। মুভিটির কাহিনী ১২৫০ খৃস্টপূর্বের। তবে ‘হেলেন অব ট্রয়’ ছবিটিই আমার স্ত্রী সাদিয়া পলির মনে বেশি দাগ কাটে বলে সে জানায়। স্পার্টার রানী ছিলেন হেলেন। এক সময় আমার ঘরে প্রাচীন স্পার্টার অনেক ম্যাপও ছিল। আমার আগের স্ত্রী ঈশিতাকে ছেড়ে আসার সময় সে ম্যাপগুলোও খোয়া যায়।

ট্রয় যুদ্ধের সূত্রপাত হয় স্পার্টার রানী হেলেনকে কেন্দ্র করে। হেলেন ছিলেন স্পার্টার রাজা মেনেলাস এর স্ত্রী। ঘটনাচক্রে হেলেনকে অপহরণ করে ট্রয় নগরীর প্রিন্স প্যারিস। এটি জানতে পেরে মেনেলাস সিদ্ধান্ত নেন তার সুন্দরী স্ত্রী হেলেনকে উদ্ধার করার জন্য ট্রয় নগরীতে আক্রমণ করবেন। আর এ কাজে মেনেলাস সাহায্য চান আগামেমননের। ‘আগামেমনন’ এ ধরনের আক্রমণের সুযোগ খুঁজছিলেন অনেক আগে থেকেই। পরে তিনি ট্রয় এর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারা ৫০ হাজার সৈন্য এবং ১ হাজার জাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। সঙ্গে যোগ দেন বীর একিলিস। যুদ্ধের এক পর্যায়ে প্যারিসের ভাই হেক্টর প্রস্তাব দেন প্যারিস এবং ম্যানেলাস এর মধ্যে লড়াইয়ের। যুদ্ধের অন্য এক পর্যায়ে মারা যান হেক্টর। ছবিটিতে কাঠের ঘোড়ার ভিতরে করে লুকিয়ে গ্রিক সৈন্যরা কিভাবে খুব সহজেই ট্রয়ের ভিতর প্রবেশ কওে , তা খুব চমৎকারভাবে দেখানো হয়। একিলিস চরিত্রে ব্যাডপিটের অভিনয় ছিল অসাধারণ। এ ছবি দেখে আমি যখন আমার স্ত্রীকে বলি , আমার ছেলের নাম কি প্যারিস রাখতে পারি? আমার স্ত্রী বলে-অবশ্যই না। আমার ছেলের নাম রাখবো অপূর্ব-যে কী না মায়ের আদর্শ ছেলে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০০

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: হেলেন অফ ট্রয় সিনেমাটা মুল কাহিনীকে অনেকটাই বিকৃত করেছে - সেখানে আকিলিস-হেক্টর বা প্যারিস-মেনেলাউস দ্বৈত যুদ্ধের কন সীনই নেই। সবচেয়ে বিরক্তিকর লেগেছে আমামেম্নন কর্তৃক সমস্ত সৈন্য ও নিজের ভাইয়ের সম্মুখে ভাইয়ের বউ হেলেনকে ধর্ষণ - যা সমস্ত আকর্ষণকে নষ্ট করে দিয়েছে। সেদিক থেকে ২০০৪ সালের ট্রয় ছবিটা অনেক বেশি উপভোগ্য যদিও এটিও বিকৃতির হাত থেকে রেহাই পায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.