![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
১৯৯৯ সালে কুমিল্লার বুড়িচংয়ের এতবারপুর দিয়ে গোমতি নদী ভাঙ্গনের পর দৈনিক ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি নাসির উদ্দিনের রিপোর্টিংকে কুমিল্লার যেসব সাংবাদিক ‘বাড়িয়ে লেখা’ মনে করলেন, তারা বলে বেড়ালেন, বুড়িচং উপজেলার এতবারপুরের পাশের গ্রাম জিয়াপুরেই নাসির উদ্দিনের জন্মস্থান। তাই নাসির উদ্দিন এত বাড়িয়ে লিখছেন। অথচ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর বাংলাদেশ ব্যুরো চীফ আনিস আহমেদ তখন আমাকে বললেন, এটি ছিল তখন অন্যতম আন্তর্জাতিক সংবাদ। তিনি আমাকে ঘন্টায় ঘন্টায় গোমতি নদীর বাঁধ ভাঙ্গার খবর দিতে বললেন। বললেন ছবি দিতেও। অথচ এককভাবে আমার উপরও নির্ভর করলেন না। নির্ভর করলে আরও তিগ্রস্থ হতেন। সম্ভবত তারা সংবাদ-এর জন্য একক সূত্রের উপর নির্ভরও করেন না। কারণ তখন আমি কুমিল্লা ডিসি অফিসে গিয়ে দেখলাম জেলা কন্ট্রোল রুমে রয়টার্সের ঢাকা অফিস থেকে তথ্যের জন্য ফোন করা হয়েছে। গেলাম বুড়িচংয়ের নিমসারের দিকে। ওখানে গিয়েও দেখা পেলাম রয়টার্সের খন্ডকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এক প্রতিনিধি সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত। আসলে রয়টার্স চাচ্ছিল কোনো নতুন সংবাদ সংগ্রহ করতে, যা কোনো সংবাদ মাধ্যমই পায়নি। কিন্তু সে সময়ে আমি কুমিল্লার ৪টি আঞ্চলিক সংবাদপত্রে বেতনভিত্তিক কাজ করতাম। দৈনিক ‘রূপসী বাংলা’, সাপ্তাহিক ‘আমোদ’-‘নিরীণ’ ও ‘লাকসামবার্তা’। সাপ্তাহিক ‘লাকসামবার্তা’ পত্রিকাটি একটি উপজেলাভিত্তিক সংবাদপত্র হলেও ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০০ সালের জুন মাস পর্যন্ত আমাকে প্রতি মাসে ২০০০/- (দুই হাজার) টাকা করে বেতন দিয়েছিল। সে সময়ে এসব সংবাদপত্রে কাজ করতাম বলে সময় ও সুযোগের অভাবে রয়টার্সের জন্য যথাযথ সংবাদ সংগ্রহ করতে পারিনি। এমনকি কোনো এক শুক্রবারে আমি নদী ভাঙ্গনের এবং বন্যার ছবি তোলার পর ‘রয়টার্স’-এর তখনকার ‘বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান’ আনিস আহমেদ আমাকে ছবি পাঠাতে বললেন। কিন্তু শুক্রবারের বন্ধের কারণে আমি কুমিল্লার কোথাও ছবি প্রিন্ট করাতে পারলাম না। উল্লেখ্য, তখন আমরা এখনকার ডিজিটাল ফটোগ্রাফির এত সুবিধার কথা ভাবতেও পারিনি। আনিস আহমেদ আমাকে আবারও ছবি পাঠাতে বললেন। আরও বললেন , ফিল্ম পাঠাতে না পারলে ‘র’ [ডেভেলপ না করা] ফিল্ম যেন পাঠাই। আমি কুমিল্লার দৈনিক ‘রূপসী বাংলা’র কাজ ফেলে ফিল্ম নিয়ে ঢাকায়ও যেতে পারলাম না। কাউকে দিয়ে ঢাকায় ফিল্ম পাঠাতেও পারলাম না। অবশেষে কুমিল্লা শহর থেকে বের হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ছবি প্রিন্ট করে কুরিয়ারে পাঠালাম বন্যার এবং নদীভাঙ্গনের যতো দুর্লভ ছবি। একদিন পর সেই ছবি আনিস আহমেদের কাছে পৌঁছে। তারপর টেলিফোনে ঢাকায় ‘নিউজ’ পাঠানোর সময় কুরিয়ার সার্ভিসে আমার ছবি পাঠানোর কথা শুনে েেপ গেলেন আনিস আহমেদ। বললেন, ছবি পাঠানোর লোক না পেলে ফিল্মটা নিয়ে আপনি কেন চলে আসলেন না ? আমি বললাম, এখানকার ৪টি আঞ্চলিক কাগজে আমি কাজ করি ঠিক চাকুরি হিসেবে। তাই সময় বের করতে পারিনি। চাকুরি গেলে বাঁচাখাওয়ার সমস্যা হবে। পরে আনিস আহমেদ আমাকে রয়টার্সের ঢাকা অফিসে যেতে বললেন। কিন্তু আমি আর যাইনি। (চলবে)
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৯
মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো