![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
একবার ফ্রানৎস কাফকার দারুণ প্রভাব পড়লো আমার জীবনে। সেটা ১৯৯৩ সালে। তখনও কার্ল মার্কসের কবিতা আমি পড়িনি , যদিও পড়েছি কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো এবং দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ। আরও পরে আমার কবি ও সাংবাদিক বন্ধু পরাগ আরমান বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পে যোগ দিলো এবং আমাকে সঙ্গে নিতে অনুরোধ জানালো। আরও বললো , কবিতাকে স্বাধীন করো। রাজনীতির দাস করো না কবিতাকে। আর আমি ? আমি বললাম , কারিগরী প্রশিণে কবি বানানো যায় না। ওটা অচিরেই বাংলা একাডেমির ব্যর্থ প্রকল্পে রূপান্তরিত হবে। পরাগ বললো , ব্যাটা পাগল , কবি হতে যাচ্ছি না। একাডেমি কিছু টাকা দেবে , ওই টাকাটা হাতিয়ে নেই এই উছিলায়। তারপর ওই প্রকল্পে কুমিল্লা থেকে আহাম্মেদ কবীর গেলেন , আমি গেলাম না। পরে কুমিল্লা থেকে গল্পকার আলমগীরও গেলেন। কেন যে আমার যেতে ইচ্ছে হলো না। মন সায় দিলো না। অথচ আমার টাকার অভাবও ছিলো। এমনকি কুমিল্লা থেকে ‘সাতজনের গল্প’ শিরোনামে যে একটি পুস্তিকা বের হয় , তাতে আমারও গল্প দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এক হাজার করে টাকা দেয়ার যে শর্ত ছিলো প্রতিজনের জন্য , সেখানে ব্যর্থ হলাম। আমার গল্প গেলনা ওই সংকলনে। তবু গেলাম সেই সংকলনের প্রকাশনা উৎসবে। ১ জুন ১৯৯৬। শনিবার বিকেল। স্থান: শিা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র , মনোহরপুর , কুমিল্লা। আয়োজক ছিলো বিনয় সাহিত্য সংসদ ও কুমিল্লা লেখক পরিষদ। অতিথি হয়ে এলেন তিতাশ চৌধুরী , শান্তনু কায়সার ও স্বপ্না রায়। অনুষ্ঠানের সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল। তারপর একদিন পেলাম আরশাদ সিদ্দিকী সম্পাদিত ‘কার্ল মার্কসের কবিতা’। পড়লাম। দিলো মাসুদ আশরাফ। ভালো লাগলো। কিন্তু মন ভেসে গেল আবার ফ্রানৎস কাফকার কাছে। বিশেষ করে তার প্রেমের চিঠি আমাকে পাগল করে দিলো। তার প্রেমিকা ফেলিসকে নিয়েও ভীষণ কৌতূহল দেখা দিলো। আবারও পড়লাম ‘মেটামোরফোসিস’। কিন্তু এবার আর ভালো লাগলো না। ভালো লাগলো তার জীবন। তার নৈরাশ্য। তার লেখার চেয়ে তার হতাশারই বেশি প্রেমে পড়লাম আমি। যেমন জীবনানন্দ দাশের। অবশ্য জীবনবাবুর লেখাতেও সর্বোচ্চ মুগ্ধ আমি। আমি কেন মার্কসবাদী হয়েও , চে গুয়েভারার অনুরক্ত হয়েও নৈরাশ্যের প্রেমে পড়ি কিংবা প্রাচীন গ্রিক শিল্প-সাহিত্যের , কারণ খুঁজে পাইনা। আমি কি তবে সত্যিই নৈরাশ্যবাদী ! কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিলো না !
সেপ্টেম্বর - ২০০০ খ্রিস্টাব্দ। সংরাইশ , কুমিল্লা। ------------------------------------------------------------------------------------------------
চামচিকা আর বাদুর ‘লিভ টুগেদার’ করে। সেটা দেখে আগুন লাগে এক প্রবাসীর ঘরে। রীতিনীতি বদলে গেছে ! চু চড়কগাছ। হাঁসের সঙ্গে ‘লিভ টুগেদার’ করে এখন মাছ। মার্চ-১৯৯৬ , কুমিল্লা।
------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি আবার ঢাকা যাবো। ঢাকা আমার রূপালির ঢাকা । ঢাকা আমার আমরণ থিয়েটার চর্চার স্বপ্ন দেখা ঢাকা। ঢাকা আমার কলকাতা-দিল্লি-ফ্রান্স-প্যারিস। ঢাকা আমার বুড়িগঙ্গার ¯েœহভরা ঢাকা। ডাকা আমার ভালোবাসা , ঢাকা আমার মায়া , বাংলা একাডেমির বুকের বটবৃরে ছায়া। সেই ছায়া আমি একদিন পাবোই। তাই ঢাকা আমি যাবোই।
জানুয়ারি-১৯৯৪ , কুমিল্লা।
------------------------------------------------------------------------------------------------
গল্পকার ইলিয়াসের গল্প ‘নিরুদ্দেশ যাত্রা’ নয় , আমার গল্প ‘নিরুদ্দেশ যাত্রা’ আমার মামাতো বোন পারুকে হারানোর গল্প। সে এক ঘাতক কষ্টের গল্প। এমন ঘাতক কষ্ট যুগে যুগেই বড়বেশি ক্রীতদাস করেছে এই আমাকে। বড়বেশি ক্রুশবিদ্ধ আমি। শৈশবে পারু ছিল কষ্টবিষ আমার। বড়বেশি কালনাগিনী। এমন সব কালনাগিনীর ছোবল খেয়ে খেয়ে বড়বেশি কান্ত আর আহত আজ আমি।
আশ্বিন-১৪০২ , গয়ামবাগিচা রোড , পশ্চিম চানপুর , কুমিল্লা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: