![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
জুন ১৯৯৪,
মাতুয়াইল (মৃধাবাড়ি সংলগ্ন) শামসুদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ি
(শাহানা-শিরিনদের বাসা),
ডেমরা, ঢাকা।
সংশোধিত:
একজন অজ্ঞাত নারীর লাশ পাওয়া গেছে। ময়নামতি গ্রামের রত্নাবতী দিঘী থেকে এই অজ্ঞাত নারীর লাশ পাওয়া যায়।
সবাই বলছে, এখনই পুলিশ আসবে থানা থেকে। কেউ বলছে, এ নারীর বয়স প্রায় ২৫ হবে।
হায়! গলায় তার গোলাপী এক ওড়না পেঁচানো ছিল। পুলিশ নাকি এ লাশের ময়নাতদন্তও করাবে। মানে কাটবে-ছিঁড়বে...ইত্যাদি। সেটা হবে হাসপাতালে...লাশ কাটা ঘরে। এমন লাশের রিপোর্ট করা নাকি খুবই জরুরী।
আহা গো ওই নারীর নাকে ও মুখে কী ভীষণ গোলাপী রক্ত! পরনে গোলাপী শাড়ি, গোলাপী ব্লাউজ এবং গোলাপী পেটিকোটও ছিল।
আরও মর্মান্তিক বিষয় হলো, মরে গিয়েও ওই নারীর মুখটি ভীষণ গোলাপীই ছিল।
কোনো সহিংস মানুষও এমন সুন্দর একজন নারীকে, যুবতীকে, মানুষকে খুন করতে পারে, সেটা কল্পনাও করা যায় না। হয়তো সত্যি সত্যিই এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে সচেষ্ট হবে পুলিশ কিংবা নানা অজুহাতে তদন্ত যাবে থেমে অথবা এরই মধ্যে পাওয়া যাবে আরও অনেক অজ্ঞাত কতো লাশ এবং পুলিশ অনেকটা বাধ্য হয়েই নতুন ঘটনার দিকে বেশি নজর দিতে থাকবে। হয়তো বা তদন্ত কর্মকর্তা বদলিও হতে পারেন। অথবা খুনিরা ধরা পড়তেও পারে।
কিন্তু...
এই নারীর এমনই বদনসিব যে, সে আর এই গোলাপী শরীরে প্রাণ ফিরে পাবে না কোনোদিনও। এ কেমন এবং কোন গ্রহে আমাদের বসবাস! এ কি গ্রহ? নাকি কোনো মৃত্যুপুরী! মানুষ কিভাবে এমন যমদূত হয়ে যায়!
হে পুষ্পিতা নারী, এ সমাজ তোমাকে আরও কেটেছিঁড়ে রক্তাক্ত করবে জানি। হয়তো প্রয়োজনেই। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে তুমি নাও আমার হৃদয় নিঃসৃত শত পুষ্পাঞ্জলি। বড় অসহায় এক লেখক আমি। এ ছাড়া আর তোমার জন্য কী ই বা করতে পারি! আমাকে তাই ক্ষমা করো বিশ্বপ্রশান্ত শাশ্বত হে বাংলার গোলাপী নারী।
©somewhere in net ltd.