![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
অলংকরণ: জসীম অসীম
==============
আমি ভীষণ বিরক্ত
এই সমাজটার প্রতি
এমন সমাজ মনে হয়
আমার বাপ-দাদাও দেখেননি
অথচ দেখেছেন
তবে আমার মতো ঠিক
এমনভাবে দেখেননি
এটা নিশ্চিত।
এ সমাজকে দেখেছি আমি মূর্তে
বিমূর্তে-গর্তে-মরতে
বিভিন্ন শর্তে
এ মর্তে
আবদ্ধ অবস্থায়।
যে সমাজ আমাকে করবে দগ্ধ
তাকে দেখে আমি হবো মুগ্ধ!
পাগল হলেও আমি ঠিক আবার
এতটা পাগল নই।
কেউ কেউ বলে আমি বিভ্রান্ত
তারা যদি জানতো
বিরাণ-প্রান্তরে আমি কেন চলে যাই
তাহলে তারাই হতো আমার মিত্রভাই
যে সমাজের ফুলে ফুলে ভুল আর ভুল
সে সমাজটা বিলক্ষণই বড় প্রতিকূল।
রচনা:
সেপ্টেম্বর 1994
মীরহাজিরবাগ, ঢাকা।
=================
আমি যেন কবরবাসী আজ
সূর্যের সঙ্গে আমার তাই
দেখা করার ভীষণই প্রয়োজন
ভুলে গিয়েছি পাখির গান
কিংবা অন্নের আকৃতি
হাতে নেই কোনো মুদ্রা
স্বজনরাও তান্ডবনৃত্য দেখায়
পুড়ে করে চৌচির
যন্ত্রণার এ জীবনে
আতঙ্কে অস্থির আমি
আমি যেন সত্যি সত্যিই
কবরবাসী আজ
পৃথিবী আমার
বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে
কেরোসিন বাতির গ্রাম
আমার চেয়ে কত ভালো আছে
আমার চেয়ে আরও ভালো আছেন
দগ্ধ কবি জীবনানন্দ দাশ
কিংবা দাস মানুষ
আমার তাই আজ
চাঁদের সাথে দেখা হওয়া দরকার
আমি আজ ভীষণ একা মানুষ
তারপরও পানাফুল দেখে
আমি মুগ্ধ হয়ে যাই
পানারও দল আছে
সংযোগ শাখা আছে
কিন্তু আমার আর তোমার মাঝে
কিংবা আমার আর কারোর মাঝে
কোনো বাঁধন নেই
তাই যেন প্রতিক্ষণই কবরে বাস করি
দারুচিনির সুগন্ধ পাওয়ার
কোনো অবস্থা নেই
কোরআন-পুরাণ নিয়ে যখন
ব্যস্ত আজ মানুষ
তখন আমি মায়ায়-মোহে
বিভোর হয়ে যাই।
রচনা:
অক্টোবর 1993
পশ্চিম চানপুর,
কুমিল্লা।
---------------------------
বড় কিংবা ছোট হয় কেউ
নিজ মধু বা বিষে
ছোট বড় হওয়ার চাবি
আছে সঙ্গে মিশে
যেজন থাকে বৃক্ষমূলে
নদীর কূলে
তার ভান্ডই ভরে ফুলে
যে যায় ঐ গিরির গুহায়
সে পায়না আর দিশে
পাখি যেমন ডানা দিয়ে
বৃক্ষ থেকে সোজা নামতে পারে
তেমনি আবার উঁচু ডালে
তুলতে পারে নিজকে টেনে তারে
অন্ধকার আর আলোর স্বামী
ঐ সে তুমি কিংবা আমি
যুদ্ধ ও প্রেম আপন হাতেই
আর আছে বা কিসে?
রচনা:
অগ্রহায়ণ 1397 বঙ্গাব্দ
গয়ামবাগিচা সড়ক
পশ্চিম চান্দপুর,
কুমিল্লা।
©somewhere in net ltd.