নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপি: গুরুদয়াল সিংহ কুমিল্লার প্রথম পত্রিকা ‘ত্রিপুরা হিতৈষী’ বের করেছিলেন

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২


৩০ ফাল্গুন ১৪০২, পশ্চিম চান্দপুর, কুমিল্লা।
==========================
সকালে কুমিল্লার তরুণ গল্পকার মামুন সিদ্দিকী ও ‘আপন’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মোতাহার হোসেন মাহবুব এসেছিলেন আমাদের বাসায়। আলাপ হলো সৃজনশীল প্রকাশনার বিভিন্ন গ্রন্থ বিষয়ে। একুশের বইমেলা, যা মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে, এ নিয়েও প্রসঙ্গ উঠে আসে ।
মোতাহার হোসেন মাহাবুব বলেন, সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশ বিষয়ে কিছু কথা। বিশেষ করে ঋতুভিত্তিক প্রকাশনার প্রয়োজনীয়তার দিকেও গুরুত্ব দেন তিনি। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা তো নেই।
সন্ধ্যায় আবার বাসায় এসেছিল কুমিল্লার তরুণ কবি মাসুদ আশরাফ। আলোচনা শুরু হলো চিত্রকলা বিষয় নিয়েই। অশ্লীল ছবির প্রসঙ্গও আসে। ছবি আকর্ষণীয় হলেও চিত্রশিল্পীকে সামাজিক মূল্যবোধের প্রসঙ্গও মনে রাখা দরকার । তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলেও কিছু ছবির নান্দনিকতা অস্বীকারের কোনো উপায়ই নেই।
আসলে মাসুদের কাছে আজ গ্লোসি পেপারে ছাপা চিত্রকলার একটি ইংরেজি বই দেখেই আমার এই অনুভব হয়। কারণ মনে দাগ কাটা এসব ছবিকে শুধু মূল্যবোধের দোহাই দিয়েই চাপা দেওয়া ঠিক নয়। সাহিত্যতত্ত্বের মতো নন্দনতত্ত্বও সম্ভবত আমার এ মতামতের পক্ষে অবস্থান নেবে।
রাতের বেলা কুমিল্লার ‘সাপ্তাহিক আমোদ’ পত্রিকা অফিসে যাই। ওখানে গিয়ে মামুন সিদ্দিকীর লেখা ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বের রাজনীতি’ বিষয়ক কলামের প্রসঙ্গও উঠে আসে। সর্বশেষ কুমিল্লার সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুলের লেখনির প্রসঙ্গও। এই সাংবাদিকের নিজের বাড়ির কাছেই আমাদের ভাড়া বাসা এখন।
মামুন সিদ্দিকীর বাসা কুমিল্লা শহরের বাদুরতলায়। কুমিল্লার নারীনেত্রী ডা. জোবায়দা হান্নানের বাসার কাছেই। তবে আমি বলি ব্রহ্ম মন্দিরের কাছে।
কারণ ঢাকায় যখন ছিলাম, লাইব্রেরীতে রাজা রামমোহন রায় ও তার ব্রাহ্মধর্ম বিষয়েও অনেক পড়েছিলাম। উনিশ শতকের প্রথমদিকে রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্মধর্ম প্রবর্তন ও ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
একসময় ত্রিপুরার মহারাজ শ্রী বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর বর্তমান ফয়জুননেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই ব্রহ্মমন্দির স্থাপনের জন্য ভূমি দান করেন । সেই ভূমিতেই ত্রিপুরার ব্রহ্ম মন্দির স্থাপিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালীকচ্ছ গ্রামের আনন্দস্বামীও ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। আর তারই জামাতা ছিলেন কুমিল্লা শহরের বিখ্যাত সিংহ পরিবারের সন্তান গুরুদয়াল সিংহ। তিনিও ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং কুমিল্লার প্রথম পত্রিকা ‘ত্রিপুরা হিতৈষী’ও তিনিই বের করেছিলেন তারই প্রতিষ্ঠিত সেই ঐতিহাসিক ‘সিংহ প্রেস’ থেকে। এই প্রেস থেকেই বিখ্যাত গীতিকার ও সাধক মনোমোহন দত্তের সংগীত গ্রন্থ ‘মলয়া’ও বের হতো।
আমার মুখে এসব প্রসঙ্গ শুনে কুমিল্লার ‘সাপ্তাহিক আমোদ’ পত্রিকার বাকীন ভাই এ বিষয়ে আমার কাছে একটি লেখা চেয়েছেন। দ্রুতই দেবো বলেছি। তাই অতি দ্রুতই আব্বার সাহায্য নিয়ে লিখবো এ লেখা।
নবীনগরের সেই গীতিকার ও সাধক মনোমোহন দত্তের সংগীত গ্রন্থ ‘মলয়া’ আমাকে প্রথম পড়তে দেন এবং ব্যাখ্যা করে বুঝান আব্বাই। সেটা ১৯৮৯ সালে। কুমিল্লা শহরের অশোকতলার বাসায়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৪২

জসীম অসীম বলেছেন: 2002 সালের এক রাতের আড্ডায় কুমিল্লা পৌরসভার কাউন্সিলর আহম্মদ সোয়েব সোহেল শহরের রাজগঞ্জে আমাকে চা-পরোটা খাওয়ান। তারপর দীর্ঘদিন...হয়তো অনেক অনেক বছর ধরেই তার সঙ্গে আর আমার কোনো যোগাযোগই নেই। এর মাঝখানের বছরগুলোতে আমি কুমিল্লার অনেক পত্রিকায়ই চাকুরি করেছি। তারপর 2014 সালে আমি কুমিল্লার ‘দৈনিক ডাক প্রতিদিন’ পত্রিকায় ‘বার্তা সম্পাদক’ হিসেবে যোগদান করি।
অবশ্য এরই মধ্যে কুমিল্লা পৌরসভাও হয়েছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন। দৈনিক ডাক প্রতিদিন পত্রিকায় কর্মরত অবস্থায় একদিন বিকেলে একটি সংবাদ এলো ওই পত্রিকার বার্তা বিভাগে। মালয়েশিয়ার পেনাং এর অনারেবল স্টেট মিনিষ্টার অব পেনাং চোকন ইউ’র আমন্ত্রণে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আহম্মদ সোয়েব সোহেল পেনাং সিটি পরিদর্শন করেছেন।
সেটা আগষ্ট ২০১৪ এর দিকের ঘটনা। তখন সংবাদটি পড়ে আরও জানলাম, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের একটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ার পেনাং পরিদর্শনে যাবেন।
যিনি সংবাদটি নিয়ে এলেন, তিনিও ছিলেন কুমিল্লার একজন সাংবাদিকই। আমি তাঁকে তখন বললাম, কুমিল্লার পত্রিকাগুলোতে এখন ছবিনির্ভর সংবাদই বেশি হয়। অবশ্য অনেকক্ষেত্রে ডেপথ নিউজ পত্রিকার মালিক পক্ষই ছাপাতে উদ্যোগী হয় না। আমি এক্ষেত্রে কুমিল্লার পত্রিকার কথাই বলছি। ওই সাংবাদিক তখন ছবিনির্ভর সংবাদই বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন। আমি তাঁকে বললাম, সিটি কর্পোরেশনের আয়ের খাত-ব্যয়ের খাত নিয়ে তেমন কোনো রির্পোট নেই। বাজেটে আয়-ব্যয়ের পরিমাণ সমান না হলেও কখনো এ নিয়ে তেমন প্রশ্নও নেই। মশক নিধনের কাজে বরাদ্দ টাকার কতো অংশ কার পেটে যায়, এ নিয়ে কোনো অনুসন্ধানী গণিত নেই। বাজার সেলামি, ট্রেড লাইসেন্স ফি, বাস-টার্মিনাল থেকে পাওয়া অর্থ বিষয়ক রির্পোট কুমিল্লার স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই দেখি না। ওই সাংবাদিক তখন তাঁর মতো এর একটি ব্যাখ্যাও দিলেন। আমি ঠিকই বুঝলাম। হয়তো আরও বুঝলাম, আমি তো আর তেমন সাংবাদিকতাই করি না। কিন্তু যারা করছেন, তারাও ঠিক কতোটা করছেন কিংবা কেন বা পুরোটা করছেন না! কারণটা কী! জানতে আমার খুবই ইচ্ছে করছে।

ডিসেম্বর ২০১৪, কলাবাগ হাউজিং, ধর্মপুর, কুমিল্লা।
অলংকরণ: জসীম উদ্দিন অসীম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.