নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার একগুচ্ছ কবিতা:

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮


অলংকরণ: আমার শৈশবে অাঁকা একটি পাখি।

যাকে তুমি ক্ষুদ্র ভাবো,
সে কি সত্যি ক্ষুদ্র।
মায়াবিনী নারীকে যারা
প্রেমিকা বলে ভুল করে,
তারা কিন্তু অন্ধকারেই পড়ে মরে।

বড় বলে যাকে আমরা জানি,
তারা কি সত্যি সত্যিই বড়!
এত বড় ডাইনোসর
কোথায় গেল আজ?

নীলকান্ত মণি চেনে কতজন?
সারাটা শৈশব আমার
কেটেছে পরীর খোঁজ করে।
পরী বিয়ে করে ওই
পরীর দেশে যাওয়ার স্বপ্নে
কতো রাত যে
জেগে কাটিয়েছি আমি।
আমার সেসব স্বপ্ন
ক্ষুদ্র নয় কোনোভাবেই।

রচনা:
২৯ কার্তিক, ১৩৯৮ বঙ্গাব্দ,
মাতুয়াইল, ঢাকা।
============
পরীক্ষিত বন্ধু আমার ছিল
আমাদের গ্রামের বাড়ির
পশ্চিমের সেই বটবৃক্ষটি।
সে ছিল আমার শৈশবের
পরম বন্ধু।
অন্তঃপুরবাসিনী সেই বটবৃক্ষের নিচে
একবার এক ফকির
কুঁড়েঘর তৈরি করেছিল।
তারপর কোনো এক রাতে
কে বা কারা
ফকিরের ঘরে লাগিয়ে দিলো আগুন।
বেনো জলে ভেসে গেল
ফকিরের সব।
তারপর একদিন আমি
সেই বটবৃক্ষের কাছে গিয়ে দেখি
পাখিরা খুব কাঁদছে
মানুষের অশিষ্টতা দেখে।
তারপর কতোদিন
মাস-বছর চলে গেল।
সেই ফকিরের আর
কোনো খোঁজই জানা গেল না।
আর এ কথা সবাই ভুলে গেলেও
আমি ভুলতে পারিনি আজও।
যেমন তা ভুলতে পারেনি
আমার সেই পরীক্ষিত বন্ধু
আমাদের গ্রামের বাড়ির
পশ্চিমের সেই বটবৃক্ষটি।

রচনা:
অগ্রহায়ণ, ১৩৯৭ বঙ্গাব্দ,
পশ্চিম চান্দপুর,
গয়ামবাগিচা সড়ক, কুমিল্লা।
====================
নীড়।
আমিও এক নীড়ের স্বপ্ন দেখি।
সুন্দরী নারী দেখলে
কার না নীড়ের স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করবে?
ফুলের মতো এতো সুন্দর নারী
এই পৃথিবীতে আছে বলেই
আজ আমি ভালোবাসার
এতো বেশি পাগল।

তা না হলে
নিষ্ঠুরতা কাকে বলে
আমাকে দেখেই বুঝে নিতো
এই পৃথিবীর মানুষ।

শৈশবে আব্বা আমাকে
লালমাই পাহাড় দেখাতে
নিয়ে গিয়েছিলেন।
তখন যাদুঘরের বিভিন্ন মূর্তি দেখে
আমার কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষদের
নীড়ের স্বপ্নের কথাই মনে পড়েছিলো।

আব্বার সঙ্গে কুমিল্লা শহরে আসার সময়
ময়নামতি পাহাড়ের বটগাছগুলো দেখে দেখে
আমার খুব ভালোবাসার স্বপ্নের কথাই
মনে পড়েছিলো।
আসলে খুব আগে থেকেই
আমার এমন নীড়ের স্বপ্ন দেখা।
আমি কি তাহলে কোনোকালে
পাখি ছিলাম নাকি?
মনসাদেবীর কথা শুনেও
আমার মাথায় নীড়ের স্বপ্ন
শান্তশিষ্টভাবে ঢুকে যেত।

সাপকে এত ভয় পাওয়ার পরও
যুবতী এক সাপুড়ে নারী দেখে
আমি মনে মনে এক
নীড়ের কথাই ভেবেছিলাম।
আসলে আমি হয়তো জীবাশ্মেও
সুন্দরী নারী কিংবা নীড়েরই
চিরন্তন খোঁজ করেছিলাম।

রচনা:
চৈত্র, ১৩৯৯ বঙ্গাব্দ, ঢাকা।
===================
শূন্য।
আকন্দ ফুলকে ভালোবাসার অর্থ হলো
শূন্যকেই ভালোবাসা।
সেই শূন্য আমার জীবনকেও
শূন্য করেই ছেড়েছে।
ময়ূরকে যে ভালোবাসে,
সে তো বড় চৌকস লোক।
কিন্তু আমি শূন্যের প্রেমে কর্দমাক্ত হয়ে,
রক্তাক্ত হয়ে
জন্মজন্মান্তর নষ্ট করে ছেড়েছি।
অথচ আমিও একদা কলমিলতা আর
তার ফুলদের ভালোবেসেছিলাম।
কিন্তু এখন শূন্য আমার জীবন।
মৃদঙ্গ বাজালে কেউ পাগল হয়ে যাই।
হৃদয় হয়ে যায় পলাশফুলের মতো
রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত।

শূন্য হলো প্রলয়।
ললিতকলা বিদ্যার ললনারা
নাচের লয় না ভুলে প্রলয় ঘটালে
জীবন এমন শূন্য হতে পারেই।

রচনা:
চৈত্র, ১৩৯৯ বঙ্গাব্দ, ঢাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.