নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপি: একদা আমি ছাত্রশিবির করেছি: এখন করছি ছাত্র ইউনিয়ন

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪



১২ চৈত্র ১৪০২, পশ্চিম চান্দপুর, কুমিল্লা।
========================
সংশোধিত:

শরীর ইদানীং একটু খারাপ যাচ্ছে। গতকাল ডা. রফিকউদ্দিনের কাছে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে কবি মাসুদ আশরাফের সঙ্গে দেখা ও আড্ডা হয়।

খুব সকালে কুমিল্লা ছাত্র ইউনিয়নের আশেকে এলাহী সুমন ও বিপ্লব মজুমদার আসেন আমাদের বাসায়। সুমনের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে আলাপ হয় বসন্তকুমার স্যারের বিষয়ে।
সুমনের বাড়ি ও কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় এবং আমাদের বাড়িও দেবিদ্বারেই। দেবিদ্বার রেয়াজউদ্দিন হাইস্কুলটি খুবই বিখ্যাত। 1994 সালে এ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।
আমার শৈশবের স্কুলের নাম ‘গংগামন্ডল রাজ ইনষ্টিটিউশন’। ওই স্কুলটিও বিখ্যাত একটি স্কুল। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় 1922 সালে।
দেবিদ্বার রেয়াজউদ্দিন স্কুলের কৃতি প্রধান শিক্ষক বসন্তকুমার দাসের গল্প প্রায় প্রতিদিনই শুনেছি আমার জ্যাঠা ডা. মাহাম্মদ আলীর (সাবেরুল ইসলাম) কাছে। সেই শিক্ষক নাকি ওই স্কুলে প্রায় 50 বছর শিক্ষকতা করেছিলেন।
1911 সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে 15 টাকা বৃত্তিসহ ম্যাট্রিক পাশ করেন বসন্তবাবু । জ্যাঠার মুখে এই ইতিহাস জীবনে কমপক্ষে একশতবার শুনেছি আমি।
বিপ্লব মজুমদারের সঙ্গে শাস্ত্রীয় কিছু আলাপ জমে উঠে। যেমন কেন আমরা এত অভাব বোধ করি। কেন মানুষের অভাবের শেষ হয় না। অবশ্য এ বিষয়ে মা একটি চমৎকার কথা বলেন:
‘মানুষের অভাব শেষ হয়, তবে তার মৃত্যুর পর।’ এ কথা শুনে বিপ্লব ও সুমন একত্রে হেসে উঠেন।
এই অভাব দূর করার জন্য দৌড়াবো, নাকি সমাজতন্ত্রের জন্য কাজ করবো? একদা আমি ছাত্রশিবির করেছি। এখন করছি ছাত্র ইউনিয়ন। আমি এখন ছাত্র ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক।
চারু মজুমদার ও তার ‘নকশাল আন্দোলন’ অধ্যায়ও ভীষণ প্রিয় আমার। চরমপন্থা বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে আমার। আর ঠিক এ জন্যই আমাকে অনেকেই সহজভাবে নেয় না।
কেউ কেউ বলে, আমি ভবিষ্যতে আবার বদলেও যেতে পারি। কিন্তু আমার তা মনে হয় না।
অবশ্য অভাবের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার বৈজ্ঞানিক পন্থার নামই সমাজতন্ত্র: এখন আমি এমনটাই বিশ্বাস করি। এ রকম সংজ্ঞা অবশ্য আমার নিজেরই তৈরি। তবে আমার বাবা প্রায়ই বলেন, টাকার অভাব পূরন করতে পারলেই মানুষের প্রায় সব অভাবই দূর হওয়া সম্ভব। আমিও তা-ই দেখছি। কী আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন কিংবা ভাত কাপড়ের, বাসাভাড়ার ব্যবস্থা করার চিন্তা, সবই টাকার মাধ্যমেই পূরণ হয়। সুতরাং সব কিছুর আগে চাই টাকা, মানে কাগজ।
হায়! কাগজের এত দাম। অবশ্য এটা যেই সেই কাগজ নয়, মুদ্রারূপে মুদ্রিত স্বপ্নের সোনালি রূপালি কাগজ। এই কাগজের জন্যই এখন পুঁজিপতিরা পারলে যেন সমুদ্রের পানি আর সূর্যের আলোকেও বন্দী করে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দেয়।
আজ বিকেলে ছাত্র ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সংসদের অফিসে যাই। স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। তারপর শহরের রাজগঞ্জ সড়কদ্বীপ পর্যন্ত আমরা মিছিল করি। রাতে যাই ‘সাপ্তাহিক আমোদ’ পত্রিকার অফিসে। ফেরার পথে আমাদের ঠিক পাশেই মামাদের বাসায় যাই। বিভিন্ন বিষয়ে মামাতো বোন আয়েশা পারভীনের (পারু) সঙ্গেও কথা হয় দীর্ঘক্ষণ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: হায় রে হতভাগা!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

জসীম অসীম বলেছেন: কেন হতভাগা? এটি আমার কতো বছর আগের দিনলিপি! স্পষ্ট করে কিছু বলুন প্লিজ।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

চলন বিল বলেছেন: মামাতো বোন পারভীনের সাথে দীর্ঘক্ষণ কি কথা হয়? শুধু দিনে কথা হয় নাকি রাতেও কথা হয়? মামা মামি কি তখন বাসায় থাকে না?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

জসীম অসীম বলেছেন: মামাতো বোনের সঙ্গে অবশ্যই প্রেমের কথা হয়। কারণ তার সঙ্গেই শৈশবে ছিলো আমার প্রথম প্রেম। সে আমার ছাত্রীও ছিলো। বয়স আমার চেয়ে এক বছর কম। আর মামা-মামী তো তখন মারাই গেছেন। হ্যাঁ রাতেও কথা হতো। সুন্দরী ছিলো তো। আমি ছিলাম ফটোগ্রাফার। তখন তার অনেক ছবিও তুলে দিয়েছি। সে অনেক আগের কথা।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকদিন হলো, দেশে কি হচ্ছে, কি দেখছেন?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

জসীম অসীম বলেছেন: দেশে যা হচ্ছে আমার আলাদা করে কিছু দেখার নেই। কারণ আমি কোনো বিচ্ছিন্ন মানুষ নই।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৩৯

জসীম অসীম বলেছেন: এই ব্লগে (সামু) আমি নতুন ব্লগ লিখতে গেলে একটি লেখা আসে। লেখাটি হলো: [একটি ভুল পাওয়া গেছে
you are not allowed to post anything in this blog]. কিন্তু কেন? এই সমস্যা শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় একটি নর্মাল পোস্ট দেওয়ার পর থেকে। তারপর আর আমি এই ব্লগে নতুন কোনো ব্লগ লিখতে পারি না। এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করতে পারলে কৃতজ্ঞ থাকবো। এই ব্লগের মডারেশন স্টেটাসে আমি কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার ওয়াচে নেই। আমার অবস্থান [সেফ]। তবে কারো লেখায় আমি আবার নিজ মতামত লিখতে পারছি। তাতে কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। সুতরাং এ বিষয়ে আমার জন্য কিছু করনীয় থাকলে জানাবেন। আমার ই-মেইল: [email protected] ভালো থাকবেন।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৫৪

জসীম অসীম বলেছেন: একদিন রাতে কুমিল্লা পৌরসভার কাউন্সিলর আহম্মদ সোয়েব সোহেলের সাথে কথা হয় আমার। অনেক সময় ধরে। আমি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই। সেটা 2002 সালের কথা। তখন তার সঙ্গে আমার আমার আলাপের মূল বিষয় ছিলো: কুমিল্লা শহরের বাসাবাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স।
বিভিন্ন অর্থবছরে পৌরসভা যখন তার বাজেট পেশ করে, তখন এ নিয়ে অনেক সাংবাদিক অনেক প্রশ্নই করেন। পরে আর এ নিয়ে অনেকেরই তেমন কোনো মাথা ব্যথাই থাকে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ কী, এ নিয়েও অনেক স্থানীয় সাংবাদিক তেমন ওয়াকবহালও নন। অথচ স্থানীয় সাংবাদিকদের অনেকেই অধিকাংশ সময়েই ওসব জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেই চলেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ঠিক তখনই আমি কুমিল্লার অন্য আরেকজন পৌর কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনারা সরকারের কাছ থেকে কোনো টাকা থোক বরাদ্দ পান কি না, বা পেলে ঠিক কী পরিমাণে পান। ...। তিনি আমার কথা শুনে মনে হয় আকাশ থেকেই পড়লেন। কারণ তিনি উল্টো আমাকেই প্রশ্ন করেন ভাই ‘থোক বরাদ্দ’ কী! এমনকি বিগত অনেক বছর ধরেই থোক বরাদ্দের টাকা গিলে খাওয়া লোকও অনেক সময় আমাকে বলেছেন: ভাই, থোক বরাদ্দ কী!

ছবি: জসীম উদ্দিন অসীম: 2001

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.