নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাকে নিয়ে পুরনো বন্ধু নাসিমের একটি লেখা

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:১৫


আলোকচিত্র: জসীম অসীম: 1996: কুমিল্লা।
==========================
জসীম অসীম কুমিল্লার গোমতি অঞ্চলের অনেক ছবিই তুলেছেন

মোঃ নাসিম আহম্মদ
প্রভাষক: বাংলা বিভাগ, আনন্দপুর ডিগ্রি কলেজ, কোতয়ালী, কুমিল্লা।
রচনা: মার্চ-2004
===========
কুমিল্লা সরকারি গণ গ্রন্থাগারে (পাবলিক লাইব্রেরী) প্রথম জসীম অসীমের সাথে আমার পরিচয় হয়। সময়টা 1993 সালের শেষের দিক। তিনি ঢাকায় তখন বাংলায় অর্নাস পড়তেন। আর আমি তখন বাংলা'তেই অনার্স পড়তাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে।
ড. জয়নাল আবেদীন স্যারের উপদেশ মেনে আমি কলেজের ক্লাশ শেষে প্রতিদিনই পাঠাগারে (কুমিল্লা সরকারি গণ গ্রন্থাগারে=পাবলিক লাইব্রেরী) বসে বিভিন্ন রেফারেন্স বইয়ের সহযোগিতায় নোট তৈরি করতাম। তেমনি একদিন শুভলগ্নে বই পড়ার ফাঁকেই জসীম অসীম ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় ঘটে। তিনি তখন ঢাকাতেই থাকতেন। আর তার মা বাবা ভাই বোন থাকতেন কুমিল্লা শহরের গয়ামবাগিচা সড়কের একটি বাসায়।
কুমিল্লা আসলেই অসীম ভাই কুমিল্লা সরকারি গণ গ্রন্থাগারের পাঠাগারে আসতেন। সে সময়ে সাহিত্য, নাটক, ছবি, রাজনীতি ও চলচ্চিত্র বিষয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ আলাপ আলোচনা হতো। তার তখন সকল বিষয়েই পাঠের ভীষণ নেশা ছিলো। তাঁদের গয়ামবাগিচা সড়কের বাসায়ও আমি বহুবার গিয়েছি। সে সময় তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংকলন ও কবিতার পুস্তিকাও ছেপেছেন। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ছবি অাঁকা বা ছবি তোলার আগ্রহই ভীষণতর ছিলো। বিশেষ করে ক্যামেরায় তোলা ছবি বা ফটোগ্রাফির নেশা ছিলো তার মারাত্মক। তিনি গোমতি নদী ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের অনেক সৌন্দর্যময় ছবিই তখন তুলেছেন। সেগুলো তিনি পরে কুমিল্লার 'সাপ্তাহিক আমোদ’সহ আরও পত্রিকায় ছেপেছেন।
তিনি যেমন সুন্দরভাবে ছবি তুলতেন, তেমনি সুন্দরভাবে ছবিও আকঁতেন। তার ঘরের দেয়ালে এখনও তার অংকিত ছবি শোভা পায়।
1996 সালে জসীম অসীম ভাই কুমিল্লার ‘সাপ্তাহিক আমোদ’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন। সে সময়ও ছবি তোলার জন্য তিনি দূরদূরান্তে ছুটে যেতেন। 1998 সাল থেকে তিনি কুমিল্লার লাকসাম থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক লাকসাম বার্তা'য়ও কাজ করতেন। তখন আমি কুমিল্লা শহরের টমছমব্রীজের ‘উপকূল বাসস্ট্যান্ড’ সংলগ্ন ‘লতিফ স্যারে’র বাসায় থাকতাম। সে সময়েও তিনি প্রায়ই আমার সাথে দেখা করতে আসতেন।
জসীম অসীম 1999 সালে অধ্যাপক আবদুল ওহাব স্যারের প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা ‘দৈনিক রূপসী বাংলা’তেও কাজ করেছেন। 2000 সালে এসে 'সহকারি সম্পাদক' হিসেবে যোগ দেন কুমিল্লার প্রবীণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহর “সাপ্তাহিক নিরীক্ষণ” পত্রিকায়। পরে 2001 থেকে 2003 সাল পর্যন্ত সময়ে কুমিল্লার ‘দৈনিক শিরোনাম’ পত্রিকায়ও কর্মরত ছিলেন।
সে সময় আমি প্রায়ই তাঁর সাথে দেখা করতে ওই পত্রিকার অফিসে যেতাম। সেখানে প্রায়ই সাহিত্য, রাজনীতিসহ সকল বিষয় নিয়ে আলাপ করতেন কুমিল্লার কবি ফখরুল হুদা হেলাল, দৈনিক শিরোনাম পত্রিকার সম্পাদক নীতিশ সাহা এবং ওই পত্রিকারই চীফ রিপোর্টার সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ ভাই ও গল্পকার ও গবেষক মামুন সিদ্দিকীসহ আরও অনেকে।
জসীম অসীম ভাই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি একাধারে বক্তা, কবি, গল্পকার, চিত্রকর, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ ও ফটোগ্রাফার। তাঁর মত সমাজ সচেতন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব আজকালকার আধুনিক তরুণ সমাজে বিরল। ছবি নিয়ে তিনি গত কয়েক বছর ধরেই অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন। তাঁর তোলা ও অাঁকা ছবিগুলোতেও এসবের প্রমাণ মিলে। আমার বিশ্বাস: তিনি একদিন তাঁর এই সৃষ্টির জগতে সফল হবেনই। অবশ্যই সফল হবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হচ্ছে এটাও আপনার লেখা। নাসিম আপনি নিজেই।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

জসীম অসীম বলেছেন: রাজীব ভাই, কমপক্ষে এমন মনে হওয়ার কারণ নেই। কারণ নাসিম ভাই একজন শিক্ষিত ভদ্রলোক। এখন কুমিল্লার লাকসামের একটি কলেজে পড়ান। কিন্তু আজকাল আর তাঁর সঙ্গে আমার বছর বছর ধরেই দেখা হয় না। আপনার এই মন্তব্যের পর আমাকে ঘৃণা করে মনে হয় এই পোস্টে কোনো ব্লগার বন্ধু আর মন্তব্যও লিখবে না।
নাসিম ওই সময়ে লেখাটি দিয়েছিল কোনো পত্রিকায় ছাপাতে। তখন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আমার একটি একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। কিন্তু নাসিমের এই লেখাটি আমি আর ছাপানোর ব্যবস্থা করিনি।
আজ অনেক বছর পর কিছুদিন আগে নাসিমের সেই লেখাটি আমার হাতে পড়ে। তারপর আপনার ভাবী কম্পোজ করলো আমারই কথায়। তবে এই মুহূর্তে নাসিমের হাতের লেখা মূল পান্ডুলিপিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোন ফাইলে আছে, হয়তো রাতেও পাওয়া যেতে পারে। পাওয়ামাত্রই তাঁর সেই হাতের লেখাটি স্ক্যান করে সংযুক্ত করবো। আর তাহলেই আপনি বুঝবেন লেখাটি আসলে কার। এমনকি ওই সময়ে যে নাসিম আনন্দপুর গার্লস ডিগ্রী কলেজে পড়াতো, সেটাও আমি ভুলে গিয়েছিলাম। সেই লেখার নিচেই তাঁর তখনকার কর্ম পরিচিতিও লেখা ছিলো।
আমার এই ব্যাখ্যায় আবার আপনার মনে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই রাজীব ভাই। এ লেখাটি পোস্ট না দিলে হয়তো আমার ব্যক্তিজীবনের ইতিহাসে এই লেখাটির এখানেই মৃত্যু হতে পারতো। লেখা হিসেবে এই লেখাটির হয়তো কোনো শিল্পমূল্যই নেই, কিন্তু এটি আমার বন্ধুর লেখা এবং আমাকে নিয়েই। আজ এতো বছর পর ঠিক এই সাধারণ বিবেচনায়ই লেখাটির এই ব্লগে সংরক্ষণ ও আপনাদের সঙ্গে ‘শেয়ারিং’ এর ব্যবস্থা করা হলো। নাসিমের যে বাসায় একদা আড্ডা দিতাম, সেটি যে লতিফ স্যারের বাসা, কে সেই লতিফ স্যার, আজও আমি জানি না। নাসিমের লেখা বলেই হয়তো লতিফ স্যারের নামও তাঁর লেখায় থেকে গেলো। তখন উক্ত লতিফ স্যারের বাসার ওখানে ছিলো কিছু পরিত্যক্ত বিল্ডিং। আর এখন ওখানে গগনচুম্বী নানা অট্টালিকা। পরিবর্তন হয়েছে বিস্তর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ওসব মিলিয়েই লেখাটি ব্লগে পোস্ট দিয়ে রাখলাম। আর লেখাটি মূলত নাসিম ভাইয়েরই।
তবে এমনও হতে পারে যে, তার লেখার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আমার লেখার বৈশিষ্ট্যের আপনি অসম্ভব মিল খুঁজে পেয়েছেন। এটা হয়ে থাকতেই পারে। এমন উদাহরণ আমি কখনো দেখেছি।
তাছাড়া আপনি ভালো করেই জানেন রাজীব ভাই, আমার এই ব্লগ খুব উন্নত মানের কোনো ব্লগ নয় এবং আমিও নই উন্নতমানের কোনো ব্লগার। তাই আমার ‘পার্সোনাল ডায়েরি’ দিয়েই এ ব্লগের অধিকাংশ পোস্ট। এটা তো আপনি বুঝেনই।
আমার এক বন্ধু সেদিন বললো, রাজীব ভাইয়ের মতো সিরিয়াস ব্লগার আপনার ব্লগে মন্তব্য লিখেন? আমি বললাম, সেটা লেখার জন্য ঠিক নয়, পার্সোনালি আমার জন্যই রাজীব নূরের একটা টান আছে। তাই তাঁর মতো ব্লগারও আমার ব্লগ ভিজিট করেন এবং কখনো মন্তব্য লিখেন। অনুপ্রেরণা দেন। কিন্তু তিনি অহংকারী মানুষ হলে কক্ষনোই এটা করতেন না। কমপক্ষে এটা তো আমি বুঝি রাজীব ভাই।
ভালো থাকুন এবং অনুরোধ: অবশ্যই আমার এ লেখায় কিছু মনে করবেন না। সবশেষ কথা হলো: এটা যে একটি আত্মপ্রচারমূলক পোস্ট, এই অন্যায়কর্মটি আমি জেনেও নিজেকে প্রচারমুক্ত রাখার সৎ সাহস দেখাতে পারিনি। এই দুর্বলতাটুকু যে আমার রয়েছে, তা তো আপনি অনেক আগেই এবং অনেকবারই উপলব্ধি করেছেন।
ভালো থাকুন। শুভ কামনা নিরন্তর। বন্ধুকে ভুল বুঝবেন না কক্ষনোই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.