নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের দিন

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩



গতকল্য ৩০ শে সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার মহা নবমী পালিত হইয়াছে। আজ ১লা অক্টোবর দুর্গাপূজার দশমী এবং আজই দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের দিন।
এইবারের ভয়াবহ বন্যার কারণে দুর্গাপূজা আড়ম্বরহীন পরিবেশে পালিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন বন্যার পানি কমিতে থাকে, তখন দুর্গাপূজার আড়ম্বরও একটু একটু বৃদ্ধি পায়। ফলে শেষ পর্যন্ত এইবারের দুর্গোৎসব অনেকটা সাড়ম্বরেই উদযাপিত হইয়াছে।
গত শনিবার দুর্গা দেবীর বোধনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার শুরু হয়। আর আজ দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমেই পূজার সমাপ্তি ঘটিবে।
গত সোমবার মহা সপ্তমীর দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার্তদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ হইতে শাড়ী, ধুতি, লুঙ্গি, চাল ও ঔষধপত্র বিতরণ করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায় মনে করে দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গার আগমনে দেশের বন্যা দুর্গত লক্ষ কোটি মানুষ বন্যা-সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায়ও শক্তি লাভ করিবে। ভয়াবহ বন্যার কারণে এই বৎসর দেশের অনেক পূজামন্ডপেই প্রতিমা নির্মাণ করা যায় নাই। ইহা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক।
==========================
এ লেখাটি ১৬ আশ্বিন, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ তারিখে
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত
আমারই লেখা সম্পাদকীয়।
===========================
হিন্দু সম্প্রদায় ঈশ্বরকে পুরুষরূপে যেমন পূজা করেন, ঠিক তেমনি নারীরূপেও। এই নারীরূপ ঈশ্বরেরই মাতৃরূপ। মাতৃরূপে তাহার নাম কখনো দুর্গা, কালী, সরস্বতী... ইত্যাদি।
দুর্গা হিন্দু সম্প্রদায়ের শক্তির দেবী। দুর্গম দুর্গার বাহন সিংহ। তাহার রহিয়াছে দশটি হাত। আছে দশটি অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়া তিনি যুদ্ধ করেন, শত্রু নাশ করেন এবং ধার্মিককে রক্ষা করেন।
দুর্গাপূজা বিশেষভাবে শরৎকালেই হয়। এই জন্যই দুর্গাপূজাকে শারদীয় পূজাও বলা হয়। বসন্তকালেও কোথাও কোথাও দুর্গাপূজা পালন করা হয়। তখন ইহাকে বাসন্তি পূজা বলে। তবে শারদীয় পূজাই দুর্গাপূজা নামে অধিক প্রসিদ্ধ।
কখন ও কিভাবে দুর্গোৎসবের প্রথম শুরু হইয়াছিলো, তাহা নির্ভুলভাবে বলা কঠিন। তবে দুর্গা যে আগে পারিবারিক পূজাতেই সীমাবদ্ধ ছিলো, তাহার অনেক প্রমান রহিয়াছে।
পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজ- উ- দ্দৌলা’র পরাজয়ের পর এই দেশে ইংরেজদের প্রভাবে দুর্গোৎসবে বাঈনাচ, মদ্যপান এবং বিভিন্ন ধরনের কোলাহলপূর্ণ আমোদ- প্রমোদ যুক্ত হইয়াছে বলিয়া অনেক ঐতিহাসিক মতামত ব্যক্ত করেন। ইহাতে অনেক পন্ডিতের আবার দ্বিমতও রহিয়াছে।
দুর্গাপূজা পালন এখন আর বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নাই। উপমহাদেশের বাহিরে লন্ডন, লিভারপুল, বার্মিংহাম, গ্লাসগো-রমতো পৃথিবী বিখ্যাত শহরগুলিতেও দুর্গাপূজা এখন ছড়াইয়া পড়িয়াছে এবং সেইখানেও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে অনেক অনেক পূজাবাড়ি। এমনকি বৃটেনের অনেক টিভি চ্যানেলেও স্থান পায় এই দুর্গাপূজা। তবে দিন যত অতিবাহিত হইতেছে, ততই দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে আরও অধিক পরিমাণে সামাজিক উৎসব হিসাবেও পালিত হইতেছে।
... ... ...
এই ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব দুর্গোৎসব উপলক্ষে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই এবং তাহাদের সার্বিক সুখ, সমৃদ্ধি ও নিরাপদ জীবন কামনা করি।
===============

নোট: এ লেখাটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম সংবাদপত্র কুমিল্লার ‘সাপ্তাহিক আমোদ’ পত্রিকায় ১৬ আশ্বিন, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ তারিখে প্রকাশিত আমারই লেখা একটি সম্পাদকীয়। ওই পত্রিকায় তখনও ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ এর মতো লেখালেখিতে সাধু ভাষার প্রচলন ছিলো। এই সম্পাদকীয়টিতেও তারই সাক্ষ্য বহমান।
1996-2000 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে প্রকাশিত চাকুরিসূত্রে এ পত্রিকার অধিকাংশ সম্পাদকীয়ই ছিলো আমার লেখা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!
খুব সুন্দর লেখা।
আপনি ভালো লিখেন।
আপনার লেখা গুলো আমি নিয়মিত পড়ি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

জসীম অসীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই। দুর্ভাগ্য হলো আমি বিভিন্ন কাজের চাপে এমনই ব্যস্ত যে, আপনাদের সবার সেরা লেখাগুলো সব সময় পড়ে মতামত লেখা হয়ে উঠে না। এর জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি, তাও মাথায় আসছে না।
ভালো লাগে যখন আপনার সান্নিধ্য পাই। প্রেরণাও আসে মনে। আমার লেখালেখিতে একসময় আপনার অনুপ্রেরণা সময়ের সাক্ষ্য হয়েও থাকতে পারে।
তবে আপনি দেখবেন, আমি অধিকাংশ সময়েই পুরনো লেখাই পোস্ট দেই। কারণ একসময় আমি অনেক লেখাই লিখেছি। এসব লেখা কোনো পত্রিকাই কখনো ছাপেনি। আর আমার গ্রন্থ প্রকাশেরও কোনো আর্থিক সুযোগ এখনো পর্যন্ত নেই। তাই আগের লেখাই সব সময় পোস্ট দিয়ে থাকি। কারণ এসব লেখা পুরনো ফাইল থেকে নিয়ে আপনার ভাবীই কম্পোজ করে রাখে। তাঁর বিশ্বাস কখনো আমার গ্রন্থ প্রকাশিত হতেও পারে।
অন্যের টাকায় গ্রন্থ প্রকাশের স্বপ্ন দেখে জীবনে অনেকবারই প্রতারিত হয়েছি। আর তাই ও পথে যাই না আমি। এখন বরং টাকা পেলে নিজের উপন্যাসের পান্ডুলিপি অন্যের নামে ছাপানোর জন্য বিক্রি করে দেই। অর্থের অভাবে এ কাজ আমার নতুন ঘটনা নয়, যদিও জানি এটাও একটা অপরাধই।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: পরিপাটি লেখা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

জসীম অসীম বলেছেন: প্রিয় সনেট কবি, অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখায় আপনার মতামত অবশ্যই চলার পথে গতি সঞ্চার করে। অশেষ কৃতজ্ঞতা এ জন্য।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৭

নজসু বলেছেন: গল্প: অদ্ভুত মৃত্যুর ডাক এ
কমেন্ট করেছি ১১ অক্টোবর।
আজও মন্তব্যের জবাব পেলাম না।

আজকের লেখাটি পাঠ করলাম।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

জসীম অসীম বলেছেন: লেখা পাঠের জন্য অপরিসীম আনন্দিত, অসীম কৃতজ্ঞতা।
আমি এক উন্মাতাল সময় কাটাই। বিশেষ করে শরৎ-হেমন্তকালে। সেই শৈশব থেকেই। কোনো কিছুরই খোঁজ থাকে না। বড়ই বাউন্ডুলে হয়ে যাই। প্রকৃতি তখন আমাকে অকল্পনীয় উন্মাদই করে ছাড়ে। স্থির কিছুটা হয়েছি যেনো আজকাল বউ আর ছেলের জন্যই।
সেই কৈশোরেও নদী দেখে, পাখি দেখেই কেটেছে সময় আমার এমন শরৎ অথবা হেমন্তকালে। আজকাল বিভিন্ন চাপে অথবা প্রকৃতির উত্তাপে কিংবা হয়তো কোনো তপ্ত অভিশাপে জীবন আমার বড়ই দুর্বিষহ হয়ে যায়। হায়! তাই হয়তো সময়মতো আপনার উত্তর লিখতে পারিনি। ক্ষমা করবেন। আর নিচের লেখাটি পড়ে আমাকে ধন্য করবেন। লেখাটি আজই কম্পোজ করেছে আমার ছেলে ‘কফিল মোহাম্মদ অপূর্ব’। সে এবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ‘প্রাণি বিদ্যা’ বিষয়ে সে ভীষণই উদগ্রীব। তাঁর অাঁকা ছবিও কখনো পোস্ট দেবো। দেখবেন। আর এই লেখাটিই (নিচের) এখনই ব্লগে পোস্ট দেবো। তবু আপনাকে আলাদা করেই একবার তা দেখালাম।
আজকাল আমি আর লেখারই তেমন সময় পাই না। আমার আগেকার লেখার গুণগত মাণ যেমনই হোক, পরিমাণগত মাণ অনেক অনেক। কেনো যে আমি পরিমাণে এতো অধিক লিখেছিলাম, এখন আক্ষেপ লাগে। অধিক লেখার কোনোই প্রয়োজন নেই। এখানকার শহীদুল জহিরদের লেখার পরিমাণও কিন্তু খুব বেশি নয়। অথচ মান অবর্ণনীয়।
আপনার অশেষ কল্যাণ কামনা করছি।
=================
কবিতা: গোমতি নদী
==================

যতই করিনা কেন বারণ---শুনবে না সে
সে যে নদী----গোমতি নদী---সমুদ্রে সে যাবেই
হয় এ পথ ধরে---নয় ও পথ ধরে---সমুদ্রে সে যাবেই

ঢোলকলমী ফুলের বাহার---সোনাদানা---কয়েকগাল হাসি
কাশফুল বা টগর
সাতপুরুষের দোহাই
কোনো কিছু দিয়েই তাকে---বাঁধা যায় না কখনো

গোমতি সে তো মরা নদী নয়
বউ পেটানোর হিংস্রতাকে ভয় করে না সে
মোটা লাঠি---লাঠিসোঁটা---সাতনলা বন্দুক
ভয় করে না কোনো কিছুই সে

গোমতি সে তো মরা নদী নয়
তার জীবন সার্বভৌমিক---সারগর্ভ শিল্প জীবন যেন
তার জীবনে আছে সারস-সারসীর প্রেম
মাঝি-মাল্লার সুর
সাম্পানওয়ালার সাদামাটা জীবনের সব রঙ
তাঁর জীবন অবাধ স্বাধীনতার
চুম্বনেরই পক্ষে চলে সে
সে এগিয়ে চলে মিলনেরই দিকে---দিনের পরে দিন
রাতের পরে রাত
সে যে নদী গোমতি নদী---সমুদ্রে সে যাবেই
গোমতি সে তো মরা নদী নয়।
======================
রচনা: আশ্বিন, ১৪০২ বঙ্গাব্দ, কুমিল্লা।
==========================
নোট: এ লেখাটি 1998 সালে প্রকাশিত আমার কবিতার প্রথম পুস্তিকা
‘চাঁদের জ্যোৎস্না খসে গেছে’
এর একটি কবিতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.