নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদের জ্যোৎস্না খসে গেছে

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৮


নোট:
আমার কবিতার প্রথম সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল 1998 সালে।শিরোনাম ছিলো: চাঁদের জ্যোৎস্না খসে গেছে।এখন আর সেই সংকলনের কোনো সংগ্রহই নেই। এমনকি জীবনের ঝড়ে আমি আমার আরও তিনটি প্রকাশিত কবিতা সংকলন চিরতরেই হয়তো হারিয়েছি। কিন্তু সহসাই পেয়ে গেলাম আবার ‘চাঁদের জ্যোৎস্না খসে গেছে’ এর ভূমিকা।অতি আবেগপ্রবণ সেই ভূমিকাই তাই এখানে উপস্থাপন করলাম।
==================
আমার এসব লেখায় প্রচন্ড বেগে ‘আত্মহত্যা’ এসেছে। যদিও আমি শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যাকে সমর্থন করতে পারি না। আত্মহত্যা অধিকাংশই সৃষ্টির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে।হিটলার বা গোয়েবলসের আত্মহত্যায় অবশ্য পৃথিবী মুক্তি পেয়েছিল। তারপরও কবি, কতোটা যন্ত্রণায় পড়লে একজন শিল্পী অথবা একজন সাধারণ মানুষ আত্মহত্যা করে?
এই আত্মহত্যা যত না শরীরের জিনের কারণে, তারও অধিক ‘স্বপ্নশূন্য করে দিতে চাওয়া’ এই সমাজের পীড়নে। কবি মায়াকোভস্কি, জীবনানন্দ দাশ ( আমি মনে করি কবি জীবনানন্দ দাশ কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় নিহত হোননি। বরং তিনি ট্রামের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েই আত্মহত্যা করেছিলেন।)কায়েস আহমেদ, শামীম কবীররা আত্মহত্যা করেছিলেন। এসব তাঁদের শখের স্বপ্ন ছিল বলে মনে করি না আমি।
এক সময় কবিতার জিহবা দিয়েই গল্প বলানোর প্রবণতা ছিলো আমার। এ প্রবণতা ছিলো রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ দাশেরও। কিন্তু তাঁরা, বিশেষ করে জীবনানন্দ দাশ এ ব্যাপারে যে পরিমাণ সফল, আমি সেখানে সেই পরিমাণ ব্যর্থ।
প্রবণতা ছিলো আমার গণভাষায় কবিতা রচনা করারও। শব্দে-ভাবে-রূপে রসে কোনোভাবেই দুর্বোধ্যতার অভিযোগে অভিযুক্ত যেন না হই, সে চিন্তাও ছিলো।ভেবে দেখিনি মাইকেল-রবীন্দ্রনাথ-সুধীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দরাও নিজ নিজ সমকালে দুর্বোধ্যতার অভিযোগে দারুণ অভিযুক্ত ছিলেন। আমি ভেবেছি, ‘কবিতা বুঝতে হলে কবি হয়ে উঠতে হবে’ এমন হলে কবিতার সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক কী! কবিতা কি গণমানুষের ভাষার বিপক্ষে অবস্থান করবে? তবে আমাদের গণতন্ত্রের অবস্থান কী হবে! ভারতীয় রাগ সংগীতের প্রথমদিকের মতো কবিতাও যদি ‘ঘরানা নীতি’র মতো কোনো নীতি গ্রহণ করে বসে, তবে এ কবিতার মাধ্যমে জনসচেতনতার আন্দোলনের কী হবে! কবিতার রস থেকে কি জনগণ কেবল বঞ্চিত হয়েই যাবে? কিংবা এমন হলে গণবিচ্ছিন্নতার কারণে কি কবিতার পাখিরা অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখিই হয়ে যাবে না! ইত্যাদি সব কথা। অথচ তখন আজকের মতো ভেবে দেখিনি কবিতার কাব্যমান বা শিল্পমানটাই প্রথম কথা, পরে অন্য কিছু এবং কবিতা কবিতা হয়ে উঠেও গণমানুষের জন্য কিংবা আপন প্রেমিকার জন্য কিছু করতে পারে। আর ততদিনে বাড়ির পাশের গোমতি নদী দিয়েও গড়িয়ে গেছে অনেক অনেক পানি অথবা জল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: নিজেকে নিয়ে আপনি খুব ভাবেন।
আমি নিজেকে নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছি।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

জসীম অসীম বলেছেন: একসময় এমন অনেকই ভেবেছি। আজকাল আর তেমন নয়। শুভ কামনা সব সময়। ব্যস্ততায় এবং জীবনের নিত্য বাস্তবতায় শখের লেখালেখিও প্রায় শেষ। তাই আজকাল আগের লেখাই পোস্ট করে থাকি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.