নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

(গল্প) শুভপুরের হিন্দু

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৪

শুভপুরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িতে যখন আক্রমণ হয়, তার অনেক পূর্বেই তারা ঘটনা আঁচ করতে পারেন। কিন্তু আক্রমণকারীদের সঙ্গে শুভপুরের হিন্দুরা কোনোভাবেই সংঘর্ষে জড়িয়ে যাননি। পালিয়ে কোথাও আশ্রয় নেওয়াকেই সঠিক পন্থা মনে করেছেন। আর তাই হামলাকারীরা এতো সহজেই তাদের বাড়িঘরগুলো পুড়িয়ে দিতে পেরেছে। সহিংসতা ছড়িয়েছে কিন্তু রক্ত ঝরেনি কারো।
কিন্তু এভাবে পালানোকে সঠিক পন্থা মনে করছেন না মুকুল রানী দাস। তিনি মনে করছেন প্রতিবাদ হোক রক্তাক্ত। সহিংস সংঘর্ষ হোক হামলাকারীদের সঙ্গে। এভাবে বারবার পালিয়ে গিয়ে নিজেদের সব হারানো বাংলাদেশের হিন্দুদের আর মোটেও ঠিক নয়। যদিও এখনো আবার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আশফাক আশ্বাস দিয়েছেন গৃহনির্মাণে সরকারী ঢেউটিন ও খাদ্য আসছে জরুরি। টাকাও দেবে সরকার। এরই মধ্যে একাধিক সরকারী বেসামরিক কর্মকর্তা ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও এসেছেন শুভপুর গ্রামে। তাদের মুখের অমিয় বাণী শুনে মুকুল রানী দাসের কান মোটেও শান্ত হয়নি। তাঁর বরং ইচ্ছে হচ্ছে এখন অনুকম্পার ওসব দান-অনুদান যেন শুভপুরের সব ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দুই অবশ্যই ফিরিয়ে দেয়।
গৌরপ্রসাদ দাসের আত্মীয় মৃণাল দাস মনে করেন না শুধুমাত্র বাংলাদেশই সাম্প্রদায়িকতার জালে বন্দী। তিনি মনে করেন এই পৌষ-মাঘ মাসে যে উজানে জল প্রত্যাহার করে ভারত বাংলাদেশকে মরুভূমি করার চক্রান্ত করে, সেটাও সাম্প্রদায়িকতা। যদিও জলের চাহিদা ভারতেরও অনেক। হ্যাঁ সে নিজেও হিন্দু এবং ভারত মূলত হিন্দুদেরই দেশ। কিন্তু এই বাংলাদেশই তাঁর জন্মভূমি। এ দেশকে এভাবে জলশূন্য করবে কেন ভারত? তাই গৌরপ্রসাদ দাস যখন বলেন, এই দেশে আর থাকিস না তোরা। সময় আছে এখনো ইন্ডিয়ায় চলে যা, তখন মৃণাল দাস গৌরপ্রসাদকে ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালে সংঘটিত বরোদা শহরের একটি ঘটনা শোনান। বলেন, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটের গোধরায় একটি ট্রেনের কয়েকটি বগিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫৯ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়। আর তার প্রতিশোধ নিতে কী না হয় ওখানে? বেস্ট বেকারি নামে মুসলমান মালিকানার একটি রুটির দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ওই ঘটনাতেই তখন ১৪ জন নিহত হয়। সেসময়ে অভিযোগ ওঠেছিলো এই বলে যে, ওই ট্রেনের বগিতে মুসলমানরাই আগুন দিয়েছিলো।
মৃণাল দাস একটি বেসরকারী কলেজের প্রভাষক। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের তিনদিক ঘিরে ভারত আছে যেভাবে, সেটি মূলত কোনো সমস্যাই নয়, সমস্যা হলো ভারত বাংলাদেশকে নদীর পানিসহ অনেক কিছুতেই তার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। বিশেষ করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার বিষয়ে ভারতের যেন আজ পর্যন্ত কোনো মাথাব্যথাই নেই।
১৫ বছরের বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীর হত্যাকান্ড তো বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককেই কষ্ট দিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ যেহেতু ভারতের সঙ্গে পাল্টা লড়তে পারে না, তখন মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতেই মুসলমানদের উগ্র অংশের মাশুল দেয় এখানকার একবারেই দরিদ্র নিরীহ হিন্দুরা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: কি এটা??

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

জসীম অসীম বলেছেন: গল্প।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Ki

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

জসীম অসীম বলেছেন: গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.