নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

(গল্প) শুভপুরের হিন্দু

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৪

পোঁটলা পুঁটলি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরেছে তারা। তারা কারা? তারা শুভপুরের হিন্দু।
ফেরার পথে দাঁড়ানো পাশের গ্রামের যেসব লোক তাদের স্বাগত জানিয়েছেন, ওই কাতারে তারাও ছিলেন, যারা রাতের অন্ধকারে শুভপুরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছিলেন। একজনকে তো স্পষ্টই চিনতে পেরেছেন মুকুল রানী দাস। কিন্তু এখন এসব কথা সবার কাছে বলারও উপায় নেই।
পাশের গ্রাম সুলতানপুর থেকে কয়েকদিন আগেও নিষিদ্ধ ইসলামী একটি সংগঠনের সদস্য ওহায়াবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অনেকের ধারণা, ওদেরই অন্য কোনো অংশ মুকুল রানী দাসদের এলাকায় হামলা চালিয়েছিলো। কিন্তু মুকুল রানী দাস সর্বশেষ যা দেখেছেন, তা তার নিজের পক্ষেই বিশ্বাস করা কঠিন। কারণ মুকুল রানী আক্রমণে দেখেছেন ওয়াহাব ... জামানদের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ং আশফাকদের লোকজনকেও। অথচ আশফাক যে ইসলামী মৌলবাদবিরোধী একটি দলের সদস্য, এ কথা এই এলাকার কারোরই জানার বাকি নেই।
সাক্ষী কেউ না হলেও জামায়াত-শিবিরের লোকদেরকেও এ নারকীয় হামলা চালানোর সময় জনে জনেই দেখেছেন। কিন্তু শুভপুরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অতিরিক্ত আশঙ্কার কারণ হয়েছে এখন ওই শিবিরের ছেলেদের সঙ্গে সঙ্গে শিবিরবিরোধী দলের সদস্যদেরও আক্রমণে অংশগ্রহণ। সহসা এ নতুন উপসর্গের কারণ কী! নাকি এ উপসর্গ রীতিমতই প্রাচীন?
হামলায় আশফাকের লোকজনের অংশগ্রহণে শুভপুরের সংখ্যালঘু হিন্দুরা এখন ভীষণতর শঙ্কিত। কারণ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ওদের দল আওয়ামীলীগই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাহলে ওরা কেন শুভপুরের সংখ্যালঘু হিন্দু বাড়িতে হামলা দেবে? জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে ওদের এমন এক হয়ে যাওয়ার কারণ কী!
নির্বাচনের পর শুভপুর গ্রামটি জাগ্রতই ছিল। তবু রাতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট কিছুই থামানো গেলো না। মুহূর্তেই ঘরে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। এটা দেখেছে হিন্দুপাড়ার প্রায় সবাইই। কিন্তু খালপাড়ের হিন্দুদের দোকানগুলোতে আওয়ামীলীগ নেতা আশফাকের লোকজনই যে আগুন দিয়েছে, এটা বাড়ি থেকে পালানোর সময়ে সরাসরিই দেখেছেন মুকুল রানী দাস।
প্রথমে এই দৃশ্য বিশ্বাস করতে না পেরে নিজের চোখকে বারবারই নিক্ষেপ করেছেন আগুনের লেলিহান শিখায় আলোকিত আশফাকের কর্মীদের দিকে। পরে বুঝলেন, ভুল দেখেননি মুকুল রানী দাস। এই মুকুল রানী পাশের গ্রাম গৌরনদীর একটি বেসরকারী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়েন। রানীরা দেখলেন তাঁদের ভিটায় আসলে ঘর বলতে আর কিছুই নেই। পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, লেপ-তোশক-বিছানা সবই শেষ। কষ্টে তাই তারা স্তব্ধ হয়ে গেলেন।
তাঁদের সঙ্গে ফিরে আসা কোলের শিশুরা তখন খাবারের জন্য চিৎকার করতে করতে পুরো হিন্দুপাড়াকে নারকীয় করে তুলেছে। ঠিক এমনি সময়ে আশফাকের লোকজনই আবার কিছু খাবার নিয়ে শুভপুরের হিন্দুপাড়ায় উপস্থিত হলেন। ওদের খাবার কি এখন নেবেন মুকুলরানীরা? না নিয়ে কি পারবেন?
মুকুলরানীদের এই পারা না পারার অপেক্ষা দেখার সময় নেই আশফাকের লোকজনের হাতে। তাই তারা ক্ষুধার্ত শিশুদের হাতে খুব দ্রুতই খাবার তুলে দিলেন আর মুহূর্তেই কান্না থেমে গেলো সেই অনাহারী শিশুদের। কিন্তু মুকুলরানীদের কান্না ততোক্ষণে শুরু হয়েছে মাত্র।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী শুভপুরের এ হামলা থেকে বাঁচতে মুকুলরানীরা বাজার সংলগ্ন গোপালনগরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারপর পরিস্থিতি একটু শান্ত হলে আবার তারা নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসেন। এরই মধ্যে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাই তারা আওয়ামীলীগ নেতা আশফাকের কর্মীদের মতো এলাকায় থেকে এমন হিন্দুপ্রীতির সুনিপুণ অভিনয় করার একটুও সুযোগ পায়নি। অন্যদিকে পুলিশ এলাকার দু’তিনজন তুলনামূলক সরল শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালী কর্মীদের নাগাল পায়নি এখনো।
দাসপাড়ায় খাদ্য সরবরাহের সময় মুকুল রানী আশফাকের কাছে এগিয়ে গিয়ে বলেন, ছাত্রশিবিরের লোকগুলো হামলা করার পর সুব্রত দাদা ঘটনা আপনাকে মোবাইলে জানাচ্ছিলেন। কিন্তু আপনি তখন আপনার মোবাইল ফোনটাই বন্ধ করে দেন।
এ কথা শুনে আশফাক বলেন, তখন মনে হয় আমার মোবাইলে চার্জই ছিল না। তা না হলে আমরা তোমাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসবো না কেন?
শুভপুরের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হলেন গৌরপ্রসাদ দাস। তার বয়স ৮৮ বছর। এ বয়সে তাঁর পক্ষে পালানো সম্ভব নয়? বিরাট জলাশয় পাড়ি দিয়ে সবাই যখন গোপালনগরের দিকে ছুটছে, তখন বাড়ির পাশের ঘন বাঁশঝাড় পার করে পানের বরজে গৌরপ্রসাদকে রেখে আসেন তাঁর প্রতিবেশিরা। সঙ্গে সামান্য জল-মুড়ি আর একটি লেপ। কিন্তু এতেই কি পৌষের শেষ রাত পার করতে পারবেন গৌরপ্রসাদ দাস? ভরসা পেলেন না গৌরপ্রসাদ নিজেও। বললেন, এই পানের বরজে রাতে থাকলে আমি নিশ্চিতই শীতে মরে যাবো। আমাকে বরং তোমরা ওই আশফাক গাজীর বাড়ীতে রেখো যাও। আশফাকের বাপ ছিল আমার ছোটবেলার বন্ধু।
শ্যামল দাস বলেন, গৌর কা’ ওরা তো মুসলমান। তোমাকে এই বিপদের সময়ে কেন রাখবে তারা?
‘রাখবে। রাখবে।’ অভয় দেন গৌরপ্রসাদ দাস। বাংলাদেশের সব মুসলমান এখনো নিশ্চয়ই পশু হয়ে যায়নি।
ভিটায় ফিরে মুকুলরানী দাসের চোখ থেকে আর জল ঝরছে না, ঝরছে শুধুই আগুন। জমির সেচের জন্য ব্যবহৃত ডিজেল ছিল তাদেরই একজনের একটি ঘরে। সেই ডিজেলেই ঘরগুলো ভিজিয়ে আগুন লাগিয়েছে ওরা। তাই কিছুই রক্ষা পায়নি আর। ডিজেলের ছোট খালি ড্রামটা আঙ্গিনায় শুয়ে থেকে যেন সে কথাই জানান দিচ্ছে।
শুভপুরের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িতে যখন আক্রমণ হয়, তার অনেক পূর্বেই তারা ঘটনা আঁচ করতে পারেন। কিন্তু আক্রমণকারীদের সঙ্গে শুভপুরের হিন্দুরা কোনোভাবেই সংঘর্ষে জড়িয়ে যাননি। পালিয়ে কোথাও আশ্রয় নেওয়াকেই সঠিক পন্থা মনে করেছেন। আর তাই হামলাকারীরা এতো সহজেই তাদের বাড়িঘরগুলো পুড়িয়ে দিতে পেরেছে। সহিংসতা ছড়িয়েছে কিন্তু রক্ত ঝরেনি কারো।
কিন্তু এভাবে পালানোকে সঠিক পন্থা মনে করছেন না মুকুল রানী দাস। তিনি মনে করছেন প্রতিবাদ হোক রক্তাক্ত। সহিংস সংঘর্ষ হোক হামলাকারীদের সঙ্গে। এভাবে বারবার পালিয়ে গিয়ে নিজেদের সব হারানো বাংলাদেশের হিন্দুদের আর মোটেও ঠিক নয়। যদিও এখনো আবার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আশফাক আশ্বাস দিয়েছেন গৃহনির্মাণে সরকারী ঢেউটিন ও খাদ্য আসছে জরুরি। টাকাও দেবে সরকার। এরই মধ্যে একাধিক সরকারী বেসামরিক কর্মকর্তা ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও এসেছেন শুভপুর গ্রামে। তাদের মুখের অমিয় বাণী শুনে মুকুল রানী দাসের কান মোটেও শান্ত হয়নি। তাঁর বরং ইচ্ছে হচ্ছে এখন অনুকম্পার ওসব দান-অনুদান যেন শুভপুরের সব ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দুই অবশ্যই ফিরিয়ে দেয়।
গৌরপ্রসাদ দাসের আত্মীয় মৃণাল দাস মনে করেন না শুধুমাত্র বাংলাদেশই সাম্প্রদায়িকতার জালে বন্দী। তিনি মনে করেন এই পৌষ-মাঘ মাসে যে উজানে জল প্রত্যাহার করে ভারত বাংলাদেশকে মরুভ‚মি করার চক্রান্ত করে, সেটাও সাম্প্রদায়িকতা। যদিও জলের চাহিদা ভারতেরও অনেক। হ্যাঁ সে নিজেও হিন্দু এবং ভারত মূলত হিন্দুদেরই দেশ। কিন্তু এই বাংলাদেশই তাঁর জন্মভ‚মি। এ দেশকে এভাবে জলশূন্য করবে কেন ভারত? তাই গৌরপ্রসাদ দাস যখন বলেন, এই দেশে আর থাকিস না তোরা। সময় আছে এখনো ইন্ডিয়ায় চলে যা, তখন মৃণাল দাস গৌরপ্রসাদকে ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালে সংঘটিত বরোদা শহরের একটি ঘটনা শোনান। বলেন, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটের গোধরায় একটি ট্রেনের কয়েকটি বগিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫৯ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়। আর তার প্রতিশোধ নিতে কী না হয় ওখানে? বেস্ট বেকারি নামে মুসলমান মালিকানার একটি রুটির দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ওই ঘটনাতেই তখন ১৪ জন নিহত হয়। সেসময়ে অভিযোগ ওঠেছিলো এই বলে যে, ওই ট্রেনের বগিতে মুসলমানরাই আগুন দিয়েছিলো।
মৃণাল দাস একটি বেসরকারী কলেজের প্রভাষক। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের তিনদিক ঘিরে ভারত আছে যেভাবে, সেটি মূলত কোনো সমস্যাই নয়, সমস্যা হলো ভারত বাংলাদেশকে নদীর পানিসহ অনেক কিছুতেই তার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। বিশেষ করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার বিষয়ে ভারতের যেন আজ পর্যন্ত কোনো মাথাব্যথাই নেই।
১৫ বছরের বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীর হত্যাকান্ড তো বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককেই কষ্ট দিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ যেহেতু ভারতের সঙ্গে পাল্টা লড়তে পারে না, তখন মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতেই মুসলমানদের উগ্র অংশের মাশুল দেয় এখানকার একবারেই দরিদ্র নিরীহ হিন্দুরা।
গৌরপ্রসাদ দাস বলেন, আমি মনে করি এই দেশটা আর হিন্দুদের জন্য কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। যার যখন সুযোগ হয়, ইন্ডিয়া চলে যাক। কতোবার আর কতোভাবে মাশুল দেবে বাংলাদেশের হিন্দুরা? শহরের শিক্ষিত ও স্বচ্ছল হিন্দু নেতারাও গহীন গ্রামের হিন্দুদের কষ্টটা উপলব্ধি করতে পারেন না। সুতরাং আমার এই জীবনের শেষ পরামর্শ হলো, লড়াই নয়, এই দেশ থেকেই পালানোতেই সামান্য মুক্তি মিলতে পারে। এই ঘটনার জন্য কাকে দায়ি করবো? পুলিশ কাউকে এরেস্ট করলেও কোর্ট থেকে তারা দুইদিন পর জামিন নিয়ে এসে আরও অত্যাচার চালায়। এতো ধূর্ত লোকের সঙ্গে লড়বে কতোক্ষণ? বাংলাদেশে হিন্দুদের এখন বসবাস হলো শীতের রাতে ঘন কুয়াশায় নদীপথে নৌকা চালানোর মতোই। প্রতি মুহূর্তেই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস।
গৌরপ্রসাদ দাসের প্রতিবেশি মনোজ দাস বলেন, রঘুনাথপুরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইলেকশনের পরেরদিনই। উর্মিমালা মাসীর ছেলে জগন্নাথ আমাকে ফোন করে জানিয়েছিলো। গৌরী মাসীরাও এখন রঘুনাথপুরে নেই।
গৌরপ্রসাদ দাস বলেন, এক বছর আগে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধদের যেভাবে নিপীড়ন করা হলো, তাতে তো এই দেশের হিন্দুদের আরও সাবধান হওয়ার দরকার ছিলো। প্রায় বছরই দুর্গা পূজার সময়ে সরকার বাজারে কোনো কোনো টাকার নতুন নোট ছাড়ে। মনে করে আমরা এই নতুন নোটের খুশিতে সবই ভুলে যাবো। এতো সহজ নয়। আমাদের এমন বুকের ক্ষত কোনোদিনও শুকাবে না। শুভপুরের জলার কাঁকড়াগুলোও জানে, আমরা এখানে কেমন দুর্বিষহ বাস করি। অথচ এখানকার সরকার অথবা জনগণ ভাবে এই দেশে আমাদের কিসের দুঃখ আবার! এবারও আমাদের কাঁথা-বালিশ, লেপ তোষক ডালিম অথবা আমগাছ কিছুই পুড়তে বাকি নেই। একদিন এই শুভপুরের একই মাঠে আমরা হিন্দু-মুসলমান হাডুডু খেলতে খেলতে বড় হয়েছিলাম। এখন কি আর ওই অবস্থা আছে? কে করবে আর এই সমস্যার সমাধান? রাত হলে জেগে জেগে আমরা আর কতোকাল নিজেদের বাড়ি পাহারা দেবো?
শুভপুর গ্রামের পশ্চিমেই নবগ্রাম। ওই গ্রামেরই জামায়াত ইসলামীর নেতা হারুনার রশিদের ছেলে গোলাম আযম। গোলাম আযম মেধাবী ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে আবার ছাত্রশিবিরের রাজনীতিও করে। তাঁর কন্ঠের কোরআন নিজের তেলওয়াত এলাকার সবাইকে মুগ্ধ করে। হারুনার রশিদ একদা তার দলের নেতা গোলাম আযমের নামেই নিজের ছেলের নামকরণ করেছিলেন। সেই গোলাম আযম ২০১৩ সালের এইচ এস সি পরীক্ষায় এলাকার একটি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জি পি এ ৫ পেয়েছে। সে এস এস সি তে ও জিপিএ ৫ পেয়েছিলো। শুভপুর গ্রামের দাসপাড়ার হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত করে গতকাল সেই গোলাম আযমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এতে অনেকেই বলাবলি করছেন, হিন্দুপাড়ায় আগুন দেওয়া নিয়ে পুলিশও নিজেরা নিজেদের মতো এখন রাজনীতি শুরু করেছে। কারণ শিবির কর্মীদের অনেকেই দাসপাড়ায় আগুন লাগালেও এ কাজে অংশগ্রহণের মতো ছেলে কখনোই গোলাম আযম নয়। যার সুরেলা কন্ঠে সুরা-দরুদ ও হামদ-নাত শুনে মুগ্ধ মানুষ, তাকে তারা অগ্নিসন্ত্রাসী হিসেবে ঠিক বিশ্বাস করতে চায় না।
মুকুল রানী দাসের ছোট বোন দীপালী দাস অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে দৌড়ে এসে মুকুল রানী দাসকে বলে, মুক্তিশ^র কাকার বউ মাথা ঘুরিয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। চল।
মুক্তিশ্বর দাস রেলওয়েতে চাকুরি করেন। চট্টগ্রামে। রেলওয়ের একজন গেটকিপার। তার বউ মৃত্তিকা দাস চার মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। আক্রমণের দিন তাকেও সবার সঙ্গে পালাতে হয়েছিলো। তাঁর বাবার বাড়ি সুদূর কিশোরগঞ্জে বলে তাঁকে আবারও স্বামীর গ্রাম উপদ্রুত শুভপুরেই ফিরে আসতে হয়েছে। মুকুল-দীপালীর মুক্তিশ্বরের ভিটায় যাওয়ার আগেই আরেক ভয়ানক খবর উড়ে এলো। আশফাকের ছোট ভাই মুনজের আহমদের মাথাবিহীন লাশ খালে পাওয়া গেছে। মুনজেরের খন্ডিত মাথা কোথায় আছে, কেউ তা বলতে পারছে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: কি এটা??

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

জসীম অসীম বলেছেন: গল্প।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Ki

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

জসীম অসীম বলেছেন: গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.