![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন জীবন শুরুর অাগেই মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সেলিম সরকার। কোথায় ফুল শয্যায় থাকার কথা! অথচ পড়ে অাছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। রাতের অাঁধারে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া এসিড থেকেও রক্ষা পায়নি পাঁচ বছরের শিশু রাবেয়াও। বিয়ের উৎসব পালন করতে এসে পুরো পরিবারেই এখন শোকের মাতম। বুধবার শরীয়তপুর জেলার সফিপুর থানাধীন ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কালামিয়া সরকারকান্দি গ্রামে রাত সাড়ে বারোটার দিকে এক দল দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া এসিডে এভাবেই ঝলসে যায় সেলিম সরকারসহ তার পরিবারের অন্য চার সদস্যের শরীর। জানা গেছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকার হবু স্বামী সেলিম সরকারসহ পাঁচজনকে এসিড ছুড়ে মেরেছে সিফাত ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুজনকে আজ রিমান্ডে নেয়া হতে পারে। বুধবার রাতে শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জের তারাবুনিয়া গ্রামে এই এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে সেলিমসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। এদের মধ্যে সেলিম ও তার ভাগ্নে রাবেয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। অপর তিনজন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। সেলিম সরকারের ভগ্নিপতি কামাল মুন্সী জানান, সেলিম সরকারের বাড়ি ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামে। তিনি ঢাকার আশুলিয়ায় ব্যবসা করেন। পারিবারিকভাবে তার বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সরকান্দি গ্রামের তানজিলা আক্তার শিরোমণির সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে কনে ও বরের বাড়ি পৃথকভাবে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় সেলিমের বাড়িতে জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ জেনারেটর বন্ধ হয়ে যায়। পুরো বাড়ি হয়ে যায় অন্ধকার। সঙ্গে সঙ্গে হবু বর ২৭ বছর বয়সী সেলিম সরকার গায়ে ভিজে ভিজে অনুভব করেন। ততক্ষণে তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের ছোড়া এসিডে সেলিমসহ ৫ জন দগ্ধ হন। ফলে পূর্ব নির্ধারিত বৃহস্পতিবার বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসাধীন সেলিম সরকার বলেন, কয়েকদিন আগে সিফাত নামে এক যুবক তাকে ফোন দিয়ে জানায়, তার (সিফাত) সঙ্গে তানজিলার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু তানজিলার আত্মীয়-স্বজন তার সঙ্গে তানজিলার বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছে না। একপর্যায়ে সিফাত মোবাইল ফোনে উত্তেজিত হয়ে তানজিলাকে বিয়ে করতে নিষেধ করে। বিয়ে করলে পরিণতি ভালো হবে না বলেও হুমকি দেয় সিফাত। গায়ে হলুদের রাতে এই এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় সরাসরি সিফাতকে দায়ী করে সেলিম বলেন, প্রেমে ব্যর্থ হয়েই সিফাত আমাকে এসিড মেরেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নাম না প্রকাশ করার শর্তে তারাবুনিয়া ইউনিয়নের এক বাসিন্দা জানান, সেলিম সরকার এবং তার পরিবারের ওপর এসিড নিক্ষেপকারী ওই সিফাত বা ফাহাদের সাত-অাট জনের একটি গ্রুপ অাছে। এরা নারীঘটিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে। তাছাড়া এই বখাটেদের গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসীও অনেকটা ভীত।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
নিলু বলেছেন: এসবকে প্রেম বলা যায় না
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
শাহাদাত ফাহিম বলেছেন: দুঃখজনক!
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৭
নতুন বলেছেন: এখন উচিত সিফাতরে নিয়া পুলিশ বা রেবের কোন দোকান থিকা এসিড কিনছে তা খুজতে যাওয়া...
পরে সিফাত আছাড় খাইয়া এসিডের ড্রাম উল্টাইয়া ৫০% পুড়ে গেছে তাই তাকে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ...
এই রকমের ৬/৭ জন এসিড সন্ত্রাসী যদি আছাড় খাওইতে পারে পুলিশ তবে এই সমস্যা কমে আসবে...
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অমানুষ! ওদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি চাই