নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিচলিত প্রেম।

আশরাফুল আলম সানি

খুব ইচ্ছে করে এভারেস্টের উপর উঠে ভয়ংকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে!কিন্তু এ হারামী দুনিয়া কি সব ইচ্ছে মিটতে দেয়?ওর গৌড়ামির জন্যে আমরা নতুন সূত্র বানিয়ে বলি,সব ইচ্ছে মিটতে হয় না!

আশরাফুল আলম সানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখকচক্র!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৪


লেখক চক্র!এটা আবার কী?মহাভারতে সুদর্শন চক্রের উল্লেখ আছে,যা শ্রীকৃষ্ণের হাতে শোভা পেত।লেখকচক্র কোথায় শোভা পায়?উত্তরে বলবো,বাঙলা সাহিত্যের সুকোমল শরীরে।
এ বৃত্তাকার চক্রের ক্ষুদ্র পরিসরে আবদ্ধবাঙালিজাতির আত্মা।লেখক সমাজ।এ বৃত্ত অতিক্রমের সাহস বা অধিকার কোনোটাই এ দেশের লেখকসমাজের নেই।কেননা তারা জানে,বৃত্তের সীমানাঞ্চলে সুদর্শন চক্রের চেয়েও ধারালো অস্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ জাতির অভিশপ্ত একটা অংশ!আরেক পা বাড়ালেই চাপাতিতে কুপানো লাশ পড়ে থাকবে টিএসসি মোড়ে।

এতো স্বাদের দুনিয়া,এতো প্রিয় মুখ,এতো তাড়াতাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না।থাক না কিছু সত্য অন্তরালে,কিছু সত্য অগোচরে।যে জাতির অন্ধকার পছন্দ,থাক না সে অন্ধকারেই!
কিন্তুদুঃখের ব্যাপার হচ্ছে,লেখকদের জন্য সীমাবদ্ধ করে দেয়া সেই নির্দিষ্ট পরিসরের বৃত্তাকার জায়গা ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গেছে।ক্ষুদ্র এই জায়গায় একের উপর অন্যে কেবল গড়িয়ে পড়ে।এক রঙের উপর আরেক রঙ ঢেলে কেবল নতুন রঙ বানানোর চেষ্টা তাঁরা হয়তো করে।কিন্ত নতুন জায়গায় কেউ পদাচরণ না করতে পারায় রঙের গাঢ়ত্ত বাড়লেও স্বতন্ত্রতা বাড়ে না।সৃষ্টির সুখ ঠিক ভোগ করতে না পারলেও সৃজনশীল খেতাব পেয়ে যায়।
তাই তো একশ বছর আগেকার শরৎ-রবীন্দ্রনাথের প্রেমই ঘুরেফিরে আসে এদেশের লেখকদের লেখায়।সান্ত্বনার বাণী হয়তো আছে।বাঙালি প্রেমের জাতি,তাই কেবল প্রেমই আসে!কিন্তু এদেশেরই এক মহান সাহিত্যবেত্তা প্রমথ চৌধুরী,সাহিত্যে ধর্ম-দর্শন-সমাজ-বিজ্ঞানের সম্মিলিত রূপ দেখেছিলেন।

যাক সে কথা।এখন প্রশ্ন হতে পারে,প্রতিবছর এত্তো বই আসে কোথা থেকে তবে?জবাবে বলবো,সবাই হতে চায় লেখক,বস্তত হয় চুর।তবে সুখের ব্যাপার হচ্ছে,তারা কেবল কথাই চুরি করে,পবিত্র অনুভূতি চুরি করতে পারে না।ফলে ধরা পড়ে খুব সহজেই।

আরেকটা প্রশ্ন হতে পারে,এদেশে নোবেল পুরস্কার আসে না কেনো??সবাই দায়ী করবে,বিশুদ্ধ অনুবাদকের অভাবকে।কিন্ত আমি করবো লেখককে আবদ্ধ করে রাখাকে।শত পুরনো হলেও এটা সত্য যে,নিজের নবপবিত্র অনুভূতি যদি লেখক প্রকাশ করতে না পারেন,তবে লেখক হৃদয়ে আর অজস্র নবচিন্তার সুর খেলে না।অল্পই পান চিন্তার খোরাকি,কিন্ত লেখেন বিস্তৃত।ফলে যা ঘটছে তা তো দেখছিই,কিছুক্ষেত্রে বাহবাও দিচ্ছি।

মােটকথা,ক্ষুদ্র এই সীমানায় থেকে নতুন সৃষ্টি আর সম্ভব নয়।এবার বৃত্তের সীমানা অতিক্রম না করলেই নয়।উমর খৈয়াম যদি কালের ঘোর অভিশপ্ত সময়ে এসেও সব অন্ধত্বের সীমানা পা দিয়ে মুছে দিতে পারেন,তবে দুনিয়া তো এখন অনেক এগিয়ে গেছে!বাঙালি জাতির এক অংশ গাঢ় অন্ধকারে থাকলেও,বৃহৎ অংশই হাতরে মরছে সামান্য,আলোর দৃশায়।সে দৃশা কেবল আপনারাই দিতে পারেন প্রিয় লেখকগণ।আপনারা কর্ণধার হয়ে,এক একজন মহারতি অগ্রে দাঁড়িয়ে যান।আমরা অধিরতি হয়ে উঠতে সময় নিবো না ইনশাল্লাহ!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.