অনুভুতির হাহাকার!

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৫

চিরকালের বিশ্বাস যদি কালের কোনো অভিশাপের মুখোমুখি হয়ে অবিশ্বাসের রূপ নেয়,তবে কি তাকে আর পাঁচটা সাধারণ অবিশ্বাসের সাথে মিলানো যায়?এই অবিশ্বাসের মাঝে থাকে না কি,নানা দ্বিধা?নানা ভাবনা?কালের অভিশপ্ত মুহূর্তটাকে আলকাতরার মতো গাঢ় অথচ বায়ুর মতো অদৃশ্য কিছু দিয়ে মুছে দেয়ার তীব্র প্রচেষ্টা।হয়তো থাকে,হয়তো না।লোকে বলে,এক কর্মেই অবিশ্বাস চিরস্থায়ী হয়।কিন্তু পবিত্র ভালোবাসা,যেখানে না আছে প্রাপ্তির দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বা মোহ,কিন্তু আছে নিশ্চয়তা,যে ভালোবাসা শুধু অনুভব করা যায় প্রগাঢ়তা দিয়ে,তার পুনরুত্থান কি শত অবিশ্বাসের নর্দমার মাঝেও হতে পারে না? যদি তা না ই হতো,তবে নর্দমায় কোনো জীবের সন্ধান মেলতো না।মশা নিধনের অ্যারোসল ছিটানোর পরও মশকীরা অপত্য স্নেহের তীব্র বাসনা নিয়ে পুনরায় কামড়াতে আসতো না।এভারেস্ট অভিযানে নতুন কোনো মানুষ যেতো না,কী গভীর প্রেমেই না মানুষ পড়ে চারদিকে মৃত্যু ফাঁদ গেঁড়ে থাকা এভারেস্টের।এভাবে ভালোবাসা না পারলে জীবন হতো নর্দমার জলের চেয়েও শান্ত।ইটপাটকেল ছুঁড়ে ফেললেও যে জলে কোনো সাড়া পড়ে না।
কিন্তু তা হয়নি বলেই হয়তো পারমিতাকে আজো ভালোবাসি।যে একটা ফোনকলের মাধ্যমে ভালোবাসা নিজের পূর্বে সাবেক শব্দটিকে চিরস্থায়ী করে নিল,সেই ফোনকলটিকে কেবলই মনে হয় কালের কোনো ঘোর অভিশপ্ত মুহূর্তের বিভ্রম। আবার,কখনও বা মনে হয়,বাংলা সিনেমার মতো চোখের অন্তরালে অতি নাটকীয় কিছু ঘটছে না তো,যেখানে নায়িকা ভালোবাসার জন্যে ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়েছে!জানি না।দিন শেষে একটি কথাই জানি,"ভালোবাসি"।

০ টি +০/-০