নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে......

আমরা বাঙ্গালী, আমরা বাংলাদেশি, আমরা আমাদের এই দুই সত্তাকে নিয়ে গর্বিত।

রুজ

সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করি.....

রুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর নিকট খোলা চিঠি, দৃষ্টি আকর্ষন ঢাকা-১৯ ""সাভার এবং আশুলিয়া"" এর সকল জনগনদের

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী আপনাকে আমরা ঢাকা-১৯ এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শ্রদ্ধা, সম্মান ও শুভেচ্ছা জানাই।

আমরা অনেক ভাগ্যবান, এই জন্য যে ঢাকা-১৯ ""সাভার এবং আশুলিয়া"" এর ভেতর রয়েছে দুইটি মহাসড়ক, ঢাকা - আরিচা এবং ঢাকা - ই.পি.জেড.

এই দুইটি মহাসড়কের মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে দুইটি সড়ক।

আমরা আরও বেশি ভাগ্যবান, এই দুইটি সড়কের নাম ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এম.পি. এবং বর্তমান এম.পি. এই দুইজনের প্রয়াত বাবার নামে।

দেওয়ান ইদ্রিস সড়ক বিশমাইল- জিরাবো ৫.৫০ কি.মি.

এবং

আনোয়ার জং সড়ক সি.এম.বি. - আশুলিয়া ৭ কি.মি.।

আমরা এই সড়ক দিয়ে দৈনিক আসা যাওয়া করে থাকি।

আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ এই যে, দয়া করে আমাদের সাথে অন্তত একটা দিন এই দুই সড়কে আসা-যাওয়া করেবন।

সি.এম.বি. - আশুলিয়া - জিরাবো - বিশমাইল - সি.এম.বি.

খুব বেশি পথ না, মাত্র ১৯ কি.মি. বা এর কম।

ভয় পাবার কিছু নেই আপনাদেরকে লোকাল সার্ভিস এ যেতে বলছি না, আপনারা সরকার প্রদত্ত বিলাশ বহুল গাড়ি নিয়েই যাবেন। সবচাইতে ভালো হয় আপনাদের পারসনাল গাড়ি নিয়ে গেলে।

আপনাদের বলছি কারন, আমরা জানি যদি আমাদের এলাকায় আসেন আপনি একা আসবেন না।

আমাদের বিশ্বাস এই ১৯ কি.মি. পথ পাড়ি দেওয়ার পর আপনাদের শিশু কালের কথা মনে পরে যাবে, যেমন কাঁদামাটি দিয়ে খেলা করা, পা পিছলে পরে যাওয়া, হাটতে শেখার সময় বার বার আছরে পরা ইত্যাদি।

আর যদি লোকাল সার্ভিস এ ছদ্ববেশে যান আশা করা যায় বাল্যকালে যত গালি শিখেছিলেন সব মনে করিয়ে দেবে জনগন এবং মনের ভুলে আপনিও গালি দিয়ে ফেলতে পারেন এম.পি. এবং আপনার সরকারকে।



আমরা কি কোন অপরাধ করেছি, সরকারের কাছে ?

আমরা কি কোন অপরাধ করেছি, এম.পি. সাহেবের কাছে ?



সি.এম.বি. - আশুলিয়া

জিরাবো - বিশমাইল

এই দুই সড়কের আশেপাশে লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে।

আমাদের তো মনেহয় সরকার আমাদেরকে গরু ছাগল মনে করে !!!!!!!!!

বিগত ৪ বছর যাবৎ রাস্তার যে অবস্থা, সেখান দিয়ে স্বাভাবিক কোন মানুষ চলাচল করতে পারবে না। এখন উপলব্দী করুন আমরা কত অস্বাভাবিক, কারন এই সড়ক দিয়ে আমরা চলাচল করি!!!!!!!!!



আপনি যদি সরকারকে বলে আমাদের একটা লোকাল এয়ারর্পোট তৈরির ব্যবস্থা করে দেন, ভালো হয় আমাদের এলাকার শিশু, বৃদ্ব, প্রতীবন্ধী, গর্ভবতী, অসুস্থ মানুষদের। কারন কোন অসুস্থ মানুষদের এই সড়কদিয়ে নেয়া হলে তাদের পথেই পটল তুলতে যেতে হতে পারে। শিশু যদি এই সড়কদিয়ে যায় সে মানসিক প্রতীবন্ধী হয়ে যাবে। বৃদ্ব যদি এই সড়কদিয়ে যায় সে তার গন্তব্যে নয় সরাসরি হাসপাতাল। গর্ভবতী মা দের যদি যদি এই সড়কদিয়ে তাহলে পথেই খালাশ ! আর প্রতীবন্ধীদের কথা না ই বা বল্লাম।



যতটুকু জানি বর্তমান এম.পি. সাহেবের অনেক অর্থবৃত্ত !

প্রতিদিন সকালবেলা অনেক সন্মানি ভাতা পান এবং আরও কত কি !



এম.পি. সাহেব তো আমাদেরকে একটারপর একটা প্রতিশ্রতি দিতে দিতে কখন যে ভুলে যান তিনি নিজেও জানেন না। নিজের প্রয়োজনে তিনি জনগনের পায়ে চুমু খেতেও দ্বীধা করেন না, আর জনগনের প্রয়োজনে সে তো আমাদের এলাকায় আসলেই দেখতে পাবেন !



আমাদের অনেক লোভ হয় গাজীপুরের বাসিন্দাদের কথা মনে হলে, কত ভাগ্যবান তারা।

আপনাদের সরকার গাজীপুরের প্রতিটি মানে ৫৭টি ওয়ার্ডে একজন করে এম.পি. দলের পক্ষে কাজ করছেন। নেত্রী নিজে তদারকি করছেন সবকিছু !

আহ্ কত ভাগ্যবান গাজীপুরের বাসিন্দারা !

তারপরও গাজীপুরের বাসিন্দারা আপনাদের মিথ্যে আশ্বাসে পা দেয়নি।



আমাদের ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এম.পি. এবং বর্তমান এম.পি. তারা অনেক বড় মনের মানুষ। তারা অনেক সম্পদের মালিক, নির্বাচনের সময় তারা অনেক অর্থ অপব্যয় করে থাকেন!! চাইলে নিজেরা সেই অপব্যয় না করে আমাদের সমস্যা সমাধান করে দিতে পারেন।

কেন তারা জনগনের অসুবিধারকথা মাথায় নেন না তা আমরা জানিনা।



আমরা সাধারন জনগন, দয়াকরে আমাদের নিরাশ করবেন না।



মার কাছে না চাইলে নাকি মা দুধ দেন না !



আমরা কার কাছে চাইব.....?

কে দেখবে আমাদের সমস্যাগুলি..??

কে সমাধান করবে আমাদের সমস্যাগুলি..???









মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

এমজামান বলেছেন: ভাইজান কিছু মনে করবেন না আমি আপনাদের এলাকায় কিছু দিন ছিলাম। আসলে আপনাদের এলাকার জনসংখ্যার যে হিসাব তা মূলত গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে। গার্মেন্টস কর্মীদের বাদ দিলে স্থানীয় জনগন খুবই কম।

এখন আসি অন্য কথায় যারা শ্রমিক তারা কিন্তু এলাকার চেয়ারম্যান , মেম্বরদের কাছে কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তা গ্রহনযোগ্য হয় না। স্থানীয় লোকদের একটা ব্যাপার লক্ষ করেছি তারা গার্মেন্টস কর্মী অথবা এলাকায় যারা ভাড়াটিয় থাকে বিভিন্ন কারনে তাদেরকে সামান্যটুকু মূল্যায়ন করেন না। শুধু কোন ভাবে বিল্ডিং / ঘর তুলে ভাড়া দিতে পারলেই হল। সবাই ব্যস্ত জমির দালালী/জুট ব্যবসা/ গার্মেন্টস দালালী/ ছিনতাই এই সকল নিয়ে। কিন্ত এলাকার উন্নয়ন নিয়া আসলে কার মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে। তাদের ভিতর কিছু লোক ভাল থাকলেও তাদেরকে কোন মূল্যায়ন করতে চান না কর্তা ব্যক্তিরা।
সাভার আশুলিয়া এলাকার স্থানীয় লোকদের মূলত ব্যবসা বলতে যেটা দেখেছি দালালী আর দালালী। জমি/গার্মেন্টস। অনেক সময় স্থানীয় লোকদের আন্তরিকতায় অনেক বড় বড় জনকল্যান মূলক কাজ হয়ে থাকে। সরকারের কাছে এই সমস্যার কথা বলতে সময় নষ্ট হবে তাতে স্থানীয় লোকের কোন লাভ হবে না তার চেয়ে সেই সময়ে একটি জমির দালালী করলে / জুটের দালালী করলে অনেক লাভ হবে।

চাই স্থানীয় জনগনের গণআন্দোলন।

আমার কথায় মাইন্ড কইরেন না।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

অদীত বলেছেন: কাদের ভাইকে ফেসবুকে বলেন, মুসকিল আসান হয়ে যাবে।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

খাই দাই বলেছেন: এখানে মন্তব্য করুন তাহলে তিনি জানবেন:

ওয়েবসাইট:
http://www.moc.gov.bd/feedback.php

ফেসবুক:
https://www.facebook.com/www.moc.gov.bd?fref=ts

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.