নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ashumon79

ashumon79 › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশগামী নতুন ও পুরাতন যাত্রীরা, জেনে রাখুন এবং সতর্ক থাকুন।

১১ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

হজরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মোট ৪ টি প্রতিষ্ঠান কাষ্টমার সার্ভিস দিয়ে থাকে নির্দিষ্ট একটা ফি এর বিনিময়ে। এদের মধ্যে গ্লোবাল এয়ারপোর্ট এ্যাসিসটিং সার্ভিস অন্যতম। যারা তাদের যাত্রা শুরুটা যেভাবে করেছিল এখন তা আর ঠিক সেরকম নেই।



এয়ারপোর্ট ঘুরে বিভিন্ন এয়ালাইনস এবং সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটিদের কাছে খোজ খবর করে জানা গেছে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভেতরকার ভয়াবহ সব দূর্ণীতির খবর।



জানা গেছে এ প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারা নয় বরং এ প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার এডমিন (মো: আবুল কাশেম) এবং তার অনুগত কিছু সিএসও এবং কিছু সিসিএ এসব দূর্নীতির সাথে সরাসরি জড়িত।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারি মারফত আরো জানা গেছে এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজন প্রাক্তন অব: ওয়ারেন্ট অফিসার। যিনি তার চাকুরি জীবনে ক্যাটারিং সেকশনে ও নাকি দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন।



উল্রেখিত কর্মকর্তার ছত্র ছায়ায় তার অনুগত সিসিএ এবং সিএসও রা হেন অপকর্ম নেই যা এখানে করছে না। জানা গেছে ইমিগ্রেশন কার্ড লেখার বাহানায় এরা সাধারনত: বিদেশীদের, ভদ্র ও সুবেশী বিদেশী পার্সপোর্ট হোল্ডারদের এবং নতুন বিদেশগামীদের টার্গেট করে থাকে এবং ফ্রি কার্ড লিখে দেবার নিয়ম থাকলে ও সুযোগ বুঝে ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করে থাকে।



এ পর্যন্ত এভাবে তারা ১ জন প্যাসেন্জার থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৫০০০ টাকা) পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া এয়ারপোর্ট ঘুরে দেখা গেছে এরা জোট বেধে প্যাসেঞ্জারদের টার্গেট করে থাকে। প্রতিজন চাইনিজদের কাছে থেকে এরা কমপক্ষে ১০০ চাইনিজ ইয়েন (বাংলাদশী ১১০০ টাকা) প্রায় জোর পূর্বক হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন একজন সিএসও/সিসিএ কমপক্ষে ২-৪০০০ টাকা পকেটস্থ করে বাড়িতে ফিরছে।



যখন কার্ড লিখে দেবার মতো প্রাসেন্জার থাকে না তখন এরা সাধারনত কখনো গেটের বাইরে (ডিপারচার এরিয়া) ২-৩ জন মিলে ঘোরা ফেরা করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্যাসেন্জার দের সাহায্যের নাম করে প্রায় জোর পূর্বক তাদের লাগেজ বহন করে এবং বোর্ডিং কার্ড নেয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে থেকে তাদের কাছে থেকে টিপস আদায় করে।



একই ভাবে এরাইভেল এরিয়াতে ও এরা জোট বেধে কাজ করে। যা এদের বুকিং বহির্ভূত এবং সম্পূর্নরুপে অবৈধ।



এয়ারপোর্টে লাগেজ নিয়ে ধান্দাবাজি করার একটা গ্রুপ রয়েছে যাদের কাজই হলো নির্দ্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের কর্মচারিদের সহায়তায় প্রযোজ্য লাগেজ চার্জের চাইতে কিছু কমে লাগেজ বুকিং দেয়া। উল্লেখিত সিসিএ/সিএসও রা কখনো এসব গ্রুপের সাথে কিংবা কখনো সরাসরি নিজেরা এসব কাজ করে থাকে এবং উচ্চহারে টাকা আদায় করে।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাষ্টমস কর্মচারিদের কাছে এদের সম্পর্কে জানা গেছে আরো ভয়াবহ কিছু তথ্য। এদের রয়েছে কিছু কর্পোরেট সার্ভিস এছাড়া এরা বাহিরের প্যাসেঞ্জারের (বুকিং বহির্ভূত প্যাসেঞ্জার) সাথে কন্টাক্ট করে সাধারনত অবৈধ মালামাল কাস্টমসের চোখে ধুলো দিয়ে বাইরে পারাপার করে থাকে। এবং অবশ্যই তা মোটা অংকের বিনিময়ে। এবং এর অধিকাংশই হয়ে থাকে আগে থেকে কন্টাক্ট করা।



বিশেষ করে একই সাথে যখণ অনেকগুলো ফ্লাইট চলতে থাকে কিংবা কাস্টমস স্ক্যানিং এরিয়াতে যখন বেশ ব্যাস্ততা বা, Rush থাকে ঠিক সেই সময়ের সুযোগ নিয়ে এরা মালামাল সরিয়ে ফেলার কাজটি সুকেৌশলে করে থাকে।



উল্লেখিত কোম্পানিটির সিসিএ/সিএসও রা যে এহেন কর্মকান্ডের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট যে ধরা পড়েনি বা পড়ে না তা নয়। জানা গেছে ধরা পড়লেও এয়ারপোর্টে অবস্থিত ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে দাড়ালে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক নির্ধারিত জরিমানা এরা ঠিকই প্রদান করে। জরিমানা দেবার পর কিংবা অপরাধ প্রমানিত হয়ে পাশ ধরা পড়লে সাধারনত তা ফিরিয়ে দেয়ার কোন বিধান না থাকলেও এরা ম্যাজিষ্ট্রেট এর পিয়ন এবং পাশ সেকশনের কিছু অসাধু কর্মচারিদের মাধ্যমে ঠিকই জব্দকৃত পাশ পুনরুদ্ধার করে।



এখানে আরো উল্লেখ থাকে যে এদের কোম্পানির নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য কারো পাশ বাজেয়াপ্ত হলে তাকে কোম্পানি বহিস্কৃত করবে। কিন্তু জানা গেছে উক্ত ম্যানেজার এডমিনের নিজস্ব লোকজন হরহামেশা ধরা পড়লেও ঠিকই পুনরায় পাশ বের করছে এবং চাকুরিতে ও পুনরায় বহাল হচ্ছে। এবং এর ব্যাতিক্রম এ পর্যন্ত হয়নি।



একই বিষয়ে বাকি ৩টি কোম্পানি সম্পর্কে খোজ নিয়ে এমন অনিয়ম দেখা/জানা যায়নি।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত কোম্পানির একজন কর্মচারি জানালেন উক্ত ম্যানেজারের সম্পর্কে কিছু সরস কাহিনী। উক্ত ম্যানেজার চাকুরি প্রদান করার নাম করে এ পর্যন্ত বহু মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এমনই এক ঘটনা প্রমানিত হওয়ায় বছর দেড়েক আগে তাকে এয়ারপোর্ট থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন নিকটস্থ থানায় হাতকড়া দিয়ে হাজতে নিয়ে যায়।



এছাড়া আরো জানা গেছে এ লোক অবৈধভাবে শ্রমীক বিদেশে পাঠানো এবং কর্পোরেট প্যাসেঞ্জারদের অবৈধ মালামাল বের করার কাজে সরাসরি জড়িত।



এত কিছুর পরেও কোন অজানা রহস্যময় কারনে কোম্পানিটির উর্ধতন কর্মকর্তারা ম্যানেজার এডমিনকে তাদের কোম্পানিতে এখনও বহাল রেখেছেন এবং আরো অবাক করা ব্যাপার হলো, এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থাই নাকি নেয়া হয়নি। এমনকি তার করা যাবতীয় অন্যায় কাজগুলো নির্দিধায় মেনে নেয়া হচ্ছে। এবং মেনে নেয়া হচ্ছে তার অনুগত সিএসও/সিসিএ দের অপরাধ ও।



এয়ারপোর্টের মতো এমন স্পর্শকাতর এলাকাতে এমন প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব কেবল এয়ারপোর্টের জন্য নয় বরং দেশের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসচেতনতা এবং উদাসিনতাই কেবল প্রকাশ পায়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: ২০১৩ সালে আমাকে ৪০ ইউরো দিতে বাধ্য করে। ৩ জন মানুষ আমার ৩ টা লাগেজ নিয়ে হাটা দেয়, বলে ৪০ ইউরো না দিলে আম্রা ৩ জন ৩ দিকে চলে যাব, আপনি কয়জনের পিছে দৌড়াবেন? চিতকার করে লাভ হবে না, আশে পাশে সবাই আমাদের লোক।

২| ১১ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

ashumon79 বলেছেন: এ তো কোন নতুন ঘটনা নয় ভাই। প্রতিদিনই এমন অসংখ্য ব্যাপার ঘটছে। কিন্তু দু:খজনক বিষয় হলো কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
"...রেখেছো বাঙ্গালী করে..."

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.