নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ashumon79

ashumon79 › বিস্তারিত পোস্টঃ

িমরপুর ১২ নম্বরের দূর্ঘটনা এবং বিহারী প্রসঙ্গ।

২০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২





৮৮ সালের কিছু আগের কথা। ঠিক কত সাল তা মনে করতে পারছি না। অনেক ছোট তখন। আমরা থাকতাম ইব্রাহিমপুর। এবার মিরপুর এলাম নিজেদের বাড়িতে।

এলাকার আশ-পাশটায় বাঙ্গালীর চাইতে বিহারীর আধিক্য চোখে পড়ার মতো ছিল। বাঙ্গালী ছিল একেবারে হাতে গোনা।

আামাদের বাড়ীটার পশ্চিম দিকে ছিল স্থানীয়দের দখলে (যা এখনো আছে, কোন গভমেন্টই যাদের উচ্ছেদ করতে পারেনি এখন পর্যন্ত)। আর মোটামুটি চারিদিকে ছিল বিহারীর ছড়াছড়ি। এমনকি আমাদের বাড়ীর ঠিক পাশের বাড়িটাতে ও ছিল এক বিহারী পরিবার।

আমরা আগে যেখানটায় থাকতাম, ছোট ছিলাম তাই ভাবতাম চারিদিকের এই জায়গাটুকুই বুঝি পুরো পৃথিবী। এবার নতুন জাযগায় এসে আমার পৃথিবীর পরিধি আরো বিস্তৃত হলো।

কিন্তু রাত পোহালেই কেমন যেন নিস্তব্ধতা। বিদৃৎ্ নেই। মাটির চুলোয় রান্না করতে হয়। চারিদিকে ঘুট ঘুটে অন্ধকার। কখনো কখনো সেই নিস্তব্ধতা খান খান হয়ে যায় অজানা কোন একটি জীপের শব্দে। অদ্ভুদ বিষয় হলো সে জীপটি এলাকায় ঢোকার খানিক আগ মুহূর্তে ১২ নম্বর থেকে ভেসে আসতো সাইরেনের শব্দ।

পরে জেনেছি সাইরেনের শব্দটা ভেসে আসতো “মিরপুর সিরামিক” এরিয়ার ভেতর থেকে। সেই সাইরেনের শব্দ বেশ কয়েক বছর আগেও শুনতে পেতাম। সকাল ৭টা বাজলেই বেজে উঠতো। এখনো বাজে কিনা বলতে পারবো না।

সব্ধ্যা হতেই প্রায় প্রতিটি ঘরে বয়ষে যারা বড়, তারা কেউ লাঠি, কেউ রড প্রভৃতি নিয়ে একপ্রকার প্রস্তত হয়েই থাকতেন। অবাক’ই হতে হতো! বড়দের আলোচনা থেকে শুনতাম বিহারী কিছু যুবক ওই জীপ নিয়ে প্রতিদিন এলাকা টহল দেয় এবং এলাকা থেকে যুবক বাঙালীদের ধরে ধরে নিয়ে যায়। এবং তাদের খোজ আর পাওয়া যায় না। মানুষগুলো যেন হাওয়ায় উবে যায়!

মনে প্রশ্ন জাগতো, আসলেই তো মানুষগুলো কোথায় যায়?

আপনারা যারা মিরপুরের বেশ আগে থেকে বসবাস করছেন তারা জানেন, ১০ নম্বরের দিকে “জুট পট্রি” নামক একটা এলাকা আছে। সে জুট পট্রির খুব কাছেই মিরপুর জল্লাদখানা। এই এলাকা সে সময় ছিল একরকম ফাকা জলাভূমি। কোথাও কোথাও ধানের আবাদ চলতো। এখানেই কোন এক জায়গায় ছিল একটা ভাঙ্গা ব্রিজের মতো, তার চারপাশে নালা নর্দমা, জলাভূমি। এ ভাঙ্গা ব্রিজের গোড়ায় জায়গা হতো সেই হতভাগা হারিয়ে যাওয়া যুবকদের। ঠিক যেমনটা হতো ’৭১ এ।

আমরা তো জানিই, বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। কিন্ত মিরপুর স্বাধীন হয়েছিল ৩১ শে জানুয়ারী ১৯৭২। তার কারনটা ছিল বোধহয় এই এলাকায় বিহারীদের দেৌরাত্ন্য।

১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের সময় বিহারীদের কিছু আমাদের দেশে চলে আসে। এবং ’৭১ এ পাক হানাদারদের সাথে সরাসরি যোগ দিয়ে ব্যাপক বাঙালী নিধন করে। যার ক্ষত মিরপুরের অসংখ্য জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

মিরপুরে এখনো দিব্যি গলার রগ ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় সেই রাজাকার সাপেরা আর সাপেদের বাচ্চারা।

এরা আমাদের দেশে উদ্বাস্ত বই কিছুই না। এরা এমন একটা জাতি যারা, যে পাতে খায়, ঠিক সেই পাতেই মলত্যাগ করে। আপনার সাথেই এরা ঘুরবে দিনমান। ঠিক স্বার্থের সময় আপনার পিঠেই ছুরি বসাতে এদের হাত এতটুকু কাঁপবে না।

এদের গলার জোর আপনাকে অবাক করে দেবে। এদের আচরন দেখে কে বলবে, এরা উদ্বাস্তু। আপনার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হলেও এদের কাছে বিচার তো পাবেনই না, উল্টো আপনি হবেন অপদস্থ। এখনো এদেশেরই খেয়ে, এদেশেরই পরে এরা স্লোগান মারে, আটার রোটি খায়েঙ্গে, পাকিস্থান যায়েঙ্গে।

সেদিন আমার এক বন্ধু কথা প্রসঙ্গে বলছিল, এই জাতের মধ্যে ভালো কোন মানুষ খুইজা পাবি না। যদিও একটা পাস, তো মনে রাখবি সেইটাও একটা শুয়ারের বাচ্চা। বাদ বাকি একেকটা হিংস্র জানোয়ারের বাচ্চা।



লেখাটা লিখতাম না। গত শবেই-বরাতে বাজি ফোটানো কে কেন্দ্র করে, ১২ নম্বরে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আরো অনেকের মতো, ১৯ জুন “বাংলাদেশ প্রতিদিন” পত্রিকায় তসলিমা নাসরিনের বিহারী নিয়ে একটা লেখায় চোখ পড়ে যাওয়ায় এ লেখার সূচনা।

তসলিমা নাসরিন অনেক কথাই লিখেছেন, সে প্রসঙ্গে যাব না। তার লেখার মূল কথাটি ছিল, বাঙালী যেন এদের ক্ষমা করে দেয়।

তসলিমা নাসরিনই কেবল না। পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে কিছু হটাৎ গজিয়ে ওঠা ও প্রাক্তন কিছু কলামিষ্ট বিহারীদের নিয়ে মায়া কান্না জুড়েছেন। যা দেখে মনে হয় এরা ’৭১ এ হয় আর সব বাঙালীর মতো কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হননি। কিংবা সে সময় তারা ছিল পাকিদের সপক্ষে। কিংবা তাদের দ্বারা প্রাপ্ত সুবিধাভোগী।

এরা বোধহয় ভূলেই গেছে, এই মিরপুরেই নিখোঁজ হয়েছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান জহির রায়হান সহ আরো অনেকে।

এদের কারো চোখেই হয়তো আমার মতো অপাঙতেয় একজনের লেখা’টা পড়বে না। পড়ার ও দরকার নেই। কিন্ত একটা কথা বলতেই হয়। দূর থেকে দেখে কোন কিছুর মনগড়া বিচার, সে সবাই করতে পারে। কিন্ত তা যে বেশিরভাগ সময়ে ভূলই প্রমানিত হয়।

কুকুর যে তারও খানিকটা কৃতজ্ঞতা বোধ আছে। আপনি ওকে ঝাটা পেটা করেন, লাথি মারেন। তারপর ডাক দেন, ও ঠিকই আপনার ডাকে সাড়া দেবে। আমি এ জাতটাকে কুকুরের সাথেও তুলনা করি না। তাতে কুকুরের অমর্যাদা করা হয়।

আপনারা গভীর রাতে রেলষ্টেশনে গেছেন? কিংবা গভীর রাতে শহরের রাজপথে হেটেছেন? হেটেই যদি থাকেন, তো নিশ্চয়ই বসত ভিটে ছাড়া অসংখ্য মানুষ আপনার চোখে পড়েছে। যারা মাথা গোজার একটুখানি ঠাই পায়নি বলে পথেই তাদের বসত ভিটা।

আমাদের দেশের যতগুলো গভমেন্ট এ পর্যন্ত ক্ষমতায় এসেছে এরা নিমকহারাম ছাড়া আর কি বলবো? বাঙালী জাতির সাথে এদের নিমকহারামির কোন তুলনা হয় না।





যেখানে আমার দেশের মানুষ পায় না মাথা গোজার মতো একটুখানি ঠাই। যা কিনা তাদেরই সবার আগে পাবার কথা। সেখানে বিহারী কোন এলাকাতে আপনি যদি গিয়ে থাকেন, তো দেখতে পাবেন, এদের জন্য দেয়া হয়েছে থাকার জায়গা। বিদুৎ ফ্রি, ট্যাক্স দিতে হয় না এক পয়সা ও। বিভিন্ন এনজিও এমনকি স্বয়ং গভমেন্টের তত্বাবধানে তৈরি করে দেয়া নলকূপ, শেৌচাগার ব্যবস্থা। দিনরাত চলছে টেলিভিশন, জ্বলছে বাতি। যেন সব বাবার কেনা। মাগনা মাল দরিয়া মে ঢাল!!

প্রশ্ন হলো আমরা বাঙালী তাহলে নিজ গৃহেই পরবাসী?

ওরা উদ্বস্তু?

নাকি রাস্তাই যাদের বতস ভিটা তারা?

যদি উত্তর হয়ে থাকে ওরা, তাহলে প্রশ্ন এত জামাই আদরটা কিসের? নাকি নামেই স্বাধীন আমরা? এখনো পাকিস্তানকে খাজনা দিয়ে চলতে হয় আমাদের? নাকি বিহারী সমাদর না করলে পাকি আব্বারা নাখোশ হবেন।

এর সাথে যে ভোটের রাজনীতির একটা ফায়দা লোটার ব্যপারও আছে সে যে কোন গাধার ও না বোঝার কোন কারন নেই।

কোন এক অতি উৎসাহী গভমেন্ট তো এদের আবার দেশের নাগরিকত্ব ও প্রদান করেছেন। পাকি আব্বাদের খুশি করেছেন।

বাঙালী-বিহারী মার মার কাট কাট হয়ে যাক তাতে এইসব নিমকহারামদের কি?

এত নোংরা কেন আমাদের রাজনীতি? নেতারা কেবলই স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত।

দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষছে কেবল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য!!

সাপ তো সাপই। তাকে যতই পোষা হোক না কেন, সে যে ছোবল মারবেই। আজ না হোক কাল।













মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

হেডস্যার বলেছেন:
বিহারী আর রোহিঙ্গাগো লাইগা যাগো চোখের আর নাকের পানি এক হইয়া যায় তারা নিজেগো ঘরে কয়জনরে যায়গা দিছে জানতে মঞ্চায়।

২| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

খাটাস বলেছেন: সংখ্যালঘু নামক শব্দে যেসব গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের কিছু হলে জ্ঞানী গুনিরা বরাবরই কান্না কাটি করেন।
যথার্থ, দোষের কিছু না। কিন্তু আর ও সমসাময়িক প্রাসঙ্গিক ব্যাপার গুলো নিয়ে তারা বলবেন না, কেমনে বলবে ভাই, ভাল কথা লিখলে আপনার মত অনেকেই চোখে ও দেখত না, পোস্ট ও দিত, জ্ঞানী গুণীদের পেটে টান পড়ত। আর ফেম সাকার ;) গুলো তো আছেই। নাথিং পার্সোনাল।
ডাক্তারের দায়িত্তে অবহেলা বা চিকিৎসায় রোগী সুস্থ- টাইপ খবর গুলো বেশি জমে না, জমে রোগী মরলে ।

এমনিতেই অনেক কথা বললাম ভাই, ডোন্ট মাইন্ড। আমি কার ওপর রাগ করা উচিত সেটা কখনই বুঝতে পারি না। পোস্ট থেকে বেশ কিছু তথ্য জানলাম।
তবে ঘরের খেয়ে যারা পরের গুণগান করে, তাদের পরের বাড়িতেই পাঠান উচিত। কিন্তু সেখানে ও ঝামেলা ভাই। বিশ্ব মানব অধিকার সাহেব রা নারাজ হবেন। গণতন্ত্র বলে কতা ;) তারা নারাজ হলে আবার দেশিয় ভাব মূর্তির মেলা ঝামেলা।
দেখছেন না? মোদী জি বাঙালি ফেরত পাঠাবে নিয়া কি সব উইচ্চ বাইচ্চ, বিহারি পাঠাইতে চাইলে না জানি কি হয় । |-)
ভাল থাকেন।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০১

ashumon79 বলেছেন: হেডস্যার, এবং খাটাস
সােপার্ট েদবার জন্য ধণ্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.