নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রোদের ক্রোধের ব্লগ .।.।.।.।

জীবন সুন্দর , আমরাই কঠিন বানাই । এমনি কঠিন যে পরে সমাধান না পেয়ে নির্জনে হাঁসফাঁস করি । তবু এই গোলক ধাঁধা ভাল লাগে । কি এক অমোঘ আকর্ষণে বেঁচে থাকা আজো অনুভব করতে চাই , এখন

রোদের ক্রোধ

খুব সাধারন একজন মানুষ । ভালবাসি দেশ কে , ভাল বাসতে চাই মানুষ কে । কখনো ভাবুক , কখনো অস্থির । মাঝে মাঝে চঞ্চল , আবার হুট করেই কচ্ছপের মত ধীর ।আমি অন্য সবার মত না , আবার কেউ যে আমার মত নেই , ঠিক তাও না । আমি আসলে একেবারেই আমার মত ।আমি আপাতত একজন ব্যার্থ মানুষ । আর এটাই আমার এগিয়ে যাবার একমাত্র পুঁজি । আমি প্রচণ্ড রোম্যানটিকতায় আচ্ছন্ন হতে হতেও শেষ মেশে আর রোম্যানটিকতায় আক্রান্ত হতে পারিনা । আমি কেবল নির্জনে হাঁসফাঁস করা একজন মানুষ । জীবন সম্পর্কে নির্লিপ্ত । জীবন যেদিকে নিয়ে যাবে , সেদিকেই যাবো ।

রোদের ক্রোধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে বুঝলাম রাজনীতির দাবা খেলায় আওয়ামীলীগ এর সর্বশেষ চাল - শাহাবাগ এর বাংলা বসন্ত

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহাবাগের আন্দোলন , রাজনীতি , বি এন পি - জামাত আর আওয়ামীলীগ নিয়ে কিছু লিখতে আগ্রহী হলাম । জানি এই লেখা পড়ে আমাকে অনেকে বি এন পি - জামাত সমর্থক ভাবতে পারেন । কিন্তু আমি শুধু কিছু সত্যি কথা ও আমার ভাবনা গুলো শেয়ার করবো । আমার এই লেখায় কোন ভুল থাকলে যারা জবাব দিবেন দয়া করে রেফারেন্স উল্লেখ করে জবাব দেন। যুক্তি খন্ডন করুন । কিন্তু আবেগ দিয়ে কোন উত্তর দিবেন না । বড় একটা লেখা , একটু ধৈর্য বিচ্যুতি ঘটতে পারে , এ জন্য ক্ষমা চাইছি । আসুন দেখি কি লিখতে পারলাম । আপানদের মতামত ও জানান ।



ব্লগার ইমরানের লিখিত বক্তব্য শুনলাম । আমার কাছে মনে হল আওয়ামীলীগের কেউ লিখে দিয়েছে । কেন ? আসুন আলোচনা করি ।

১. তাঁর কথায় বুঝলাম সব অপকর্ম ঘটেছে ৭৫-৯৬ সাল পর্যন্ত । ওই সময়ে রাজাকার পুনর্বাসিত হয়েছে । মোটামুটি আগত সবার কথাতেই ২১ বছর এর উল্লেখ ছিল (৭৫-৯৬) আবার ২০০১ এ বি এন পি এসে রাজাকার দের মন্ত্রী বানিয়ে আমাদের কলঙ্কিত করেছে । ঠিক আছে , মানলাম । প্রথমেই আমার প্রশ্ন তাহলে আওয়ামীলীগ ৯৬ তে জামালপুরের রাজাকার মাওলানা নুরুল ইসলাম কে ধর্ম মন্ত্রী বানিয়ে কি কলঙ্কিত করেনি ?



২. শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের কথা তুলে এনেছেন । তাহলে ৯৬ তে সেই আন্দোলন হতে আওয়ামীলীগ পিছু হটে কেন জামাতের সাথে তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলনে শরিক হয়েছিলো ? তা কেন উল্লেখ নেই ? অপশক্তি কি কেবল বি এন পি ? আজ যে শেখ হাসিনার রাজাকার বেয়াই , মন্ত্রী দের এ পি এস যাদের সবাই চেনে রাজাকার , তাদের বিচারের ব্যাপারে কিছু বললেন না কেন ? সরকারের ঘরের রাজাকার দের বিচার আগে হলে লোকে এটা নিয়ে বাহবা দিত , ভরসা পেত এই বিচারের উপর ।



৩. ২০০৮ এ নাকি এই সরকার এসে ট্রাইব্যুনাল বানিয়ে সফলতার সহিত বিচার করতে ছিল । কিন্তু শুধু কাদের মোল্লার রায় টা ঠিক হইনি । সফলতার সহিত বিচার চলতে থাকলে তরুন দের কেন আজ রাস্তায় নামতে হল ? আসলে গুরুজন রা বলছেন , সামনে ইলেকশন নতুন ইস্যু সৃষ্টির জন্যই এই আন্দোলন । আমি গতকাল ও তাদের কে নিন্দুক বলেছিলাম । কিন্তু আজ আর তাদের মুখে ছাই মারতে পারছি না । ঘটনা কিছু হলেও সত্য । আন্দোলনের শুরুটা তরুন ব্লগার দিয়ে হলেও , মনে হয় এমনটাই আওয়ামীলীগ চাইছিল । তারা সফল । কারন সরকারের অমত থাকলে এতখন জনগনের চলা চল , আইন শৃঙ্খলার অজুহাত দেখিয়ে পিপার স্প্রে , রঙ্গিন জল কামান এসে সবাই কে হটিয়ে দিত ।



৪ - আন্দোলনে রাজনৈতিকদলের নেতাকর্মী উপস্থিতি । শাহবাগের আন্দোলন, দেশ টিভিতে লাইভ দেখাচ্ছে , সেইখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমকে সহ ছাত্রলীগের নেতাদেরকে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে স্টেজে দেখা যাচ্ছে !!! বুঝা যাচ্ছে না, সাধারন জনগন এর মাঝে অই রাজনৈতিকদলের নেতাকর্মী গুলা কি করে??? আসলে আন্দোলনটা কাদের ??? কি উদ্দেশ্য ??? এই রাজনৈতিকদলের নেতা কর্মীদের উপস্থিতি তো আন্দোলনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে



আমি মোটেই এই আন্দোলন বা বিচারের বিপক্ষে না । কিন্তু যারা এই নিয়ে রাজনীতি করবে , বা করছে তাদের বিপক্ষে । আমি এখানে শুধু তা তুলে ধরলাম । আসুন এইবার দেখি - আন্দোলনের পজিটিভ দিক কি কি আছে ।



১. তরুন দের মাঝে দেশ প্রেমের চেতনা নতুন ভাবে জাগ্রত ।

২. তরুন রা চাইলে সব আন্দোলন এ নামতে পারে , তারা ভীত নয়

৩. মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য শুধু এই সরকার না , যেকোনো সরকার কে চাপে রাখার জন্য দারুন এক উদাহরন সৃষ্টি করা ।

৪. অপরাধ করে আদালতে পার পাওয়া গেলেও জনতার আদালতে মাফ নেই কারো , আবার প্রমান হল । আগে হয়তো অনেকে মাফ পেত , এখন কিছু হলেও শাস্তি হচ্ছে , বা বিচার হবে আশা করা যায় ।



আমার মনে যে সন্দেহ গুলো আছে , এইবার সেগুলা বলি -



১. অনেক লাল পতাকা দেখলাম যাই হোক সেগুলা কম্যুনিস্ট পার্টির । কিন্তু আগে শুনছিলাম কেউ নাকি দলীয় পতাকা , বা ব্যানার নিতে পারবে না । তাই মনে হল কিছু কম্যুনিস্ট পোলাপান দিয়া তাদের নেতারা আওয়ামীলীগ এর উপর একটা চাপ সৃষ্টি করতে চায় । লীগের ঘাড়ে বসে কিছু আদায়ের চেষ্টা । কারন বামদের সেই আদর্শ নাই অনেক দিন থেকেই । সেই সাথে বুঝাতে চায় রাজনীতিতে তাদের গুরুত্ব । _



২. মুক্তিযুদ্ধ সেক্টরস কমান্ডার ফোরামের নেতারা, উপস্থিত ছিল । হায়রে ওদের কি লজ্জা করে নাই এখানে আসতে । ওনাদের নেতা এ কে খন্দকার তো আওয়ামীলীগের মন্ত্রী ও , আগের বার এই ফোরাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে নির্দলীয় ব্যানারে আন্দোলন করে এ কে খন্দকার মন্ত্রী ও হল । তাঁর মানে বুঝা যায় আগের বারের আন্দলনেও ওনাদের রাজনৈতিক ইস্যু ছিল । এইবারেও তাই -



৩. শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল এসেছিল । তাঁর বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান কে নাকি সাইদী হত্যা করেছিলো । কিন্তু আদালত যখন ওনাকে সাক্ষী দিতে ডাকল , তিনি কেন ট্রাইব্যুনালে গিয়ে সাইদির বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলেন না ? পরে নাকি ওনার ছোট ভাই আহসান হাবীব সাক্ষ্য দিয়েছিল । এইটা সত্যি কিনা জানি না । সত্যি হলে জাফর ইকবাল কে ও বলব ২ মুখো কথার মানুষ -



৪. সমাবেশ থেকে শপথ নিয়ে বলা হয়, বাসা-বাড়িতে জামায়াত-শিবিরের মুখপাত্র দৈনিক সোনার বাংলা, নয়া দিগন্ত পত্রিকা রাখা হবে না। এসময় জামায়াত-শিবিরকে বাসা ভাড়া না দেওয়ার জন্যও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আন্দোলনকারীরা জামায়াত-শিবির পরিচালিত রেটিনাসহ কোনো কোচিং সেন্টারে সন্তানদের না পাঠানোর অনুরোধ করেন। ইসলামী ব্যাংকে কোনো অ্যাকাউন্ট না খোলা, ইবনে সিনা প্রতিষ্ঠানের কোনো সেবা না নিতে উপস্থিত সাধারণকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। আমার প্রশ্ন হল এইখানে যারা কাজ করেন সবাই কি শিবির ? তাদের বাঁচতে দিবেন না । কিন্তু শিবির করা তরুন রা তো রাজাকার না । তাদের ভিন্নমত শ্রদ্ধা না করতে পারলে আপনাদের কিসের গনতন্ত্র ? তাদের নেতারা দোষী হলে বিচার হোক । ওরা তাণ্ডব করলে শাস্তি হোক । কিন্তু আপনাদের বিপক্ষ হলেই ওদের না বলবেন ? আসল কথা একটাই । জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা । তাহলে বি এন পি দুর্বল হবে । আওয়ামীলীগের লাভ । কিন্তু ওরা নতুন নাম দিয়ে আবারো তো রাজনীতি করবে । তখন কি আবার নিষিদ্ধ করবেন ?



৫.কথায় কথায় ওদের পাকিস্তান জেতে বলেন । আমার কথা হল পাকিস্তানের ও কি সবাই খারাপ । তাহলে আজ অনেক পাকিস্তানির সাথে প্রখাত সাংবাদিক হামীদ মীর যে ৭১ এর অপরাধিদের বিচার চায় । তিনি ও খারাপ ? আমার কথা একটাই । বিচার করেন , কিন্তু এর মাঝে অপরাজনীতি ঢোকাবেন না । সব কিছুতেই ফয়দা হাসিলের চেষ্টা না করাই ভাল । কারন এই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আবেগের জায়গা । এইটা র মাঝে বিচার খেলা খেলে রং মিশিয়ে রাজনীতি করলে জনগন আজীবন আপনাদের ধিক্কার দিবে ।



অনেকে এগুলা পড়ার পরে বলবে আমি কেন বি এন পি - জামাতের সমালোচনা করছি না । আমি হয়তো শিবিরের এজেন্ট বা বি এন পির কঠিন সমর্থক । আসলে ব্যাপারটা তা নয় । বি এন পি আন্দোলনের আগেও নাই , পিছেও নাই । তাই এই বিষয়ে সেভাবে সমালোচনা করা যাচ্ছে না । হ্যাঁ , তাদের বিষয়ে এখন মস্ত বড় অপরাধ হল তারা এখনও জামাত নিয়ে রাজনীতি করছে । বা জামাতের পক্ষে বলছে । কিন্তু আওয়ামীলীগ যে ৮৬ এর নির্বাচন বা ৯৬ এ তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলন করল জামাতের সাথে , সে বিষয়ে অনেকে হয়তো ভুলে গেছে বা মনে পড়লেও না জানার ভান করে থাকছে । কিংবা অন্য যুক্তি দিয়ে আওয়ামীলীগের দোষ আড়ালের চেষ্টা করছেন ।



যাই হোক বি এন পি সম্পর্কে বলবো - বি এন পি আগে থেকেই রায় নিয়ে পাথুরে নীরবতা অবলম্বন করছে । ক্ষমতার লোভ , আর জামাতের সঙ্গ এতই প্রিয় তারা যেন নির্বাক । ইতিহাসের পাতায় অম্লান থাকার শ্রেষ্ঠ সুযোগ হারাল । খুব কি বেশি ক্ষতি হত , এই মঞ্চে এসে দাড়িয়ে বলা - আমরাও কাদের মোল্লা সহ সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । না , তা করল না । এর থেকে যে সরকার পতনের আন্দোলন ও করা যায় , তাও মনে হয় বি এন পি নেতাদের উপলব্ধি করার নৈতিক সমর্থন বা শক্তি ও নেই । ঘরেই বসে রইল । জাতি যেমন এ জন্য বি এন পি কে ক্ষমা করবে না , তেমনি ক্ষমা করবে না , আরেক স্বার্থান্বেষী দল আওয়ামী লিগ কে তাদের দ্বি মুখি নীতির জন্য । তারা যেন সর্প হইয়া দংশন করে , ওঝা হইয়া ঝারে । বেইমানের গুষ্ঠি । সন্দেহাতীত ভাবে নাকি প্রমানিত কাদের মোল্লা খুনি । তারপর বিচার - আরাম আয়েশে যাবজ্জীবন । এখন আবার শাহাবাগে যায় আন্দোলনকারীদের সংহতি জানাতে । ফাউল আর বলে কারে , যতসব ।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আমরা থামব না, থামব না
প্রয়োজনে খুরবো পাতাল, যাবো আসমান
তবু থামব না, থামব না
বিচার হবে, হবে রাজাকারদের ফাসিঁ

কোনো কথায় কর্ণপাত করবো না
রাজাকারদের ফাসিঁ না হওয়া পর্যন্ত
রাজপথ ছাড়ব না।


Click This Link

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

রোদের ক্রোধ বলেছেন: আমি মোটেই এই আন্দোলন বা বিচারের বিপক্ষে না । কিন্তু যারা এই নিয়ে রাজনীতি করবে , বা করছে তাদের বিপক্ষে । আমি এখানে শুধু তা তুলে ধরলাম ।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১

মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: আওয়ামী-বিএনপি বুঝিনা এখানে রানীতি চাই না

আন্দোলন কি ব্লগারদের হাতে আছে

Click This Link

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

রোদের ক্রোধ বলেছেন: আন্দোলন এখন আর ব্লগার দের হাতে নাই । আন্দোলনের আসল ফসল বাম আর আওামীলিগের হাতে ।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দুঃখিত ব্লগার ইমরান কে? চেনার প্রয়োজনও বোধ করছিনা। ভাই সাহেব, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামাত নিয়ে চিন্তা করার তেমন কিছু দেখছিনা। দলগত ভাবে ভিন্ন হলেও নীতিগতভাবে সবই "চোর"। তবে মোদ্দা কথা হলো, এখনকার আন্দোলনকে এদের দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে। লিখার জন্যে ধন্যবাদ। সময় করে আমার এই লিখাটাও পড়ুন: আন্দোলনের শুরুটা এখান থেকেই হোক । ধন্যবাদ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

রোদের ক্রোধ বলেছেন: শাহবাগে ঘোষনাপত্র পাঠকারী ইমরান এইচ সরকার একজন গোরা আওয়ামীলিগার । ইমরান এইচ সরকার। সে ব্লগিং করে তবে পেশায় ডাক্তার। ইমরান আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)এর সাথে জড়িত। তার বিভন্ন ব্লগ ও ফেসবুক প্রোফাইল দেখলে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন, সে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে কতটা জড়িত এবং আওয়ামীলীগের একজন গোড়া সমর্থক।
সে তার ফেসবুকে https://www.facebook.com/dr.imran.bd জিয়াউর রহমানকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাজ এ লিখেছে, 'জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গনে রাজাকারের কবর রেখে এই পুজা আর কতদিন? এই সার্কাস আর দেখতাম চায় না প্রজন্ম...এই শালাদের কোন নিশানা রাখা যাবে না এই বাংলায়।'
সে জাতির জনকের প্রশংশা করে লিখেছে, 'যে শ্রেনীরই হোক না কেন গর্ব করবার মত বাঙ্গালীর যা কিছু বিদ্যমান তার অন্যতম বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর ক্ষয় নাই।'
আমার কথা হলো-উনারা সবাই জাতীয় নেতা। তাদের অবদান নিশ্চয় রয়েছে। কাউকে হেয় করে এই ধরনের মন্তব্য যে করতে পারে, সে কীভাবে দলীয় লেজুরবৃত্তির বাইরে যেতে পারে??

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪১

আইজ্যাক নিউটন বলেছেন: অবশেষে বুঝলাম রাজনীতির দাবা খেলায় আওয়ামীলীগ এর সর্বশেষ চাল

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

রোদের ক্রোধ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন - আইজ্যাক নিউটন

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

আইজ্যাক নিউটন বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেছেন: আপনার পরিচয়টা র্গব করে দেন যে আপনি কোন ঐ দলের??? আপনি জাফর ইকবাল সর্ম্পকে যে তথ্য দিয়েছেন তা বিভ্রান্ত ছাড়া কিছুই না। আপনার সাথে যুক্তি খন্ডন করা আর কচু গাছের সাথে আলাপ করা একই কথা। একজন আওয়ামী লীগ কারীও এই আন্দোলনে যুক্ত হতে পারেন তবে এখানে এসে সে এটা জাহিরি না করলেই হলো। আর আওয়ামী লীগ ছাড়া তো মুখে কেও বলেনা যুদ্ধপোরাধীদের বিচার হোক। তাই এই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সর্মথিত বল্গার আসা সাভাবিক। আর আপনার মত লোক বিভ্রান্ত করবে সাভাবিক। আপনারা প্রতিহত হবেনই।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

রোদের ক্রোধ বলেছেন: জে ধইন্যবাদ । আপনার মত আওয়ামী ব্রেন ওয়াশ কারীর সাথে আমিও যুক্তি খণ্ডনে আগ্রহী না । আরে বাবা , আমি যা দেখলাম তা শেয়ার করলাম । আগেই বলেছি আবেগ দিয়ে বিচার করবেন না । অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আবেগ । এইটা নিয়া রাজনীতি না করাই ভাল , যেমন ধর্ম নিয়া জামাত করে ।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

বন্ধুবর বলেছেন: ভাই......সত্য কথার ভাত নেই। আপনার দল কোনটা জানি না...হয়ত নিরপেক্ষ ব্যক্তি হবেন......আমি কিন্তু গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ.......আমার বাবা দাদির তৈরী রুটি মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়াতো....দাদা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে....সে মুক্তি যোদ্ধার সার্টিফিকেট পেয়ে ও নেয় নি......বাবা ও একই পথের পথিক.....এরপরও যদি আমি আপনাকে লাইক করি.....তাহলে দেখবেন স্বাধীনতা পরবর্তীর আওয়ামী রাজাকাররা যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করে তারা কিন্তু আপনাকে আমাকে রাজাকার বানিয়ে ফেলবে। আসুন আমরা স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু আমি একটা বিষয় খুব অবার হয়েছে। আমার প্রিয় উপস্থাপন অঞ্জন রায় দাদাকে ছাত্রলীগের সভাপতির পাশে দায়িড়ে তার পরামর্শে উপস্থাপন করতে.........................................................................

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৩

রোদের ক্রোধ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত ভাই । আমার বাবা , খালু , নানা - সবাই যুদ্ধের মাঠে গিয়ে এবং আর্থিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন । কেউ সার্টিফিকেট নেয়নি , আবেদন ও করেনি । এলাকার লোকেরা যখন সেধে দিতে চাইছিল তখন সেখানকার কমান্ডার আমার দাদার বিরোধী ছিল বলে আর সার্টিফিকেট দেইনি । এতে আমাদের কারো বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই । কারন আমরা তো যুদ্ধে ছিলাম , এর চেয়ে আর বেশি কি হতে পারে ?

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৬

রোদের ক্রোধ বলেছেন: অঞ্জন রায় দাদা র ব্যাপারটা সত্যি আহত করেছে । তবু এখানে ছাত্র লীগ এসেছে , বলার কিছু নাই , আসতেই পারে । সরকারের কেউ এসে দাবি মানার ঘোষণা দিলেও আপত্তি নাই । বিচার হলেই হল । কিন্তু আওামিলিগার রা মূল মঞ্চে গেল , অনেক ক্ষণ থাকল । নাটকের আর কিছু বাকি থাকল না । এমনও হতে পারে লীগ ওনাদের ভয় দেখিয়েছে ।

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: একদফা-একদাবি লীগ বুঝি না, দল বুঝি না ,পলিটিক্স বুঝি না , সমগ্র বাঙ্গালী জাতির উপর যারা আঘাত হানছে জাতির শত্রু সেই দোষরদের ফাসি চাই । জয় বাংলা...!!!!!
যদি মনের আগুন দিয়ে আগুন জ্বালানো যেত.রক্ত
দিয়ে লিখে দিতে পারি ভাই,ওই কুলাঙ্গার গুলার ছাই ও
এই বাংলার আকাশে থাকতো না আজ।জয় বাংলা.

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

রোদের ক্রোধ বলেছেন: আমাদের সবার একদফা দাবি রাজাকারের ফাঁসি । তবে এই নিয়া রাজনীতি না । কোন দল যেন এইটা থেকে ফয়দা না লুটে । এছাড়া আমরা যেন শুধু এই দাবি নিয়া থেকে অন্য অপরাধ গুলা না ভুলে যাই । আমরা সব হত্যার বিচার চাই । ধন্যবাদ ।

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২২

সংকেত মাহমুদ বলেছেন:
জনতার এই স্বতর্ফুত সমাবেশে অযথা দলীয় রাজনীতির দাগ লাগাতে এসে , জনতার কাছে লাঞ্চিত হল আওয়ামী লীগের নেতা হানিফ আর সাহারা খাতুন । কইরা দেখেন ।
এইটা পরিষ্কার হইযা় গেলো যে, এই বিচারের দাবিটা শুধু কোনো দলের না।জনতার দাবি ।
তবে এই জনদাবির সাথে আওয়ামী লীগ সংহতি প্রকাশ কইরা নিজেদের দায় বাচবার চেষ্টা করছে , বিএনপিরও তেমনি এগিয়ে আসা উচিৎ ছিল ।এটা আরও দুঃখজনক - প্রথম থেকেই বিএনপি এর নীরবতা। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি বরাবরই তার অবস্হান পরিস্কার করেনি বরং আকার ইংগিতে রাজাকার জামাতকে সমর্থন দিয়ে গেছে।আমরা চই বিএনপিও ফাজলামী বন্ধ কইরা জনতার এই স্বতর্ফুত সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করুক ।
একদফা-একদাবি লীগ বুঝি না, দল বুঝি না ,পলিটিক্স বুঝি না , সমগ্র বাঙ্গালী জাতির উপর যারা আঘাত হানছে জাতির শত্রু সেই দোষরদের ফাসি চাই । জয় বাংলা...!!!!!
যদি মনের আগুন দিয়ে আগুন জ্বালানো যেত.রক্ত
দিয়ে লিখে দিতে পারি ভাই,ওই কুলাঙ্গার গুলার ছাই ও
এই বাংলার আকাশে থাকতো না আজ।জয় বাংলা.

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৬

রোদের ক্রোধ বলেছেন: আমিও চাই বি এন পি এসে নীরবতা ভাঙুক । জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করুক । বি এন পি নিয়ে আমার প্রতিক্রিয়া কি তা নিশ্চয়ই উপরে পড়ে বুঝেছেন । আজ সারা বাংলার এক দফা দাবি - রাজাকারের ফাঁসি ।

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ছাগুদের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্যঃ
ছাগুদের বিশ্বাস হয় না, ধৃত ব্যাক্তিরা অরিজিনাল আলবদর- রাজাকার ।আরে হারামজাদা ছাগুর দল- ধৃত ব্যাক্তিরা তো শুধু রাজাকার বাহিনীর একজন সাধারন সদস্যই না বরং রাজাকার-আলবদর-দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।
যে নিজামী আলবদরে লিড দিছে, "অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধর "এই কথা বইলা যে মুজাহিদ গনহত্যাকারী রাজাকারদের নির্দেশ দিছে , যে গোলাম আজম তার কর্মীদের খুনী পাক হানাদার বাহিনীরে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিছে , তারা ৭১ এ নিশ্পাপ শিশু । অথচ এরা তো ছিল, গনহত্যাকারী দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।কেননা ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকাররেরা যাদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে, তাদের সঙ্গে রাজাকারদের কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শত্রুতা ছিল না। লাখ লাখ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আদর্শিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে। রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল এই লিডারদের রাজনৈতিক আহ্ববানেই ।
বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অধিনস্ত রাজাকারদের অস্ত্র হাতে নিতে মুজাহিদের নির্দেশঃ X(( X(( X(( +
১৯৭১ এর গনহত্যাকারী আলবদর বাহিনীকে একশনে উৎসাহিত করতে আলবদরের নেতা নিজামীর প্রচেষ্টার নমুনাঃ



০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪১

রোদের ক্রোধ বলেছেন: আপানার এই রেফারেন্স আমি বহুবার পড়েছি ভাই । তবুও পুনরায় দেবার জন্য ধন্যবাদ । আমি একবারও বলি নাই , তারা নির্দোষ । অবশ্যই তারা অপরাধী । ইতিহাসের জঘন্য তম ঘৃণ্য ঘাতক তারা । আমি ও তাদের শাস্তি চাই । আমি মোটেও আন্দোলনের বিপক্ষে নই । জামাত শিবির নিষিদ্ধ হোক , আমি সবার আগে চাই । তাদের জন্য আমার মোটেও দরদ নাই । কিন্তু আমি ইমরান মিয়ার ভাষণ শুনে এবং কিছু চিত্র দেখে এই লেখা লিখলাম ।

জানিনা আমার লেখা ভাল করে পুরোটা পরেছেন কি না । সেখানে একটি বার ও জামাত বি এন পির পিরিত নিয়া গুনগান গাইনাই । কিন্তু বোকা চদা আবালের মত ছাগু উপাধি দিয়া খালাস । লেখার কোন অংশে জামাত নিয়া মধু মাখলাম , দেখান । তবে আপনি ভাদু আওয়ামী লীগার হলে আই লেখায় আঘাত পাবেন স্বাভাবিক ।

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

মরমি বলেছেন: ভাই আপনার পর্যবেক্ষণ পড়ে মনে হলো তা কিছুটা শিশুসুলভ। আ লীগ বিএনপি কার চাইতে কে বেশি কুটচাল চালতে পারে সে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এটা জানে বলেই বলে্দেশবাসী গণজাগরনে সমবেত হয়েছে। আপনি লাল পতাকার উপস্থিতির কথা বলেছেন তাদের অনেকেই সরকারের সাথে নে্ই। যারা সরকারের সাথে আছে তারা চিহিৃত। এছাড়া লাল পাতাকা আছে যারা দুর্নীতি জাতয়ি সম্পদ লুটপাট ও শ্রমিক হত্যা ও নিপীডনের বিরুদ্ধে সরব। বরং চাপেই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে। আপনি মো: জাফর ইকবাল সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। কোন বিভ্রান্তি নয় আসুন আমরা পর্যায়ক্রমে সকল দাবী আদায়ে সোচ্চার থাকি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৪

রোদের ক্রোধ বলেছেন: আন্দোলনের পজিটিভ দিক , সন্দেহ সব উল্লেখ আছে । আমি চাইনা আন্দোলন নিয়ে কোন বিভ্রান্তি হোক । এটা আসলেই গন মানুষের আন্দোলন । কিন্তু আমি এর শেষ পরিনতি আর কে আখেরে আন্দোলনের ক্রেডিট নিয়ে যায় , তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম । প্রথম বিজয় তো হয়েছেই । সারা দেশ আজ একাত্ম । আর কি চাই । তবে আমার এই লেখায় কেউ আঘাত পেলে আমি দুঃখিত । জাফর ইকবাল , পিরজপুর , আর সাইদি নিয়া আপ নি কি জানেন পরিস্কার করেন ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

রোদের ক্রোধ বলেছেন: চ্যানেল আইতে এক লাইভ অনুষ্ঠানে দেখতে পেলাম দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন বললো যে, ড. জাফর ইকবাল ট্রাইবুনালে সাক্ষী দিতে যায় নাই তার বাবার হত্যার জন্য দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার পরেও।

এই ব্যাপারটা আমরা অনেকেই জানতাম না কিন্তু এখন আমার কাছে মনে হয় আজকের সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার চেয়ে সেই দিন সাঈদীর বিপক্ষে সাক্ষী দিলে সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য কিছুটা হলেও কাজে লাগতো।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪০

সৌম্য বলেছেন:

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭

রোদের ক্রোধ বলেছেন: ভাদু তোমার এত জলে ক্যা ? আন্দোলন বা জাগরনের বিপক্ষে তো কিছু কই নাই । তুমি কি হাম্বা লীগার ? তাইলে তুমি ছাগলের মত এই কাঁঠাল পাতা গুলা চাবাও । হাম্বা লীগার রা তো দেশের সব খাইল , বাকি রইল এই পাতা গুলা । মনে হইতাসে তাও থাকবো না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.