![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারন একজন মানুষ । ভালবাসি দেশ কে , ভাল বাসতে চাই মানুষ কে । কখনো ভাবুক , কখনো অস্থির । মাঝে মাঝে চঞ্চল , আবার হুট করেই কচ্ছপের মত ধীর ।আমি অন্য সবার মত না , আবার কেউ যে আমার মত নেই , ঠিক তাও না । আমি আসলে একেবারেই আমার মত ।আমি আপাতত একজন ব্যার্থ মানুষ । আর এটাই আমার এগিয়ে যাবার একমাত্র পুঁজি । আমি প্রচণ্ড রোম্যানটিকতায় আচ্ছন্ন হতে হতেও শেষ মেশে আর রোম্যানটিকতায় আক্রান্ত হতে পারিনা । আমি কেবল নির্জনে হাঁসফাঁস করা একজন মানুষ । জীবন সম্পর্কে নির্লিপ্ত । জীবন যেদিকে নিয়ে যাবে , সেদিকেই যাবো ।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন অনির্বাচিত কারো হাতে তিনি ক্ষমতা দিবেন না , বা অনির্বাচিত কাউকে তিনি তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বসাবেন না । খুব ভালো কথা । কিন্তু একজন সাধারন বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন লোক ও জানেন যে নির্বাচনের ৩ মাস আগে ক্ষমতা ছাড়লে বা সংসদ ভেঙ্গে দিলে কেউ তখন নির্বাচিত থাকে না । আর তিনি যদি নিজেই সরকার প্রধান থেকে নির্বাচন করেন সেটা কেউ মানবেও না বা আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্যও হবে না । তবে আসল কথা হল সংসদ বহাল রেখে পৃথিবীতে কোথাও জাতীয় নির্বাচন হয় না ।
যাই হোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনির্বাচিত লোক জন চক্ষুশূল । কিন্তু তাঁর চারপাশেই কিন্তু ঐ সব লোক জনে ভর্তি । আসুন দেখে আসি , কে কে আছেন সেই তালিকায় । লিস্টে আরও অনেকেই বাদ পরেছেন সিউর । কারো জানা থাকলে জানাবেন । আপাতত দেখে আসি বড় চেয়ার গুলোতে অনির্বাচিত কারা আছেন ।
১. মন্ত্রী সভায় আছে অনির্বাচিত লোক । তিনি টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রী । এটা দোষের কিছু না , কিন্তু শত হলেও অনির্বাচিত ...
২. মন্ত্রী পদমর্যাদার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রা অনির্বাচিত । সেটাও দোষের কিছু না মানলাম । কিন্তু অনির্বাচিত তো , নাকি ?
৩. ঢাকা সিটি কে ২ ভাগ করে ২ জন অনির্বাচিত লোক দিয়ে মেয়রের পদে বসিয়ে রেখেছেন । নাগরিক সুবিধা সব শেষ করে এই আমলা গুলো আর কর্মকর্তারা , কর্মচারীরা লুটপাট করছেন ইচ্ছামত । সিটি কর্পোরেশনের সম্পদ বিনষ্ট করছেন । হয়তো কোনদিন নির্বাচিত মেয়র এসে দেখবে কর্পোরেশনের সম্পদ বলে কিছু নেই ।
৪. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহদয় রা অনির্বাচিত । ডাকসু সহ সকল কলেজ , ভার্সিটির ছাত্র রাজনীতির সম্পর্কিত সকল নির্বাচন বন্ধ । সবখানেই অনির্বাচিত লোকজন । মানে ইলেক্টেড না হয়ে সিলেক্টেড লোক জনে ভরপুর ।
৫. আর নিজেদের দলের কাউন্সিলের কথা নাইবা বললাম । .........
প্রশাসনের সর্বত্র এমন অনির্বাচিত আমলা দিয়ে লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত । অনির্বাচিত লোকজন কিন্তু শেখ হাসিনার বেশি প্রিয় বলে মনে হচ্ছে । কিন্তু ঐ ক্ষমতার লড়াইয়ে , নির্বাচনের সময়েই শুধু অপ্রিয় । তাই তাঁর মুখে অনির্বাচিত শব্দটা শুনলেই কেমুন জানি লাগে । সত্যি বলতে কি , গাঁ জ্বলে ।
২| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: সংসদের অভিভাবক স্পিকার একজন অনির্বাচিত মানুষ। অবিশ্বাস্য!
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: বাংলাদেশে বোধ করি যতদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস না আসবে, ততদিন তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু রাখাই সমীচিন। যে তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ৯০এ বেগম জিয়া ক্ষমতায় আরোহণ করেছিলেন, ৯৫এ সেই তিনিই তত্তাবধায়ক সরকার-কে পাগলের সংলাপ বলে আখ্যা দিলেন, যদিও পরে ১৪ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন দিয়ে তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সাংবাধিক করতে বাধ্য হন। এরপর থেকে ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মত কর্মকান্ড পরিচালনা করে, যার সর্বশেষ ফলাফল ১/১১। ১/১১এর সময় উত্থাপিত "মাইনাস টু" ফর্মুলার ভয়ে আজ শেখ হাসিনা তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেই বিনাশ করে দিল। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই, আগামী নির্বাচন তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়াই হল, এবং বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে, আমার কিন্তু মনে হয় না, বেগম জিয়া তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে ফিরিয়ে আনবেন। অর্থাৎ, আমাদের নেতৃবৃন্দরা কেবল তখনই রাজনৈতিক আন্দোলনের কথা বলেন, যখন নিজের স্বার্থে আঘাত লাগে। দু:খজনকভাবে হলেও সত্যি আমরা কোনভাবেই আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না।