![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারন একজন মানুষ । ভালবাসি দেশ কে , ভাল বাসতে চাই মানুষ কে । কখনো ভাবুক , কখনো অস্থির । মাঝে মাঝে চঞ্চল , আবার হুট করেই কচ্ছপের মত ধীর ।আমি অন্য সবার মত না , আবার কেউ যে আমার মত নেই , ঠিক তাও না । আমি আসলে একেবারেই আমার মত ।আমি আপাতত একজন ব্যার্থ মানুষ । আর এটাই আমার এগিয়ে যাবার একমাত্র পুঁজি । আমি প্রচণ্ড রোম্যানটিকতায় আচ্ছন্ন হতে হতেও শেষ মেশে আর রোম্যানটিকতায় আক্রান্ত হতে পারিনা । আমি কেবল নির্জনে হাঁসফাঁস করা একজন মানুষ । জীবন সম্পর্কে নির্লিপ্ত । জীবন যেদিকে নিয়ে যাবে , সেদিকেই যাবো ।
ফেলানী হত্যার রায় দিয়েছে ভারতে কুচবিহারের ১৮১ বিএসএফ ব্যাটেলিয়ানের সদর দফতরের জেনারেল সিকিউরিটি কোর্টের বিশেষ আদালত। রায়ে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিএসএফ হাবিলদার অমিয় ঘোষকে .
ফেলানি হত্যার বিচারে ভারতীয়দের এই রায়ে আমি মোটেই কষ্ট পাইনি । কারন আমাদের নিজ দেশের সরকার , মন্ত্রি সবাই ই যেখানে ভারতীয়দের পক্ষে সাফাই গায় , সেখানে ভারত তাদের নিজ দেশের লোককে রক্ষা করবেই এটা স্বাভাবিক । এখনো আমরা সৌভাগ্যবান এই ভেবে যে আমাদের সরকার এখনো বলেনি যে রায়ে আমরা সন্তুষ্ট । আমার শুধু কষ্ট লাগে এই ভেবে যে এতো কিছুর পরেও , ভারত আমাদের ক্রমাগত বাঁশ দিলেও ,পদে পদে আমাদের বঞ্চিত করলেও আমাদের দেশেরই কিছু ভারতীয় দালাল কুত্তাগুলা ক্রমাগত যেভাবে প্রভু ভারত মাতার পা চাটে । ভারতীয় নিম্মমানের বিষ্ঠা স্বরূপ পন্য ছাড়া তাদের দিন চলেনা , ওদের চ্যানেল না দেখলে ঘুম আসেনা , ওদের কাছে মাথা নিচু নীতি ছাড়া আমরা রাষ্ট্র চালাতে পারিনা । বুঝে গেছি রাষ্ট্র আমাদের পাশে নেই । সাধারন জনগনের সচেতনতা আর দেশপ্রেম ছাড়া এই দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করা যাবেনা । আসুন চেষ্টা করে দেখি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাকি সব ভারতীয় পন্য , সেবা , টি ভি চ্যানেল সব বর্জন করতে পারি কি না । এই সামান্য দেশপ্রেম দেখালেও ফেলানির আত্মা একটু হলেও শান্তি পাবে ।
ফেসবুকে একজন লিখেছেন , একটা বাঘ হত্যা করলে, সেটার জন্য বিচার হয়। জেল হয়, জরিমানা হয়।
একটা পাখি গুলি করে মেরে ফেললে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
এমনকি একটা গাছ কেটে ফেললেও সেটার জন্য শাস্তি পেতে হয়।
শুধু ''গরীব মানুষ'' মারলে কিছুই হয় না। ফেলানি হত্যা মামলার অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের রায় কী বার্তা দেয়? এই ধরনের হত্যা আরও চলবে। মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই ওদের কাছে। আর এটা হলো বিচারের নামে একটা প্রহসন।
আর একজন লিখেছেন , তাইলে বোঝাই যাচ্ছে ইন্ডীয়া ফেলানী হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করছে অথবা তারা হত্যায় কাউকেই শাস্তি দিতে ইচ্ছুক নয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মারাকে হয়ত তারা কোন অপরাধ মনে করেনা অথবা বাংলাদেশের মানুষকে মানুষই মনে করেনা। আমার জানতে ইচ্ছা করে, ইন্ডীয়া তো বাংলাদেশের মানুষকে মানুষ মনে করেনা, কিন্তু তাদের আস্থাভাজন আওয়ামীলীগকে কি মনে করে? প্রভু ভক্ত কূকুর? ওহে আওয়ামী কুকুররা মনিবের কাছে ঘেউ ঘেউ করে অন্তত একটা রায়ও আনতে পারনা, তিস্তার পানি, সীমান্ত'র ছিট মহল তো দূরের কথা। ফেলানী মরেনি অথবা নিজেই আত্নহত্যা করেছে অথবা বিএনপি বা অন্য কেউ মেরেছে, কোনটা বলবে ইন্ডীয়া ও তাদের দোসর দালাল আওয়ামীলীগ?
ফেলানির রায়ে আমার মনে হচ্ছে বাংলাদেশের হাজারো ফেলানিকে হত্যা করার আনুষ্ঠানিক সার্টিফিকেট দেয়া হলো বিএসএফকে।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ফেলানী কে কেন ওরা আমাদের সবাই কে খুনকরলেও আমরা বিচার পাবনা। ওদের শক্তি আছে আর ওরাত আমাদের দাদা তাই না!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০
খেয়া ঘাট বলেছেন: ফেলানী হত্যার রায় দিয়েছে ভারতে কুচবিহারের ১৮১ বিএসএফ ব্যাটেলিয়ানের সদর দফতরের জেনারেল সিকিউরিটি কোর্টের বিশেষ আদালত। রায়ে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিএসএফ হাবিলদার অমিয় ঘোষকে।
এই বর্বর, জানোয়ার, অসভ্য কোর্টের জাজদের মুখে , যে মুখ থেকে এ রায় বের হয়েছে সেই মুখের ভিতর..................করে দিলাম।
নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হলে এরকমের প্রহসনের বিচারই হবে।