![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের ২ লক্ষ সৈন্যের সাথে মাত্র ৪০ হাজার মুসলিম বাহিনী যুদ্ধ করার পর যখন আবু জাহিম ইবনে হুজাইফা আহত নিহতদের সারিতে তার চাচাতো ভাইকে খুঁজে ফিরছিলেন। তার কাঁধের মশকে পানি। খুঁজতে খুঁজতে তিনি তাঁর ভাইকে পেয়ে গেলেন। সে তখন মুমূর্ষু , যন্ত্রনায় সে কাতরাচ্ছে , ইশারায় সে পানি চাইলো। হুজাইফা তাঁকে পানি দিতে গেলেন। এমন সময় পাশেই আরেকজন মৃত্যুর যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিল। আর পানির জন্য চিৎকার করছিলো। হুজাইফার ভাই পানি পান না করে পাশের হিশাম ইবনে আবিল আস (রা. ) এর কাছে পানি নিয়ে যেতে বললেন। হুজাইফা যখন হিশামের নিকট পৌঁছলেন ,তখন তাঁর পাশের আরেকজন মুমূর্ষু সাহাবী পানি পান করতে চাইলো। হিশাম ইঙ্গিতে প্রথমে তাঁকেই পানি দিতে বললেন। হুজাইফা যখন পানি নিয়ে তার পাশের জনের নিকট পৌঁছলেন ,তখন তাঁর রূহ ইহজগত ছেড়ে চলে গেছে , অতঃপর হুজাইফা ফিরে আসলেন হিশামে (রা.)’র কাছে , কিন্তু হিশাম (রা.) ও ততক্ষনে জান্নাতবাসী হয়েছেন। এবার সে ফিরে গেলেন তার চাচাতো ভাইয়ের কাছে , ফিরে গিয়ে চাচাতো ভাইকে ও আর পেলেন না। ততক্ষনে শাহাদাত বরণ করেছেন তিনিও।তিন জনের কেউ পানি পান করতে পারল না , হুজাইফা দাঁড়িয়ে রইলেন পানি নিয়ে দুঃখভরাক্রান্তে।
অদ্ভুত এ ত্যাগ! ভ্রাতৃত্ব আর মমত্ববোধ। তাঁরা পরস্পর মিলে এমন সীসার প্রাচীর গড়ে তুলতে পেরেছিলেন বলেই সেদিন মাত্র চল্লিশ হাজার সৈন্য ইয়ারমুকের প্রান্তরে সমগ্র রোমান সম্রাজ্যের সম্মিলিত শক্তির বিজয়ের প্রাণান্ত প্রচেষ্টাকে শোচনীয় পরাজয়ের অতল পঙ্কিলে ডুবিয়ে দিতে পেরেছিলেন।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৫
মূর্তুজা খান বলেছেন: অাপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩০
কালীদাস বলেছেন: লেখাটা আপনার নিজের লেখা না। গোলাম আজমের একটা বইয়ের একটা ছোট অংশ, এর আগে অসংখ্য জায়গায় কপি হওয়ার পর আপনিও কপি করেছেন। কপিপেস্টের ক্ষেত্রে ব্লগের নিয়ম হচ্ছে রেফারেন্স উল্লেখ করা।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৭
মূর্তুজা খান বলেছেন: অামি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির একটি অারবী প্রবন্ধ পড়েছিলাম; তার মূল বক্তব্যটা তুলে ধরেত চেষ্টা করেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৩
ওমেরা বলেছেন: আপনাকে ব্লগে স্বাগতম আপনাকে ব্লগে স্বাগতম