![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক হাজার বছর পূর্বে ভারত উপমহাদেশে মুসলিমদের কথা বলছি;
চতুর্থ হিজরী শতাব্দী পর্য ন্ত মুসলমানরা হিন্দুস্তান সম্পর্কে নিতান্তই মামুলী জ্ঞান রাখতো।অনুমান করা হচ্ছে, এর বহুকাল আগ থেকেই উপকূলীয় এলাকা সমূহের বিভিন্ন হিন্দু রাজ্যে মুসলমানরা বসবাস শুরু করেছিলো; কিন্তু সেকালেও মুসলমানরা যে বিচিত্র ধরনের শর্তে হিন্দুস্তানে বসবাস করতো, তাতে বিস্ময়ে অভিভূত হতে হয়।
এই বিষয়ে ঐতিহাসিক ইবনে হাওকাল বলেন-
“বুলাহরার এলাকায় কিছু মুসলমানও রয়েছে, সে লোকই এ এলাকার শাসক হতে পারেন যিনি হবেন মুসলমান। এ শাসকই হন বুলাহরা রাজের পক্ষ থেকে মুসলমানদের প্রতিনিধি।”
ইবনে হাওকালের উক্তির সারকথা হলো, সেকালেও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হিন্দুস্তানে বসবাসরত হাতেগোনা মুসলমানদের নিজেদের মধ্য থেকে শাসক নিয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছিলো।
তাঁর মতে, সেকালে অনৈসলামী রাষ্ট্রে(খাযর, সারীর,লান,ঘানা,কঙ্গো)র অধীনে বসবাসরত মুসলমানদের সকলের অবস্থা ছিলো একই রকম। তার বক্তব্য হচ্ছে-মুসলমানদের উপর মুসলমানরাই শাসক হবে। এটাই স্বাভাবিক রীতি।এসব দেশে কুফরের প্রাধান্য সত্ত্বেও মুসলমানদের শাসক মুসলমানরাই নিযুক্ত হন।
ইবনে হাওকাল আরো বলেন- “এসব এলাকার মুসলমানরা কোন নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত মানতে প্রস্তুত হতো না, যদি না তাদের শাসুক মুসলমান হতো। তাদের উপর হদ্দ(ফৌসদারী দন্ডবিধি) অর্থাৎ যেনা-ব্যভিচার, মদ্যপান বা অন্য কোন অপরাধের শাস্তি প্রয়োগ অথবা তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান বা সাক্ষ্য প্রদান করানোর অধিকার মুসলমান ব্যতীত অন্য কারো নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মুসলমানদের সংখ্যা যতো কমই হোক না কেন।” (তারীখে ইবনে হাওকাল, পৃষ্ঠা ২২৮)
উপরোক্ত উদ্ধৃতিগুলো সারমর্ম হচ্ছে, যেসব এলাকায় মুসলমানরা সংখ্যায় নিতান্তই অল্প ছিলো, সেসব এলাকায়ও তারা মুসলমান ব্যতীত অন্য কোন সম্প্রদায় বা জাতি-গোষ্ঠীর শাসন মেনে নিতো না।
সময়ের কী পরিবর্তন! যে যুগে হিন্দুস্তানে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো হাতেগোনা, সে যুগে মুসলমানদের ওপর মুসলমানদেরই শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিলো এবং মুসলমানদের ওপর তাদের দ্বীন-ইসলামের বিধানই প্রয়োগ করা হতো- এতোটুকু ক্ষমতা তারা অর্জন করতে পেরেছিলো।
কিন্তু আজ হিন্দুস্তানে তাদের সংখ্যা কয়েক কোটি অতিক্রম করছে (চল্লিশ দশকের হিসাব)।অন্যদের বুঝানো তো পরের কথা স্বয়ং আমরা মুসলমানদেরও এ কথার ওপর একমত করা আজ আর সহজ নয়।
[সংগ্রহ: হাজার সাল পহলে;সাইয়েদ মানােযর অাহ্সান গিলানী; অনুবাদক-হাফেজ মুনির উদ্দীন অাহমদ]
©somewhere in net ltd.