নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সূদুর দিগন্তে হারায়ে খুঁজি অস্তিত্বহীন আমাকে

আমি বিধাতার রঙ্গে আঁকা এক অস্পষ্ট ছবি।

আসিফ আহমেদ মামুন

মগজ যতটা না কাব্যিক, তারচেয়ে বেশি যান্ত্রিক। আমি বিধাতার রঙ্গে আঁকা এক অস্পষ্ট ছবি।

আসিফ আহমেদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রনং অধ্যয়নং তপ:

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ছাত্রনং অধ্যয়নং তপ: অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা বা প্রধান কাজ, এ পড়াশোনাকে নতুন বছরের শুরুতে, নতুন উদ্যমে, নতুনভাবে শুরু করুন। পড়াশোনা, ভালো রেজাল্ট ঠিক রেখে আপনার জীবনের মিশন আর ভিশনের পথেও অগ্রসর হতে পারেন। এসব কিছুর জন্য চাই একটা বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা, তবেই একসাথে অনেক কাজ করা সম্ভব। বলা হয়ে থাকে ‘Plan is the half of done’ পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। ভালো পরিকল্পনা নিলেন তো কাজটা অর্ধেক হয়ে গেলো। বাকী কাজ বাস্তবায়ন নির্ভর। তবে বাস্তবায়নটা বছরের শুরু থেকেই করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর জীবনের গাইডলাইন হিসেবে নেয়ার মত কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরছি।



সময় অপচয় করবেন না :

সিদ্ধান্ত নিন, পরিকল্পনা করুন,- ‘সময়ের অপচয় করবো না’। এ সিদ্ধান্ত আর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন তো আপনি শত ভাগ সফল। সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে শিখুন তাহলে আপনি স্বাভাবিক ভাবেই আপনার জীবনকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে পড়াটা আজকে পড়া লাগবে তা কালকের জন্য রেখে দিবেন না। প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রেই এটি গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের ব্যবহারে সচেতন হোন বছরের শুরু থেকেই। সময়কে মূল্য দিন। সময়ের কাজ সময়ে করুন।



সিলেবাস আগেই শেষ করুন :

আপনি যে স্তরের শিক্ষার্থীই হোন না কেন, আপনার পরীক্ষার আগেই সিলেবাস শেষ করে ফেলুন। নতুন বছর সেমিস্টার শুরু হওয়ার সময় পড়াশোনার চাপ অনেক কম থাকে। ফলে এসময়ে ইচ্ছে করলেই আপনি কাজের বাইরে সিলেবাসের বাকী অংশটুকু শেষ করে ফেলতে পারেন। এজন্যে বছরের শুরু থেকে প্রত্যেকটি দিনকে ভাবুন। পরীক্ষার আগের দিন পড়বো পড়বো বলে শুরু থেকে হেলায়-ফেলায় সময় না কাটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষার সিলেবাসটি শেষ করুন। মাধ্যমিক বা প্রাথমিক স্তরে যারা পড়ছ তারা সামনের পড়া পড়তে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে শিক্ষক, বড় ভাই, পরিবারের কারো সহায়তা নিতে পারো, এটি সবার জন্যই প্রযোজ্য।



ইংরেজির প্রতি গুরুত্ব দিন :

পৃথিবী এখন প্রতিযোগিতার । জীবনের প্রত্যেকটি ধাপেই চরম প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হতে হয় সবাইকে। এ প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি কিন্তু ইংরেজি। আজকে ঢাকা শহরের প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা বলেন, ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন টেস্ট বলেন, চাকরির জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা, যে কোনো চাকরির পরীক্ষা, আর বিসিএসই বলেন সর্বক্ষেত্রে ইংরেজির আধিপত্য স্পষ্ট। ভালো ইংরেজি জানা ও বলা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য অতীব প্রয়োজন। এজন্য প্রাথমিক স্তর থেকেই ইংরেজিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার ইংরেজির ভিত্তিটা মজবুত হওয়ার জন্য চেষ্টাটা এখনই করতে হবে। এজন্যে প্রয়োজন অনুশীলন। ইংরেজিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রত্যেকদিন পড়ৃন। নতুন বছরে নতুনভাবে নিজেকে চিনুন।



রেজাল্টকে প্রাধান্য দিন :

একটা ভালো রেজাল্টই জীবন। আপনার ভালো রেজাল্ট আপনাকে এনে দেবে জীবনের নতুন ধারা। পড়াশোনার মাপকাঠি যেহেতু শুধু রেজাল্ট তাই ভালো করার পরিকল্পনা করুন বছরের শুরু থেকেই। গেলো বছরে আপনার রেজাল্ট যা হয়েছে আগামীতে যাতে আপনি এর চেয়ে অনেক ভালো করতে পারেন সে চেষ্টা করুন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে হলে ক্লাসে আপনার রোলটা ১ থেকে ৩ এর মধ্যে রাখুন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা গোল্ডেন জিপিএ-৫ এর জন্য নেমে পড়ুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা ফার্স্টক্লাস আর গ্রেড হলে ৩.৫০ এর মধ্যে আপনার রেজাল্ট রাখুন। দেখবেন আপনার ভবিষ্যতে চাকরির জন্য খুব বেশি অস্থির হওয়া লাগবে না। এজন্য প্রয়োজন পড়া। পড়া আর পড়া। শুরু করুন বছরে শুরু থেকেই।



ক্যারিয়ার ও পড়াশোনা :

প্রত্যেক মানুষেরই অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন দেখা ভালো। এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদিতে আপনি যে পর্যায়ে থাকুন তার প্রস্তুতি নিতে পারেন এখন থেকেই। যারা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নিচে আছো তাদের প্রথম টার্গেট ক্লাসে ফার্স্ট হওয়া, গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া। আর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট বা মেডিকেলে ভর্তি হওয়া। এর পরবর্তী স্তরে আসে ক্যারিয়ারের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে/অনার্সে/ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছেন, স্বপ্ন দেখছেন বিসিএস ক্যাডার হবেন। সেজন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন এখন থেকেই। প্রত্যেকদিন মূল পড়াশোনার পাশাপাশি একটা সময় রাখুন যখন বিসিএস এর পড়াশোনা করবেন। আপনার বিসিএস এর পড়াশোনা অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করলে আপনি নিশ্চিতভাবে হবেন বিসিএস ক্যাডার। সেজন্য সঠিক সিদ্ধান্ত বছরের শুরু থেকেই নেয়া জরুরি।



জানার জন্য পড়া, মানার জন্য পড়া :

ভালো রেজাল্ট, সুন্দর ক্যারিয়ার ইত্যাদির হাতছানির জন্য পড়বো ঠিকই, তবে পড়ার প্রধান যে উদ্দেশ্য জানা, জ্ঞান আহরণ করা এবং সেটা বাস্তব জীবনে পালন করা, যেন আমাদের থাকে । তবেই আমাদের সকল পড়া সার্থক। গোটা পৃথিবী জ্ঞানের সমুদ্র, এ জ্ঞানসমুদ্র পাড়ি দেয়া কারো পক্ষে সম্ভব না হলেও আমাদের সুন্দরভাবে জীবন যাপনের জন্য হলেও পড়া দরকার। আমাদের জীবন বিধান ইসলাম (অন্যরা তাদের ধর্ম), আমাদের দেশ, জনগণ, ইতিহাস, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় জানতেই হবে। সেজন্যে মূল পড়াশোনার পাশাপাশি অতিরিক্ত পড়াশোনা দরকার। তার জন্য পরিকল্পনা নেন বছরের শুরু থেকেই। সেটা হবে জানার জন্য পড়া, মানার জন্য পড়া।



শিক্ষার্থী হিসেবে এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আপনার পড়াশোনার জন্যও নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন।





সূত্র : কারেন্ট ইস্যু

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আলামিনস্টাইন বলেছেন: এই সবগুলো আমরা সবাই জানি।

কিন্তু মেনে চলতে পারিনা কোন ভাবেই। কি আর করা।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০২

আদনান মাহমুদ বলেছেন: মেনে চলতে পারিনা কারন এগুলোর সত্যিকারের গুরুত্ব বাস্তব জীবনে প্রবেশের আগে বুঝতে পারিনা। If we want to raise the quality of our life then we have to work smart.

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অর্থবান বলেছেন: পড়াশোনার মাপকাঠি যেহেতু শুধু রেজাল্ট

বাজে কথা

আপনে শুরুতে বললেন ছাত্রনং অধ্যয়নং তপ পরে বলছেন

ছাত্রনং রেজাল্টনং তপ

আবার শেষে বলছেন জানার জন্য পড়া, মানার জন্য পড়া

জাকে বালে উপহাস ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.