![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার অন্তিম পরিণতি আপনার কাজ দ্বারাই নির্ধারিত হয়, তাই এমন কিছু করবেন না যার জন্য ভবিষ্যতে পস্তাতে হয়।আত্মঅনুশোচনা একজনকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়। আর দিনশেষে লোকের কাছে নয় নিজের কাছে ভাল থাকাটাই ফ্যাক্ট।
মাঝে মাঝে চিন্তা করি , আমরা ছোট থাকতে পড়তাম , সকালে উঠিয়া আমি মনেমনেবলি আমি যেন সারাদিন ভাল হয়ে চলি । যদিও মোটেও ভাল ছিলুম না কিন্তু কবিতার আদর্শটা ঠিকই মাথায় গেথে গিয়েছিল ।
কিংবা সুনীতির মজার গল্প , ঈশপের গল্প কিংবা শিক্ষকের মর্যাদার মত মহান কবিতা ।। হয়ত মোরাল তখন পুরোপুরি বুঝিনি কিন্তু সৎ থাকা যে ভাল বা উচিত সেটা ঠিকই শিখতাম ।।
আর ঠাকুমার ঝুলির কথা তো বলাই বাহুল্য ।।
.
আর এখনকার ছেলে মেয়েরা যে কি হচ্ছে !! ঈশপের গল্প পড়ার টাইম আছে নাকি তাদের ?? আর কিছু হলে ফেবুতে সেলফি আর ভুরুং ভারুং ।। এছাড়া কতিপয় ছাগু আছে তাহার , গরিব মেয়ে ধনি বালক কিংবা ধনী বালিকার সাথ দরিদ্র বালকের প্রেমকাহিনী এত রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করে এবং পরিশেষে শিক্ষা দেয় বালুবাসাকে অবহেলা করা অনুচিত !! কিংবা কতিপয় অবাস্তব ঘটনা আর ছবির কালেকশন । এই মহৎ কার্যে কতিপয় ভার্চুয়াল পেপার যে ন্বিস্বার্থ সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই বিরল !!
এ থেকে ডিম থেকে ফোটা বাচ্চারা কি শিখছে ??
.
এইবার আসি নৈতিকতা , মূল্যবোধে ও শ্রদ্ধাবোধে ।
আমার দাদী/নানুরা নাকি স্বামীকে ভাত না দিয়ে নিজেরা কখনো খেতেনই না । আমার আম্মুর জেনারেশনে এই দূরত্ব ঘুচেছে , আমাদের পরিবারে আমরা সবাই একত্রে খাই । আম্মুকে দেখি তাহার বড় ভাইকে ভাইছাব ভাইছাব বলিতে জান কুরবান !!
সুতরাং শ্রদ্ধাবোধের এই ধারা আমাদের পরিবারেও বজায় রইল । ছোট আমাদেরকে অতি ছোটবেলাতেই কার সঙ্গে কেমন ব্যাবহার করতে হয় তা শেখানো হয়েছিল । বিশেষত সবাইকে আপনি বলা ও জবাবে , জ্বী বলা ।। আমি ভাগ্যবান আমার মা চাকরি করেন না । মায়ের আদরটা পেয়েছি পূর্নমাত্রায় । আমাদের দুষ্টুমিতে মা-বাবা কখনো বাধা হয়ে দাড়ান নি বরং আমরা কার সাথে মিশছি , কি করছি তার সজীব খেয়াল ঠিকই রাখত ।
.
এখন বাচ্চাদের কথা বলব, নাকি মা-বাবারা যে শিশুদের শিক্ষা দিতে ব্যার্থ সেটা বলব ??
মা-বাবা দুজনেই চাকুরীজীবি , সন্তান বড় হয় বুয়া কিংবা কাজের মেয়ের হাতে ।
এইবার আপনি বলুন যে শিশু কাজের মেয়ের হাতে বড় হয় সে কতটুকু নৈতিকতা কিংবা মূল্যবোধ শিখবে??
.
মা-বাবারা যখন এটা টের পায় , ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায় । ঘোড়ার লাগাম ছুটে যায় ।
এরপরই তো শুরু হয় পাঠ্যপুস্তক নামক টনিক গেলা ।। এই টনিক হজম করতে দলে যে খেলাধূলা করতে হয় , সেটা মা-বাবা পুষিয়ে দেন হাজার টাকার ট্যাব কিনে দিয়ে।।
.
মা-বাবার সান্নিধ্যহীনতা সবচেয়ে খারাপ পরিনাম কি জানেন ?? বাচ্চারা অসামাজিক হয়েযায় । সমাজে চলতে হলে যে মানুষের সাথে চলা-ফেলার কায়দা শিখতে হয় তা তারা বেমালুম ভুলে যায় ।
.
ভুল বল্লাম বোধহয় , এসব শেখারই কি দরকার , ততদিনেতোতাদের ফেইসবুকে হাজার ফ্রেন্ড হয়ে যায় ।
.
সর্বশেষ পতনটা হয় , মা-বাবর তাদের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে ।
অথবা অতিরিক্ত শাসন । ফলশ্রুতিতে গুটিবাজি !!
,
আমি হলপ করে বলব , ইদানিংকার ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলুর বচ্চারা যে কাজ করেছে তা পারিবারিক শিক্ষা না দেয়ার জন্য নয় বরন্ঞ মা-বাবার আড়ালে যা শিখেছে সেটার জন্যই
.
এসব সমস্যাই পুরনো , এবার সমাধান খুজতে হবে ।
আগেরদিনের রাজা-রাজরা , শিক্ষক রাখতেন স্রেফ রাজার নিয়ম-কানুন , আদব-কায়দা শেখাতে । এখনকার মা-বাবর তো সে অর্থ/সময় কোনটাই নেই , সুতরাং একজনকে অবশ্যই এসব শেখানোর দায়িত্ব নিতে হবে ।
.
সরকারের আইন করা উচিত যে , সন্তানকে যথাযথ ভাবে গড়ে তোলবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তবেই যেন সন্তান জন্ম দেয় ।
নতুবা দরকার নেই সেই সন্তানের যে মায়ের উষ্ঞ ভালবাসা আর বাবার রাগান্বিত চেহারার পেছনের ভালবাসাকে চিনবে না ।
.
একটা কথা দিয়ে শেষ করি , ছোটবেলাষ শুনতাম , শিক্ষা হচ্ছে আলো যা সত্য-মিথ্যার পার্থক্য শেখায় ।
যে শিক্ষা গ্রহন করে শিক্ষার্থীরা সত্য-মিথ্যার পার্থক্য জেনে মিথ্যা বেছে নেয় , সে শিক্ষার স্বার্থকতা কোথায় ??
©somewhere in net ltd.