নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শুদ্ধচারী হতে চাই।টুকটাক লিখি আর বিজ্ঞানের ভক্ত।তাই আমি মানুষের আবেগ ও অনুভূতি সম্পর্কিত পোস্ট দিতে বেশি পছন্দ করি।আমি বিশ্বাস করি কোন লেখাই দুনিয়া পরিবর্তন করতে পারে না যদি না আপনি সেটার মূলমন্ত্র ধরতে ও নিজের উপর এপ্লাই করতে না পারেন।

নিসঃঙ্গ গ্রহচারী

আপনার অন্তিম পরিণতি আপনার কাজ দ্বারাই নির্ধারিত হয়, তাই এমন কিছু করবেন না যার জন্য ভবিষ্যতে পস্তাতে হয়।আত্মঅনুশোচনা একজনকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়। আর দিনশেষে লোকের কাছে নয় নিজের কাছে ভাল থাকাটাই ফ্যাক্ট।

নিসঃঙ্গ গ্রহচারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টার জলসার আগমন ও দেশজ শিল্পের আক্ষেপ!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০০

প্রসঙ্গ স্টার জলসা/জি বাংলা,


এমন এক সময়ে এসে দাড়িয়েছি এ নিয়ে কথা না বললেলই নয়, আমি এ পোস্টে শুধু স্টার জলসা লোকে কেন দেখে এর কয়েকটি লজিক দেখানোর চেষ্টা করেছি পাশাপাশি এর কয়েকটি দিকও বলেছি।


স্টার জলসা/জি বাংলা এদেশে এত জনপ্রিয় কেন?

১. দীর্ঘ মেয়াদী বিনোদন :- ম্যাক্সিমাম টিভি চ্যানেল যেসব অনুষ্ঠান রয়েছে তা একটানা দেখা বোরিং, যেমন খবরের চ্যানেল না মুভি চ্যানেল এসব সারাদিন ধরে দেখা কষ্টকর+বোরিং, আর ডিসকভারি বা অন্যান্য ক্যাটাগরির চ্যানেলগুলুর সাথে বয়সের একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।।

এদেশে সারাদিন ধরে টিভি সাধারণত বয়স্করাই দেখে, আর একটা বয়সে গিয়ে তরুণদের মত খেলাধুলা বা গান বা মুভি দেখতে তেমন ভাল লাগে না, আর যেহেতু টিভি প্রতিদিন দেখা হয় তাই এমন কিছু দরকার যা প্রতিদিন দেখতে ভাল লাগে পাশাপাশি মজাদারও।

সিরিয়াল এক্ষেত্রে পারফেক্ট, দীর্ঘ মেয়াদী, মজাদার, আকর্ষণীয়।।

এখন আসি,
স্টার জলসা/ জি বাংলার সিরিয়ালই কেন :- মানুষ টাকা দিয়ে ডিশ কিনে যাতে আকর্ষণীয় কিছু দেখতে পারে, বাংলাদেশি সিরিয়ালগুলু যা দেখায় ওতে আমাদের আশেপাশের স্পট ব্যাবহার করে, অন্যদিকে স্টার জলসার শুটিং সেট গুলি অধিক জাক-জমক, সুদর্শনীয়!



বিজ্ঞাপন : স্টার জলসায় এক ঘন্টায় বিজ্ঞাপন দেয় ৪ টি ( প্রতিটি ৩-৪ মিনিট করে) অন্যদিকে বাংলাদেশী চ্যানেলের বিজ্ঞাপনের নির্দিষ্ট কোন শিডিউল নেই, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা দেখার মুড নষ্ট করে দেয়।।



স্টার জলসা / জি বাংলার সিরিয়ালের কিছু দিক :

ওদের সিরিয়ালে নারী নির্যাতন বা পারিবারিক বৈষম্যের যে দিক তোলে ধরা হয় তা অধিকাংশেই ঠিক,
কিন্তু এরা যেভাবে শাশুড়ি বউ বা স্ত্রী স্বামীর ঝগড়া দেখায় তা এক কথায় কুরুচিপূর্ণ । নাটকে নাটকীয়তা থাকবেই তাই বলে দীর্ঘমেয়াদী সিরিয়াল কিন্তু দর্শকদের উপর প্রভাব ফেলে । তাই দিনের পর দিন একটি পরিবারের মিলমিশ বা নায়িকার সম্পূর্ণ নিষ্পাপ চরিত্র দেখার চেয়ে কিন্তু পরিবারটির ঝগড়া দেখে যাওয়া বা ভিলেনের ভিলেনগিরী দর্শকপ্রিয়তা পায়।

অধিকাংশ সিরিয়ালের কাহিনী গাঁজাখুরী, ট্রু লি, পুরনো বাংলা সিরিয়ালের সভ্য রূপ!!!

এগুলু বাংলার গিন্নীদের অতি কল্পনা প্রবণ বানাচ্ছে যা উনারা উনাদের বাস্তবে এপ্লাই করতে যান আর বড় সরো ধাক্কা খান !!!

পরচর্চা শেখার জন্য সিরিয়ালগুলুর চেয়ে উত্তম কিছুই নেই!!

পরকীয়া কখনোই আমাদের সংস্কৃতির অংশ ছিল না! কিন্তু এখানে ভালবাসার নাম করে যেভাবে পরকীয়াকে শুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে তা অসভ্যতা ছাড়া কিছুই নয়।

অধিকাংশ সিরিয়ালে দেখানো হয়, বাড়ির বড়রা হচ্ছে ভিলেন নায়িকার পথের কাটা আর নায়িকা ধোয়া তুলসি পাতা, এতে দর্শকরা যে দিন দিন প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে ফেলছে বুঝতে পারছেন??

বাস্তবে কি তাই??

সব সময় শিখে আসছি গুরুজন দেব সমূতুল্য! আর সিরিয়ালগুলুতে গুরুজনদের ভিলেন হিসেবে দেখানো হচ্ছে,

হ্যা দুই একজন খারাপ হয়ত আছে বা এইটা তো সত্যি না, এরা অভিনেতা কিন্তু দুইটি চ্যানেলের, ২০ টি সিরিয়ালেই যখন বড়দের ভিলেন হিসেবে দেখানো হয় এটা দুশ্চিন্তা হয়ে দাড়ায়।।

তবু স্রেফ কাহিনী বাজে হলেও ওদের ব্যাবসা পলিসির জন্য চ্যানেলগুল এত জনপ্রিয়।।


এবার আসি বাংলাদেশী চ্যানেল প্রসঙ্গে,

সব চ্যানেলই যে খারাপ চলছে তা নয়, এমন হলে তো তারা ব্যাবসা করতে পারত না। এছাড়া কয়েকটি চ্যানেল আছে সত্যই ভাল জনপ্রিয় যেমন সময় টিভি, যমুনা নিউজ বা গান বাংলার নিয়মিত দর্শক শ্রেণি রয়েছে, আর বাকিগুলু দেখা হয় কিন্তু নিয়মিত না।। বাংলাদেশী যে সিরিয়ালগুলু চলে ওইগুলু কিন্তু চলছে আর এদের দর্শক হচ্ছে প্রধানত তরুণ সমাজ।।

আর এরা মোটেও আমদর্শক নয়, কারণ ওরা সর্বোচ্চ ২০-৩০% হবে!!

সত্যি বলতে কি অধিকাংশ স্টার জলসার বাংলাদেশী দর্শকরা ঈদ ছাড়া নিজেদের দেশী সিরিয়াল খুব খুব কম দেখে।।

বিদেশী চ্যানেলের দর্শক ফিরিয়ে আনতে হলে, চ্যানেল বন্ধ করে লাভ হবে না, বরং ওদের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যাবসা করতে হবে, চ্যানেলের অনুষ্ঠান স্রেফ দেশীয় গন্ডীতে রাখলে হবে না, বাইরের দর্শকরাও যাতে দেখতে পারে এমন অনুষ্ঠান রাখতে হবে।।

নকল নয় কিন্তু চমকপ্রদ ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু অনুষ্ঠান করতে হবে।
বাংলাদেশের ফিল্ম/নাটক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ভাল ধারণা নেই তবে যদ্দুর বুঝি এদেশের অভিনেতাদের প্রফেশনালিজমের খুব অভাব অথচ যারা প্রফেশনালি কাজ করছে তারাই এখনো টিকে আছে, অভিনয় করছে।।



আর অনুষ্ঠান ভাল না হলে, দেশ প্রেমের দোহাই দিয়ে দর্শক ধরে রাখা যাবে না।।


[ সবটাই আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে লেখা, আমি হয়তো সার্বিক দিক তুলে ধরতে পারিনি এজন্য ক্ষমাপ্রার্থি, আর যুক্তিতে দূর্বল অংশ থাকলে তা খন্ডানোর জন্য সাদরে আমন্ত্রণ ☺☺ ]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালোপর্যবেক্ষণ

চলতে থাক স্টার জলসা, জি-বাংলা।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :|| স্টার জলসা, জি বাংলা বন্ধ করার কোন দরকার নেই বরং তাদের ব্রডকাস্টিং এ বিভিন্ন টা+র+ম+স এবং ক ন্ডিশন এপ্লাই করা যেতে পারে।

আর, যে সমস্ত সু-চীল তাদের পা চাটে তাদের তাদের গালে কষাঘাত করা যেতে পারে। কেন কষাঘাত করবেন তার দু' একটি কারণ বলছি:

আতেল শ্রেণি অভিযোগ করে, ভারত আমাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতি আগ্রাসন চালাচ্ছে।
তাদের বুঝতে হবে, ভারতের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার নাটক সিনেমায়, মিনিটে মিনিটে পুজা আর্চনা সংগে সংগে নায়িকা সেলিব্রেটিদের বুক আর পেটের কাপড় সরিয়ে দ্রুত তালে কোমর ঘুটার প্রসার ঘটাচ্ছে যাতে গরীবেরা ধর্ম সাম্প্রদায়িকতা আর নগ্নতাতে মজে থাকে । এটা ভারতের রাষ্টীয় পলিসি, যা টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে এপ্লাই করে থাকে!

এই আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার ক্ষমতা কিন্তু তাদের (যারা বলছে আগ্রাসন চালাচ্ছে) নেই। তারা কোন কার্যকরী পদ বাতলাতে পারছেন না। দু’একটা বিক্ষিপ্ত কথা বলছেন যা পর্যান্ত নয়।

আবার, আমাদের দেশে বামপঞ্থী এবং কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি তারা নিজেকে সাংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে পরিচয় দেয়। কিন্ত বাস্তবে তারা চলে উল্টোটা। তারা রবীন্দ্র কিংবা নজরুল স্বরণ/মৃত্যু/জন্ম দিবসে কপালে বড় বড় টিপ পড়ে, সুপার সপ থেকে দামি শাড়ি আর ব্লাউজ পড়ে সাস্কৃতিকমা সেজে শহীদ মিনার কিংবা সিম্পজিয়াম অথবা কোন সেমিনারে যায়। সেখানে গিয়ে আ………আ…….. করে দু’একটা রবীন্দ্ কিংবা নজরুল সংগীত গেয়ে মৌলবাদীদের চৌদ্ধ গৌষ্ঠী উদ্ধার করে। সব সমস্যার মূল মৌলবাদীরা, দেশে আর কোন সমস্যা নেই। সেগুলো আবার মিডিয়াতে হাইলাইট করে প্রচার হয়। ফলে তাদের নাম ধাম বাড়ে, সমাজে পরিচিতি পায়। নিজেকে অস্প্রাদায়িক হিসেবে জাহির করতে চায়। কিন্তু তাদের ঘরের সন্তানরা য়ূরোপ আম্রেরিকার প্যান্ট, কোর্ট, টাই পড়ে, তাদের মোবাইলে বেজে উঠে, ধুম্বা চলে…………………. অথবা আশিক বানায়…………। এব্যাপারে কোন সময় কেউ যদি জিঙ্গেস করে তাহলে বলে, “ওরা বড় হয়েছে, ওদের স্বাধীনতা আছে নিজের পছন্দের অপছন্দের”। তাহলে ওরা আপনার থেকে কি শিক্ষা পেল? যেখানে নিজ সন্তানই আপনার কৃত্রিম শিক্ষা গ্রহন করতে পারল না সেখানে অন্যের ছেলেরা কিভাবে পারবে। জাতির স্বাথের আপনাদের দালালির করতে লজ্জা করেনা!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নিসঃঙ্গ গ্রহচারী বলেছেন: ভাল বলেছেন (y)

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি ক্ষমতায় গেলে টক শো বন্ধ করতাম আর এসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের হাউস এরেস্ট করতাম...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.