![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার অন্তিম পরিণতি আপনার কাজ দ্বারাই নির্ধারিত হয়, তাই এমন কিছু করবেন না যার জন্য ভবিষ্যতে পস্তাতে হয়।আত্মঅনুশোচনা একজনকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়। আর দিনশেষে লোকের কাছে নয় নিজের কাছে ভাল থাকাটাই ফ্যাক্ট।
নিজেদের স্ট্যাটাস নিয়ে মধ্যবিত্তদের খুব হেজিটেশনে থাকতে হয়।। অর্থভিত্তিক এই সমাজে, যথেষ্ট সম্মান নিয়েও এরা মানুষের মত বাচতে পারে না।।
ঢাকা ভার্সিটিতে পড়া প্রতাপশালী ভাইটিও বাড়িতে গিয়ে নিজের বোনের সাথে সেলফি ফেসবুকে দিতে পারে না, বাড়ির চালাটা যে ভাঙা !
ইডেনের সবচেয়ে মিশুক আর আড্ডাবাজ আপুটাও কখনো তার বান্ধবিদের বলতে পারে না, দোস্ত আমাদের বাড়ি চলিস। নিজের খরচ চালাতেই হিমশিম খেতে হয়, সেখানে বাবার ঘাড়ে এতগুলা বান্ধবির চাপ কিভাবে দেই।
সবাই যখন নিজের প্রোফাইল পিকে আইফোন লোগোটা দেখিয়ে ছবি আপলোডাতে ব্যাস্ত সেখানে এই মধ্যবিত্তের দল , দুই চোখে বিতৃষ্ণা নিয়ে সেগুলুতে লাইক দেয়।।
সবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভর্তি হওয়া ভাইটা আর দুবছর পর ডাক্তার হবে, এখনো তার ফেসবুকে বাঘ,ভাল্লুক আর খেলার ছবি দিয়ে ভরা।তিনি আশায় বুক বেধে আছেন ২ বছর পর ডাক্তার হয়ে , ভাল মোবাইল দিয়ে তবেই প্রোফাইল পিকে নিজের ছবি দেবেন।।
কেন এই বৈষম্য?? কেন আমরা যার যা আছে, সেটাকেই সুন্দর ভাবতে পারি না??
কেন, কৃষক বাবার বুয়েটে পড়া ছেলের যোগ্যতা কি কম?? তবু কেন তাকে তার বাবার পরিচয়, বাড়ির অবকাঠামো নিয়ে চিন্তা করা লাগে??
যার সৌন্দর্য যেমন তাকে সেই অবস্থাতেই উপভোগ করা কি শ্রেয় নয়??
সমাজ ধনতান্ত্রিক তাই বলে, নৈতিকতা সেটাও কি ধনের সাথে সাথে বিলুপ্ত হচ্ছে???
চায়ের দোকানদারের ছেলের আচরণেও সবাই তার প্রশংশা করে আবার জজ বাবারও মদ্যপ ছেলে থাকে,
নৈতিকতা বিষয়টা আসলে বই থেকে শেখা যায় না , এটি আদিম যুগ থেকেই একজন মানুষ তার বংশধরকে ছোটবেলাতেই শিখিয়ে দেয়, আর তার সার্থক প্রয়োগ করতে হয় বড় হয়ে।।
এখন সময় এসেছে বদলাবার। উন্নত দেশগুলু স্রেফ টাকার জোরেই উন্নত হয় নি বরং এদের সমাজ ব্যবস্থা উন্নত ছিল বলে, যুগে যুগে সংকটময় অবস্থাও এরা পাড়ি দিয়ে এসেছে।।
তাই সবার প্রতি সবসময়ই আহ্বান থাকবে, আমরা কখনোই যেন, ধন-সম্পদকে মানুষের চেয়ে বেশি মুল্য না দেই, নতুবা ধন কমুক এমন এক সমাজের সৃষ্টি হবে যা রোধ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের দেশে এখন বিপ্লব চলছে; অ+র+থ-নৈ+ তি+ক ও প্রযুক্তির বিপ্লব। তাই এর সাথে মানুষের তাল মিলাতে সমস্যা হচ্ছে। যেটা ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের সময় হয়েছিল। সৃষ্ট এই স মস্যা কে মোকাবেলা করার জন্য য়ূরোপে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও আইন প্রনয়ন এবং সেগুলো বাস্তব প্রয়োগ হয়েছিল। উদাহ রণ হিসেবে ১৮৩২ সালের দরিদ্র আইনের কথা বলা যেতে পারে, সেটি হয়ে ছিল ইংল্যান্ডের আইন সভায়। ফলে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষিতে য়ূরোপে সামাজিক ও অথনৈতিক রেনেশা সৃষ্টি হয়ে ছিল। কিন্তু আমাদের দেশে তা করার সময় কই! গলাবাজি করেই ত' সাড়তে পারে না!
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৮
নকটারনাল বলেছেন: আপনার লেখাটা কেন জানি হৃদয়ে নাড়া দিয়ে গেল ।আমাদের দেশে সাধারন ঘরের অনেক ছেলেমেয়ে আছে যারা দেশের সেরা বিদ্যাপীঠেগুলোতে পড়াশোনা করেন কিন্তু অনেক কিছুই মন চাইলেও করতে পারেন না। ভালো একটা শার্ট, পেন্ট বা জুতা কিনে পড়তে পারেন না। নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় অদম্য পরিশ্রম করে দুপয়সা আয় করা পরিবাবের উপর।
আশা একটাই সে একদিন বড় কিছু হবে । সমাজে তাঁর পরিবারের মাথা উচু করবে ।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
আহা রুবন বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল। আমরা শিশুদের মত রসগোল্লার চেয়ে হাওয়াই মিঠাইয়ের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছি!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ঢাকা ভার্সিটিতে পড়া প্রতাপশালী ভাইটিও বাড়িতে গিয়ে নিজের বোনের সাথে সেলফি ফেসবুকে দিতে পারে না, বাড়ির চালাটা যে ভাঙা ! "
-এই শ্রেণী মধ্যবিত্তের মাঝে পড়ে না, এটা দরিদ্র শ্রেণীতে পড়ে; আপনারা দেশের প্রকৃত ফাইন্যান্স ও অর্থনীতি সঠিকভাবে বুঝতেছেন না। সরকারও পাম্প দিয়ে এদের খুশী রাখছে।