![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আজকের একটি ছোট্ট অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনাদের একটি বিষয়ে অবহিত করতে যাচ্ছি। আমি আজ ডিবিবিএল এর এটিএম বুথে টাকা তুলতে যাই। গিয়ে দেখি একটি ১৮-২০ বছরের ছেলে বুথের সব কয়টা মেশিনে বার বার টাকা তোলার জন্য চেষ্টা করছে। একটা পর্যায়ে ওখানকার ইনচার্জ ছেলেটিকে বলে ১০০ টাকার নোট নাই। আরো বলে ১০০টাকার নোট এখন থেকে আর পাওয়া যাবে না। ছেলেটির মুখ মলিন। মলিন মুখ দেখে আমার ছেলেটির প্রতি মায়া হয়। আমি তাকে তার মন খারাপ সম্পর্কে জানতে চাইলাম।
জানতে পারলাম ও একজন স্টুডেন্ট। ওর ডিবিবিএল একাউন্টে ৮৭৪ টাকা আছে। যা থেকে ৩০০টাকা তুলতে পরার কথা। আর ওর পকেটে আছে ১২টাকা। বাড়ী থেকে মাসের ১০ তারিখ ওর একাউন্টে টাকা পাঠায়। এ মাসে ওর বাবা বলেছে ১৫ তারিখের আগে টাকা পাঠাতে পারবে না। ছেলেটি ম্যাচে থাকে। খাওয়া দাওয়া করে হোটেলে। আমি ওকে ২০০টাকা দিলাম ধার বাবদ। ও বললো “ভাইয়া আমি আপনার টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো”। আমি মোবাইল নম্বর দিয়ে বললাম যখন টাকা হাতে আসবে তখন আমার নম্বরে পাঠিয়ে দিও।
কিন্তু কেন এই ভোগান্তি?
১০০টাকার নোট যদি বন্ধ করে দেয়াই হোয় কিংবা সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে তা কি কোনো মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্পষ্ট ভাবে জানানো যেতো না? দেশে কি ১০০টাকার নোটের কি অভাব পড়েছে। আমরা এটিএম কার্ড ব্যবহার করি যাতে ২৪ ঘন্টা টাকা পাওয়া যায় আর ১০০টাকা সর্বনিন্ম তোলা যায় এই কন্ডিশনে। ব্যাংক আমাদের আমানত যথা নীয়মে দিতে বাধ্য। কিন্তু কেনো এর উল্টোটা ঘটছে?
আমি জানি বুথের অনিয়ম নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এমনকি জাল টাকাও বুথ থেকে বেড় হয়ে আসে। বুথে টাকা থাকে না। নেটওয়ার্ক সমস্যা। কার্ড আটকে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ সমস্যার প্রতিকার কি?
এই লিংকটি দেখুন এখানে এখনও ১০০টাকার কথা বলা আছে। যদি ১০০টাকার নোট বুথ থেকে আর দেয়ার ইচ্ছে না থাকে তাহলে মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানোর জন্য ডিবিবিএল কর্তৃপক্ষকে অনূরোধ করছি। অহেতুক মানুষকে হয়রানি করা অন্যায়।
আজকের ঐ ছাত্রটির মলিন মুখ কোনোদিন ভুলতে পারবো না। হয়তোবা ছেলেটিকে না খেয়ে থাকতে হতো। এই না খেয়ে থাকার দ্বায়ভার কে নেবে?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০০
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: একমত পোষন করছি।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৬
নীলতিমি বলেছেন: একশো টাকা আসলেই উঠায় দেয়া উচিত বুথ থেকে। এখন আর একশো টাকার তেমন কোনো মূল্য নাই তাছাড়া এগুলো বুথের অনেক সমস্যা করে !
আর একশ টাকা ওঠানোরই বা দরকার কী। যার ৩০০ টাকা দরকার সে ৫০০ টাকা ওঠালেই পারে!
ভালো সার্ভিস দেয়া টাই আসল। যদিও তারা সেটা কোনোভাবেই পারছে না।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ১০০ হোক আর ৫০০ হোক সেটা স্পস্ট থাকতে হবে।
আমরা চাই নির্বিচ্ছিন্ন সেবা।
যদি ৫০০টাকা সর্বনিন্ম হয় মানুষ ৫০০টাকার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাংকে যাবে।
১০০টাকার সেবা চালু থাকা অবস্থায় যদি সকল বুথে একসাথে ১০০টাকা পাওয়া না যায় সেটা কি প্রতারণার পর্যায়ে পড়ে না?
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৪
রাখালছেলে বলেছেন: ভাই আমিও চুড়ান্ত বিরক্ত হয়ে গেছি । একদিন দেখি এক নিয়ম পরেরদিন দেখি আরেক নিয়ম । চুড়ান্ত বিরক্ত গেছি । টাকা নাই , মেশিন বন্ধ , নেটওয়ার্ক নাই , রিসিট নিলে টাকা লাগবে , ব্যাংক জামানত ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা (চেষ্টা করে পারে নাই ) , সময় অসময়ে টাকা থাকে না , ঢাকার বাইরে বুথ এ আইপিএস নাই । এখন আর যাই না ডাচ এ ।যদিও একসময় আমি এই ব্যাংকের ভক্ত ছিলাম । সবাইকে এই ব্যাংকের কথা বলতাম। এইরকম হবে কখনও ভাবতে পারি নাই । আসলে একসময় তারা বিনিয়োগ করেছে আর এখন তারা ব্যবসা করছে । যদিও আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা ডাকাতি । বাংলাদেশ ব্যাংক খবরদারি করবে বলে মনে হয় । ততদিনে হয়ত অনেক টাকা তারা বাজার থেকে তুলে নিবে । তারপর আর কি .........!!!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৩
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আসলে ব্যাকিং সেক্টরকে এই সময়ে আমরা সুশিক্ষা না দিতে পারি পরবর্তিতে তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। এমনিই ২ থেকে ৫ লাখ টাকার চেক নিয়ে গেলেও অনেক সময় একদিন পরে আসতে বলে। ব্যাংকে যে তারল্য সংকট চলছে তা কবে শেষ হবে কে জানে?
আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন করছি।
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৬
বাজপাখি বলেছেন: আজ আমি ১০০ টাকা তুলতে গিয়ে শুনি, ১০০ টাকা ঈদের আগে থেকে দিচ্ছে না। কবে দিবে তাও বলতে পারল না। শুনে তো আমি একবার
আরেকবার
আবার
তারপরে
সবশেষে
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আগে নোটিশ না দিয়ে, এগুলো করা কি ঠিক?
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৪
রাখালছেলে বলেছেন: আমার দেখা সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যাংক হল এখন ডাচ বাংলা ব্যাংক ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৩
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেবার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৩২
পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: ্ডাচ বাংলা নিয়ে বেশ কিছুদিন আগেও ব্লগ গরম হইস্লো। ঐ সময় ব্যপক গালিগালাজ কর্ছিলাম। এখন আর ভালো লাগে নাহ। দেশে ব্যাংকের অভাব নাই। আর ৮০০ টাকা থাকলে ৫০০ টাকা তুলতে উনার সমস্যা কি? নাকি বাংলা ছবির বাবা-মায়ের কসমের মত ৩০০ টাকাই তুলতে হবে?
তারপরও চেক বই বলে একটা জিনিষ আছে। সেটারও সদ্বব্যবহার করা যেত।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪০
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ডিবিবিএলের বেশীর ভাগ কর্ড হোল্ডারেরই চেক বই নেই। তাদের ট্রানজিকশনের পরিমাণ কম। আর নিন্মতম ৫০০টাকা কখনই ওঠানো যায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৭
হারুনরশিদ বলেছেন: এখন হয়রানি আর জালিয়াতির আরেকটি নাম ব্যাংক। যেখানে স্বয়ং অর্থমন্ত্রী বলেছেন ৪ হাজার কোটি টাকার চুরি তেমন কোন সমস্যাই নয়। তাহলে এটা আর কি এমন সমস্যা। ভাই তারা যদি বুঝতে পারতো ১০০ টাকা আমাদের জন্য কত মহামূল্যবান তাহলে কি আর এ সমস্যা হতো। কথায় বলে না- ফকিরের নাই শরম (লজ্জা) আর চোরের নাই ধরম (ধর্ম) আর বলে চোর শুনেনা ধর্মের কাহীনি। তাইতো আজ ভাল কথা কে শুনবে! আমার চোখে পড়ে না।- এর পরও বলি প্রত্যেকটি অন্যায়ের, হয়রানির প্রতিকার হওয়া উচিত।