![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
এক সময় মনে হয়েছিলো যুদ্ধ অপরাধীর বিচার এই দেশে সম্ভব না। একদিকে নিজামী, মুজাহিদ এর গাড়ীতে জাতীয় পতাকা উড়ছে অন্যদিকে শহিদ পরিবারের জীবন সংগ্রামে কোন মতে বেঁচে থাকা। ৭১ সাথে বরিশালের শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক "আব্দুর রহমান বিশ্বাস" দেশের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত হয়েছিল। বহুবছর ব্যাংকিং সেক্টরে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থান দখল করা ইসলামী ব্যাংক যা জামাত ইসলামী নামের কলংকিত দলটির মালিকানায় চালিত।
এর মাঝে জাহানারা ইমামের "ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি" এর কার্যক্রম দেখে মনে হয়েছিল এই দেশে রাজাকার আলবদররা শুধু থাকবে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে স্কুলের ছেলেপানদের যেমত খুশি তেমন সাজোর অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যা দেখে চিহ্নিত যুদ্ধ অপরাধীরা হাত তালি দিবেন এবং বাচ্চাদের পুরষ্কিত করবেন।
কিন্তু পাপ শুধু বাপ কেনো দাদাকেও ছাড়ে না। তারই প্রমাণ আমরা আজ বিশ্বকে দেখাতে পারছি।
যাই হোক, প্রসংগে আসি। হুমায়ূন আহম্মদের প্রায় সব বই স্কুল জীবনে পড়ে ফেলেছিলাম (তখন পর্যন্ত প্রকাশিত)। তাঁর সেই পিটিশনের গল্পটি পড়ে খুব খারাপ লাগত। মনে হত অসম্ভব। কিন্তু আজ? সেই পিটিশনের গল্প লেখা মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নেই। যিনি আমাদের নিয়মিত উৎসাহ দিতেন আজ তিনিই পরলোকে। খুব মিস করছি হুমায়ূন আহমদ স্যারকে। এত সুন্দর সহজ ও হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশির মায়াবী সুরের মত কে আমাদের আর কাছে ডাকবে। কে আমাদের দুঃখকে ভুলিয়ে দেবে। দেখো হুমায়ূন তোমার অভাগা দুর্বল ছেলেরা আজ কত সবল। দেখো দেখো হুমায়ূন আজ শাহবাগে আমরা কিভাবে তোমার পিতার জীবনের বদলা নিতে একত্রিত হয়েছি। আজ আমাদের ঘুম ভেঙে গেছে। তোমাদের পরিশ্রম বৃথা যায় নি। তোমরা সুক্ষ ভাবে আমদের জাগাতে চেয়েছিলে। এতদিন বুঝিনি আজ আমরা ঠিকই বুঝেছি একটি শহিদ পরিবারের বেঁচে থাকার জ্বালা কতখানী।
জানো হুমায়ূন আমি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখতাম আমার নানা আব্দুর রশিদ সরদার কে যে পাকিস্তানীরা মেরেছে তাদের পাকিস্তান গিয়ে নিজ হাতে খুন করে আসব। নানার জন্য আমার মায়ের কান্না আমার মায়ের কান্না আমার সহ্য হত না। কিন্ত দেখো সেই পাকিস্তানির চেয়ে বেশী অপরাধী যিনি আমার নানাকে পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিলো। আজ তাদের ফাঁসির কাস্টে ঝুলে মৃত্যু দেখতে পাবো। তুমি থাকলে আরও ভালো হতো।
দেখো হুমায়ুন এই বিচারই শুধু শেষ নয়। এরপর দেখবে সেই পাকিস্তান আমাদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেই। দেখো হুমায়ুন কারও উপর অবিচার করলে তার নিজের ঘরেই অশান্তি হয়। তার বড় প্রমাণ বর্তমান পাকিস্তান। আল্লাপাক তোমাকে শান্তিতে রাখুন। তোমার স্বাধীন চেতা মত নিয়ে পরপারেও তুমি বড় কিছু করবে এ আমার মনের একান্ত বিশ্বাস।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আজ হুমায়ুন আহমেদ থাকলে অবশ্যই শাহবাগে আমাদের সাথে বসে থাকতেন। তিনি না এসে পারতেন না। যতই অসুস্থ্য থাকুন না কেনো। কিন্তু আজ এই সুখের দিনে তিনি নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: লেখায় +++