নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার বনাম নাস্তিকতা!!!

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

আপনি আমি ব্লগার। কিন্তু বাংলাদেশে ক’জন ব্লগার? প্রথম যেদির জুমার পর ব্লগারদের নাস্তিক বানিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব মসজিদে মসজিদে মুসুল্লিদের হাতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। তখন সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমেছিলো। মিসিল করেছিলো নাস্তিক/ব্লগারদের বিরুদ্ধে। মজার ব্যাপার সেই মিসিলকারীদের ৯৯% লোকই জানে না ব্লগ জিনিসটা কি? তারা ব্লগ কখনও দেখে নি। ব্লগ বা ব্লগার কথাটির সাথে সেদিনই হয়তো তাদের প্রথম পরিচয়। আমাদের মনে রাখতে হবে সামু কিংবা অন্য ব্লগে আমরা যারা ব্লগ লিখি বা পড়ি তার চেয়ে সাধারণ মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। এত এত লিফলেট বিতরণ হল। যার দরুন এত এত মানুষের ধর্মীয় আবেগ ফুলে ফেপে উঠলো সেই লিফলেটগুলো এত অল্প সময়ে এত কপি কোথায় প্রিন্ট হলো কিংবা এতো লিফলেট এত সুষ্ঠ ও সুচতুর ভাবে কিভাবে বিতরণ হল?



এবার মূল প্রসংগে আসিঃ আমাদের দ্বায়িত্ব হল সাধারণ মানুষের ভুল ভেঙে দেয়া। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব। এখন যদি সাধারণ কাউকে নাস্তিকের সমর্থক শব্দ লিখতে বলা হয় সে হয়তো অকপটে নাস্তিকের সমর্থক শব্দ হিসেবে ব্লগার কথাটি লিখবে। এজন্য দায়ী কারা। শুধু কি জামায়াত শিবির। ব্লগাগণ কি মোটেও দায়ী নন? সবচেয়ে অবাক হয়েছি একসময়ে রেটিনা কোচিং এর মাধ্যমে মেডিকেলে চান্স পাওয়া ও শিবির কর্মী ডাঃ ইমরানের উত্থান দেখে। তার সম্পর্কে আমি আগেই লিখেছি। ইচ্ছে হলে এই লিংকে দেখতে পারেন।

আমরা জানি ব্লগ একটি ডায়েরীর মত। যদি কেউ দুঃখ পেয়ে তার ডায়রীতে লিখে “আল্লাহ বড় সৈরাচারী ও কৃপন সে আমার প্রেমিকাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলো কেনো?” এটা কি নাস্তিকতা? মোটেও না কারও মন কিংবা ব্যাক্তিগত ডায়রীতে সে যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারে তাতে কার কি ক্ষতি? এভাবে কি কেউ সাধারণ মানুষকে বলেছে বলুন? সবাই যার যার স্বার্থ নিয়ে আছে। আমি আবারও স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই ব্লগারদের কোনো নেতা নেই। সব ব্লগার স্বেচ্ছাসেবক। নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করে ব্লগ লিখি এবং পড়ি। একটু আধটু জ্ঞাণের নেশায়। তাতে কার কি ক্ষতি বলুন। একটি শান্তি পূর্ণ ও অহিংস গণঅভ্যুথ্যান আজ কোন পর্যায়ে গেছে কেউ কি খেয়াল করে দেখেছেন। যে ডাঃ ইমরান আপনার আমার মত ব্লগারদের নেতা বা মুখপাত্র সেজে বসে আছেন তিনি আসলে কে? আমি আমার ব্লগিং জীবনে কম জনপ্রিয় নই আমরা কি জানতাম ডাঃ ইমরান নামে আমাদের একজন নেতা আছে?

যেমন করে কাদের মোল্লার ফাঁসী না হওয়া আমি বা আমরা মেনে নিতে পারি নি ঠিক তেমনি করে মেনে নিতে পারছি না ডাঃ ইমরান আমাদের মুখপাত্র বা নেতা। তিনি কেনো এত বক্তৃতা দেবেন? কার বলে? কোন অধীকারে? ডাঃ ইমরান কেনো ব্লগারদের নাম ভাঙিয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে থেকে বক্তৃতা করবেন?

একজন প্রকৃত ব্লগার এই আন্দোলনে নেতা হতে পারেন না। আমরা সবাই নেতা সবাই কর্মী। আজ ব্লগার ও নাস্তিকতা এক হয়ে গেছে এর প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা কি করেছি বলুন? আপনি বা আমি বা ডাঃ ইমরান নামের উড়ে এসে জুড়ে বসা ছেলেটি একবারও কি ব্লগার আর নাস্তিকতা যে এক জিনিস নয় তা কি খোলাসা করে বলেছে বলুন। এর চেয়ে প্রহসন আর কি হতে পারে বলুন।

রাজিবে আত্মা আজ কাঁদে। রাজিব সত্যিকারের সংগঠক। সত্যিকারের বীর। তার জীবন বলীদানের মর্জাদা আমরা দিতে পারি নি। আমরা পারি নি রাজীবকে আস্তিক প্রমাণ করতে।

আসুন আমরা ডাঃ ইমরান নামের সাজানো ব্লগার নেতাকে প্রত্যাখ্যান করি। এবং বোঝার চেষ্টা করি তার পিছনে কে আছেন শিবির, জামায়াত, আওয়ামী-লীগ নাকি বি,এন,পি।

আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের প্রথম স্বঘোষিত নাস্তিক আরজ আলী মাতব্বর। তিনি নাস্তিক হলেও তার কথায় মাধুর্য ছিলো। ছিলো স্বাধীন চেতা মনোভাব। চরমোনাই পিরদের এর জমি-জমা আরজ আলী মাতব্বর মেপে দিয়েছিলেন। তারাও জানতেন তিনি নাস্তিক।

সামুতে নাস্তিকতার গন্ধ ছড়ানো কোনো পোস্ট পরলে বেশীরভাগ ব্লগারই এর প্রতিবাদ করতেন। আমার মত বেশীরভাগ ব্লগারই কখনও ব্লগিং এর মধ্যে অহেতুক ধর্মকে টেনে নিয়ে আসি নি। কিন্তু কেনো এই প্রহসন?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: সরকার আমাদের ২০০ গিগাবিটের লাইনের ৩১ গিগাবিট দিয়ে বাকি টুকু ভি.ও.আই.পি এর ব্যবসা করে । এটা এত রূপকথা না করে, তারা এই লাইন টা জনগণকে বুঝিয়ে দিলে, কষ্ট করে ব্লগ কি জিনিষ জনগণকে বুঝাইতে হইত না, তারা নিজেরাই ব্লগেই থাকত ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: এই পুকুর চুরির কথা তো অনেক ব্লগারই জানেন না।।।

মজা পেলাম!!!

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ব্লগার মানে অবশ্যই নাস্তিক নয়, ইতি মধ্যে কয়েকবার এই বিড়ম্বনার শিকার হইছি, এদের বুঝাইতে বুঝাইতে টায়ার্ড।



যাই হোক এখন গণসচেতনতা আনার জন্যে আমাদেরকেই চেষ্টা করতে হবে। মাথা যেহেতু আমাদের, ব্যাথাও আমাদের। আর তাই উপশম আমাদেরকেই করতে হবে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: জ্বী!!!
ঠিক বলেছেন।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০

টুরিস্ট আশরাফুল বলেছেন: ব্লগ লিখি,ব্লগ দেখি !!
সবসময় বস্তুনিস্ট লেখাকে গুরুত্ব দিয়ে পরি কিন্তু বেশকিছু বছর হলো ব্লগে মূল ব্যাপার থেকে ব্লগাররা বেশ পিছু হটে এসেছে তারা এক প্রকার ধর্মবিদ্বেষী প্রচারণায় নেমে গিয়েছিল!!

যার ফল তারা আজ পাচ্ছে !!কয়েকজনের জন্য আজ পুরো ব্লগারদের নাস্তিক অপবাদ নিয়ে আগাতে হচ্ছে !!

একটা কথা প্রতিটি মানুষেরই মনে রাখা উচিত,দুনিয়ার যা কিছু সৃষ্টি তার একজন মালিক আছেন,স্রষ্টা বেতিত এগুলো সৃষ্টটি হতো না !!

আমি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি পছন্দ করি না !!
রাজিব ছেলেটা যা লিখেছে তা সত্যি সীমালঙ্গন করেছে,সে যা মনে চেয়েছে তাই লিখেছে,তাকে তার মত কুলাঙ্গারকে আমি শহীদ বলতে পারছি না,সে একটা কুলাঙ্গারই বটে!!

(আমার কথায় মনে কষ্ট নিয়েন না,মনের ক্ষোভ গুলোই প্রকাশ করলাম )

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.