নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা (পর্ব-৪)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

মনে রাখবেন, প্রকৃতিক দুর্যোগই নয়। মানুষের সর্বপ্রকার দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য মেন্টাল ডিফেন্সিভিটি খুব বেশি প্রয়োজনিয়।



আমার জ্ঞান থাকতে বা নিজের মধ্যে বিশ্বাস থাকতে হবে যে, আমি জিবন্ত একজন মানুষ। আমি বেঁচে আছি। মরে যাই নি। মরন আসে নি। মরন কে আমি ভয় করি না আমি ভয় করি তাওহিদের আলা কে তিনি তার ডিসিসন বদলান না।



এবার দেখুন, অস্ট্রেলিয়ায় বিগত অনেক দিন যাবৎ দাবানল এবং পুরো বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে শুধু মাত্র আগুনে পুরে বা আগুন লেগে। পৃথিবিতে থাকতে গেলে আগুন, ভুমিকম্প আসতেই পারে। আমি আপনাদের বলেছিলাম যে আপনারা নদী, প্রাকৃতি ও আমাদের মতো জলজ্যান্ত মানুষের মধ্যে একটি সমতা বা সাম্য চোখে পরে সর্বদা। এটা স্রষ্টার লিংকিং কমান্ড।



এবার দেখুন, অস্ট্রলিয়ার বিশাল বড় বনে গাছপালা প্রকৃতি আগুনে পুরে যাচ্ছে। আগুনের বেগ এতো প্রবল যে, আমাদের সর্বোচ্চ মেধা ও চেষ্টা দ্বারা সেই অগ্নি মুরতীর ভয়ভহ রূপ কে ঠেকানোর অযোগ্য পর্যন্ত মনে হতে পারে?



আসলে কি তাই? অবশ্যই না। অগ্নি পরিবাহি ছাড়া ভযংঙ্কর রূপ ধারন করতে পারে না। এবার অস্ট্রেলিয়া সহ আরো যেখানে যেখানে এমন বনে দাবানল আসে সেই সব বনের দিকে একটু তাকান। দেখুন যে আমরা যদি পরো বন কে একটি ইউনিট না ভেবে। বনের কিছু কিছু পার্ট করে দেই তাহলে কেমন হয়?



যেমন ধরুন কতটুকু আয়োতনের বন কে আলাদা ভাবে কল্পনা করি। যে টুকরো টুকরো বনের চেহারা খুঁজে পাচ্ছি। যা অনেকটা বর্তমান সেল ফোন এর প্রতিটি সেলের মতো। সেলুলার ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রতিটি সেল কে লিংকিং করা হয়। আপনারা হয়তো জানেন যে লিডিং ও ল্যাগিং বিষয়টি। যা ঘরির কাটা মুভমেন্ট দ্বারা আমরা সবাই হয়তো জানি। এবার বনের প্রতিটি সেলকে এমন ভাবে আনলিংক করবো যাতে একটি সেল বা ইউনিট এর মধ্যে প্রমাণ স্বরূপ দুরত্ব রেখে কোনো অগ্নি পরিবাহি থাকবে না। তবে যদি আমরা এই সামঞ্জস্য দুরত্বের মধ্যে কৃতিম পানির চ্যানেল যুক্তকরে তার ভিতরে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারি তাহলে দাবানলের ভয়ভহতা এতো বেশী হবে না বরং গাছ প্রকৃতি ও প্রাণি বেঁচেই যাবার সম্ভাবনা বেশী। প্রকৃতি এমন সিস্টেমেই তৈরি হয়।



আমি বাংলাদেশে দেখেছি যে, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স নামের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করে তাদের ভালো কিছু দেবার সমর্থ থাকতেও আমরা তা নিতে জানি না। ফলে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সে যারা কাজ করেন তারা নিয়মিত এক ধরনের বিষন্নতায় ভোগেন এবং ঐ সব মানুষদের দ্বারা গোয়েন্দাগিরি, মাদক ও অন্যান্য অপকৌশলের কাজও করানো হয়। যা একটু ভালোভাবে দেখলে বুঝতে বেগ পেতে হবে না।



আমরা যদি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট গুলো আরো ছোট ছোট করেফেলি এবং তা স্থানিয় সরকারের অফিস গুলোর যে সব অতিরিক্ত ফাকা জায়গা থাকে সেখানেই ফায়ার সার্ভিস এর ছোট ইউনিট গুলোর রেসিডেন্স এর ব্যবস্থা করতে পারি। তাহলে দেখবেন এই সব কল্যানকারি মানুষগুলো তাদের সেবার সেক্টর আরো বেশী পাবে সাথে সাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় এদের কন্ট্রিবিউশন চোখে পড়ার মতো পারফমেন্স আকারে প্রশমিত হবে।



লক্ষ্য করে ভাবুন বন্ধু! আমরা যদি প্রতিটি নাগরিককে জিবনের কোনো একটি সময়, প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য নিজের মনের সেলফ ডিফেন্সিভ মেন্টালিটি ও কিছু কলাকৌশল শিখিয়ে দিতে পারি। তাহলে কিন্তু আমাদের সবার মনই একটি করে সাইক্লোন সেল্টার হয়ে উঠবে। আর প্রাইমারি, সেকেন্ডারি, হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল এ বাচ্চাদের এই ডিফেন্সিভ ওয়ে গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া জরুরী।



আপনারা হয়তো লক্ষ করে দেখেছেন যে, একটি ভবনের অগ্নির কারনে দুর্ঘটনায় যে মানুষগুলো মারা যায়। তাদের মধ্যে অগ্নিকান্ডের দুর্যোগের কারনে বেশী সংখক মানুষ মারা যায় না বরং বেশী সংখ্যক মানুষ মারা যায় মৃত্যু আতঙ্ক নামক বহাভয় মানুষিক রোগটির কারনে। এ রোগটি মানবসৃষ্ট একটি আতঙ্ক মাত্র। তাওহিদের আল্লাহ্ কখনও তার বান্দাদের অমঙ্গলের পক্ষে না।



আমরা দেখি যে, ফায়ার এক্সিড নামের একটি সিড়ি রাখা হয়। যখন আপনি খুব বেশি ভয়ের মধ্যে আতঙ্কগ্রস্থ হবেন তাতে আপনি মানষিক ভাবে এমন হয়ে যেতে পারেন যে, আপনার সেন্স অব সাইট ঠিকমত কাজ করছে না। সে অবস্থায় ফায়ার এক্সিড সিড়ির কাছাকাছি গিয়েও আপনার কিন্তু খুব মনোতাপে ফিরে এসে মৃত্যু ঝুকি মারাত্নক। আবার ফায়ার এক্সিড সিরি গুলো মানুষের মনে এমন একটি সুপ্ত ভাবে শয়তানি সিগনাল দিয়ে রাখতে পারে যে, “আগুন লাগলেই আমাকে ফায়ার এক্সিড সিড়ি খুঁজতে হবে”। তাহলে অন্য সিড়িগুলো কি দোষ করলো রে বন্ধু?



আমাদের সব সিড়ি যে, পুরুপুরি নিরাপদ আছে এমন কোনো কথা নেই। তাই বলে আমাদের চরম বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।



জাপানিদের খুব বড় একটি মানুষিক রোগ হলো, ভুমিকম্ম ও খাদ্য সমস্যা নিয়ে বেশী করে হতাশ হয়ে যাওয়া। জাপান সহ অন্যান্য দেশের নদিগুলো কে যদি তার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রবাহমান করা যায় তাহলে কিন্তু মোটেও ভুমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ও খাদ্য সমস্যা মোকাবেলা অসম্ভব বলে আমি একজন মানুষ হিসেবে মনে করি না।



এখন নদী, চ্যানেল ইত্যাদি এর ধারা বজায় রাখতে অনেকে হয়তো ভেবে বসতে পারেন যে, ভুমি ও নিজ ভুখন্ডের আয়োতন কমে যাবে? এধারনা ভুল আপনি যদি আমার কথা বুঝে থাকেন তাহলে দেখবেন যে ভুমি আপনি কমে গেছে বলে ভাবছেন ঐ ভুমিই অন্য কোথাও প্রকৃতি আপন খেয়ালে নয় বরং চেইন অব সিস্টেমে তৈরি করে নেবে। এটা খুব বেশী স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।



আমার জীবনে আমি ভয়াভয় ঝরের মধ্যে পড়েছি। একদম কাছ থেকে পদ্মার মধ্যে নৌকোয় বসে প্রবল ঝরকে উপলব্ধি করেছি। ১৯৯১ সালের ঘুর্নিঝরের রাতে আমি আমার নানির কোলে ছিলাম। একটি ননসিকুউরেড মনে হওয়া টিনের ঘরে আমি সহ বিভিন্নরকমের মানুষ একই সাথে বসে আল্লাহ আল্লাহ করছে। আমি তাদের সাথে আল্লাহ আল্লাহ রবে ডেকে উঠি নি। আমি ভেবেছি এই সবগুলো মানুষকে অবশ্যই তাওহিদের আল্লাহ রক্ষা করার ক্ষমতা রাখেন। ঐ দিন আমার আশে পাশে যারা ছিলো একজন মানুষের ও সামান্য পরিমান ক্ষতি হয় নি। তাই আমাদের কখনও নিজেদের কাছে নিজের অহংকার করার মতো কিছু নাই। তাওহিদের রব এর প্রতি পরিপূর্ণ আস্তা রেখে নিজেকে মানবকল্যানে সফে দিতে হবে। দেখবেন যাকে আপনি দুর্যেও মনে হবে সেই দুর্যোগও আপনারা হাতের তালুতে এসে মাইকেল জ্যাকশন হয়ে উঠবে। প্রকৃতির সব কিছুর মধ্যেই আন্দের খোরাক থাকে।



ওগো রাত তুমি ঝরকে বলনা গিয়ে,

আজ এই মায়া রাতে প্রলয় ঝরে,

যেনো তার কোনো স্মৃতি মনে না পড়ে।।

............................................কুমার শানুর কন্ঠে গিত

যদি প্রলয়ের রাত সামনে চলেই আসে। তখন নিজের মনের শয়তানকে লাথি দিয়ে সরিয়ে দিন দেখবেন আপনিও বাচ্চাদের মতো নির্ভয় হয়ে মানুষ মানুষের জন্য হয়ে যাবেন। এমনই একটি খুব সামান্য শিক্ষা নুহু সাহেব কে দিয়ে বলানো হয়েছিল। আপনারা শুধু নুহুর নৌকাকেই নিলেন কিন্তু মনের যে নৌকা থাকে তাকে বিপদের সময় বেড় না করতে পেরে অহেতুক মারা যাচ্ছেন।



পারে কে যাবি,

গুরুর নৌকাতে আয়,

যে মুরশিদ সেই তো রাসুল,

ইহাতে নাই কোনো ভুল,

খোদাও সে হয়।

..............................লালন



এই সব গানে খোদা ব্যবহার করা হয়েছে শুধুমাত্র রূপক বা মানুষকে বোঝানোর উদ্দেশ্যে যদি আপনি এই খোদাকে তাওহিদের খোদা ভেবে নেন তাহলে আপনি শেরেক নামক বিশাল বড় জঞ্জালে পরে জন্মান্তরের পাকে হারিকেনের মতো ঘুরতে থাকবেন। হারিকেন সৃষ্টি হয় কোনো বিশেষ জায়গায় বায়ুর প্রবাহ বাধা পেলে। আমরা যদি বৃক্ষ ও নদীপ্রবাহের কথা বিবেচনা রেখে স্বাভাবিক রাখতে জানি তাহলে হারিকেন এলেও যা হবে খুব দুর্বল।



আপনাদের কাছে আমি বিনিত ভাবে উক্ত বিষয়গুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করে আপনাদের নিজের মেধা শক্তিদিয়ে ভেবে চিন্তে ডিসিসন নিয়ে দেখুন কি করলে আপনাদের মঙ্গল হবে। আমি মানুষ হিসেবে আপনাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছি যদি আপনারা আপনাদের সাথে এবং আমার সাথে মানুষের মতো আচরন করেন। মনে রাখবেন, তাওহিদের রব তার কোন ডিসিসন চেইঞ্জ করেন না। পাপের কোনো ক্ষমা নেই। তাওহিদের রব ছাড়া ভিন্ন কোনো উপাস্য নাই।



চলবে.........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.