নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রী সমীপে চিঠি

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

তারিখঃ ৪-৪-১৪



পাবে,

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার



প্রিয় বোন শেখ হাসিনা,

আমার হৃদয়ে জ্বলে থাকা প্রেম কে ফুল বানিয়ে আপনার চরনে নিবেদন করছি। সেই সাথে আমার কদমবুচি প্রহন করবেন।



“হে মোর রাণী

তোমার কাছে হার মানি আজ শেষে”

(নজরুল)



মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় আপনাদের রাজনিতির নিয়মের সাথে তাল মিলিয়ে তেল মেরে জীবিত জীবনে অন্য সবার মতো করে ভালো থাকার অভিনয় করে যাই। তেল মারার অনেক সিস্টেম হয়তোবা আমার জানা আছে কিন্তু তেল মারা আমার কাজ না। এই সমাজ সংসার আমাকে হয়তো অনেক কিছু শিখিয়েছে কিন্তু ওখান থেকে অভিনয় কখনও শেখার চেষ্টা করিনি। সত্য ও সুন্দরের পথে যার অনন্ত যাত্রা তার অভিনয় করার দরকার পড়ে না।



আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ব্যক্তি শেখ হাসিনা বলে কোনো বিবেধ নাই। আমার কখনও মনে হয় নি শেখ হাসিনা বয়স্ক একজন মানুষ বরং বারংবার মনে হয় শেখ হাসিনা একজন বাচ্চা মেয়ে। এই মনে হবার ব্যখ্যা দেবো না। শুধু একবার ভাবুন আপনার আদরের ছোট ভাই রাসেল আপনার সাথে কথা বলছে।



রাসেল আর আমি এক সুতয় বাঁধা পড়ে আছি। নিজের জন্মদাতা পিতার পিতৃস্নেহ কমবেশী পেয়েছি সেই সাথে লাঞ্চনাও সয়েছি। কিন্তু যে মুজিব পিতা কে হৃদয়ে ধারন করে রেখেছি তা অনেকটা মুজিবের কোলে রাসেল বসে থাকার মতো। আমার অন্তরের যে স্বর্ণ-রাজপ্রসাদে মুজিব তার সিংহাসনে বসে থাকেন সেখানে অন্য কাউকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাইতো সবার মাঝে থেকেও আমি একা। সবার মতো চিৎকার চেচামেচি করে আমি আমার অন্তরের মুজিব কে প্রকাশ করি না। আমার হৃদয়ে মুজিব ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। আমি বাঙালী পিতা মুজিব এর চোখে বাঙালি দেখি। সেই সাথে ছোট্ট রাসেল হয়ে এটুকু অন্তত বুঝি কারবালায় হোসেন এর করুন মৃত্যু আর ধানমন্ডি ৩২নং এর বাড়ীতে ১৫ই আগষ্টের হত্যা দু’টোই সত্য ও তাওহিদের পথকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা মাত্র।



বড় আপা, আপনার রাসেল আপনাকে বলতে চাইছে, ঐ করুন স্মৃতি ভুলে যান। জীবন যত দুঃখময়ই হোক না কেনো তারপরও অনেক খারাপ অধ্যায় থেকে শুধু শিক্ষাই নিতে হয়। যারা এই কাজ করেছিলো তারা বোঝে নি, সত্যের পথ কখনও অবরুদ্ধ করে রাখা যায় না। দেশের পিতা তার সন্তানদের জন্য স্বপ্ন রেখে যাবেন আর সন্তান সেই স্বপ্ন কে সত্যি তো করবেনই সেই সাথে আরও কিছু করে দেখাবেন। পিতা চায় সন্তান তার থেকেও বড় হোক। তাইতো আজ আমি আমার বড় বোনকে নিয়ে গর্বিত।



যার তাওহিদে ঈমান নেই, আল্লাহ্’র উপর পূর্ণ আস্তা নেই তারা কিভাবে মহামানবদের বর আশা করে বলুন। আপনাকে এগোতে হবে। আরো অনেক দুরে যেতে হবে আপনাকে। আমাদের এই বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে।



দয়া করে আমার কথা গুলোকে ভুল ভাবে নিবেন না। আপনার পর্যায় যারা থাকে তারা নিত্যদিন তেল ও সমালোচনা সয়ে সয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবেগকেও ঐ সবের দলে ফেলে দিতে চায়। বিশ্বাস করুন আমি আপনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছি না কারণ আদর্শের ভাই বোন এমনিতেই এমন এক সত্য কনক ডোরে বাঁধা থাকে, যা অন্যরা বুঝবে না।



আপনার এই অবুঝ ভাইটি মানব কল্যানে ব্রতি হয়েই আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ যা খেলার ছল মহাকালের বুকে তা ইতিহাস হয়ে থেকে যায়। তাই ইতিহাস যত স্পষ্ট ও সুন্দর করে রচনা করা যায় ততো মঙ্গল। আপনি ইসাবেলা আর আমি কলম্বাস হয়ে ইতিহাসে থাকতে চাই না। সে ইতিহাস অন্যের। তারচেয়ে বরং বেঁচে থেকে মরে যাওয়া হাসিনা আর মরে গিয়ে অনন্ত জীবনের স্বাদ পাওয়া রাসেল হয়ে বাঁধন বিহিন ভাই বোন হয়েই থেকে যাই।



আমি আমার সমস্ত কর্ম দিয়ে আপনার ও বিশ্বের মানুষের কল্যান করে যাবো। হোক না সে কন্টকময়। না হয় নিঃশেষ হয়ে গেলাম। তাতে কি, তারপরও তো আমরা মানুষ ও মানবতার জন্যই কাজ করে চলছি।



আসল প্রসংগে আসি, আমি মহামানবদের মাজারে ভক্তি নিবেদন করার পক্ষের একজন মানুষ। দেবতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর মাজারে আমার কখনও ভক্তি দেয়া হয়ে ওঠেনি। গোপালগঞ্জ এর টুঙ্গিপাড়ায একবার গিয়েছিলাম। আমার প্রিয়তম মুন সহ অনেক শিক্ষার্থি ও শিক্ষক সহকারে শিক্ষাসফরে গিয়েছিলাম। ২০০৪ইং সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী। বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে গিয়ে আমি একটি বারের জন্যও বঙ্গবন্ধুর মাজারের কাছে যাই নি। বাসে বসে কেঁদেছি। এক অদ্ভুত খারাপ লাগা আমাকে গ্রাস করে ফেলেছিলো। শুধু মাথায় কাজ করেছিলো, “একজন বীর, যে কিনা তার সব প্রেম বাংলা কে মুক্ত করার জন্য ঢেলে দিয়েছিলো তাকে কেনো কাপড় কাঁচা সাবান দিয়ে গোছল করিয়ে এতো অসম্মান করে সমাহিত করা হবে?”। মুন মাজার কমপ্লেক্স থেকে রবীঠাকুরের “শেষের কবিতা” বইখানি কিনেছিলো। আজ আমার ইচ্ছে হয় মুজিব চরনে ভক্তি নিবেদন করি। পুরো বাঙালী ও বিশ্ব দেখুক একজন সন্তান তার পিতার আদর্শকে বুকে ধারন করে মাথা মাটির সাথে মিশিয়ে কিভাবে ভক্তি/সেজদা করতে পারে।



তাওহিদে পূর্ণ ঈমানের স্বাদ যারা পেয়েছেন তারা বুঝবে স্রষ্ট্রা তার নেক বান্দাদের ইচ্ছা কখনও অপুর্ণ রাখেন না। সেদিন হয়তো পিতা চান নি যে আমি মাজারে গিয়ে তাকে ভক্তি দেই তাই ভক্তি দেয়া হয় নি। এটাই মহামানবদের খেলা।



কোন অবস্থায়ই এই অসহায় নিরিহ নির্যাতিত বাঙালীদের কথা ভুলে যাবেন না। এই বাংলাদেশ বাংলাদেশের নিয়মেই চলবে। আমরা আমাদের পলিসিতে চলবো। কোনো অবস্থাতেই আমাদের লক্ষ্য থেকে সরে যাবো না।



পদ্মা সেতুর নামটা কি শেখ রাসেল সেতু দেয়া যায় না?



আমি আমার ন্যায়ের চোখ দিয়ে সর্বদা আপনার পাশে আছি।



ইতি

আপনার ছোটভাই রাসেল সম...

আসিফ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.