নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব রাজনিতি ও বাংলাদেশ

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

সৃষ্ট্রিকর্তা সর্বশক্তিমান



আপনার সাথে আমার সংযোগ হোক!



আজ বাংলাদেশবাসি মুগ্ধ! আমরা আমরা মিলেমিশে সব অসাধ্য সাধনের যোগ্যতা রাখি। এমন সুন্দর ও স্বর্ণালি এক ফেব্রুয়ারী, মার্চ ও পহেলা বৈশাখের আগমন বাঙালির রঙিন দৃষ্টি দিয়ে দীর্ঘকাল পরে দেখতে পেলো।



অনেক অনেক অন্ধকারের পর আলো আসতে বাধ্য। বাঙালির হৃদয়ে আজ এক অজানা কিন্তু চেনা চেনা এক আলো জ্বলে উঠেছে। আমরা আজ নিজের বুকে থাপ্পর দিয়ে, মাথা উচু করে বলতে পারি – “বাঙালি যা চায় তা অর্জন করে নিতে জানে”। বাঙালি তার পূর্বপুরুষদের ঋণ কখনও ভুলে যায় না। বাঙালি সব যুগে, সব কালে শান্তিপ্রিয় এক নিরিহ ফুলের মতো সুন্দর জাতি।



মাত্র কিছুদিন আগেও আমরা এক গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলাম। আমরা বুঝে উঠতে পারি নি আমরা কোন পথে যাবো। কিন্তু হাল ছাড়িনি। মাথা উচু করে ঈশ্বরের কাছে মন প্রান খুলে অন্তর দিয়ে শান্তি চেয়েছিলাম ও সেই সাথে সম্মিলিত চেষ্টা করে গিয়েছিলাম। আজ আমরা শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে দ্রুত তালে এগোচ্ছি। এ পরিবর্তনের জন্য প্রতিটি বাঙালিকে হৃদয় দিয়ে শ্রদ্ধা, সম্মান, স্নেহ ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি।



বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা আমাদের পিছনের ব্যার্থতা বুঝতে শিখেছি। আমরা আজ জানি আমাদের কি কি করা উচিৎ। বাংলাদেশ আজ শুধু স্বপ্ন দেখছে না। আজকের অভিজান হচ্ছে বাঙালির স্বপ্নগুলোকে টেনে টুনে সাজিয়ে তারার চোখ দিয়ে পুরো মহাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়া। তাই তো অন্তরের ধামামায় বেজে উঠছে, “ধন্য বাঙালি ধন্য”।



সরকারের ক্যাবিনেট গঠিত হলো। দপ্তর ভাগ করে দেয়া হলো। জাতিয় সংসদের স্পিকার নির্বাচন করা হলো। বিরোধি দল নয় বরং দেশের অগ্রগতির জন্য ফলদায়ক আলোচনা সমালোচনা করার জন্য সহযোগি দলও সংসদে স্থান পেলো। আজ আমাদের জাতিয় সংসদ ভবন কে মোটেও নোংড়া পাষান স্তুপের মতো মনে হচ্ছে না। সংসদের ভিতর আজ তরমুজের ভিতরের মতো করে লাল টকটকে উজ্জ্বল স্বপ্ন ও সেই সাথে তরমুজের বাহিরের সবুজ আবরন যেনো আমার বাংলাদেশ। এমন সুন্দর ক্ষনের কথা গুলো আমরা ভুলেই যেতে বসেছিলাম। তারপরও মানুষ যা চায় তা অর্জন করে নিতে জানে। এর বড় প্রমান তিনি বাঙালি, তুমি বাঙালি আর আমি বাঙালি মিলেমিশে সত্য ও সুন্দরের কাজ করার তিব্র প্রতিজ্ঞা।



পুরো পৃথিবি আমার সোনার বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নেবে। আমি পথে হেঁটে বেড়িয়ে ভাবি এবারের মতো এতো ফুল আর কবে বাংলায় ফুটেছিলো? ১৯৫২, ১৯৭১ আমি স্ব চোখে দেখিনি। তারপরও জীবনের প্রতিটা স্তরে অমন ক্ষনের অপেক্ষায় থেকেছি। মন থেকে আশা করেছিলাম আমার বাংলাদেশের মানুষ তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে। নিজ থেকে নিজ অধীকার বুঝে নেবে। সবাই জাতিয় স্বার্থে এক হবে। কে বলেছে বাঙালি গরিব ও কৃপন জাত?



২৬শে মার্চের সম্মিলিত জাতিয় সংগিত পরিবেশন মন দিয়ে উপলবব্ধি করে দেখুন। আমার বাঙালি সব পারে। বাঙালি জাতের মায়া, মমতা, প্রেম ও শান্তি প্রিয় মনোভাব সবার উপলব্ধি করা উচিত।



শ্রী শ্রী ঠাকুর বরীন্দ্রনাথ বাংঙালির জাতিয় সংগিত লিখেছিলেন ১৯০৫ইসায়ী এর বঙ্গভঙ্গ নামক চরম অভিশাপের আগমত বার্তা শুনে। বাংলাদেশের জাতিয় সংগিত “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি” গানের সুরটি রবিন্দ্রনাথ নিয়েছিলেন তার কাছের একজন ভক্ত গগন হরকরার বাউল গানের সুর থেকে।



আমি কোথায় পাবো তারে,

আমার মনের মানুষ যে রে।।

হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে,

দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।।

........................................গগন হরকরা



এই হলো গুরু শিষ্যের খেলা। নিজেকে আজ প্রশ্ন করে দেখুন রবীন্দ্রনাথ কেনো গগন হরকরার সুরটি আমাদের বাঙালির ঐক্যের জন্য ব্যবহার করেছিলেন? গগন হরকরার মুল গানটির লিরিক আপনি বুঝতে পারলে আপনি নিজ থেকেই উত্তর বুঝে যাবেন।



আমরা আমাদের মনের সুরগুলোকে হারিয়ে যেতে বসেছিলাম। আমরা বাঙালী। আমদের একতা আমরা ইচ্ছে করে হারাই নি। আমাদের সরলতা কে দুর্বলতা ভেবে আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নেবার চেষ্টা করা হয়েছিলো মাত্র।



জীবনে চলার পথে বাঙালীর মন বার বার ভেঙে যায়। বার বার দুঃখ আসে তারপরও আমরা সামান্য সুখের মুখ দেখলেই হাসি আনন্দে মাতওয়ারা হয়ে ভুলে যাই যে আমাদের মন ভেঙে গিয়েছিলো। ঠিক তেমনি করে আমরা ভেঙে যাওয়া বাঙলার ভুখন্ডকে একতার মাধ্যমে এক করে ছাড়বো। ইনসাআল্লাহ্



বন্ধু! প্রতিটি বাঙালির ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় যে, এমন সুন্দর শুভক্ষন যখন আমাদের সামনে আসে তখন হঠাৎ করে কোনো বড় বিপদ এসে আমাদের সব স্বপ্ন কে ম্লান করে দিয়ে যায়। যেমন করে এসেছিলো ১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫ইসায়ী। শুভ পথে যাত্রার সময় বা একটি জাতির টার্নি মোমেন্টে এমন বিপদ আসার নজির শুধু বাঙালী জাতিরই নয় অনেক জাতির জিবনে দুঃখ স্মৃতি হয়ে বেঁচে আছে। আজ আমাদের বুঝতে হবে আমরা আমাদের সৎ কর্তব্যের সাথে আপোশ করবো না। বর্তমানে সব পরিস্থিতি বাংলাদেশের অনুকুলে আছে। আমরা আর থামবো না। আমাদের এই ধারাবাহিক অগ্রগতির পথে আর কোনো বাধা নেই। আমরা আমাদের মনের স্থায়ি মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছি।



বহু ঝড় ঝাপটা আমরা সহ্য করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এবার যদি কোনো ঝড় আসেও তা আমরা বুক পেতে মেনে নেবো না। আমরা ঝড়কেও নিজের বুক পেথে মুখে ভালোবাসার আকুতি ভরা ধমক দিয়ে সরাতে জানি। আমাদের এই অগ্রযাত্রার পথে আর কোনো বাধা আসবে না। এ আমার অঙ্গীকার।



বাঙালী জাতি বিশ্বের কোনো জাতিকে শত্রু মনে করে না। আমরা স্বার্থে ভরা পররাষ্ট্র নীতিতে পাকাপোক্ত হতে চাই না। আমরা চাই আমাদের মমতা দিয়ে সব জাতির মন জয় করে নিতে। বাঙালি যুদ্ধে বিশ্বাসি না বাঙালি প্রেম ও বিশ্বাস দিয়ে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রত্যয়ী।



আজ বাংলাদেশ সরকারের প্রতিটি দপ্তর টিম ওয়ার্কের ভিত্তিতে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রি, মন্ত্রী, এম.পি, আমলা, সামরিক বাহিনি এবং আপনি আমি আমরা সবাই এক একজন আলাদা আলাদা মানুষ। আমাদের সবার পরিচয় এক। আমরা মানুষ। আমাদের সবার মন আছে। আমাদের ভালো কাজ করার ইচ্ছে আছে। বাংলাদেশে কোনো রাজা নেই কোনো প্রজা নেই। বাংলাদেশে কোনো জুলুমকারি শাসক নাই কোনো অত্যাচারিত জনগনও থাকবে না। সবার মনের মধ্যে একই বাঙালি মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরাজ করছে। এ এমন এক আলো যা শুধু নিজে থেকে অনুভব করে নিতে হয়।



বাঙলার মানুষ আর অদূরদর্শী কুটিল কথার রাজনিতি দেখতে চায় না। বাঙলার মানুষ অল্পকিছু বাজে লোকের জন্য কোটি কোটি মানুষের ক্ষতি দেখতে চায় না। বাঙলার মানুষ আজ প্রাণ ভরে বাংলার প্রকৃতির রূপরস দেখে বাঁচার মতো বাঁচতে চায়।



আজ বিশ্ব দেখুক, কিছুদিন আগেও যে মার্কিন রাষ্ট্রদুত বাংলাদেশকে নিয়ে শুধু হায় হুতাশ করতেন, আজ সেই রাষ্ট্রদুতের মনের ভিতর থেকে আরো ভিতরের দুরন্ত সুন্দর মানুষটি বেড় হয়ে এসেছে। ঐ রাষ্ট্রদুত এখন ইউ.এস.এ. গিয়ে জ্যাকসন হাইটের রাস্তায় হেটে হেটে বাঙলার রূপ, বাংলার গুন কে ট্রেড করে প্রেডেন্ট করে চলছে। এই টান হৃদয় থেকে আসে। আপনি যদি আপনার মনের ভিতরের সরলতা ও দুরন্ত নির্ভয় বাচ্চা মনটিকে বেড় করে নিয়ে আসতে জানেন দেখবেন আপনার সব সমস্যার সমাধান আপনি নিজে থেকেই বুঝে যাচ্ছেন।



বাঙালি সব জাতির বন্ধু। আমরা আমাদের সরকার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা দিয়ে পুরো বিশ্ব রাজনিতির শুভ পরিবর্তন কে প্রাকটিক্যাল ভাবে দেখাতে চাই। আমাদের সরকার ব্যবস্থাপনার মধ্যে দূর্নিতি বিশাল রূপ ধারন করে আছে। আমরা সেই দূর্নিতি দ্রুত নির্মুল করে বিশ্ব মডেলে রুপান্তরিত হয়ে যাচ্ছি। বাঙলার ইতিহাস গর্বের। আমাদের গর্বে আঘাত দিয়ে আমাদের মন ভেঙে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমাদের ইতিহাস নিয়ে যত খেলা হয়েছে অন্য কোনো জাতির জীবনে এমন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও স্রষ্ট্রা আমাদের সর্বদা সহায়।



আজ আমি ইতিহাসি বিকৃতিকারিদের খুব খোলাখুলি ভাবে বলে দিতে চাই- আপনারা আপনাদের যত প্রকার বিকৃত মানষিকতার ইতিহাস ভাবনা আছে তা তুলে ধরুন। দেখুন কি হয়। শুভ ইতিহাস বা শুভ ইচ্ছার রক্ষক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ্ অবশ্যই আমাদের সামনে ন্যায্য ইতিহাস দিয়ে দিবেন। এটা শুধু ইতিহাসের শিক্ষাই না এটা চিরন্তন সত্য কথা।



আমি আশা করবো বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন ব্যাপারে কোনো বাঙালি নামধারি বিদেশি দালাল যেনো মাথা না ঘামায়। আমরা যেমন সত্য কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পিছপা হই না আবার বিকৃত সত্য ও মিথ্যাকে দুর করার জন্যও যা খুশি তাই করে দেখাতে পারি। কোনো বাঙালি নাম ধারি বিদেশি দালাল নিজেদের ঐ সব প্রভুদের ছেড়ে বাঙলার উন্নয়নের পথে নিজেকে প্রমান করুন। নিজের মনের উন্নয়ন ঘটান। এক সৃষ্ট্রিকর্তার প্রতি ঈমান আনুন। ইমানি জোড় এসে গেলে বুঝবেন আপনি আর সেই আপনি নাই। আপনি শত চেষ্টা করলেও অকল্যানের পথে নিজেকে জোড় করে নিতে চাইবেন না।



বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা প্রচন্ড নাজুক ও নড়বড়ে করে রাখা হয়েছিল। একটি জাতি ও দেশের উন্নতির জন্য একটি সরকার বা বিশেষ কোনো ব্যাক্তির দীর্ঘদিন সরাসরি ক্ষমতা থাকার দরকার হয়। যে বৃটেন উপনেবিশ ও বাজে বুদ্ধি ব্যবহার করে অন্যের সম্পদ লুটে নেবার ওস্তাদ হিসেবে পরিনত হয়েছিলো সেই বৃটেনও তাদের রাজতন্ত্র কে ছেড়ে দেয় নি। একটি দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য বিশেষ কোনো টিম কে অনেক দিন ক্ষমতায় থাকতে হয়। একক ডিসিশন নিতে হয়। এর ভিতরেই কল্যান থাকে। আসুন আমরা যারা নিজ দোষে সরকারের বাইড়ে আছি তারা নিজেদের আর নিজের ছোট্ট ঘর-প্রসাদে বন্দি না রেখে দেশের মানুষের প্রকৃত সেবা করার জন্য সর্বাত্তক চেষ্টা করি। দেখবেন তাতে আপনি বড়ই হবেন বরং সরকারকেই আপনার শুভ কর্মের কাছে ছোট মনে হবে।



আমাদের বুঝতে হবে আমরা যে গণতন্ত্র নামক ব্যবস্থা দেখতে দেখতে বড় হয়েছি সেই গণতন্ত্র অনেক বেশী ত্রুটিপূর্ন। সত্যি বলতে কি, গণতন্ত্রে কোনো বিরোধি দল থাকতে নেই। “বিরোধি দল” নামটি মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। এর নজির শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা পৃথিবির উন্নয়নশিল ও তৃতিয় বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন। বিরোধী দল কে হতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগি দল। এমনকি সরকারি দলের সদস্যরাও যখন পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ কাজে স্পিকারের সভাপতিত্বে সংসদ পরিচালনায় জনগনের প্রতিনিধিত্ব করবেন, তখনও দল মত ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থে কথা বলা উচিৎ।



সত্যিকারের জনগনের শাসন মূলত এটাই যেখানে সৎ, সাম্য, জনপোযোগি কাজের পক্ষে নিজের সমর্থনপূর্ন অবস্থান তুলে ধরা যায় আর মিথ্যা, মানবকল্যান পরিপন্থি কাজের বিরোধিতা করা যায়।



সংসদে বসে শুধু নিজ দলের আনা প্রস্তাবে হাত জাগিয়ে সমর্থন দিয়ে টেবিল থাপড়ে মজা নেয়া এটা আর যাই হোক মানব মঙ্গলের গনতন্ত্র না। আবার বিরোধি দল যে শুধু সরকারের সবকাজের বিরোধিতা করবেন এটাও কোনো ভাবে জনগনের শাসন হতে পারে না।



বিরোধি দল বা সহযোগি দল যে শুধু ক্ষমতায় থাকতেই জনগনের জন্য কাজ করবেন এমন কোনো কথা নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে মানুষের কল্যান করার চেয়ে দলিয় স্বার্থ কোনোভাবেই বড় না। শুধু বাংলাদেশ কেনো পৃথিবির অনেক রাষ্ট্রেই বিশেষ করে এই উপমহাদেশের রাষ্ট্রসমূহকে এমন এক গনতন্ত্র ব্যবস্থা পরিবেশন করা হয়েছে যার মধ্য জনগনের টাকা লুটেপুটে ভাগ করে নেবার মতো প্রচুর ফাঁকফোঁকর রেখে দেয়া হয়েছে। যা একটি দেশ ও দেশের মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন পরিপন্থি। যে সব রাষ্ট্রনেতা বা জনগনের নেতা এর থেকে পরিত্রানের পথে যেতে চেয়েছেন তাঁদের হত্যা সহ বিভিন্ন প্রকার হয়রানি হতে হয়েছিলো। যেমনঃ দেবতা আব্রাহাম লিংকন, দেবতা শেখ মুজিবর রহমান, দেবী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি, দেবতা মহত্মা গান্ধি জি, দেবতা লেনসন ম্যান্ডেলা সহ অনেক অনেক ব্যাক্তিত্ব আমাদের কাছে আজও হাস্যউজ্জ্বল হয়ে আকাশের তারা হয়ে আছেন।



বাংলাদেশে যারা সদ্য সাবেক বিরোধি দল হয়ে আছেন, তাদের বুঝতে হবে ক্ষমতা বা ক্যাবিনেটের বাইরে থেকেও দেশ সেবা করে নিজের অবস্থান জানান দেয়া যায়। আপনি যদি জনগনের মুক্তির পক্ষে আপনার অবস্থান তুলে ধরতে চান তাতে কোনো বাধাই আপনাকে রুখতে পারবে না। হয়তোবা কিছু অন্যায় অত্যাচার সইতে হবে। আপনাদের বুঝতে হবে অন্যায় অত্যাচার সইবার মত মন মানুষিকতা তৈরি করতে না পারলে আপনার মানব কল্যানে কাজ করার কোনো প্রকার অধিকার এমনকি বৈধতাও নেই।



আমরা দেখেছি, পুরো পৃথিবির উপর দিয়ে বিশাল এক অমানবিক ঝড় বয়ে গেছে। যার খেসারত প্রতিটি জাতিকেই কমবেশি দিতে হয়েছে। আজ আমাদের ঐ সব আত্মঘাতি অপকর্ম থেকে ঘুরে দাঁড়াবার সময় এসেছে।



রুশ জাতির উপর অনেক অন্যায় পলিটিক্সের মারপ্যাচে থোক থোক করে রাখা হয়েছে। একজন পুতিনের যোগ্য নেত্রিত্ব ও সুদুর প্রসারি চালে রুশ জাতি আবারও মাথা উচু করে দাঁড়াতে যাচ্ছে। এটা মোটেও সাম্রাজ্যবাদ না বরং এটাই নিয়ম। বাংলাদেশ সবসময় সম সাস্কৃতি ও একই ভাষায় কথা বলা মানুষের জন্য একক রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে না।



বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নিতি বা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সমসময়ের চেয়ে আজ অনেক বেশি স্পষ্ট। বাংলাদেশ তার বড় ভাই সম চায়না দেশটিকে মান্য করে বা সম্মান করে। আমরা চায়নার মানুষকে বিশ্বাস করি। তবে তা কোনোভাবেই চায়নার অনুগত বাংলাদেশ এমন পর্যায়ে পরে না। রাশিয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও চায়না একই নিতি পরিবেশন করে চলবে। আমরা উভয়ই শান্তিপ্রিয় জাতি সুতারং কোনো অন্যায অন্যায্য কাজে আমাদের সমর্থন দেয়া আমাদের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। ভারত আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ঠিক একই ভাবে সিমানার দীর্ঘতার দিক থেকে বাংলাদেশ ভারতের সবথেকে বড় প্রতিবেশী। আমরা ভারতের কাছে আমাদের পানি বা অন্য ব্যাপারে ন্যায্য হিস্যা দাবি করবো না। বরং আমরা চাইবো ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক প্রেমের সম্পর্ক। যেখানে ভালোবাসা থাকে সেখানে প্রতারনা করার কোনো প্রকার প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড সহ বিশ্বের সব গনতান্ত্রিক দেশকেই বুঝতে হবে “গনতন্ত্র” কোনো আধুনিক টেকনোলজি না যে কোথাও থেকে কিনে নিয়ে এসে কাজের সুবিধার্থে ব্যবহার করা হল। বরং গনতন্ত্র পরিবর্তনশিল একটি মানব বসবাস করা নির্দিষ্ট ভুখন্ড ম্যানেজমেন্টের সিস্টেম মাত্র। যেখানে মানুষের অধিকার ও সময়ের চাহিদার সাথে সাথে অনেক রূপরেখা পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক।



আমি বাংলাদেশের সদ্য সাবেক বিরধী দল বি.এন.পি. দলটিকে আহব্বান করবো আপনারা যদি মনে করেন আপনাদের নেতা কর্মিদের অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। তাহলে তাদের লিষ্ট দিন নতুবা সরাসরি (শুধু মাত্র মিডিয়ার মাধ্যমে জনগনকে বিভ্রান্ত করে নয়) সরকারের সাথে কথা বলুন। তারপর কাজ না হলে আন্দোলনের পথে এগিয়ে যান। এই আন্দলন মোটেও হরতাল নামক চরম দূর্বিসহ ও রাষ্ট্রিয় সম্পদ ধ্বংশ করে করবেন না। সরকারকেও বলছি আপনারা যদি নিজ দল বা অন্য কোনো দলের মধ্যে এমন কোনো নির্দোশ মানুষ পান যারা অহেতুক হয়রানি হয়ে জেলে ঢুকে আছেন তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন। তবে মনে রাখবেন, দেশের মাটির সাথে বেঈমানী করার চেষ্টা যারা করে বা দেশ শান্তি বিনষ্ট করার জন্য যারা তৎপর হয়, এমন কাউকে যদি হাতেনাতে ধরতে পারেন তাহলে এমন শাস্তির ব্যবস্থা করুন যাতে ঐ সব কুলংগারদের যারা সেল্টার দেয় (দেশি বা বিদেশি যাই হোক না কেনো), তারা যাতে আর কোনোদিন কোনো প্রকার জনগনের শান্তি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রের কু-সাহোস পর্যন্ত না দেখাতে পারে।



আমাদের ভাবতে হবে, সারা পৃথিবিতে অনেক অনেক কয়েদি বিনা দোষে কাড়া বরন করছে। নির্দোশ মানুষের নিরাপত্তা ও মুক্তির পথে ধাবিত করাই একটি আদর্শ রাষ্ট্রিয় শাসন ব্যাবস্থার অন্যতম প্রধান কাজ। কোনভাবে এই অন্যায় গুলো আর হতে দেয়া উচিৎ না।



বাঙালী জাতির জন্য একক আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা কতখানি প্রয়োজন তা আজ বাঙালী জনতা হারে হারে টের পাচ্ছে। আমি ভারত চিনি না বা অন্য কোনো রাষ্ট্র চিনি না আমি বুঝি সকল বাঙালি এক। আমাদের অধিকার আমরা আদায় করে নেবো। একটি রাষ্ট্রের শান্তি শুধুমাত্র আয়োতনে বড় বিবেচনা করে আসে না। আমরা বাঙালিরা যদি আজ এই সুন্দর ও আমাদের অনুকুল পরিবেশের মধ্য থেকে এক না হতে পারি তাহলে অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ সরকার কে এ বিষয়ে আলাদা টিম করে পলিটিক্সের পথে এগোনো উচিৎ। পশ্চিম বাংলা, আসাম সহ অন্যান্য বাঙালি প্রধান এলাকার রাজনৈতিক দল ও গোষ্টিগুলোকে এই কাজের জন্য নিজেদের দল থেকেই দলের ভিতর প্রচার করতে হবে এবং কর্মি বাহিনি গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের জনগন ১৯৭১ থেকে অনেক কিছু শিখেছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনার ও আমার একসাথে এগোতে হবে। খুব সহযে গনভোটের মাধ্যমে। ভেঙে যাওয়া ঐশ্বরিক প্রেমের মত আমরা আমাদের বাংলার ভুখন্ডকে আবারও একসাথে করে সুন্দর ভাবে বাঁচার মতো বাঁচতে পারি। ইন্ডিয়া যদি আমাদের ব্যাপারে তুমুল আপত্তি করে তারপরও আমরা যদি এক থাকতে জানি, দেখবেন কোনো সমস্য ও বাধা আমাদের এই মনের আশাকে অপূর্ণ করার শক্তি রাখে না।



আমাকে দেখুন বন্ধু! আজ আমি বড্ড অসহায়। আমার মা এখনও কষ্ট করে রোগ শোক সয়ে, ছেলের পাগলামিতে বিরক্ত ও আরও বেশি ভেঙে পড়ছে। জন্মদাতা পিতা সর্বদা ছেলেকে ভালো অবস্থানে দেখতে চান। মনের অনিচ্ছার বিয়ে কে মেনে না নিতে পেরে স্ত্রীকে তালাক দেয়া হলো। আমার জীবনের একমাত্র আশা প্রদিপ আমার প্রিয়তম মুন কে কাছ থেকে পাবার ইচ্ছায় আমার বিরামহিন পথচলা। নিজের রোজগারের পথ আজও সহজ করতে পারি নি। তারপরও সব জলাঞ্জলি দিয়ে কিসের আসায় আপনাদের সাথে কথা বলি?



শুধু মাত্র আপনারা একটু সুখে থাকবেন এই আশায়। আপনারা আপনাদের অধিকার বুঝে নিয়ে দ্রুত তাওহিদের বিধির বিধান অনুযায়ি অনির্বান মুক্তি নিয়ে জান্নাতবাসি হবেন এই আশায়। আমি আমার সৃষ্ট্রিকর্তার কাছে সর্বদা দ্বায়বদ্ধ। আমি চাই আপনারা আপনার আপন মনের ইচ্ছাকে প্রধান্য দিন। এতো মানুষের এতোদিনের দুঃখ আমাকে দারুন বেশি পিরা দেয়। আমি চাই পৃথিবী এমন সুন্দর হয়ে উঠবে যাতে করে আমাদের ও আমাদের অনাগত ভবিষ্যতের মধ্য থেকে আর কোনো বাজে চিন্তাধারার জন্ম না নেয়। আর যেনো কোনো মানুষ বিনা দোষে দুঃখ ও অত্যাচারের শিকার না হয়।



আসুন আজ আমরা নিজ মনে ব্রতি হয়ে উঠি। যাতে আমরা আমাদের নিজ মনের সত্য ও মানব প্রেমের ব্যাপারে আপোষ না করে চলি।



পুরো পৃথিবীর পলিটিক্সে আজ সৎ, যোগ্য ও সত্যিকার অর্থে মানুষের মঙ্গল চাওয়া লিডারের বড্ড বেশি অভাব। উচ্চমানের লিডার বিহিন জাতি মাঝিহীন নৌকার মতো।



একজন সত্যিকারের মানব কল্যানের জন্য কাজ করা লিডার কখনও একক কোনো দেশের সম্পদ হতে পারে না। তিনি সকল মানুষের, সকল কালের, সকল দেশের হয়ে নেয্য কাজ আপন ইচ্ছায় করে চলেন। হোক না তা আপনার দৃষ্ট্রি সীমার মধ্যে অথবা আপনার মনের ভিতর থেকে দিবানিশি জেগে উঠে। আদর্শের কখনও ক্ষয় নাই। সৎ আদর্শ আপন বেগে প্রবাহমান হয়ে অনন্ত যাত্রায় থাকতে জানে যার রক্ষক সয়ং সৃষ্ট্রিকর্তা।



আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুক।



(আমার খুব জরুরি একটি কাজ দরকার :: যদি কেউ আমাকে এই উপকারটুকু করলে কৃতার্থ হবো)



https://www.facebook.com/asif.ud

০১৭১৭০৪৪৯১৯

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.