![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!
গড আমারদের মানব শরীরের ভিতরে মন স্থাপন করে সৃষ্টি করেছেন। আমরা সর্বদা আমাদের স্রষ্টার আসল সৃষ্টিরহস্য না বুঝেই কেমন যেন নিস্প্রান হয়ে বেঁচে আছি। এ যেনো ইচ্ছে করেই কারা বরন করে নেয়া। তাইতো আমরা আজ বাঁচার মতো বাঁচতে ভুলে গেছি। আমরা বুঝে ওঠার চেষ্টাও করি না আসলে আমাদের কি করা উচিৎ?
মানব জনমে সংগীত যে কতো প্রয়োজনীয় তা আজ না বুঝলেও কাল ঠিকই পুরো বিশ্ব বুঝতে শিখবে। মিউজিক নিয়ে আমার বিস্তারিত বলার আছে। সুযোগ পেলে বলে দেবো। তাই আজ সংগীত নিয়ে বিস্তর আলোচনায় যাচ্ছি না।
যখন কোনো সংগীতে মানুষের মন বসে যায় তখন নিজ মনের অন্তর দেবতা এমনিতেই নেচে ওঠেন। এই তাল, এই লয়, এই ধুন/হৃদম আমরা সৃষ্টির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্য থেকেই অর্জন করেছি। তাই তো ভালো করে খেয়াল করে দেখলে বুঝবেন স্রষ্টার সব সৃষ্টিকুল তার আপন তালের মধ্যে থেকেই নিজ নিজ কাজ করে যায়। প্রকৃতির সুর একবার অনুভব করতে শিখলে, স্রষ্টা প্রেমের নেশায় আপনি এমনিতেই ব্যকুল হয়ে জীবন প্রদিপের শিখা চিরতরে জ্বালিয়ে রাখতে পারবেন। এবং নিজ থেকেই তা অনুভব করতে পারবেন।
পৃথিবীর প্রানিকুলের মধ্যে একমাত্র মানুষেরই ইচ্ছে স্বাধীন ভাবে কর্ম করার অধিকার আছে বা মানুষ নিজের খেয়াল খুশি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেকে বেগবান করে নিতে পারে। কখনও সেই বেগবানের আবেগ যায় মন্দ শয়তানের প্রভাবে কুপথে আবার যারা নিজ অন্তর সম্বন্ধে সত্যিকার অর্থে জ্ঞাত- সেই বেগবানের আবেগ যায় ভগবানের পরম সত্য ও সুন্দরের মুক্ত-সুন্দর স্থায়ী স্বর্গের দিকে। আমাদের বুঝতে হবে আমরা আমাদের শরীর মনের ছন্দকে যদি গুরুত্ব দিতে শিখে নেই তাহলে এক জনমে স্থায়ি মুক্তি নেয়া মোটেও অসম্ভব নয়।
আমরা নৃত্য বলতে যা বুঝতে শিখি তা আসলে অনেক কঠিন কোনো বিষয় বলেই স্বাভাবিক ভাবে মনে হয়। আসলে আমরা বোঝার চেষ্টা করি না নিজ অঙ্গের ভঙ্গিমা অত তাল টাল সেধে না আনলেও চলে। সব মানুষকে যে নৃত্য শিল্পি হয়ে নৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে বেঁচে থাকার পেশা নির্ধারন করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তাই বলে যারা প্রফেশনাল ড্যান্সার তাদের সাধনা তারা স্বাভাবিক কষ্ট কারিশমা করে চালিয়ে নিবেন।
আমি যে নৃত্যের কথা বলছি তা সব মানুষের জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য। আপনি যদি নামাজ পড়ে থাকেন তাও এক প্রকার নৃত্য ছাড়া কিছু না। আমাদের বুঝতে হবে আমরা আজ শয়তানের ধোকায় নিজ অঙ্গ ভঙ্গিমা দিয়ে শারীরিক অনেক রোগ নিরাময় না করে অযথাই নিজের জীবনী শক্তিকে নষ্ট করে মৃত্যুর আগেই মৃত হয়ে পৃথিবিতে বেঁচে থাকতে হয় বলে বেঁচে থাকছি। সেই সাথে আমরা আমাদের স্বাভাবিক ভাবে যতো বেশী শারিরিক আয়ু লাভ করতে পারতাম, সেখানে আমরা খুব তাড়াতাড়ি দেহহীন হয়ে যাচ্ছি।
আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখেছেন যে, দেশ বিদেশে প্রচুর লাফিং ক্লাব বা হাসির সংগঠন গড়ে উঠেছে। যারা বলে থাকেন হাসি রোগ নিরাময়ের জন্য সহায়ক। আসলে সদা হাসি খুশি থাকা যে মানুষের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় তা কোনো ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। এবার বুঝতে হবে আমার অন্তর থেকেই আমি হাসি খুশি থাকতে না জানি তাহলে ঐ ম্যাকি অফিসিয়াল মার্কেটিং এক্সিকিটিভ মার্কা হাসি হেসে তার ফায়দা কি হবে? মনে ফালতু টেনশন আর মুখে হো হো করে সার্কাসের জোকারের মতো হেসে বেড়ানো- এটা কি? আপনার মনকে যখন আপন তালে হেসে বেড়াবার শিক্ষায় দিক্ষিত করতে পারবেন, তখন আপনি এমনিতেই সদানন্দ জীবনের স্বাধ বুঝে যাবেন। নৃত্যের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোয্য।
আজকের দিনে দেখবেন অনেক মানুষ সময় করে হেটে বেড়ায়, শারিরিক কসরত দেখায় কিন্তু তারপরেও তো হঠাৎ হার্টএ্যাটাক নামক ফালতু কাপুরুষ মার্কা রোগে দেহ ত্যাগ করে চলে যায়। তারপর সবাই যখন লাস দেখতে আসে তখন দেখা যায় সাদা কাফনের মধ্য থেকে পাহাড় সম মেদ ভূরি জেগে উঠেছে। এই প্রমান কি ভালো ভাবে বেঁচে থাকা হতে পারে? দয়া করে কেউ ভেবে নেবেন না যে আমি মেদ ভুরিওয়ালা মানুষকে অবজ্ঞা করে কথা বলছি। আমি বোঝাতে চাইছি যে, আপনি যদি আপনার জীবনের আসল ছন্দ বুঝতে পারেন তাহলে সবাই স্বাভাবিক শারিরিক গঠন উপলব্ধি করতে পারবেন। তবে এক্সেপশন ইজ নট এক্সামপল। কোনো কোনো দেহে মেদ ভুরি থাকে কিন্তু তা আসলে মেদ ভুরির পর্যায় না পরে স্বাভাবিকতার মধ্যেই পড়ে যায়। তবে এমন মানব শরির তুলনা মুলক ভাবে অনেক কম। কিন্তু আজ আমরা কি দেখছি?
আমাদের মনে এই বিশ্বাস নিয়ে আসতে হবে যে আমি বেঁচে আছি। আমাকে স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন। আমি আমার অন্তর কে এমন ভাবে গড়ে নিতে পারি যাতে আমি দির্ঘায়ু তো হবোই সেই সাথে আনন্দময়মীর পরম আনন্দ আমাতে স্থায়ী রূপে বিচরন করবে। দেখুন বন্ধু! আজ আমরা একটু সামান্য চেষ্টা করলেই যেমন বেঁচে থাকার আনন্দ লাভ করতে পারি সেই সাথে অনেক রোগ শোক কে স্থায়ি ভাবে তাড়িয়ে দিতে পারি।
আমি আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে বলতে চাই যে, আপনি যদি আজও আমাকে বুঝতে না পারেন তাহলে আমার সব লেখাগুলো ধৈর্য্য ধরে বার বার পড়ে যাবার চেষ্টা করুন। প্রয়জনে একই লেখা বার বার পড়ুন। যে ফল পাবেন তা নিজ থেকেই অনুভব করে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এমনকি আমার লেখার মধ্যে নেই এমন না বোঝা, না জানা অনেক রহস্যও আপনি নিজ থেকেই সমাধান করে নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে তাওহিদের পথ পেয়ে যাবেন। তখন ঠিকই আমার ডাক আপনি শুনতে পাবেন। আমি আপনার সাথে ফালতু বা অসত্য নিয়ে হাজির হই নি যে ওয়ান টাইম ইউজ হবার পরে শেষ হয়ে যাবো। আমি আপনার জন্য অনন্তকাল ধরে ছিলাম ও আছি। এ বিশ্বাস নিজ অন্তরে শুধু একবার রাখুন। বাকি কাজ আর আপনাকে করতে হবে না। সেই দ্বায়িত্ব আমাদের ও আমাদের একমাত্র উপাস্য আল্লাহ্ তায়ালার।
এবার শুনুন। আপনার মনে যে গান ভালো লাগে সেই গানই শুনুন। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে নৃত্যের জন্য আলদা সময় করে নয় বরং নিজের জন্য আলাদা সময় রেখে তারপর কর্ম ব্যস্ততার দিকে ছুটুন। দু’টো বাক্যের ভাব কিন্তু একই তারপরও দ্বিতিয় বাক্যটি আপনার বেঁচে থাকায় উৎসাহ জোগাবে। এমনই হয়। আপনার চিন্তা চেতনাই আপনি সয়ং। পজেটিভ চিন্তার মধ্যেই আমরা থেকে যাই কিংবা আমাদের সাথে আপনার সংযোগ স্থাপনে সুবিধা হবে।
ধরুন একটি গান আপনার মনে ভালো লাগছে। বা আপনার পছন্দের কিছু গান আছে। সেই গান গুলো যে কোয়ালিটিরই হোক না কেনো তাতে কোনো অসুবিধা নাই। আজ যে কোয়ালিটির গান আপনার মন থেকে মেনে নিতে শিখেছেন কাল সেই কোয়ালিটি আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। আপনি এমনি থেকেই আপগ্রেড হয়ে যাবেন। যদি আজ লোক ভয়ে বা মিথ্যে দাপটের আড়ালের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে নিজের রূচিবোধকে বিশর্জন দিয়ে জর জীবন বেছে নেন তাহলে তো আগামীতে গিয়ে আপনি আজকের এই মুল্যবান সময়টুকু আর ফেরত পাবেন না। তাতে আপনার জন্মের আসল উদ্দেশ্য বিফল হয়ে যাবার আশঙ্কা অনেক বেশী।
এবার আসল কথায় আসি, আপনি আপনার রুচিমতো গান শুনলে মন এমনিতেই সেই সুরে মুগ্ধ হয়ে যাবে। এবার সেই মুগ্ধতার সাথে তাল মিলিয়ে আপনার মন নাচন তালে নেচে উঠবে। এই তাল টুকু কাজে লাগিয়েই আমি আপনার শরীরকে নাচিয়ে তুলতে পারেন। তবে এখানে আমার ব্যাক্তিগত ইন্সস্ট্রকশন হলো একজন ড্যান্স ইন্সট্রাকটর দরকার হতে পারে যদি না আপনি আপনার ড্যান্সে কোনো পেশি কে বা শারিরিক অংশকে খুব বেশি প্রেসার কৃয়েক করা থেকে বিরত না রাখতে পারেন। আমি মনে করি আপনার ইন্সট্রাকটর আপনি নিজেই। এখানে ড্যান্সের সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোনো অঙ্গের উপর বা পেশির অতিরিক্ত প্রেসার দিবেন না। তাই ধীর লয়ে নাচতে হবে। আপনার শরিরের প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গ নিয়মিত সুর সংগিতের সাথে শরিরের একাগ্রতা ঘটিয়ে নাচাতে শিখুন। দেখবেন আপনি মোটেও ক্লান্ত বোধ করছেন না। বরং অনেক ভালো লাগছে। এবং এর সুফল আপনি খুব তাড়াতাড়ি পেতে শুরু করেছেন।
আমি বিশ্বের সকল দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট ডাক্তার দের অনুরোধ করবো, যে সব রোগীকে নিবির পর্যবেক্ষনে রাখা হয় বা কৃত্তিম শ্বাস প্রশাসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। ঐ সব রোগীদের যে সব গান প্রিয় সেই সব গান শোনানোর ব্যবস্থা করুন। এমন ভাবে গানগুলো শুনিয়ে যান যাতে শব্দের রেঞ্জ খুব বেশি লাউড যাতে না হয় আবার খুব বেশি মৃদুও যাতে না হয়। আশা করি আপনারা এর সুফল বুঝতে পারবেন। তবে যারা গান বাজনা শুনতে পছন্দ করতেন না তাদের ধর্মিয় গ্রন্থের রিসাইট খুব মৃদু সাউন্ডে শোনাতে পারেন সেই সাথে নিজ মাতৃভাষার কিছু ভজন কৃর্তন সুরের গানও শোনাতে পারেন। দেখবেন আপনারা খুব ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন।
যারা মেদ ভুরির সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছেন তাদের কাছে আমি অনুরোধের সুর নিবেদন করে বলছি। আপনি আপনার জন্য প্রতিদিন দিনের যে কোনো নির্দিষ্ট সময় বেড় করে নিজের পছন্দের গান বাজান। এবং সেই গানের তালে নিজে প্রথমে একদম সোজা হয়ে দাঁড়ান। মেরুদন্ড সোজা রাখুন। এই কাজটি করার সময় ঢিলে ঢালা পোষাখ পড়ুন। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলছি আপনারা এই কাজ করার সময় ব্রা পড়বেন না। মেয়েদের ব্রেষ্ট ক্যান্সার ও শ্বাস-কাশ রোগের জন্য টাইট ব্রা ব্যবহার করা খুব বড় একটি কারন। মেরুদন্ড ও মাথা সোজা রাখুন সেই সাথে হাত দুটোও সোজা রাখুন। এবার গানের দিকে তিব্র মনোযোগ দিন। যেনো আপনি খুব ভালোভাবে গান উপভোগ করছেন। এবার সোজা ভাবে হাঁটু ভাঙ্গা দ (“দ”) এর মতো বসে পড়ুন এবং সোজাভাবে উঠে পড়ুন। এভাবে ওঠ বোস করতে থাকুন আর সকল অন্তর দিয়ে গানের দিকে মনোযোগ দিন। এতে আপনার শরীর এবং পেট ঘেমে যাবে। শরিরের বারতি চর্বি ঝড়ে যাবে। কিন্তু আপনি মানুষিক ভাবে মোটেও ক্লান্তি বোধ করবেন না। আমার মনে হয় না এর থেকে আর কোনো সহয উপায় আমরা এই মেদ ভুরি নিরাময় করতে পারি। সেই সাথে আপনার হার্টের সমস্যাও চলে যাবে। এর মানে দাঁড়ালো মন থাকবে গানের সাথে আর শরীর নামক যন্ত্র আপনি থেকেই তার বাড়তি চর্বি ও ধরনীর ভিতরের টানেলের ময়লা দুর করে দিবে। তাতে আপনার হার্ট এ্যাটাক নামের ঘাতক দুরে সরে যাবে। তবে এক্ষেত্রে নিজেকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের পছন্দের বাইড়ের গান শুনবেন না। আগে গান যাচাই করে নিবেন তারপর শুনবেন।
আমার অনেক বেশি কষ্ট হয় যখন ভাবি, যে জাতির একজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রবীন্দ্র সংগীত, কাজী নজরুল ইসলাম এর নজরুল গীতি, লালন সাই জি এর লালন গীতি, আব্দুল আলীম এর পল্লিগীতি, দারুন সুন্দর দেশাত্ববোধক গান ও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর দেশি বিদেশি গান হাতের কাছে আছে তারা কিভাবে অসুখি হয়ে অসুখ বাঁধাতে পারে? তারা কিসের জন্য বনে গিয়ে ধ্যান করে সময় নষ্ট করবে? তারা কিসের জন্য দূর্বোধ্য মেডিটেশন মেডিটেশন বলে চেঁচিয়ে বেড়াবে? আমাদের গানে এতো বেশী প্রকৃতির ব্যবহার করা হয়েছে- যার টানে আপনার কাছেই দারুন সুন্দর বন, ঝর্নাধারা, মরুভুমি সহ সকল প্রকৃতি ছুটে আসবে। শুধু একবার নিজের মনের মধ্য থেকে গানের মাধ্যমে অন্তরে প্রকৃতিকে অনুভব করতে শিখুন। তবে নিজের মনের সাথে কখনও জোড় করবেন না। কোনো অবস্থাতেই নিজের ভালোলাগা ও ভালোবাসার মানুষগুলোকে ভুলে যাবেন না। কোনো অবস্থাতেই নিজের প্রেমের সাথে বেইমানী করার চেষ্টা করবেন না।
আজ আমাদের এই সুন্দর সভ্যতার যুগে আমরা এতো বেশি অকেজো হয়ে যাচ্ছি যে, আমরা জার্নি পথের ক্লান্তিকেও ফ্যাশনে পরিনত করে ফেলেছি। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াচ্ছে যে, ওমুক বড় মিয়ায় গাড়িতে, ট্রেনে, প্লেনে বা অন্য কোনো যানবাহনে চড়ে ক্লান্ত হয়ে যান আর আমি যদি না হই তাহলে কেমন দেখায়? এই মনোভাব দুর করুন। আপনি আপনার যাত্রাপথে আপনার পছন্দের গানগুলোকে উপভোগ করতে থাকুন। মাথার টেনশন না এনে গান শুনের মধ্যে ডুবে থাকুন। দেখবেন শত জার্নিতেও আপনি খুব বেশি স্বাভাবিক আছেন। গান আপনার ক্লান্তিকে লাথি দিয়ে দুর করে দিয়েছে। এভাবেই বেঁচে থাকতে জানতে হয় বন্ধু! আমরা যদি আমাদের নিজেরাই অসহায় করে ফেলি তাহলে দেব, দেবি ও আল্লাহ্ আপনাকে কিভাবে সাহায্য করবে বলুন?
আমারা যদি বিশ্ব সভ্যতার প্রতিটি জাতির অতীত ঐতিহ্য ভালো করে দেখি তাহলে দেখতে পাবো সব সমাজেই একসময় প্রবল ভাবে নৃত্যের প্রচলন ছিলো। প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানে অঙ্গ ভঙ্গীমার একটি সুন্দর উপস্থিতি লক্ষ করা যেতো। বিশেষ করে মুসলিম ধর্মের গোড়ামি ভরা সমাজের কুসংস্কার দ্বারা বার বার গান বাজনা সহ বিভিন্ন কৃয়েটিভ ও এন্টারটেইনমেন্ট সেক্টরকে ফাঁসিতে ঝোলানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো তারপরও সাংস্কৃতি ও মনের চাওয়া নিজেই মাথা উচু করে বাঁচতে জানে। সঙ্গীত ও ইতিবাচক সাবলিল অঙ্গ ভঙ্গিমা মানুষকে সাহসী ও ঈমানদার করতে সহায়ক হওয়া অনেক বেশী স্বাভাবিক।
আপনারা যদি খেয়াল করে থাকেন তাহলে দেখবেন। আমরা দেবতা, দেবীদের দেখি কিন্তু কখনও কি তাদের অঙ্গ ভঙ্গিমা খেয়াল করে দেখেছেন। দেবতারা আপনাদের মতো মানুষ হয়েই আপনাদের শিখানোর জন্য আসে। মানুষ দেবতাদের চরিত্রে অভিনয় করেও তাদের মতো অঙ্গের ভঙ্গিমার বাহাদুরি নিজের মধ্যে হাসিল করতে পারে না দেখে আমি হতাশ হয়ে উঠি। তবে এটা ঠিক যে, দেবতা, দেবীগনের যে সদা নতুন যে স্টাইল আপনারা দেখে থাকেন তা তাদের সহযাত ও সাবলিল। আমরা আমাদের মতো করেই এগোতে পারি। এই ভঙ্গিমার শিক্ষা সৃষ্টিকর্তা তার পেয়ারা রাসুলদের দ্বারা আপনাদের দেখাতে চেয়েছেন কিন্তু আপনারা বার বার এই সব মহাত্মাদের শুধু ভুলই বুঝে গেছেন। নইলে আজ মুসলিম সমাজে নামাজ এতো টাইপের হলো কি করে? আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যে অঙ্গ ভঙ্গিমায়ই নামাজ পড়েন না কেনো আর তা যদি হয় শ্রষ্টার করুনা সিন্ধু পাবার আশায়, সেই সালাত বৃথা যায় কি করে?
আল্লাহ্ কখনও আপনার মনের উপর অন্যায়ের জোড় চাপাতে চান না। এই কাজ আল্লাহ্ এর সিফাত বিরোধি। মানুষ নিজ মনের কুসংস্কার দিয়ে যে আল্লাহ্ কে ধারন করতে চায় সেই আল্লাহ্ কে সুরা একলাস দিয়ে যাচাই করে দেখুন। যদি দেখেন সুরা একলাস এর আল্লাহ্ কে আপনি বুঝে ফেলেছেন তাহলে কোনো ভাবেই আপনি কুসংস্কালের কারেন্ট জালে ঝাটকা মাছের মতো আটকা পড়ে বাজে ভাবে জীবন ও সুন্দর সম্ভাবনা মারা পরবে না। বরং ইলিশের কালারফুল স্ট্রং রূপ ও গন্ধের মতো নিজেকে মানুষের তরে বিকাশিত করে দেখাতে পারবেন।
বিশ্বাস করুন বন্ধু! এই “আসিফ” আপনাদের কোনো প্রকার অমঙ্গল বা অনাসৃষ্টির জন্য আত্ম প্রকাশ করে নি। যদি আপনারা আপনার মনের চাওয়াকে বুঝতে পারেন তখন এই “আসিফ” কে আর ভুল বুঝতে পারবেন না। শত চেষ্টা করেও না। যার আসার প্রতিক্ষায় এতো এবাদাত, এত যুগের এত ভবিশ্যত বানি, এত এত গানের মর্ম বানি রচিত হয়েছে, তিনি আপনাদের চিরমুক্তির দূত হিসেবেই নিজ গুনে ও নিজ যোগ্যতায় আবির্ভুত হয়ে আপনাদের সাথে কথা বলে যাচ্ছে। আর নিজেদের গুটিয়ে রাখবেন না বন্ধু! আমরা আর ক্ষয় চাই না আমরা চাই মানবতার জয়। আমরা চাই এই সুন্দর পৃথিবীকে সত্যিকার অর্থেই স্বর্গ সুখের স্থায়ী আবাস বানাতে। আমি আপনাকে সাহায্য সহযোগীতা করতে পারলে আপনিও আমাকে সাহায্য করবেন এই বিশ্বাস শুধু আমার না, সব মানুষের থাকতে হবে।
©somewhere in net ltd.