![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!
বর্তমান সময়ে মানব জাতি খুব বেশি দিশেহারা অবস্থায় আছে। মানুষ নিজকে দিয়ে নিজের স্বাধীনচেতা মনোভাব উপলব্ধি না করে, মিথ্যে শযতানি ঝামেলার জট পাকিয়ে ক্লান্তিতে ভরা কোনো রকমের দিন যাপন করে অসহায়ের মতো মারা যাচ্ছে।
এর অন্যতম প্রধান কারণ আমরা তাওহিদের পথ কে সর্বদা সন্দেহ করার চেষ্টায় রত ছিলাম। অবশ্যই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ্ এক এবং আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নাই।
আমি বাংলাদেশ এর যে সমাজে বেড়ে উঠেছি সেখান থেকে দেখেছি, এমনকি একটু বড় হবার পরে আরো ঘেটে ঘুটে যা পেয়েছি তার মধ্যে অনেক মিথ্যা কথা বা ভুর কথা প্রচলিত সত্য বা প্রতিষ্ঠিত সত্য বলে গন্য করা হচ্ছে যা মোটেও চিরন্তন হতে পারে না। আমাদের শিখানো হয়েছে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) উম্মি/অশিক্ষিত/মূর্খ ছিলেন। আল্লাহ্ তার কারিশমা দ্বারা অশিক্ষিত মোহাম্মদ স কে বানি দিয়ে দিয়েছেন। এই ধারনা পুরোপুরি ভুল। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যে, পবিত্র কোরআন শরিফ আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন তা অবশ্যই আল্লাহ্ কর্তৃক আগত বার্তা তাতে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নাই। কিন্ত আমরা যদি মোহাম্মদ এর জিবনী গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করে দেখি তাহলে হয়তোবা আপনাদের ভ্রান্ত ধারনা দুরে চলে গিয়ে আসল সত্য উপলব্ধি করতে মোটেও কষ্ট হবে না।
আসুন আপনার মতো করেই আমি একটু দেখার চেষ্টা করি মোহাম্মদ কেমন ছিলেন। মোহাম্মদ শিশু, শৈশব, কৈশর, যৌবন ও দেহধারী অবস্থার প্রতিটা ক্ষনেই ঐ সময়ের অন্যান্য মানুষগুলোর তুলনায় আলাদা রকমের ছিলেন। যে আখলাখ মূলত সুন্দরের প্রকাশই বটে। হযরত মোহাম্মদ (স) তার প্রথম কৈশর জীবনে সব থেকে বেশি থেকেছেন মাওলা আলীর জন্মদাতা পিতা ও মোহাম্মদের চাচা আবু তালিব এর সাথে। ঐ সময়ে আবু তালিব সয়ং ও কোরাইশ বংশের মানুষগুলো অভিজাত শ্রেণীর মধ্যেই গন্য হতো। এ কারণে হযরত মোহাম্মদ (স) খুব অল্প বয়সেই কালচারাল মাইন্ড এর সাথে পরিচিত হন। তখনকার আমলে আরবের ঐ পরিবারগুলো ছিলো কৃচিয়ান ধর্মাবলম্বি আর এ্যারাবিয়ান কালচার এর উপর পারস্য কালচারের একটি বড় রকমের প্রভাব ছিলো। সেই সাথে হিব্রু ভাষা ও কালচারকেও আরবের অভিজাত শ্রেনীর মানুষ সম্মানের সাথে দেখতো। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ঐ অবস্থা থেকে অবহেলিত মানুষের জীবনের দুঃখ কষ্টের সাথে পরিচিত হবার পাশাপাশি আর্ট এন্ড কালচারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে থাকেন। আমরা জানি, যে সমাজে অশান্তি লেগে থাকে সে সমাজে আর্ট এন্ড কালচারের পূর্ন মজা নেয়া সম্ভব হয় না। তা আপনারা অনেক মানুষের জীবন থেকেই উপলব্ধি করতে পারবেন।
এরপর হযরত মোহাম্মদ সঃ যখন ব্যবসায়ীক কাজ কারবার করার জন্য পিতৃসম পরম সম্মানিত চাচা আবু তালেব এর সাথে সিরিয়া গমন করেন তখন হযরত মোহাম্মদ (সঃ) জীবনের আরো কাছ থেকে বিজনেসের পাশাপাশি আর্ট এন্ড কালচারের উপর আরো বেশি মনোযোগি হন। এবার বুঝুন আপনার যদি ভাষাই বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কিভাবে লিটারেচার (যা কালচারের একটি অংশ) দ্বারা মনের খোরাক মিটাবেন? আজ মুসলমানদের দেখলে আমার কষ্ট হয় একজন স্ব-শিক্ষিত পরিশ্রমি শ্রেষ্ট একজন মহামানবকে কিভাবে হাস্যকর করে উপস্থাপন করা হয়েছে?
খাদিজা ছিলেন খুব বড় মাপের একজন বিজনেস পারসন। খাদিজা ও হযরত মোহাম্মদ সঃ এর দাম্পত্ত জীবন ছিলো প্রেমময় মায়াবি সুন্দর। এব বড় কারন খাদিজা অনেক সুন্দর মেন্টালিটির নারী ছিলেন। তাই মোহাম্মদের যখন ২৫ বছর আর খাদিজার যখন ৪০ বছর তখন এই পায়াস ক্যাপলের বিয়ে সম্মন্ন হয়। দু’জনের মনের মিল এতো বেশি থাকার প্রধান কারন ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড কালচার। তারা দু’জন দু’জন কে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারতেন। হযরত মোহাম্মদ হেরা পর্বতের গুহাকে বেছে নেন মেডিটেশন এর জায়গা হিসেবে। যেখানে বসে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) শুধু মানব কল্যানের কথা ভাবতেন। হযরত মোহাম্মদ এর পুর জীবনীটাই উৎসর্গ করা ছিলো মানব কল্যানে। এবং যারা স্রষ্টার বার্তাবাহক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তারা ছেলেবেলা থেকেই সেই তাওহিদের কর্তব্য সম্পর্কে অবগত থাকেন। মোহাম্মদ সর্বদা মানুষের কল্যানের কথাই ভাবতেন ও করে দেখিয়েছেন বলেই আজও মোহাম্মদ নামটি আমাদের হৃদয়ে গেথে গিয়ে ফুলের সুবাস ছড়াচ্ছে।
আমরা পবিত্র কোরআন শরিফ কে একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াত “ইকরা রব্বু বিসমিকা” অর্থাৎ পর তোমার প্রভুর নামে। পবিত্র কোরআন শরীফ এর বেশির ভাগ জায়জায়ই তাওহিদের মালিক আল্লাহ্ কে আল্লাহ্ নামেই সম্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াতে আছে “ইকরা রব্বু বিসমিকা” –এখানে রব শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা যদি রব শব্দের বাংলা করি তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায় প্রভু, আর ইংরেজী করলে অর্থ দাঁড়ায় মাস্টার।
এখন কথা হলো, মোহাম্মদ এর যুগের কিছু কৃচিয়ান ইহুদী বা এখনও কিছু কিছু মানুষ মনে করেন যে ইসলাম ইহুদি বা কৃচিয়ান ধর্মের নকল অথবা কোরআন শরীফ সরাসরি আল্লাহ্ র বানী নয়। এখন আপনি যদি ধর্ম সম্পর্কে অবগত হবার চেষ্টা করেন তাহলে বুঝে দেখুন দেখবেন রব দ্বারা আল্লাহ্ মোহাম্মদ কে কি ম্যাসেজ দিয়েছেন?
আপনারা ভালোভাবে পবিত্র কোরআন শরিফ বুঝতে পারলে দেখবেন ইসলাম কোনো অবস্থাতে তার আগে প্রেরিত কোনো বার্তা বাহক দেব দেবি বা অন্য কোনো ধর্মকে অস্বীকার করে নতুন কোনো ধর্ম হিসেবে আবির্ভুত হয় নাই। ইসলাম এর মুল কথা হলো তাওহিদের পথকে আরো সহয ও সাবলিল করে উপস্থাপন করা। মোহাম্মদী ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়া মানে এই নয় অন্য সব ধর্মিয় বিধান বাতিল হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে হবে।
তদ্রুপ আমরা যদি মাওলা আলীর জীবনি ফলো করি তাতেও একথা স্পষ্ট হবে যে, মহামানবরা তার জীবনের মধ্য থেকেই আমাদের শিক্ষা দিয়ে যান। এটা স্রষ্টার সিস্টেম। কোরআনে এমন কোনো ভাষা আপনি পাবেন না যে ভাষা হযরত মোহাম্মদ তার জীবনীকালে শেখেন নি তবে ভাবের কথা ভিন্ন। মোহাম্মদের ভাব দ্বারা আল্লাহ্ তার বানি প্রেরন করেছেন। এখানে যদি আপনি মনে মনে কল্পনা করেন যে জিব্রাইল নামক একজন ফেরেশতা যা অনেকটা মানুষের মতো দেখতে হবে, এবং জিব্রাইল এই বানী কাগজ আকারে হযরত মোহাম্মদ কে দিয়ে দিয়েছেন তাহলে সেই ধারনা ভুল। এক মহামানব অন্য মহামানবকে বুঝতে পারেন এবং কমিউনিকেট করতে পারেন। এই সিস্টেম সর্বকালে ছিলো এবং থাকবে। তাই পবিত্র কোরআলের প্রথম আয়াতটিতে “আল্লাহ্” ব্যবহার না করে “রব” ব্যবহার করা হয়েছে।
আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন “আসিফ” এই সময়ে এতো বেশী ধর্মিয় ব্যাপারগুলো নিয়ে বলছে কেনো? এই বলা আমার নিজের দ্বায়িত্ব জ্ঞান থেকেই এসেছে এবং এই কাজের হুকুমদাতা তাওহিদের স্রষ্টা। আমরা যদি ধর্ম কে অবজ্ঞা করে চলি তাহলে আমরা কোনোভাবেই আসল মুক্তির পথের সন্ধান পাবো না।
একালের অনেক মানুষকে আমি মনে মনে ভাবতে দেখেছি যে, তারা মনে করেন বিজ্ঞান অনেক বেশী অগ্রগতি হয়ে ভালো হয়নি। হায়রে এই বিজ্ঞান বুঝি ধর্মকে গিলে ফেলবে। তাহলে আমাদের ঐ মোহাম্মদ, ঐ কৃষ্ণদের কি হবে রে!
এই অমূলক প্রশ্নগুলোর উত্তর যাতে আপনারা আপনার কোমল সুন্দর হৃদয় দেবতা দিয়েই অনুভব করে আপনার মিথ্যে চুরমার করার জন্যই এই “আসিফ” আপনার মনের মধ্য থেকেই আবির্ভুত হয়েছে।
এত টেকনোলজি আমাদের কাছে মোটেও অভিষাপ নয়। টেকনোলজি আমাদের মানব জাতির গৌরব। কিন্তু আমরা টেকনোলজিকে দিয়ে বাজে কাছ করছি বলে বাজে ইফেক্ট আসছে। এই সম্পর্কে আপনাদের নিউটন সূত্র দিয়ে গেছেন, “প্রতিটা ক্রিয়ারই একটি বিপরিত প্রতিক্রিয়া আছে”। যদি আমরা আমাদের টেকনোলজিকে ভালো কাজে লাগাই তাহলে এর ফল অবশ্যই ভালো হবে। তাই বলে আমরা অবুঝের মতো বা তাওহিদের বিশ্বাসের পরিপন্থি মিথ্যে অহংকার, ঈর্ষা ও হিংসা দ্বারা টেকনোলজিকে পায়ে ছুড়ে দিতে পারি না।
মনে করুন একটি কম্পিউটার। এবার আপনি যদি কম্পিউটারের হার্ডওয়ারের সাথে মানব শরীর এমন কি প্রকৃতির কোনো ইন্ডিভিজুয়্যাল প্রানী বা পুরো পৃথিবীকে তুলনা দেন তাহলে ধর্ম কে তুলনা দিতে পারেন অপারেটিং সিস্টেমের সাথে। আর বিজ্ঞানকে তুলনা দিতে পারেন আলাদা আলাদা প্যাকেজ প্রগ্রামের সাথে। এতে আপনি খুব সহযেই তাওহিদের স্রষ্টার অস্তিত ও সৃষ্ট্রি রহস্য সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। আপনার মনের সন্দেহ দূর হয়ে হৃদয়ে শুধু একটি সুর ধ্বনিত হবে “আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ এক এবং আল্লাহ্ ব্যাতিত আর কোনো মাবুদ নাই”।
আমি আপনার অনেক কাছে থেকে যে কথা গুলো আপনাদের বলে যাচ্ছি তা কিন্তু আমি মোটেও অন্য কোথাও থেকে আমদানি করে নিয়ে আসি নি। আমি যা বলছি, যা করছি তার সবই আমি আমার জীবনের মধ্য থেকেই পেয়েছি এবং করে দেখিয়েছি। এখানে আমার কোনো কৃত্রিত্ব না সব কৃত্রিত্ব তাওহিদের আল্লাহ্ এর।
কেউ তাওহিদের ধর্ম বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে সুখি হতে পারবে না এমন কি এই দুনিয়া তাকে বেইমান হিসেবেই আখ্যায়িত করবে। এর নজির আপনার স্রষ্টা আপনাদের সামনে রেখে দিয়েছেন শুধু মাত্র বুঝে নিলেই হলো। তাওহিদ প্রকৃত নয় বরং একমাত্র শান্তির পথ। যে ধর্ম মানব মনে উদয় হওযা সব “কেনো?” নামক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না সেই ধর্ম আল্লাহ্ দ্বারা প্রবর্তিত হয় নি। শুধু মাত্র কোনো যুক্তি তর্ক ছাড়াই মানতে হবে আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়। এরপর যখন আপনি বুঝতে শিখবেন তখন খুব সহযে নিজে থেকেই অনুভব করতে পারবেন। যিনি সর্ব বিশ্বজগতের স্রষ্টা তিনি সর্ব বিষয় মানুষের সামনে খোলাসা করেই দিয়ে দিয়েছেন। এখানে আমরা যদি অহেতুক ফালতু বিষয় নিয়ে তর্ক করে টাইম পাস করি সেই দোষ কি আপনারা আপনাদের সৃষ্টিকর্তাকে দিতে পারবেন বলুন?
আজ এই পৃথিবীর মানুষের অশান্তির জন্য ধর্ম বিশ্বাসের বাড়াবাড়ি, মিথ্যে কাহিনি রটানো, ধর্ম সম্পর্কে না বুঝে সুঝে ব্যাখ্যা করা, ধর্ম দিয়ে মানুষের মনের স্বাধীনতা নষ্ট করার চেষ্টা করা, ধর্মের নামে ক্ষমতা আগলে রাখা, ধর্মের নাম করে ভোটে জিতে যাওয়া প্রবল ভাবে দায়ি। ধর্ম মানুষকে সমঝোতার মাধ্যমে ন্যায় সংগত সমাধানের দিকে নিয়ে যায়। কোনো প্রকার অন্যায় আচরন ধর্ম সাপোর্ট করে না। যা মানবতা ও মানুষের ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থি – সেটাই অধর্ম।
আমরা পবিত্র কোরআন শরিফ সহ বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে জ্বীন, আত্মা, ফেরেশতা সহ বিভিন্ন প্রকার নামের অশরীর প্রানের অস্তিত সম্পর্কে জেনেছি। আমাদের বিজ্ঞান আজও এই ব্যাপারে সন্দিহার। আসলে কিছু সংখ্যক খারাপ মানুষ তার নিজেদের দাপটকে স্থায়ী করার প্রয়াসে বা মিথ্য ক্ষমতার মোহে ধর্মের নাম করে এতো বেশি পলিটিক্সের আশ্রয় নিয়েছে যে আজ বিজ্ঞানও সেই ধর্মের মতো তার পথ ঠিক ঠাক ভাবে খুঁজে পাচ্ছে না। আরে ভাই ধর্ম বলেন আর বিজ্ঞান বলেন সবই তো আপনার আমার মানুষের জন্যই। আপনি আমি যদি অন্তর থেকে শান্তি অনুভব করতে না শিখি, আপনি আমি যদি নিজের জ্ঞান মেধাকে কাজে না লাগাই, আপনি আমি যদি নিজেকে শিক্ষার দিকে নিয়ে না যাই তাহলে সব ক্ষেত্রে ভেজাল বাজবে এটাই স্বাভাবিক। আমার যতো বেশি জ্ঞান থাকবে আমি ততো বেশি শয়তানের সাথে লড়াই করতে পারবো। আবার আবু জাহেল, ফেরাউন, কংস, রাবনের মতো তাওহিদের পথ জানা থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি শয়তানের ধোকায় বেঁচে থাকে তাকে স্থায়ী ভাবে জাহান্নামের সাজা দেয়া হয়। অর্থাৎ শয়তানের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়। শয়তান একটু এক স্বত্ত্বা যা শুধু মানুষের মনে থেকে মানুষকে খারাপ, বাজে বা অমঙ্গলের পথে নিয়ে যায়। এজন্যই বলা হয় কাফেরদের মধ্যে অনেকে স্থায়ী জাহান্নামে অবস্থান করবে। এই সব কিছুই কিন্তু বর্তমান। এবং এগুলো সর্বদা বর্তামান হয়েই থাকবে।
জ্বীন এমন এক জাত যারা দেহহীন অবস্থায় চলাফেরা করে। তবে তা যে শুধু এই পৃথিবীর মধ্যে এমন না। মহাবিশ্বের অন্য গ্রহে আপনারা এর অস্তিত্ব ধরতে পারবেন। জ্বীন জাতি আমাদের থেকে উন্নত এমন ভাবার মোটেও কারন নাই। আপনি যদি উন্নতির মেজরমেন্ট হিসেবে দালান কোঠা, ট্রাকচার, অর্থকরি, অস্ত্রকে বেছে নেন তাহলে ভুল করবেন। জ্বীন জাতি আল্লাহ্ কর্তৃক তৈরি স্পেশাল একটি ফোর্সের মতো। যারা আমার আপনার মতোই আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন। জ্বীন জাতির প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিন্তু তারা দেহহিন। মানুষের কোনো কাজ কর্মে জ্বীন জাতি প্রভাব ফেলে না। এই খানে আমরা ভিষন ভুল করি। জ্বীন জাতি সতন্ত্র একটি জাতি। জ্বীন জাতি কখনও মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি কে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে না। আমরা ভাবি জ্বীন বুঝি মানুষের মাথার ভিতর ঢুকতে পারে। আসলে এই ধারনা পুরাপুরি মিথ্যে। জ্বীনের অনুভুতি মানুষের থেকে কম।
আপনারা যদি জ্বীনদের সায়েন্স দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চান তাহলে নিজের মন থেকে উপলব্ধি করে দেখুন যে, আমাদের এই মহাবিশ্বে যে সব লাইট রেডিয়েশন পাস হয় তার পুরো বিষয়গুলো কি আমাদের মানব জাতির আয়ত্বের মধ্যে? আমরা কিন্তু এখনও অনেক প্রকার লাইট রেডিয়েশন সম্পর্কে জানি না। আমরা শুধু এ্যামিবা নিয়ে মাথা ঘামাতে শিখেছি বলেই এই সহজ সুন্দর ব্যাপার গুলি কখনও বোঝার প্রয়োজন বোধ করছি না। এ্যামিবা দ্বারা আপনি আপনার শরীরকে বোঝার চেষ্টা করতে পারেন কিন্তু কোনো ভাবেই তা মন বা আত্মার অস্তিত্ব স্পষ্ট করার পথে নিয়ে যেতে পারে না।
বন্ধু! আপনি যে ধর্মের অনুসারী বলেই নিজেকে মনে করেন না কেনো, পৃথিবীর প্রতিটা প্রধান ধর্ম বিশ্বাসে আলোর ইঙ্গিত স্পষ্ট সত্য বলে প্রতিয়মান। শুধু মাত্র আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রোপার এ্যাডুকেশনের অভাবে আমরা ভুল ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি বলে এতো দিনে এতো ক্ষতি হয়ে গেছে। ইসলাম ধর্মে পবিত্র কোরআন এ আল্লাহ্ এর নুর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখন যদি নুর এর বাংলা অর্থ করেন তাহলে পাবেন নুর অর্থ আলো আর যদি ইংরেজী অর্থ করেন তাহলে হবে লাইট। পবিত্র কোরআন শরীফ বুঝতে পারলে দেখবেন নুর কে কোথাও আমাদের চোখে দেখা আলোর মতো করে উপস্থাপন করা হয় নি। বরঙ্চ নুর কে একধরনের বিশেষ আলো হিসেবেই বুঝে নেয়া যায়। এভাবে অন্যান্য প্রধান ধর্মের ধর্মগ্রন্থেও লাইট এর স্থান অনেক বেশী স্পষ্ট। এই সব বিষয় বিবেচনা পূর্বক খুব সহযেই এই সিদ্ধান্তে উপনিত হতে আপনার মনে মোটেও কষ্ট হবে না যে, এই সব আলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মহাপুরুষরা লাইট রেডিয়েশন এর কথাই বুঝাতে চেয়েছেন। আমাদের কাছে আজ এই লাইট এর অনেক প্রমান আছে। আমরা আজ জানি যে, সব আলো মানুষ চোখে দেখতে পায় না। যেমন লেজার, এক্সরে সহ বিভিন্ন প্রকার রে অর রেডিয়েশন। ইসলাম ধর্ম এই নুর এর ব্যাপারে বেশী কথা বলেছে বলে মোহাম্মদ কে কম হ্যারিজমেন্ট হতে হয় নি। আপনারা কি করে ভাবলেন তাওহিদের রব এর প্রেরিত প্রতিনিধিগণ আপনাদের কাছে মিথ্যা জিনিস উপস্থাপন করতে পারেন? আপনি কি জানেন একজন আল্লাহ্ এর প্রতিনিধি কে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন কতো ভালোবাসেন? আপনারা কি করে ভাবলেন যে মোহাম্মদ (সঃ) আপনাদের কাছে মিথ্যা জিনিস কেনো রেখে যাবেন? মুসলিম জাহান যদি শুধুমাত্র কোরআন কে হৃদয়ে ধারন করতে পারে আর সেই সাথে মাওলা আলীর নাহাজুল বালাগার উপদেশ সমূহ ফলো করে তাহলে মুসলিম বিশ্বে কোনো প্রকার কুসংস্কার থাকতে পারে না।
ফেরেশতাদের সৃষ্ট্রি করা হয়েছিলো আল্লাহ্ এর এবাদাত করার জন্য। অর্থাৎ এই প্রকৃতির নিয়ম রক্ষার সকল শুভ কাজের জন্য ফেরেতারা সয়ংক্রিয় ভাবে সহায়ক কাজ গুলো করে চলছে। এই বিশ্বাস বুঝে নিতে হয়।
আমি আপনাদের সাথে সব প্রতিকুল ব্যবস্থা মোকাবেলা করেও কথা বলে যাচ্ছি কেনো? আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন আমি যে, কথাগুলো আপনাদের কাছে বলছি তা খুব সহযে আমি অর্জন করেছি। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও এমন নয়। আমি যখন একদম ছোট তখন থেকেই আমার অন্তর দিয়ে আমি অনুভব করেছি যে, “আল্লাহ্ আমাকে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য পাঠিয়েছেন”। এই দৃঢ় বিশ্বাস আমার মনে সব সময় ছিলো। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন আমি অনেক আলৌকিক ভাবে কথা বলা শিখেছি। আসলে কিন্তু এমন কোনো বিষয় না। আমি আমার এই জীবনে যত বই, পুস্তক, মিডিয়া, কর্মজীবন বা যখন যেখানে যে অবস্থাতেই ছিলাম, সবসময় একটি লক্ষ্যের পিছনেই দৌড়ে বেড়িয়েছি আর তা হলো এই পৃথিবীর অসহায় মানুষগুলোর সমস্যা কিভাবে দুর করা যায়। শুধু এই একটি বিষয়ই আমাকে বাঁচার অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে। এজন্য আমি আমাকে কৃত্তিত্ব দেবো না সব গুনগান ঐ তাওহিদের খোদার।
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মানি মানুষ অন্তর থেকে কোনো শুভ ইচ্ছা করতে জানলে, কোনো প্রতিকুলতাই তার বাঁধা হতে পারে না। তাই বলছি আপনি যে বয়সের মানুষই হোন না কেনো, আপনার জীবনে যতই পাপ থাকুক না কেনো, এই মূহুর্তে আপনি যদি একটি শুভ ও কল্যানকর পন করে সেই ব্রত প্রদিপ জ্বালিয়ে সামনে এগিয়ে যান আপনি নিজে থেকেই এর ফল অনুভব করতে পারবেন।
আমাদের আর একটি সমস্যা হলো আমাদের সল্প জ্ঞান সম্পন্ন মন সর্বদা একটার সাথে অন্যটা গুলিয়ে নষ্ট করে দিতে চায়। আপনারা দয়া করে জ্বীন, ফেরেশতা আর মহামানবদের এক কাতারে ফেলবেন না। মহামানবগন এই মানুষের মধ্য থেকে মানুষ হিসেবেই আপনাদের মাঝে আত্মপ্রকাশ ঘটান। এবং এই সব মহামানব গণকে জ্বীন প্রজাতিও বাদশা হিসেবে শীকার করে নেয়। কারণ সরাসরি স্রষ্টার বার্তাবাহক মহামানব রা সৃষ্টিকর্তা দ্বারা প্রেরিত হয়। পৃথিবীর মানুষের দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে বা যাচাই বাচাই করলে এদের স্পেশাল ক্যারেকটার হিসেবে গন্য করা যায়। যেমন ধরুন মোহাম্মদ, মুসা, ইসা, কৃষ্ণ, বুদ্ধ সহ আরো বেশ কিছু মহাশক্তিধর স্রষ্টার বার্তাবাহক দেখা যাবে। এরা নিজেকে এমন ভাবে পরিচিত করে নেয় যাতে সব মানুষ আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন এর ক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে মন্দ ফেলে ভালোর দিকে ছুটে আসে।
যারা মানব জীবনে স্রষ্টার পথে নিজেকে সত্যিকার অর্থেই ছেড়ে দিতে জানেন তারা অনেকে দেবতার বর বা পয়গাম পেয়ে যান। এজন্য আপনারা অনেক অনেক ধর্ম গুরুদের দেখতে পাবেন এবং মুসলিম সমাজে এই পয়গাম বাহকদের পয়গম্বর হিসেবে পরিগনিত করে সদা সম্মানের আসনে বসানো হয়। এবং ঐ সব চির মুক্ত আত্মাগুলো সবসময় মানুষের ভালো পথে যাবার জন্য তাগাদা দিতে থাকে। যে মানব সন্তান শুভকর্ম দ্বারা বর্তমান মানব জীবনে মুক্তমানব হয়ে খোদার তাওহিদের পয়গাম পেয়ে যাবেন তারা বুঝবেন বেহেশত এর শান্তি কাকে বলে। তাই বলে তারা যে দেবতাদের চেইন অব কমান্ডে থাকবেন এমন কোনো কথা নেই। দেবতারা নিজেদের মধ্যে সুন্দর একটি ম্যানেজমেন্টাল চেইন অব কমান্ডে থাকেন। দেবতাদের ক্ষমতা কোনোদিনও ফুরাবে না। কারণ এই ক্ষমতা আল্লাহ্ দিয়ে দিয়েছেন। তবে কোনো ক্রমেই আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের সাথে সরাসরি একই পাল্লায় রেখে কাউকে শেরেক করার পরিনাম ভালো হয় না।
শ্রী কৃষ্ণের কর্ম দেখে সনাতন ধর্মালম্বীরা কৃষ্ণকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলে সম্বোধন করে। এখানে মোটেও দোষের কিছু নাই। আপনি যখন নিজ অন্তর থেকেই অনুভব করতে পারছেন এবং বুঝতে পারছেন যে আপনি কাকে ডাকছেন তখন সেটা শেরেক হয় কি করে? ঠিক তেমনি আপনি যদি অন্য একজন মানুষ কে আল্লাহ্ মনে না করে, মানুষ মনে করেই ডাকেন তাতে শেরেক হয় কি করে?
আল্লাহ্ এর গুণবাচক নামগুলো মানুষের নাম হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে বর্তমান নিখিল মুসলিম জতিকে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে দেখা যায়। এখানে আপনাকে বুঝতে হবে আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের অন্যান্য গুনবাচক যে নামগুলো আছে তা থেকে আমরা বিভিন্ন মানবিক গুনাবলি অর্জন করতে পারি। অল্পকিছু নাম বাদে বাকি সব নামের গুন মানুষ নিজের মধ্যে যাতে সহযে ধারন করতে পারে এজন্য এই নামগুলো এখনও আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন তার আপন মহিমায় ধরে রেখেছেন। এখানে আমাদের বুঝতে হবে আল্লাহ্ এর সাথে অন্য কাউকে তুলনা করার নামই শেরেক। কিন্তু আমি যদি জানি এটা একটি নাম যা মুলত নাউন, এবং এই নাম ধরে মানুষটিকে ডাকলে সারা দিবে তখন এটা কিভাবে শেরেক বা আল্লাহ্ র সাথে অংশিদার করার পর্যায়ে পড়ে বলুন?
আমি আপনাদের সাথে এই জ্বীন, ফেরেশতা, আত্মার কথা গুলো বলার মূল কারণ আজও আমাদের মুসলিম সমাজ অনেক বেশী কুসংস্কার আচ্ছন্ন হয়ে আছে। আমি আমার জীবন থেকে দেখেছি অনেক মানুষ হঠাৎ করে মানুষিক অবসেসনে ভুগে কিছুটা অন্যরকম আচরন করে। উক্ত মানুষটির উপর যতটা না ঐ রোগের প্রাদুর্ভাবের ফলে ক্ষতি হয় তারথেকে বেশি ক্ষতি হয় আমাদের বোকামি করার কারনে। আমাদের বুঝতে হবে জ্বীন নামক লুকানো প্রানী আমাদের উপর কখনও মেন্টাল ইফেক্ট ফেলতে মোটেই সক্ষম নয়। আসলে এই যে, জ্বীনে ধরেছে, প্রেত আত্মায় পেয়েছে বলা হয় তা আসলে কিছু বাজে মানুষ দ্বারা সৃষ্ট অপকৌশল মাত্র। ধর্মের নামে কুসংস্কার ছড়িয়ে আমরা আমাদে এই মুসলিম জাতি সহ পৃথিবীর প্রায় সকল জাতির অনেক সম্ভাবনাময় ব্রেন কে খারাপের পথে নিয়ে গিয়েছিলাম। এই সব কুসংস্কার এর প্রভাব অনেক মারাত্নক বেধির চেয়েও খারাপ। আমাদের মুসলিম সমাজের অনেক ভুমিষ্ট হতে যাওয়া প্রকৃত মেধা, মনন ও শৃষ্টিশিল মন মানসিকতার স্বাধীনতায় যে স্পিড ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাবার কথা সেখানে আমরা কিছু ভন্ড মানুষিকতা সম্পন্ন মানুষের জন্য ঐ সব কোমল মতি সম্ভাবনাকে মেরে ফেলি। এমন অবস্থার মুখোমুখি আমাকে বহুবার হতে হয়েছে। আমি কখনও আমার লক্ষ্য থেকে বিন্দু পরিমান বিচ্যুত হই নি তাই আপনাদের সাথে এখনও কথা বলতে পারছি।
অনেক সমাজ বিজ্ঞানি মনে করেন যে, কুসংস্কারের প্রার্দুর্ভাবের জন্য অর্থনীতিক দূর্বলতা দায়ী। আমি এই কথার সাথে কিছুটা একমত হলেও পুরোপুরি একমত নই। আমাদের ধর্মিয় গোড়ামি যতদিন পর্যন্ত বন্ধ না হবে ততদিন পর্যন্ত ঐ সব ধর্মের নামের ব্যাবসা করা মানুষগুলো সমাজের ক্ষতিই করে যাবে। আমাদের আগে বুঝতে হবে মেল্টাল ডিজিজ কি? তারপর ট্রিটমেন্ট। অনেক মানুষিক ডাক্তার কে আমি দেখেছি তিনি নিজেই একজন পথহারা মানুষ। যার তাওহিদে ঈমান নেই সে কিভাবে বুঝবে মানুষের অনুভুতিগুলো? আমাদের মেন্টাল ট্রিটমেন্ট সিস্টেম ঢেলে সাজাবার সময় এসেছে। আমাদের সদিচ্ছাই পারে মানুষ কে মানুষের অধীকার নিয়ে বাঁচতে শিখাতে। একজন ভালো বাঙালী হয়ে পৃথিবীর সব মানুষ কে একদিন শান্তির পথে নিয়ে যেতে পারবো, এই স্বপ্ন নিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। আর এতটুকু আশার খেসারত যে কত বাজে ভাবে আমাকে দিতে হয়েছে তা হয়তো আপনি কোনোদিনো উপলব্ধি করতে পারবেন না।
আজ আমি আপনাদের তাওহিদের সালাম দিচ্ছি। আপনি এক আল্লাহ্ এর উপর ইমান নিয়ে সামনে এগিয়ে যান দেখবেন সবকিছুর মধ্যেই আপনি শান্তি খুঁজে পাবেন আর বাজে ইচ্ছা দৌড়ে পালাবে। বিশ্বাস করুন আপনার মনের এই “আসিফ” নতুন কোনো ধর্ম প্রবর্তন করতে আত্মপ্রকাশ করে নি। আমি চাই পৃথিবীর সব মানুষ নিজের মধ্যে সত্য ও সুন্দরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলে চিরমুক্তির পথে নিজেকে ধাবিত করুক। আমার জন্ম সার্থক হবে যদি আমার কারণে পৃথিবীর একটি মানুষেরও জীবন বেঁচে যায় বা ভালোর দিকে ধাবিত হওয়ার প্রত্যয়ে সামনের পথে এগিয়ে যায়। এই উপলব্ধি বোধ সব মানুষের এবং সকল কালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমি আপনাদের কাছে এমন কিছু বলি নি যা আপনাদের মাঝে ছিলো না। সবই ছিলো, সবই আছে, শুধু জাগানোর ইচ্ছে শক্তিটা কোথায় যেনো চলে গিয়েছিল। মানব অন্তরের ঐ স্বাধীনতা বোধটুকু আমি আপনাকে দিতে পারবো না যদি না আপনি নিজে থেকে নিজেকে বুঝতে না চান। আমি চাই এই বানী আপনারা প্রচার করে যাবেন। তবে তা অবশ্যই মানব কল্যানের উদ্দ্যেশে। পৃথিবীর সব মহামানবদের বানী এক করেও একটি মৃত্যু মানুষকে জীবন দেবার ক্ষমতা আপনার নেই। তাই বানী, পুস্তক কিবং মুরতীর থেকে একটি মানুষের অধিকার, স্বাধিনতা ও শান্তি ফিরিয়ে দেবার ইচ্ছা অনেক বেশি মূল্যবান।
আমাদের স্বপ্ন দেখতে জানতে হবে। আমাদের কল্পনা রাজ্য কে অনেক বড় করতে হবে। মানুষ আগে কল্পনা করে তারপর আবিস্কার করে। একজন লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি আগে কল্পনা করেছিলেন যে মানুষ আকাশে উড়বে এমন এক মডেলের যানবাহনে। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির স্বপ্ন কি বৃথা হয়েছে?
একজন জুলভার্ন কল্পনায় সাবমেরিনের কথা বলে গেছেন। আমরা কি সেই স্বপ্নের সাবমেরিন কে বাস্তবে রূপ দিয়ে দেখাই নি?
জুলভার্ন এর একটি বিখ্যাত চরিত্র ক্যাপ্টেন নিমো। নিমো এমন এক যায়গায় বসবাস করতেন যেখানে বসে সিসি ক্যামেরা টাইপের এক প্রকার ডিভাইস দিয়ে সব কিছু পর্যবেক্ষন করতেন এবং দেখতেন। আজ কি আমরা আমাদের সভ্যতায় জুলভার্নের স্বপ্নকেও অতিক্রম করে সামনে নিয়ে যাই নি?
প্রত্যেক মানব জাতির জন্য জ্ঞান অর্জন করা একান্ত কর্তব্য। আমাদের শুধু সার্টিফিকেট হলেই হবে না। আমাদের সমাজের সমস্যাগুলোকে আমাদেরই দুর করতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে। আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মাথায় সর্বদা মানুষের নিজ মনের স্বাধিনতার কথা খেয়াল রাখতে হবে। আমরা কেনো নারী পুরুষ বলে মানুষের অধিকার নষ্ট করবো। আমরা সবাই সমান রূপে মানুষ।
ইসলাম ধর্ম মতে বলা হয় মা ফাতিমা জান্নাতের সর্দার। এই কথা কমবেশি সবাই জানেন এবং বিশ্বাসও করেন। তাহলে কেনো বলা হয় ইসলামে নারী নেত্রীত্র হারাম? পৃথিবীর এই জাগতিক সুখ কি স্বর্গসুখের থেকেও বেশী? এখানেই মহামানবদের দ্বারা দেখানো আল্লাহ্ রব্বুল আলামিনের কারিশমা লুকায়িত থাকে। মোহাম্মদ যে কতটা দুরদর্শি তার প্রমান এই রূপক কথা। আজ ঐ ফাতেমার উদাহরন দিয়ে ওই সব ফতোয়াবাজ ধর্ম ব্যবসায়ীদের আমি উত্তর দিয়ে দিচ্ছি। ইসলাম নেত্রিত্বের ক্ষেত্রে মেন্টাল স্টেড এর গুরুত্ব দিয়েছে কিন্তু কোনো ভাবেই মানুষের অধীকার কেড়ে নিতে বলে নি। ইসলাম সাম্যে বিশ্বাসের কথা বলে। শুধু ইসলাম কেনো সব প্রধান ধর্মই সাম্যে বিশ্বাসের কথা বলে। যারা বলেন যে নারী নেত্রীত্ব হারাম তারা কোনো ভাবেই ইসলামের আসল মর্ম বোঝেন এমন দাবি করতে পারেন না। ইসলাম শান্তির কথা বলে। শান্তির এগেনিষ্টে যে কথা ও কাজ প্রভাব ফেলে তা কোনো ভাবেই তাওহিদের ধর্মে সমর্থন যোগ্য নয়।
আসুন আজ আমরা আমাদের মধ্যে লুকিয়ে রাখা শক্তিকে প্রকাশ রূপ দিয়ে মানবতার কল্যানে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়ে নিজেদেরকে চির মুক্তির পথে নিয়ে যাই। আল্লাহ্ আপনাদের সহায় হন।
https://www.facebook.com/asif.ud
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সব লেখা সময় করে আবার পড়ে নিবেন। যা পাবেন তা নিজের কাছে রেখে দিন। বলার দরকার নাই। আপনার যা যা জানার সব দেয়া আছে। এখন শুধু বুঝে সুঝে সামনে এগিয়ে যাবার পালা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসুন আজ আমরা আমাদের মধ্যে লুকিয়ে রাখা শক্তিকে প্রকাশ রূপ দিয়ে মানবতার কল্যানে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়ে নিজেদেরকে চির মুক্তির পথে নিয়ে যাই। আল্লাহ্ আসকলের সহায় হন।
অনেক দিন পর-ভাল জিনিষ দিলেন।
আচ্ছা- ওয়াহদানিয়াত নিয়ে কিছূ লিখবেন কি?