![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!
মহান সৃষ্ট্রিকর্তার নাম স্মরন করছি।
প্রিয় বন্ধু!
আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অন্তর ভরা প্রেমের বিকশিত ফুল নিবেদন করে সম্মান জ্ঞাপন করছি।
এই মুহূর্তে যে আপনি আমার কথাগুলো বুঝতে যাচ্ছেন সেই আপনি একজন মানুষ আর আমিও একজন মানুষ। এজন্যই আমরা আমাদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান ঘটাতে পারি। আমাদের প্রধান পরিচয় আমাদের অন্তরের সুন্দর আলোক ঝটায় উদ্ভাসিত ভাব। মানুষ মানুষের ভালোবাসা পায় তার ভাব কে সঠিক সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে শিখে নিজের আত্মপরিচয় বা ব্যক্তিত্বর বিকাশের মাধ্যমে। যা অসুন্দর তা থাকে না, যা সুন্দর তা সত্যিকার অর্থেই টেকশই ও মজবুত যার কোনো ক্ষয় নেই। আমরা আজ মানবজাতির প্রধান ভাব তাওহিদের বিশ্বাসের প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে নিজেদের ভাব বিনিময় করে যাচ্ছি। দেখুন বন্ধু! এই যে আপনি আমাকে আর আমি আপনাকে বুঝতে পারছি এর মধ্যে কিন্তু কোনো জাত, কাল, পাত্র, অর্থের মানদন্ড ও বংশ মর্জাদা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। এখানেই মানুষের অন্তরের সুরের অখন্ডতা ধরা পড়ে যায়। যখন আমরা এক হবার জন্য কাছে আসি তখন সেই যাত্রা পথের বাজে, নোংড়া, কুলশিত আবর্জনা ও মিথ্যের জটলা এমনি থেকেই পালিয়ে যায়। এই খারাপ কিছু ভয় পেয়ে পালিয়ে যাবার জন্য আমাদের একতার লাঠির জোড় অনেক বেশি। আগুন জত জ্বালাবেন ততো জ্বলবে যদি মাধ্যম থাকে। মানুষের অন্তরের প্রেমের অনুভবও এমনি অখন্ড ভাবে সম্প্রসারনশিল। তাই তো নিজের মনের প্রেম যখন আমরা হারিয়ে ফেলি তখন আমরা দিয়েশলাই এর নিভে যাওয়া আগুনের মতো প্রেম কে মনে করে নিজেরাই শুকনো পুরে যাওয়া কাঠির মতো করে জীবন কাটিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাই। যে সুন্দর মায়াময় প্রেমের আগুন আপনার আমার অন্তরের গভীরে জ্বলছে তার কোন ক্ষয় নেই শুধু জয় আছে এবং সেই জয়ের প্রদিপ শিখা কে জ্বালিয়ে জাগিয়ে তোলবার ভার সংয় আমাদের স্রষ্টা একক অধিকার সংরক্ষন করে। তারপরও আমরা আমাদের বুঝে নিয়ে এই সভ্যতাকে গড়ে তুলে এতো সুন্দর সুন্দর আইডিয়ার বিকাশ ঘটাতে পেরেছি।
আপনি নিশ্চই অবগত আছেন যে, মানব সভ্যতার এই পর্যায়ে আমাদের সফলতার পাশাপাশি অনেক অন্ধকার দিকও এসেছিলো। সেই ভুল বা অবুঝ মিথ্যে অভিজানের খেসারত পৃথিবীর প্রতিটি জাতিকেই চরম ভাবে দিতে হয়েছে। চরম ভাবে এজন্য বলছি আপনাকে হারালে আমি মানুষ হিসেবে কষ্ট পাবো ঠিক একই ভাবে একজন স্বজন হারানো পরিবারের মানুষই শুধু তার স্বজনের অভাব নিত্যদিন অনুভব করে চলে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। মানুষ তার কাছের মানুষটি কে হারিয়ে ফেলে নিজ মনে দুঃখের আগুন জ্বেলে সামনে এগোতে চায়। এই জ্বালা আমরা প্রতিটা মানুষ এবং প্রতিটা জাতিই বুঝেছি তাই তো আজ আমরা একটি চমৎকার চিরসুন্দর প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। এই কৃতিত্ব আপনার এবং আপনার খুব কাছে যে আপনার তাওহিদের রব থাকে তার। আমি শুধু সামান্য জীবন মৃত্যুর মধ্যকার পর্দাটুকুর খবর আপনাদের কাছে স্পষ্ট করতে এসেছি। আপনি যদি আপনাকে বুঝে ফেলেন তাতে করে এই পথিক কে মনে না রাখলেও হবে তারপরও আমি মানুষ। আমার মন আছে। আমার প্রেম আছে। আমি সকল প্রেম যেমন আপনাকে উজাড় করে দিতে চাই ঠিক তেমনি ভাবে আপনার কাছ থেকে আমি যদি সামান্য পরিমানও প্রেম দয়া পাই তা আমার কাছে অসামান্য হয়েই থেকে যাবে। এই তো একজন মানুষের চাওয়া ও পাওয়া যার মধ্যে কোনো তেমন বড় স্বার্থ চোখে পরবে না। আমরা আমাদের ভুলের দরুন চোখে স্বার্থ দেখে দেখে পথহারার মতো এদিক সেদিক ছুটে চলে দেখেছি যে, এ স্বার্থ মঙ্গলের জন্য ছিলো না। মানুষ ভুল করবে তা খুব স্বাভাবিক। আর মানুষের সব থেকে চমৎকার দিক হলো একবার সঠিক পথের সন্ধান হৃদয় থেকে অনুভব করতে শিখলে আর মন্দের দিকে মন যেতে চায় না। এখানেই তাওহিদের মজা যা মুলত মানুষের জয়গানের কথাই বলে বেড়ায়।
আপনি হয়তো খেয়ার করে দেখেছেন বন্ধু! আমাদের মানব শরীরের মধ্যে অনেক প্রকার খনিজ উপাদান থাকে। এমনকি শিশা, লোহা, তামাও থাকে। এতে করে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না আমরা একক স্বত্তা দ্বারা প্রকৃতির সাথে যুক্ত হয়ে আছি এবং এই এককের স্রষ্টা একজনই এবং তিনি আমাদের পরম আপন করে চাওয়ার অধীকারদাতা তাওহিদ বিশ্বাসের সৃষ্ট্রিকর্তা এক সর্বশক্তিমান ঈশ্বর।
আপনি কোন দেশী মিডিয়ার মানুষ? ভুটান, ভ্যাটিক্যান, মোনাকো, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, তিউনিশিয়া, মালি, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, পেরু, ভলিভিয়া? সব দেশের সব নাম আমার আপনার উচ্চারন না করলেও আমি কিন্তু আপনার সাথে একজন মানুষ হিসেবে মানুষের সাথেই কথা বলছি এবং নিজ থেকে তা অনুভব করতে পারছি। এখানেই আপনার আমার পরম সুন্দর মিতালী।
এজন্য আমার এই কথাগুলো সব দেশের বিশেষ করে আপনার বিশাল অন্তরের যে স্বাধীন রাষ্ট্রটি আছে সেখানে পৌছালেই হলো। আপনার স্বাধীন অন্তরের দেশের সার্বভূমত্ব ক্ষমতা যদি আপনার হাতে থাকে তাহলে বিশ্ব মানবজাতির মুক্তির পথ আপনি নিজে থেকেই খুঁজে নিয়ে কাজ করার জন্য ব্রতি হয়ে উঠবেন। এই ব্রত এমন এক সুন্দর নেশাধরা মায়াময় সত্য পথ যার মধ্যে কোনো ক্লান্তি আপনার সার্বভূমত্ব কে ম্লান করে দিতে পারবে না।
আমি আমার সৃষ্ট্রিকর্তার পক্ষ থেকে আপনাকে তাওহিদের দাওয়াত গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করছি। দেখবেন আমরা আমাদের দুঃখ গুলোকে দুরে ঠেলে দিয়ে সমান তালে ছন্দে ছন্দে মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে পারবো।
আজ আমাদের পিছনের পাপ পূর্ণের হিসাব করার প্রয়োজন নাই। আমাদের যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি আমাদের প্রতিটা ব্যাপারে জ্ঞাত আছেন। সুতারং আমরা আমাদের কাজ কর্ম দ্বারা পৃথিবীকে বর্ণীল সুন্দর করে তুলবো। এবং আমরা আমাদের জীবন কে এমন ভাবে রাঙানোর শ্বফথ গ্রহন করলাম যে যতো দিন যাবে ততোই অনাগত ভবিষ্যতের মানুষ আমাদের এই একতা থেকে শিক্ষা তো নেবেই সেই সাথে আপনাকে চির কৃতজ্ঞতা দিয়ে স্মরণ করবে। এবং স্বর্গে থেকে আপনি তা সরাসরি দেখতে পাবেন। এটা ভাবনা বা আবেগের অপব্যবহার না এটাই ধর্মের মূল সত্য কথা যা বিশ্বের সব ধর্মের মর্মবানীর মধ্যে লুকানো আছে। আপনাকে অমর করে রাখবার মতো ক্ষমতা আপনার আছে।
আপনি হয়তো ভাবতে চাইছেন যে, পৃথিবীতে খারাপ মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী বা সামান্য। আজ আমাদের সংখ্যা দিয়ে খারাপ মানুষ বিবেচনা করার সময় নেই। আজ আপনার অন্তরে জ্বলে ওঠা সত্যের প্রদিপ দ্বারা বুঝতে শিখে গেছেন যে, মানুষ খারাপের পথে যায় একান্ত বাধ্য হয়ে। যখন খুব বেশী অত্যাচার, সামাজিক অবক্ষয়, যুদ্ধ, অন্যায় ও কিছু যুক্তিহিন প্রতিষ্ঠিত সত্য (যা মুলত মিথ্যা এবং ধর্মকে রাষ্টিয় শাসনের মধ্যে গুলিয়ে একাকার করতে যাবার অপকৌশল মাত্র) মানুষের স্বাভাবিক পথ চলাকে বাধা গ্রস্ত করে, তখন মানুষ দিক কুল করতে না পেরে খারাপ হয়ে যায় ঠিকই তারপরও তার মন সবসময় তার আসল সত্যকেই বরন করে নেবার আশায় থাকে। খারাপ মানুষরা যতটা না খারাপ তার থেকে অনেক বেশী অভিমানী। যখন ঐ মিথ্যে খারাপের অভিমান ভেঙ্গে যায় তখন ঐ মুক্ত পথের পথিকের প্রেম এমন এক শক্তিকে খুঁজে পায় যে শুধু সামনে এগোতে এগোতে ফুলে ফলে ভরিয়ে দিতে শেখে। এখানেই মানবাতার জয় পরিলক্ষিত হয়। আমরা আজ কোনো তর্কের উদ্দ্যেশ্যে বা নতুন কোনো তর্কের জন্ম দেবার জন্য ভাব বিনিময় করছি না বরং আমরা যুক্তিহিন তর্কের বস্তু সমূহ যা মানব সৃষ্ট ছিলো – তার সমাপ্তি ঘটানোর জন্যই মূলত কথা বলছি এবং ভাবছি।
কোনো মানুষ যখন তার পিছনের খারাপ ভারো কাজ থেকে শিক্ষা নিয়ে মানব কল্যানে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে চলে তখন সৃষ্ট্রিকর্তা মানুষের মনের গতির থেকেও অনেক গতি নিয়ে তার প্রিয় বান্দার হেফাজত করে চলেন। এই সত্য শুধু স্বীকার করার জন্যই নয় এই সত্য অনুভব আপনি নিজে থেকেই করতে পারবেন। যে কথা অবশ্যই চিরন্তন। শুধু বোঝা যায় সব বলা যায় না। এই অনুভূতি নিয়েই আমরা শত দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, বেদনার মধ্য থেকেও বাঁচার অনুপ্রেরনা পাই।
আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি মিডিয়ার মালিক না, আমি কি করে স্বাধীন পথে যাবো। একবারও কি বুঝতে চেষ্টা করেন নি যে, মানুষ যদি নিজের স্বাধীনতা নিজে উপলব্ধি করতে জানে তাতে কোনো বাধা তার স্বাধীন কর্মকান্ডের স্থায়ী দেয়াল হতে পারে না। এমনকি সাময়িক দেয়ালও হতে পারে না। শুধু মাত্র একটু কৌশল। আর সুপথে চললে ভালো কৌশল চলে আসবে যা মূলত সত্য এবং ওপেন। আপনার মনে হবে কোনো চালাকি না করেও আপনি চালাক আর খারাপ মানুষরা খারাপ কাজের জন্য চালাকি কৌশল ব্যবহার করতে গিয়েও বোকা হয়ে গেছে। এখানেই শুভ চিন্তার জয় পরিলক্ষিত হয়।
বন্ধু! আপনি নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে, বর্তমান বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিডিয়ার অগ্রসর, শৃষ্টিশীল, স্বাধীন ও মানুষের ভালো বিবেচনা করে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করা কতো বেশী জরুরী হয়ে পড়েছে। আজ এই সুন্দর বসন্তের ক্ষনে আমরা বিশ্বমিডিয়া এক সাথে কাজ না করতে পারি তাহলে এই পৃথিবীর শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের বিবেকের কাছেই আমরা দায়ি থেকে যাবো।
মিডিয়া পারসনদের নিয়ে খেলাধুলা বা অপকৌশল কম হয়নি। এর প্রধান কারণ ছিলো শুধুমাত্র মিডিয়ার মানুষদের মধ্যে অহেতুক বিবেধ বাধিয়ে রাখা। যেখানে সত্যিকারের মিডিয়া প্রিয়াসী মানুষদের দোষ খুব সামান্য বলে আমার কাছে মনে হয়। তারপরও আমরা আজ ভুলে যেতে চাইবো সেই সব খারাপ মানুষদের অপকৌশলের কথা। কিন্তু এখন থেকে আর কোনো ভাবে কোনো ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র অন্যায় অন্যায্য ভাবে মিডিয়ার সত্যিকারের সত্য ও সুন্দরের মাধ্যমে এগিয়ে যাবার পথকে অবরুদ্ধ করতে চায় আমরা এর প্রতিবাদ করবো। এই প্রতিবাদ হবে ন্যায় ও তাওহিদ এর পথকে খুলে রাখার জন্য।
বিশ্বের সব ভাষা ভাষী মিডিয়ার প্রেজেনটেশনের মধ্যে যদি আমরা কিছু কমন বিষয়ে পুরোপুরি একতাবদ্ধ না হতে পারি তাহলে আমাদের কপালে আরো দুঃখ সইতে হবে তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ নাই। আমাদের সবই আছে। বর্তমান এই সময়ে মিডিয়াকে যদি আমরা একতাবদ্ধ হয়ে সঠিক ভাবে কাজে লাগালে বিশ্বশান্তি দ্রুত আমাদের হাটের মুঠোয় এসে বিশ্ব সভ্যতার উন্নত উপকরণ আরো সুন্দর ভাবে আমরা উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
আমরা যারা মিডিয়া কে লিডিং দেই তারা সব সময় পাবলিক ডিমান্ড নিয়ে ভাবি। আমাদের মিডিয়া কিভাবে বড় ট্রেড হতে পারে সে বিষয়েও আমরা কম ভাবি না। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন আজ সব দেশের নিউজপেপার মিডিয়া কমন কিছু ফরমাটের মধ্যে আটকা পড়ে আছে। আর অনলাইন মিডিয়া যে স্পিড নিয়ে যাত্রা করেছিলো বা প্রসার হচ্ছে তাতে কিন্তু নিউজ প্রেজেন্টেশনের একটি গৎবাধা প্রাণহিন স্ট্রাকচারের মধ্যে বন্দি হয়ে যাওয়াই আমাদের বেশী চোখে পরবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অবস্থাও একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে বন্দি হয়ে আছে। একবারও কি ভেবে দেখেছেন এই বন্দিত্ব কেনো এলো? আমরা কেনো সুন্দর সুন্দর আইডিয়া দ্বারা এই সব স্ট্রাকচার গুলোকে বিদায় দিতে পারছি না? এর অন্যতম প্রধান কারন আমরা আমাদের সৃষ্টিশিলতার একটি পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে নিজেরা নিজেদের কাজে সন্তোষ্টিবোধ করে সমাজের হায়ার সোসাইটি হতে চেয়েছিলাম। আজ আপনার সেই হায়ার সোসাইটি হবার বাসনা হয়তোবা মিটে গেছে কিন্তু যে সুন্দর একটি নীল আকাশের মতো মন নিয়ে আপনি এই পথে এসে ছিলেন, সেই নীল আকাশ আজ কোথায়? আমাদের সমন্বয় করে চলতে হবে।
নন মিডিয়া পারসন কিন্তু অর্থ বিত্ত্ববান বলে বলিয়ান বনেদি বলে দাবি করা কিছু পারসন আপনার মিডিয়াকে ভালো বলছে আর আপনি মিডিয়া পারসন হয়েও নন মিডিয়া পারসনের ভালো দ্বারা নিজের সুন্দর খোলা মনকে বন্দির জালে পরিয়ে নিজেকে জাহির করে যাচ্ছেন। আপনাকে আজ আপনার দ্বায়িত্ব নিয়ে নিতে হবে। আজ আমরা সত্যের পূজারি। আজ আমরা কোনো পলিটিক্স বা অপশক্তির পূজারি না। তারপরও আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি পলিটিশিয়ান ও বিজনেস ম্যান রা যে মিডিয়া সম্পর্কে যে জানেন না এমন না। আপনি মিডিয়া পারসন হিসেবে নিজের মনের ন্যায় ও সেই সাথে সবার ন্যায়ের সাথে একতা থাকলে সমাজের প্রতিটা স্তর থেকেই ভালো আইডিয়া প্রতিষ্ঠিত করে মানুষের শান্তি নিশ্চিত করতে পারবেন। আগে আপনাকে ঠিক হবে হবে। আমার এই কথা এখন আপনি বুঝতে পারছেন এবং আপনাকেই বিনীত সম্মান প্রদর্শন করে আমি বলতে চাই যে, এ পরিবর্তনের জন্য প্রথম যিনি যাত্রা করবেন সেই নাবিক আপনি নিজে। আপনিই সেই পথের প্রধান। কেউ আসুক না আসুন আপনাকে খোলা মন নিয়ে মানুষের মেধার স্বাধীন স্বত্ত্বা কাজে লাগিয়ে কাজের কাজ করে যেতে হবে। আপনি যদি মন খোলা রেখে কাজ করেন তাহলে খোলা মনের সাথে অন্য মানুষের মন মিশে একতা তৈরি হবে। আর মনের দরজা যদি অবরুদ্ধ করে মিথ্যে অভিমান করে বসে থাকেন তাহলে একতার স্বাধ কিভাবে অনুভব করবেন বন্ধু?
ধরুন একটি ছোট্ট দেশের ছোট্ট একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান শিল্প। তারা কিছু একটা পাবলিশ বা টেলিকাষ্ট করে। এখানে যদি ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারগণ নিজেদের ছোট দেশের নাগরিক ভেবে মনের ভিতরও একটি গন্ডি তৈরি করে ফেলে তাহলে আসল দ্বায়িত্ব বোধ তো আটকা পড়ে যাবে। বরং ঐ মিডিয়ার একজন বড় কোনো মিডিয়াকে রাঙানোর যোগ্যতা রাখেন। আমরা আমাদের বাজে নীতিবোধের কারনে সম্ভাবনাময় মানুষগুলোকে আটকে রেখে মজা পেতে চাই বা মেধা বিকাশ হবার আগেই নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে মানুষের চিন্তা চেতনা কে আটকে দেই। এখানেই আমাদের বিশ্বমিডিয়ার মূল সমস্য পরিলক্ষিত হয়।
বিশ্বের সব প্রান্তের সব মিডিয়া পারসন একে অপরকে সম্মান করে চলবে এবং এই সম্মান আসবে নিজ দেশের মধ্যকার মিডিয়ার একতা দৃঢ় পোক্ত অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। একটি কান্ট্রির মিডিয়া গুলোর মধ্যে কিছুটা ভিন্ন মত থাকতে পারে তবে তা কোনো ভাবেই ব্যাক্তিগত আক্রমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা কখনও কল্যানকর হয় না। নিজেদের পেশাগত নয় বড় দ্বায়িত্বগত স্বার্থে নিজেদের একতা ধরে রাখতে হবে। মিডিয়া এমন একটি সেক্টর যেখান থেকে খুব সহযে মানব কল্যানে কাজ করে আত্মার স্থায়ী মুক্তির জন্য কাজ করতে সুবিধা হয়। আমরা এই সব জায়গায় ভুল করে এসেছি বলে আজ বিশ্ব মিডিয়ার রেশারেশি স্মরণকালের মধ্যে ভয়াভহ আকার ধারন করেছিলো।
আপনার বুঝতে হবে “আসিফ” এর সাথে এই সময়ে, এই ভাবে দেখা হওয়া বা “আসিফ” এর আত্মপ্রকাশ পুরো পৃথিবীর জন্যই একটি কল্যানকর টার্নি পয়েন্ট আকারে বিবেচিত হবে। মহান সৃষ্ট্রকর্তা সব সময় অবহেলিত সেক্টর থেকেই তার প্রিয় বার্তাবাহকদের প্রেরন করেন। আপনারা দেখবেন মুসা, ইসা, মোহাম্মদ, বুদ্ধ সহ সব প্রধান মহামানবরাই আত্মপ্রকাশ করেছিলেন একটি বর্বর সমাজ ব্যবস্থা এবং অবহেলিত শ্রেণীকে পাশে নিয়ে। তাই আজ এই সৃষ্ট্রিশিল মিডিয়া পারসনদের আটকে পড়ে থাকা আমার কাছে খুব বেশী কষ্টদায়ক। একজন সৃষ্টিশিল মানুষ যখন বাজে কৌশলের কাছে আটকে পরে তখন সেই মানুষটি জান্তে বা অজান্তে সর্বদা খাচায় বন্দি পাখির মতো ছটফট করতে থাকে। অর্থ, সম্পদ ও মোহ এর কাছে থেকেও সারাজীবন নিজের অজান্তেই কিছু একটা খুঁজে বেড়ায়। আমারা আজ আর আমাদের নিজেদের স্বাধীনতার ব্যাপারে আপোশ করবো না। আমরা এই সুন্দর পৃথিবীকে নিজ গুন, সাহোস, শক্তি, প্রেম ও সত্য দিয়ে রাঙিয়ে সবার কাছে চির প্রাণবন্ত হয়ে স্রষ্ট্রার কাছে প্রিয় হতে চাই। এই হোক আমাদের স্থায়ি অঙ্গীকার।
প্রিয় বন্ধু! একটি কান্ট্রির মিডিয়া উক্ত কান্ট্রির মিরর। আবার যে কোনো কান্ট্রির একটি আলাদা মিডিয়া ওয়্যাল্ড এর ও মিরর। একটি কান্ট্রির মিডিয়া একটি কান্ট্রি কে স্পেশালি প্রেজেন্ট করে সত্যিকার অর্থে এই পৃথিবীরই রিপ্রেজেন্ট করে। এখান আমরা যদি বিশ্ব মিডিয়ার মধ্যে একতা ধরে রাখতে না পারি তাতে অনেক বেশী অসুবিধা সামনে চলে আসবে। একটি আলাদা কান্ট্রির মিডিয়া ঐ কান্ট্রি কে রিপ্রেজেন্ট করে ঠিকই কিন্তু ঐ মিডিয়ার উপর উক্ত দেশের রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থাপনার সরকার পুরোপুরি কন্ট্রোল করার অধিকার রাখেন না। এমনকি বিশেষ কোনো ব্যাক্ত, গোষ্ঠি বা সম্প্রদায়ের অধীনে মিডিয়া চলতে পারে না। বিশ্ব মিডিয়া গুলোর মধ্যে একতা নাই বলে যা হবার তা হয়ে গেছে। আমরা বাধামুক্ত হয়ে চাই সামনে এগোতে।
আজ যেটাকে আপনি রুটিন ওয়ার্ক ভেবে কাজ করছেন কাল সেটা ইতিহাস হয়ে যাবে – এটা সিস্টেম। কিন্তু আজকের এই মিডিয়ার বাজে আচরনের জন্য যদি অনাগত ভবিষ্যৎ আপনাকে ধিক্কার দেয় তাহলে সেই দোশ কার? আজ আপনি যে নন মিডিয়া পারসনের পরামর্শ বা সস্তা উইক পাবলিক ডিমান্ডের দোহাই দিয়ে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন তার দ্বায়ভার কি আপনার উপর বর্তাবে না? তাহলে আপনার একতাবদ্ধ হতে বাধা কিসের। একতা এমন একটি জিনিস যা অর্জন করতে কষ্ট হয়, একবার অর্জন হলে হাজার দুঃখ সয়েও ধরে রাখতে হয়, তাহলে আপনার অধীকার বা স্বাধীনতার দিকে অন্য কেউ চোখ তুলে তাকাবার সাহোস তো অনেক দূরের ব্যাপার দূর থেকে উপহাস করতেও ভয় পাবে। এটাই স্বাভাবিক।
আজ আমাদের বুঝতে হবে নিজের রূচিবোধ সম্পর্কে। আমাদের বুঝতে হবে আমি কি পছন্দ করি। এখন আপনার মেন্টাল স্টেজ কে আপনি ধোঁকা দিয়ে না বুঝেই পাবলিক ডিমান্ড ডিমান্ড বলে চিৎকার চেচামেচি করে কাজ করলেন তাতে আপনার রূচিবোধ যে নিন্ম পর্যায়ে চলে যাচ্ছে তা কি আপনি টের পাচ্ছেন না?
মিডিয়া সেক্টরকে যদি আমরা শুধু মাত্র ট্রেড এর একটি অংশ বলে ভাবি তাহলে বিশাল ভুল করবো। মিডিয়া সাধারন মানুষ সহ সব মানুষের মনের খোরাক এবং নিরিহ জনতার জন্য চরম বিশ্বস্ত একটি জায়গা জুড়ে আছে। আজ যদি আপনি আপনার অভিজাত শ্রেণী হয়ে ওঠার তাগিদে আপনার দ্বায়ব্ধতার সাথে বেইমানী করে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার পথে সহায়ক ভূমিকা রাখেন তাহলে আপনার কি এমন উপকার হলো? আপনি এইখানে অর্থাৎ পৃতিবীতে আছেন শুধুমাত্র আপনাকে সবার মাঝে সুন্দর ভাবে প্রমাণ করার জন্য। আজও বিশ্বমিডিয়ার একতার সম্পর্ক আসে নি বলে আপনাকে ব্যাক্তিগত ভাবে লোভ ও টাকার মোহ দ্বারা বেঁধে রাখা হয়েছিলো।
একজন মানুষ তার রূচিবোধ কে উন্নয়ন করবে এটা খুব বেশী ন্যায্য ও স্বাভাবিক। যারা মিডিয়ায় আসেন তাদের ব্যাক্তিগত সুন্দর সুন্দর রূচিবোধ আছে বা থাকতে হয়। যারা সুরূচিরপূর্ণ মানুষ তাদের মনে সবসময় একধরনের সৃষ্টিশিল স্বাধীন চেতনা পরিলক্ষিত হয়। এখন কোনো বিশেষ চক্র বা রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থা আপনার উপর প্রবল বেগে প্রভাব ফেলে তাহলে এর খেসারত টোটাল সমাজকেই দিতে হয়। আবার সবার মাঝে থেকে আপনি আপনার মত স্বাভাবিভাবে তখনই প্রকাশ করতে স্বক্ষম হবেন যখন সব মিডিয়া পারসনদের একটি বিশেষ জায়গায় ইউনিটি থাকবে। এজন্য একজনকে পুরো বিশ্বের মিডিয়ার কেন্দ্রবিন্দু হতে হয়। এই একজন মানুষটিও কিন্তু সমালোচনার ঊর্ধে এমন নয়। তবে তা অবশ্যই সার্বিক ভাবে পর্যালোচনা পূর্বক, ব্যাক্তিগত রেশারেশির ঊর্ধে উঠে করতে হবে কিন্তু ইউনিটি কোনো ভাবেই ভাঙতে দেয়া যাবে না।
বিশ্বমিডিয়া বিশেষ কিছু জায়গায় একতা থাকলে তার প্রভাবে গোটা সমাজ ব্যবস্থা খুব তারাতারি পরিবর্তন হয়ে আমাদের চাওয়া পাওয়ার অনুকুলে এসে যেতে বাধ্য। আপনার রূচিবোধ যদি অন্য অনেকের চেয়ে সুন্দর হয় সেক্ষেত্রে আপনি কেনো পাবলিক ডিমান্ডের নাম করে নিম্ন শ্রেণীর কিংবা অসত্য কোন কিছু দ্বারা নিজেকে প্রেজেন্ট করে চলবেন বলুন?
এই চাওয়া তখনই পূর্ণ হবে যখন বিশ্বের সব মিডিয়া রাষ্ট্রের প্রভাব বা বিশেষ কোনো শ্রেণীর আন্ডারে না থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। যখন সম্মিলিত ভাবে একই সত্য ও সুন্দর দিয়ে পুরো পৃথিবীর শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার উদ্দশ্যে মিডিয়া কাজ করে যাবে তখন বিশেষ কোনো নিউজ বা বিশেষ কোন কিছু নিয়ে হৈ চৈ বা রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করা সম্ভব না। মিডিয়ার এই স্বাধীনতার ফলে রাষ্ট্রিয় পলিটিক্স বা ইন্টারন্যালনাল কিন্তু বিশেষ কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হবার সম্ভবনা কমে যায়। বরংচ পলিটিক্স তখন সরাসরি মানুষের দাঁরগোড়ায় পৌছে যায়। এবং পলিটিশিয়ানরা প্রকৃত অর্থে জনগনের কল্যানে কাজ করার সুযোগ পাবে। আমি যদি শুধু আমার বাংলাদেশের মিডিয়ার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য উঠে পড়ে লাগি এবং প্রতিষ্ঠা পেয়েও যাই তাতে কিন্তু বিশেষ কোনো উপকার হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমরা ওয়ার্ল্ড মিডিয়াকে একটি জায়গায় ধরে এসে হাসিমুখে বসাতে না পারি। যেমন ধরুন দূর্নীতি কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না এটা একটি সামাজিক সমস্যা মাত্র। আমি দেখেছি বাংলাদেশ কে দূর্নীতি গ্রস্থ দেশ হিসেবে পরিবেশন করা হয় এবং বাংলাদেশ এ প্রচুর পরিমান দূর্নীতি হয়েছিলো এবং হচ্ছে। ট্রান্সফারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ননগভমেন্ট সংস্থা বাংলাদেশ সহ অনেক দেশের দূর্ণীতির পরিমান এবং অবস্থান সম্পর্কে কাজ করে চলছে। এতে কি দূর্ণীতি পরিমান আদৌ কমানো যাচ্ছে? বা এই সব প্রতিষ্ঠান শুধু জড়িপই করে থাকেন কিন্তু মানুষ কে দূর্নীতি প্রতিরোধ করতে সত্যিকার অর্থে কতটা সাহায্য করতে পারে? ঐ সব সংস্থা সরকারি না আর সরকারের মধ্যকার সমস্যার নিরূপন করতে যায় বলে দূর্নীতির তো সমাধান হচ্ছেই না আবার সরকার এবং এসব প্রতিষ্ঠান দু’টোকেই বিরক্তিকর ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো, ফাস্ট ওয়ার্ল্ড বলে যারা পরিচয় দিচ্ছেন তারা কি দুর্নীতি থেকে মুক্তো হতে পেরেছে নাকি দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন? উত্তর অবশ্যই আপনি জানেন এবং উপলব্ধি করতে পারছেন। দেখুন বন্ধু! আমরা বিশ্ব মিডিয়াকে যদি রাষ্ট্রিয় সিস্টেমের বাইড়ে নিয়ে এসে একটি বৈশ্বিক মিডিয়ার ইউনিটি নিয়ে এসে নিউর্ট্রাল পজেটিভ ওয়েতে প্রেজেন্ট করে একক নেত্রীত্বে চালাতে পারি তাহলে সরকার আর মিডিয়ার মধ্যকার বিবেধ দন্দ তো দুর হবে। সাথে সাথে একদম পারফেক্ট ভাবে দুর্নীতি কে বিশ্ব থেকে চিরতরে তাড়িয়ে দেবার জন্য মিডিয়া অনেক বেশী সহায়ক হতে পারবে। সেই সাথে ইয়োলো জার্নালিজমও ধিরে ধিরে বিলুপ্ত হতে বাধ্য।
মিডিয়ার নেগেটিভ ইফেক্ট যে একটি জাতিকে কতখানি সমস্যার মধ্যে নিমজ্জিত করতে পারে তা আমি বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে থেকে নিজে থেকে দেখেছি এবং পর্যবেক্ষন করেছি। আমরা জানি যে, ইউ.এস.এ. এর ফাদার অব দ্যা নেশন জর্জ ওয়াসিংটন, টার্কির ফাদার অব দ্যা নেশন কামাল আতাতুর্ক, ইন্ডিয়ার ফাদার অব দ্যা নেশন শ্রী শ্রী মহত্মা গান্ধীজী আর বাংলাদেশ এর ফাদার অব দ্যা নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। এখন প্রশ্ন হলো মুসলিম কি আসলে জাতি নাকি ধর্মের নাম? আমরা সবাই এর উত্তর সম্পর্কে একদম পারফেক্ট ভাবে অবগত যে, ইসলাম একটি ধর্মের নাম যার প্রবর্তক হযরত মোহাম্মদ সল্লাআলাইহেওয়াছাল্লাম ওয়া তাছলিমা। যারা বাইবেল পড়েছেন এবং সেই সাথে বাইবেলের সহায়ক গ্রন্থ সমূহ পর্যবেক্ষন করে তাওহিদের মজা নিয়েছেন, তারা অবশ্যই খেয়াল করেছেন যে, আব্রাহাম একজন ঈশ্বর প্রেরিত দূত যা এই মানব জাতির মধ্য থেকেই প্রেরন করা হয়েছিলো এবং আব্রাহাম তার পৃথিবিতে দেহধারী অবস্থায় জীবনীকালের মধ্য দিয়েই তাওহিদ এর সত্য তা সম্পর্কে তৎকালীন আব্রাহামের গোত্রদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোথাও বলা হয় নি আব্রাহাম খ্রিষ্টান তো নয়ই বরং মুসলিম জাতির জাতির পিতা। যেখানে মুসলিম একটি অন্যতম প্রধান ধর্ম এর নাম এবং প্রতিটা মহাদেশে ইসলাম ধর্মের অনুসারী আছে। এবং এই ইসলাম ধর্মের অনুসারীগন পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে বসবাস করে থাকেন। আমাদের বুঝতে হবে ইসলাম কেনো কোনো ধর্মেরই কোনো প্রকার জাতির পিতা থাকা সরাসরি ধর্মের মর্মবানি এবং মূল বাণীর সাথে সাংঘর্ষিক ব্যাপার। পবিত্র কোরআন শরীফে ইব্রাহিমের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে এবং সেখানে বলা হয় নি যে ইব্রাহিম মুসলিম ধর্মের জাতির পিতা। তাহলে আমাদের এই নিরিহ মুসলিম সমাজে ইব্রাহিম (আঃ) যে মুসলিমদের জাতির পিতা তা কিভাবে প্রচার হলো? এখানে আমাদের বুঝতে হবে পৃথিবী যখন রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মেরুকরনের দিকে যায় তখন জর্জ ওয়াসিংটন, কামাল আতাতুর্ক সহ অন্যসব জাতির পিতা দের সাথে ধর্মকে সার্ঘষিক অবস্থানে নিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্যই এমন কথা বিভিন্ন মিডিয়া দ্বারা কৌশলে রাটানো হয়েছিলো। যার ইফেক্ট প্রতিটা কানট্রি খুব নেগেটিভ ভাবে পেয়েছে। আমরা সাধারনত একটি জাতির জন্য বিশেষ কোনো বড় অবদান রাখা মহামানবদের জাতির পিতা উপাধিতে ভুষিত করি। যা আমরা মানুষ হিসেবে মানুষের হৃদয় ও চিন্তাধারার গভীরতা কে শ্রদ্ধা করি। এখানে জাতির পিতা একজন অভিভাবক সুলভ ভাষা। এই সম্মান বোধ আমাদের মধ্যে আছে বলেই আমরা সভ্যতাকে এতো সুন্দর করে বিকাশিত করতে শিখেছি। সেটা সর্বক্ষেত্রেই যা মানুষের জন্য কল্যানকর বলে আমরা মনে করেছিলাম বা অনুভব করেছিলাম। এখন কথা হলো আমরা কেনো একটি জাতির জাতির পিতার সাথে একটি ধর্ম কে মিশিয়ে এই অপপ্রচার করেছিলাম? এখন আমরা বুঝি যে, এই সামান্য একটি ব্যাপার নিয়ে আমাদের সমাজে কতখানি ক্রোন্দল হয়েছেলি এবং হচ্ছে। সব ধর্মেই একজন প্রতিপালক এর কথা বলা হয়েছে তিনি মূলত একাত্ববাদের গড। এখন একজন মানুষ যদি ইউ.এস.এ. এর মুসলিম রেসিডেন্ট হয় এবং তাকে যদি মগজ ধোলাই দিয়ে প্রভাবিত হয় যে, জর্জ ওয়াসিংটন ইউ.এস.এ. এর জাতির পিতা হতে পারেন না বরং মুসলিম এর জাতির পিতা হলো ইব্রাহিম (আঃ) এবং এই বলে ঐ নিরিহ মুসলিম কোনো মায়ের সন্তান কে জঙ্গি বানিয়ে ইউ.এস.এ. এর ইন্টারনাল সিকিউরিটির উপর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় – তার দ্বায় ভার কে নেবে? অবশ্যই তৎকালিন মিডিয়ার নেপথ্যে যারা ছিলেন সেই সব কিছু রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থার কুলংগার অপকৌশলী মানুষ। খারাপ মানুষ মরে যায় কিন্তু খারাপ রাজনৈতিক চালগুলো অনেক অস্ত্রের চেয়েও ভয়াভহ হয়ে ওঠে। এই সত্য আজ আমাদের নিজের অন্তর থেকে উপলব্ধি করতে হবে।
মিডিয়া কে কাজে লাগিয়ে অনেক অন্যায় হয়েছিলো যার জন্য কি শুধুমাত্র মিডিয়া পারসন গুলোই দায়ী? তারপরও দায়ী করা যায় কারন মিডিয়া পারসনরা নিজেদের মধ্যেই কোন্দল করে চলেছিলেন। আজ যদি আমরা সমস্ত মিডিয়াকে সমান চোখে দেখে ইউনিটি না নিয়ে আসতে সক্ষম হতে পারি তাহলে এর খেসারত বা ইফেক্ট বহুদিন ধরে থেকে যাবে এবং চরম অকল্যান নেমে আসার সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে।
ইউ.এস.এ. এর বর্তমান প্রেসিডেন্ড বারাক ওবামা সাহেব যখন ক্ষমতা ভার গ্রহন করলেন আমি আশাবাদি হয়েছিলাম। এ ভেবে যে, বারাক ওবামা ইউ.এস.এ. এর প্রেসিডেন্ট তো বটেই সেই সাথে তিনি ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া সহ টোটাল কৃষ্ণাঙ্গ সুন্দর মানুষ গুলোর জন্য কিছু করে দেখাতে পারবেন। এখানে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আমাদের জন্মদাতার জন্মভুমি, নিজ জাতিস্বত্তা এবং চাইল্ড হুড কাটানো স্থান গুলোর জন্য আমাদের মন থেকেই একটি প্রেমের টান চলে আসে। সেখানে যদি বারাক ওবামা বা ইউ.এস.এ. এর মূল কর্ণধারদের রোবট হয়ে দেশের ইন্টারনাল এবং ফরেন পলিসির কিছু বাজে দিক নিয়েই প্রেসিডেন্ট এবং অন্যদের মেয়াদ কাল অতিবাহিত করতে হয় তাহলে মনের তাগিদে আশা বাদি মানুষ গুলোর জন্য বড় কোনো কন্ট্রিবিউশন রাখার সুযোগ কবে আসবে? এখানে কিন্তু ব্যাক্তি বারাক ওবামা বা ব্যাক্তি সিনটরদের আমরা দায়ি করতে পারি না। এ দ্বায় মিডিয়ার অপব্যবহার এবং আমাদের কিছু দূর্বল শাসন ব্যবস্থার জট বাধা সমস্যার স্তুপকেই বহন করতে হবে। এখন আমাদের বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, বর্তমান এই সংকটকালে একজন ওয়ার্ড লিডার এর কতখানি প্রয়োজন ছিলো। মনে রাখবেন মহান ঈশ্বর তার প্রতিনিধিদের একদন পারফেক্ট সময়ে পারফেক্ট জায়গায় পারফেক্ট ভাবে প্রেরন করেন। ঈশ্বর কথনও তার ওয়াদার ব্যাতিক্রম করেন না কিন্তু আমরা নির্বোধ মানুষ গুলো শুধু শুধু কিছু ফালতু বিষয় নিয়ে মাথা ঘামিয়ে আমাদের নিজেদের শক্তি সম্পর্কে আমরা আবহিত থাকতে জানি না এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি সন্দেহ পোষন করে চলি।
আজকের এই সময়ে এসে আপনারা নিশ্চই অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, জর্জ ওয়াকার বুশ সাহেবের অন্তরে একজন চিত্র শিল্পি বাস করেন এবং তিনি তার কাছের বন্ধুদের হৃদয় থেকে ধরে এনে সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে পরিবেশন করতে জানেন। আমি জর্জ বুশ সাহেব কে আপনাদের মাধ্যমে আলাদা ভাবে বলতে চাই যে, বুশের গায়ে যখন জুতা মারা হলো সেই জুতোটি জর্জ বুশের গায়ে আঘাত করে নি কেনো। যদি না বুঝতে পারেন আর একবার সেই ভিডিও ফুটেজ টি দেখেন। মনে রাখবেন আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সর্ব সময়ে তার বান্দাদের ইজ্জত রক্ষা করতে জানেন। তাওহিদের স্রষ্ট্রার সত্যিকারের শান্তি প্রিয় বার্তাবাহক গণ কখনও বেয়াদবির পক্ষে অবস্থান করেন না। এটাই স্রষ্ট্রার সিস্টেম। এখানে আমাদের বুঝতে হবে জর্জ বুশ কে আমরা কখনই একক ভাবে যুদ্ধের জন্য দায়ি করতে পারি না। এখানে মিডিয়াকে একটি বাজে অবস্থানে নিয়ে গিয়ে শিক্ষা দেয়া হয়েছে মাত্র। জর্জ ওয়াকার বুশের বাবা সিনিয়র বুশ আমাদের বাংলাদেশের আর্ট এ্যান্ড কালচারের মানুষ কে সম্মানের চোখে দেখতেন। একজন কালচারাল মানুষ যখন একটি বাজে সিস্টেমের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায় তখন সেই জ্বালা শুধু নিজেই নিজের অন্তর থেকে অনুভব করতে পারে।
এই সব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে হলে আজ আমাদের সামনে মিডিয়া কে কল্যানকর ও স্মার্ট করা ছাড়া গতি নাই। এবং পুরো বিশ্ব মিডিয়ার ইউনিটি রক্ষা করতেই হবে। সেই সাথে আমরা যদি একজন সত্যিকারে অভিভাবক সুলফ ওয়ার্ল্ড লিডার কে বিশ্বাস করতে জানি তাতে তো আমি কোনো অসুবিধা দেখছি না বরং আমাদের এই সুন্দর মানব জাতির কল্যান ও জয়ধ্বনীর সুরই তো হৃদয়ে ভেষে ওঠে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট একজন ব্লাদিমির পুতিন কে আমরা হয়তো অনেক ক্ষমতাধর বা চালবাজ চালাক শাসক হিসেবে ভেবে নিতে পছন্দ করি বিশেষ করে আজকের এই দিনে। আমাদের বুঝতে হবে ব্লাদিমির পুতিন যা করছেন তা কিন্ত একটি জাতি স্বত্ত্বার আপন গতিবেগ ফিরে পাবার চেষ্টা মাত্র। আমাদের এই সব ক্ষনে ব্লাদিমির পুতিন সহ বেশিরভাগ বিশ্ব মানে নেতাই চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগে থাকেন। একজন সত্যিকারের শাসক হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গর করা যদি এতো বেশী কষ্টকর হয় তাহলে আমরা ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে কি উপহার দেবো বলুন? আমাদের নিজেদের মধ্যেই যদি আজ এতো বেশী অশান্তি চলে আসে তাহলে আমরা কিভাবে স্বাধীন মুক্ত মানব হবার পথে গিয়ে নিজের গুন ও সৃষ্টিশিলতা দিয়ে এই সুন্দর পৃথিবীকে সাজাবো বলুন?
আমাদের মিডিয়ার ইউনিটি দ্বারা আমরা সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে থাকা অনেক নিরিহ মানুষের জীবনের অনেক অভিশাপের পথকে সহয করে দিতে পারি। আপনি যদি পজেটিভ নিউজ পরিবেশন করতে শিখে যান তাহলে সমাজে পজেটিভ ইফেক্ট আসতে বাধ্য। সাধারন মানুষ মিডিয়ার কথা কে সরল মনে বিশ্বাস করে নেয়। এবং ভাবে আপনাদের মতো জ্ঞানী গুনি মানুষ আছে বলেই ওরা এতো কিছু জানতে পারছে। আসলে কি তাই? আমরা আজ কাকে ঠকাচ্ছি? ঐ সাধারন নিরিহ অবুঝ মানুষ কে না কি নিজেকে?
সমাজে এমন কিছু ব্যাপার থাকে যা মিডিয়ায় না এলেই ভালো হয়। যেমন সমকামীতা। আজ মিডিয়া সমকামি সমকামি বলে সমকামিতাকে বরং নিজেদের অজান্তেই প্রতিষ্ঠিত করার বাজে কৌশল করছে মাত্র। আমরা মানুষ। সৃষ্ট্রি কর্তা আমাদের মাঝে এ্যাডাম ও ইভস দিয়ে যে, নারী পুরুষের প্রেম কে প্রতিষ্ঠিত করে দেখিয়েছেন সেখানে আমরা এমন বাজে চিন্তাধারার প্রতিফলন কিভাবে মিডিয়ায় নিয়ে আসতে সাহোস পাই?
আমাদের বুঝতে হবে আমাদের সুন্দর রুচিবোধ গুলো যদি নিয়মিত মিডিয়া দ্বারা প্রকাশ করতে শিখি তাহলে আমাদের মানব সমাজের নিরিহ মানুষগুলো ঐ সুন্দর রূচিবোধ নিজেদের মধ্যে ধারন করতে শিখে যাবে। তখন আমাদের রাষ্ট্রিয় শাসন ব্যবস্থা অনেক বেশী গতিশিল হবে। আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান ঐ সব সাধারণ মানুষকে দিয়ে দিলে তারা তাদের নিজের জীবন কে আরো সুন্দর করে তুলতে পারবে এবং যা গোটা মানব জাতির জন্যই কল্যানকর হবে।
আমরা বলি পৃথিবীর সম্পদ সিমিত। আসলে কি তাই? মোটেই না। আপনারা কি সমুদ্রের টোটাল পানির হিসাব জানেন? এমন দিন দুরে নয় যে আমরা ঐ সমুদ্রের পানিকেও কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করতে পারবো। কিন্তু আমাদের হাতে তো ঐ সব ব্যাপারে ভাবার মতো সময় থাকতে হবে এবং রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে নিয়মিত নিজ থেকেই তাগাদা দিতে হবে। আমরা যদি যুদ্ধ পরিস্থিতি চালু, বিরতি, বন্ধ এবং সেই সাথে কিছু পুর্বপুরুষদের বাজে ডিসিসনের ভুলের ফসল নিয়ে নিয়মিত কাজ করেই ক্ষমতার মেয়াদ বাতি ফুরিয়ে ফেলি তাহলে আমরা সত্যিকারের মঙ্গলের জন্য কাজ করবো কখন?
একবার নিজের কাছে নিজেকে দাঁড়া করিয়ে ভেবে দেখুন। দেখবেন আপনি আমি আমরা সবাই একই জাতি আর তা হলো আমাদের সবার শরীরে লাল টকটকে নোনা স্বাদের গরম রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। আমাদের সবারই একটি কল্যানকর কাজ করার মন আছে। আমাদের মধ্যে কিছু বাজে সন্দেহ ঢুকে গিয়েছিলো বলে আমরা অনেক অল্প সময়ের মধ্যে অনেক গুলো ভুল করেছিলাম। আজ যখন আমি আমার অন্তর দেবতাকে খুজেই পেয়েছি বা তিনি ধরা দিয়ে আমাদের সাথে অনেক আপন করে কথা বলছেন, এখনও কি আমরা আমাদের অন্তরের ক্ষোভ পুশে রাখবো। আমরা কি আমাদের মতো অন্য মানুষগুলোকে একবার বুকে জড়িয়ে নিয়ে ভাই, বন্ধু, স্বজন বলে সম্বোধন করতেও ভুলে গেছি। কিসের এতো স্টাটাসের বড়াই যেখানে নিরিহ সাধারন এবং সর্ব স্টেডের মানবের জীবন হুমকির মুখে চলে গিয়েছিলো। কি করবো আমরা অস্ত্র দিয়ে। একটি মানুষ সারাজীবন কতটুকু খাবার গ্রহন করে? আমরা একটু চেষ্টা করলেই এই সুন্দর পৃথিবী কে অনেক দ্রুত অনেক সুন্দর করা সম্ভব। এজন্য আপনি নিজেই নিজেকে প্রথম ব্যাক্তি মনে করে সামনে এগিয়ে চলুন। আমাদের আর পিছনের কথা ভাবার সময় নাই। পিছনের দুঃখ পিছনে পড়ে থাক। শুধু অতীতের সুখস্মৃতিগুলো হৃদয়ে ধারন করে মানব কল্যানে ব্রতি হয়ে উঠি। দেখবেন সব কিছু ঠিকই আছে। আমরা সবাই একদম আপন হয়ে গেছি। আসুন বন্ধু! অভিমান তো অনেক হলো এবার আমরা ভালোবাসবো।
আমাদের মানুষের এই শুভক্ষনে আমরা সবাই এক বর্ণালী সুন্দর ইতিহাস হয়ে সারা জনম এই পৃথিবীর রূপরস কে উপভোগ করে চলবো। মায়ের কাছে যেমন সব সন্তানই সমান ঠিক তেমনি এই সুন্দর পৃথিবীকে সুন্দর করলে স্বর্গও আমাদের পৃথিবী মায়ের অনেক কাছে এসে আপন বোনের মতো জিজ্ঞাস করবে, “কি রে তুই দেখি অনেক সুন্দর হয়ে গেছিস!!!”
আসুন আমরা আমাদের মেধা, মনন, শিক্ষা, জ্ঞান, ধ্যান কে ব্যবহার করে সত্য ও সুন্দরের পথে যাত্রা করে অনন্ত জীবনের পথে নিজের আত্ম মুক্তির অভিজান কে প্রসমিত করার জন্য ব্রতি হয়ে উঠি। অবশ্যই গড আমাদের সহায় হবেন।
ইতি
আপনার একান্ত কাছের বন্ধু
আসিফ
(দয়া করে এই পত্রবাণীটি যারা বাংলা ভাষা বোঝেন না তাদের কাছে অনুবাদ করে পরিবেশন করুন :: ভুল ত্রুটি সংশোধন করার জন্যও আপনাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি)