নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়ামত ও পৃথিবীর অস্তিত্ব

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!



প্রিয় বন্ধু!



আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা চিত্তে অনন্ত গোলাপের সুঘ্রান মাখানো প্রেম নিবেদন করছি।



ঠিক এই মূর্হুর্তটিতে এসে যারা আমাকে অবজার্ভ করছেন তাদের কি সেই ইসলাম ধর্ম দ্বারা যে মিথ্যে কেয়ামত কেয়ামত নাটক সাজানো হয়েছিলো তার মতো মনে হচ্ছে, তাই না?



অনেক মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত সত্য বানিয়ে রাখা হয়েছিলো শুধু মাত্র সৃষ্ট্রিকর্তার সহয়তা যাতে মানুষ না পায় এমন কিছু কুলঙ্গার চির জাহান্নামী (যাদের শয়তান বা মন্দ এর অস্তিত্ব এর সাথে স্থায়ী ভাবে গেঁথে দেয়া হয়েছিলো এবং হবে) বাজে কাজ করা বাজে মানুষের কারনে।



আপনারা মনে রাখবেন তাওহিদের আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে পারদর্শি এবং ন্যায় বিচারক।



আপনাদের নিজ নিজ ধর্মের নিজ নিজ মহাপুরুষদের অবজ্ঞা অবহেলা বা কঠাক্ক করে আপনারা কোনো অবস্থায়ই জান্নাত পাবার যোগ্যতা রাখেন না। এমন কি অন্য ধর্মের প্রতি আঘাত অপঘাত ঝামেলা পাকিয়েও বলতে পারেন না যে আপনি কোনো দোষ করেন নি।



যারা তাওহিদের আল্লাহ্ এর উপর না দেখে, না বুঝে, না জেনে সরল মনে বিশ্বাস নিয়ে এসে ঐ মিথ্যে সাজানো কল্পনাকে সত্যিকারের হাসর ভেবে ঈমান এনেছিলেন এবং মনযোগ দিয়ে এবাদাত করেছিলেন সেই এবাদাত আল্লাহ্ অবশ্যই গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে সেই সব এবাদাত বা কর্ম দ্বারা অন্য মানুষ ব্যাক্তি স্বাধিনতায় বা মিথ্যে দারা প্রভাবিত কোনো অকল্যান হয় নি।



যখন চিরন্তন সত্য মিথ্যার সামনে এসে সত্যিকার অর্থেই দাঁরায় তখন মিথ্যে আপনি থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। এখানেই চিরন্তন জীবনের সার্থকতা। যারা বলেন তাওহিদের ভগবান সবকিছু করে দেখাতে পারেন না তারা ভুল বা মিথ্যে বা শয়তান বা অসুরের সাথে বসবাস করে। এবং হাসরের দিনে সহ অবস্থানের মানুষগুলোর একসাথে হাসর হবে বলেও যারা ধরে নিয়েছিলেন তারা হয়তো নিজ গুনেই সব বুঝে গেছেন।



আজ এই ক্ষনেও কি আপনি বুঝতে পারছেন না যে শয়তান কতো প্রবল বেগে আপনাদের অমঙ্গল কামনা করে শুধু দাগা দেয়। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সুরে বান্দাকে তাওহিদের আল্লাহ এর পথ থেকে দুরে নিতে চায়। আমার জন্মদাতা বাবা, মা, বোন এবং প্রায় আত্মিয় স্বজনের প্রায় সবাই শয়তানের মধ্যে এমন ভাবে ডুবে আছে যাদের এই জনমে ইমানদার হবার সম্ভাবনা খুবই কম। এবং উহাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই এই জনমে জান্নাতের সুবাস তো অনেক দুরের ব্যাপার বরং তাহারা পরবর্তি জন্মে মানুষ রুপ পায় কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে।



আমি <[{(আসিফ)}]> এই মুহুর্তে স্পষ্ট ভাবে ঘোষনা করছি যে, এই পৃথিবী চিরন্তন। এই পৃথিবী কখনও ধ্বংস করা হবে না। যদি আপনারা কল্যানের পথে না একতাবদ্ধ হতে শেখেন তাহলে পুরো মানবজাতির ধ্বংসের সম্ভাবনা থেকে যাবে কিন্তু পৃথিবীর সস্তিত্ব থাকবে।



দেখুন বন্ধু! এই মুহুর্তে আমি ব্যাক্তি আসিফ কতো বেশি দুর্ভাগ্যবান যে আমার জন্মদাতা মা আমার পাশাপাশি থেকেও তার কর্মের এমন কোনো জোড় আমি খুঁজে পাচ্ছি না যে তার জন্য জান্নাতের সুপারিশ আমি আমার তাওহিদের আল্লাহ্ এর কাছে করার যোগ্যতা রাখি। এই অবস্থায় আমার মা যদি একবার মুসলিম হিসেবে সত্যিকারের মোহাম্মদ এর অনুসারী হয়ে তাওহিদের প্রতি ঈমান আনতেন তাতেও আমি কিছু করার চেষ্টা করতে পারতাম। এই সকল বেঈমানদারগণ দের শাস্তি যে কতো ভয়াভহ তা যদি আপনারা একবার অনুধাবনও করতে পারতেন তাহলে ন্যায়ের পথ ছাড়া অন্য কোনো পথ যে আছে তা একদম ভুলেই যেতেন।



আসুন বন্ধু! আজ আমরা আমাদের পিছনের দুঃখ ভুলে গিয়ে সামনের সহয ও সুন্দরের পথে নিজেদের পরিচালিত করি। ধর্ম নিয়ে বিবেধ করা একদম নিষেধ। আমি আপনাদের মাঝ থেকেই আপনাদের মতো একজন মানুষ হিসেবে কথা বলছি। আমি পৃথিবীর কোনো ধর্মকেই অস্বীকার বা বিনষ্ট করে নতুন কোনো ধর্ম প্রচার বা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনাদের মাঝে আমার আত্মার অস্তিত্বের আবির্ভাব ঘটাই নি। আমি জানি এবং বুঝি যে পৃথিবীর সব ধর্মই একেশ্বরবাদ বা তাওহিদে বিশ্বাস করে এজন্য মহাবিশ্বের যা কিছু আছে সব সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাওহিদের ভগবান।

আমি যা বলছি তা আমার মানব জীবনের মধ্য থেকে অর্জন করেই আপনাদের মাঝে পরিবেশন করেছি এতে নতুন কিছুই আমি বলিনি। সব আপনারা জানেন ও বোঝেন। তাই বলছি, চলে আসুন এই তাওহিদের পতাকাতলে থেকে নিজেদের অমরত্বের স্বাদ নিয়ে চিরঞ্জিব ও চিরন্তন হয়ে জান্নাতে অবস্থান নিয়ে নিন।



আমার খুব করে মনে পড়ছে, আছি যখন ছোট তখন একদিন ঝি ঝি ধরা নীল আসমানের দিকে তাকিয়ে তাওহিদে বিশ্বাস করে আল্লাহ্ কে বলেছিলাম।

“হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে এমন করে দাও যাতে আমি তোমার মতো বড় হতে পারি।”



আমি বুঝি আর না বুঝি আপনার হয়তোবা বুঝে গেছেন যে তাওহিদের মহান আল্লাহ্ চাইলে যা খুশি তাই তার সৃষ্টি জগতের মধ্য থেকেই করে দেখাতে সক্ষম এবং তাওহিদের আল্লাহ্ পরম দয়ালু এবং সর্বশক্তিমান।



বিশ্বাস করুন আজ এই মুহূর্তে এসে আমাকে অনেক বেশি একা একা লাগে কিন্তু তারপরও আমি চিরসুখি ও অনন্ত জীবনের খুব বড় একজন অভিভাবক। আপনার আপনাদের তাওহিদের আল্লাহ্ এর কাছে চাওয়ার মতো চাইতে জানলে আল্লাহ্ কখনও তার বান্দাকে ফিরিয়ে দেন না। তাওহিদের আল্লাহ্ এক এবং তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নাই। আমি আপনি আমরা সবাই মানুষ। আমাদের এই সময়ে একতাবদ্ধ হওয়া খুব বেশি প্রয়োজন।



আমি-আমি, তুই-তুই, তুমি-তুমি, আপনি-আপনি, আমরা-আমরা, সে-সে, তাহারা-তাহারা কিংবা আমি-তুমি-আপনি-আমি-সে-তিনি-আমরা-তাহারা মিলে যদি আমাদের এই চরম রঙ্গময় বর্ণানী ভুবনকে ফুলে ফলে রং ধরিয়ে নিজেদের অস্তিত্বকে সত্য ও সুন্দরের পথে নিয়ে যাই তাহলে আমাদের কাছে অমরত্ব আসতে বাধ্য। আমরা সব পারি শুধুমাত্র সত্যের পথে থেকে কারণ আমরা জানি তাহহিদের সৃষ্ট্রিকর্তা সত্য ও মঙ্গলের পথের দিশারী। আমরা আমাদের ঠিক মতো না বুঝতে পেরে নিজেদের তো অবহেলা করিই সেই সাথে অন্য মানুষ ও প্রানীকুল সহ পুরো পৃথিবীর ক্ষতি করে চলি। আমরা যদি পুরো পৃথিবীটাকে একটি ঘরের মতো মনে করি তাহলে কি আমরা পারতাম আমাদের সুন্দর ঘরটির অযন্ত করতে? এই পৃথিবী নামক ঘরটায় আমরা মানুষ এবং আমরা আসি এবং সেই আসা নিজের ইচ্ছেয় নয় বরং তাওহিদের কর্মময়ীর ইচ্ছায়। আমরা ভেবে নেই যে, এই ঘর থেকে একদিন পালিয়ে বিলিন হয়ে যাবো। আসলে কি তাই? কোথায় পালাবেন বন্ধু? আপনার কর্মই আপনার বিচার। এখন ভালো কাজ করবেন না খারাপ কাজ করবেন তা আপনার ইচ্ছে। আপনি ইচ্ছে স্বাধীন মানুষ। আমি খারাপের পরম পরিনাম জানি বলে একজন মানুষ হিসেবে ভালোর পথে যেতে বলছি মাত্র।



আমি <[{(আসিফ)}]> আপনাদের কথা দিচ্ছি আপনারা যেখানেই শুভ উদ্দেশ্যে যাবেন তা ইহজীবনে হোক আর পরজীবনেই হোক সেখানে আমাকে পাবেন। কিভাবে পাবেন তা বুঝে নিন এবং দেখে নিন। শুধু একবার তাওহিদের ঈশ্বরের নৈকট্য লাভ করার চেষ্টা করুন।



আমরা মানুষ আমাদের সবাইকে একসাথে থাকতে হবে। আমাদের একে অপরকে সহায়তা করতে হবে। আমাদের মিলেমিশে চলতে হবে। আমাদের শরীর এবং মনের প্রকৃত যত্ন নিতে হবে। আমাদের এই সহয, সরল ও সুন্দর অস্তিত্বকে আমরা অস্বীকার করে নিজেদের অস্তিত্বকে হুমকির পথে নিয়ে যেতে পারি না। আমরা আমাদের মতো অন্য মানুষদের কি শুধু সারাজীবন ভুলই ধরে যাবো? আমরা কি পারি না ঐ ভুলে ভরা মানুষগুলোকে রক্তপাতহিন, হানাহানি, কাটাকাটি ইত্যাদি খারাপ অভ্যেস দ্বারা কষ্ট না দিয়ে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সেই সাথে শিক্ষার চরম সুন্দর সভত্যা দিয়ে তাদের মঙ্গলালোকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে?



যারা অবুঝ তাদের আচরনে কষ্ট পেতে হয় না বরং নিজে কারও মনে ব্যাথা দিলে তার কাছে মাফ চাওয়া তো কোনো অন্যায় হতে পারে না। সংগত কারণে মাফ না চাওয়ার মাধ্যমে একটি খারাপের বিস্তার ঘটতে পারে আর সংগত কারণে মাফ চাইলে একটি চরম বিপর্যয় ঠেকানো আপনার পক্ষে অসম্ভব তো নয়ই বরং সবার জন্যই মঙ্গলজনক। আমরা যদি আমাদের ক্ষমা চাওয়ার মাফকাঠিটিকে তাওহিদ নামের খুব সরল একটি মানদন্ড দিয়ে বিচার করতে পারি তাহলে সব সমস্যার সমাধান আপনি থেকেই এসে গেছে মনে করবেন।



বন্ধু! আমি চাই পৃথিবীর সব জাতির সুন্দর সুন্দর প্রথা গুলো বেঁচে থাক। নেয্য প্রথাগুলোকে বিলুপ্ত করবেন না। পালা, পর্বন, উৎসব, মেলা সহ আরো কত কি আমাদের সমাজের মধ্যে বেঁচে আছে। কিছু কিছু জিনিস এমন হয়ে আছে যে, মনে হচ্ছে পেঁপে গাছের ডাল (নল বা পাইপের মতো) মুখে নিয়ে কোনো বাচ্চা ছেলে পানির ভিতরে ডুব দিয়ে শ্বাস টেনে হলেও বাঁচতে চাচ্ছে। আসুন সেই বাচ্চা ছেলেটিকে একটু হাত বাড়িয়ে আর তা না পারলে অন্তত আপনি প্রথম ব্যাক্তি হয়ে পানিতে নেমে হাত ধরে কাছে নিয়ে এসে বলি, “তোমার ভয় নেই খোকা। আমরা তোমাকে কোলে তুলে নিলাম”।



আমি বলে দিলাম আপনার তাওহিদের স্রষ্ট্রার প্রতি একবার বিশ্বাস নিয়ে এসে শুধু মন থেকে একবার ইয়েস বলুন দেখবেন আপনি কোথায় আপনাকে প্রসারিত করে এই মানবজাতির জন্য মঙ্গলময় কাজ করে নিজের স্থায়ী অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়ে যাবেন।



আমি আপনাদের বার বার বলছি আমার কথাগুলোকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্ট্রিতে নিজের কাছের একজন করে বুঝে নেবেন। একটি লাইন, বা বিশেষ কোনো বাজে অর্থ করতে আমার কথাকে ব্যবহার করবেন না। কেউ যদি কখনও করে তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাধা দিবেন। যদি না শোনে তর্ক করবেন না। বাজে বা অন্যায্য তর্ক থেকে অনেক বাজে কিছুর সৃষ্টি হতে পারে।



বিশ্বাস করুন আমি কোনো অনাসৃষ্টি চাই না বলেই এমন করে তাওহিদের পথে আপনাদের আহব্বান করে যাচ্ছি এবং চিরকাল যাবো।



আপনারা নিজেদের ছোট বেলা থেকে ভুল শিক্ষা নিয়ে বাচ্চাদের শিক্ষা দিবেন। বাচ্চারা যা ভালো তা সহযে নেয় আর যা খারাপ তা চাপিয়ে দেয়া হয়। একটি বাজে ও অন্যায্য চাপ যে মানব জাতির জন্য কতো বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আপনারা এ্যাডলফ হিটলার কে দেখে বুঝেছেন। তার ব্যাখ্যা আমি আগের কোনো একটি লেখায় দিয়ে দিয়েছি।



আমরা মানুষ। আমি কম জানবো এটাই স্বাভাবিক। আমার সুযোগ আছে আপনার কাছ থেকে জানার। তাওহিদের রব এক তিনি সব জানেন ও বোঝেন। আমরা কম জানি বলেই নিজেদের মধ্যে আপোস, সমঝোতা, শেয়ার, মাফ এই সব ব্যাপার গুলো চলে আসে। এখানে আপনার মনের কথা বলতে তো কোনো অসুবিধা নাই?



আমি আমার জীবনের মধ্য থেকে আপনাদের হাতে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছি যে, এই মানব জীবনের প্রতিটা পর্বে আমার সাথে মানুষ কত দুর্ব্যাবহার, অত্যাচার, অন্যায্য চাপিয়ে দেয়া সহ কতো কিছু করেছেন। তারপরও তো তারা মানুষ। আমি তো অন্যায্যর বদলে অন্যায্য ফেরত দিতে জানি না। অহংকার একটি মন্দের বড় প্রভাবক। একটি সমাজ ব্যবস্থার কিছু কুসংস্কারই অহংকার নিয়ে আসে। যেমন ধরুন মোহাম্মদের চুলের স্টাইল। মুসলিম জাতি বলে থাকে যে মোহাম্মদ এর চুল ছোট ছিলো আর একদল বলে চুল বড় ছিলো কিন্তু তা কান পর্যন্ত ছিলো। আর একদল বলে মোহাম্মদ ছোট এবং বড় দুভাবেই চুল রাখতেন। আর একদল বলে মোহাম্মদের গোফ ছিলো না কিন্তু দাঁড়ি ছিলো। একদল বলে মোহাম্মদের গোঁফও ছিলো আবার দাড়িও ছিলো। এই গোফ দারি কি ধর্ম নাকি মোহাম্মদের আদর্শ ধর্ম? আমি দেখেছি হিন্দি ও বাংলা সিনেমার নায়করা বিভিন্ন স্টাইলে চুলের কাটিং দেয়। এ দ্বারা সাধারন মানুষজন প্রভাবিত হয়ে ঐ স্টাইল করবে এটাই স্বাভাবিক রিফ্লেকশন। এই একটি সামান্য চুল নিয়ে কতো ঘরে যে অশান্তির সৃষ্টি হয় তা সম্পর্কে আপনারা নিশ্চই অবগত। দাড়ি, টুপি, পৌতে, টাপর, টিকি, গোঁফ, গোঁফে তা দেয়া সহ আরো কতো কি যে আছে তা আপনাদের আর অজানা নয়।



দেখুন এই সামান্য পরিচয়ে আপনাদের সাথে আমার কেমন একটি প্রেমময় মধুর মায়াবি মিষ্টি নিজের আপনজনের মতো সম্পর্ক হয়ে উঠেছে। এখন একবার ভাবুন তো কোনো কিছু যদি নিজের করে না বোঝা যায় তাহলে মানুষ তা কেনো গ্রহন করবে? অনন্ত জান্নাতে আপনাকে স্রষ্ট্রা সহায়তা করবেন তো বটেই সেই সাথে মহামানবদেরও পেয়ে যাবেন এখন যদি তাদের নিয়ে আপনাদের সময় কাটানোর মতো গুন না থাকতো তাহলে কবে তাদের দুরে কোথাও নিক্ষেপ করে দেয়া হতো সে সম্পর্কে আপনারা জ্ঞাতো আছেন। আপনারা জানেন যে শয়তান (মূলত মন্দ কাজের প্রেরনা) একসময় এবাদাত বন্দেগি করে তাওহিদের স্রষ্ট্রার সুনজরে পোষ্ট পজিশন নিয়ে ছিলেন। যদি আমাদের এই মানবের একটি প্রেমকে মেনে না নিয়ে মনের মধ্যে ক্ষোভ গেঁথে রাখতেন তাহলে কি তাওহিদের স্রষ্ট্রার এডমিন প্যানেল স্বাভাবিক ভাবে চলতো নাকি চেইন অব কমান্ড এন্ড চেইন অব মেডরমেন্টের সমস্যা হতো?



যারা আল্লাহ্ এর আশ্রয়ে থাকেন তারা মোনাফেকি জানেন না। আমরা মোনাফেকি কে মোনাফেকি দিয়ে এমন ভাবে বেঁধে রেখেছিলাম যে, জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিলো। আপনাকেও অমন সুন্দর ভালো হতে হবে এ আমার উপদেশ নয় এ আমার মানুষ হিসেবে আপনার কাছে রিকোয়েস্ট। এই ভালোর জন্য রিকোয়েস্ট করা সব মানুষেরই দ্বায়িত্ববোধের মধ্যে পরে।



আজ আমি আপনি হয়ে যান আর আপনি আমি হয়ে যাই। এবং জ্ঞান অর্জন করার রাস্তায় নিজেদের প্রকাশিত করি, সেই সাথে মন্দটাকে ফেলে দিতে শিখি দেখবেন তাতে আমাদের সবার জন্যই ভালো। আপনারা জানেন ও বোঝেন যে তাওহিদের আল্লাহ্ সর্বদা ন্যায়বিচারক।



একটি মানুষ যখন তাওহিদের আল্লাহ্ এর জান্নাতের ডাক হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পেরে নিজেকে অনন্ত জান্নাতের পথে নিয়ে চলে যায় তখন সে এমনিতেই কেয়ামত সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে ওঠে। কেয়ামত অর্ত পুনুরুত্থান যা অবশ্যই জন্মান্তরবান/বিবর্তনবাদ/পরিবর্তনবাদ কেই বুঝায়। আত্মা অবিনশ্বর এক সুন্দর আলো। যার কোনো বিনাশ নাই।



ওয়ার্ল্ড ইজ ইনফেনিটি। লাইফ ইজ ইনফেনিটি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৯

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Taohid Vaghoban ?????????Hajaro vule vora lekha !!!!!
So minus---------------------------------

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: তাওহিদ অর্থ এমন এমন একজন কে বিশ্বাস করা যিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন বা একাত্ববাদ।

মানুষের ব্যবহার করা ভগবান, গড, লর্ড, খোদা, নিরঞ্জন, ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা, শিব, জালাল, জামাল, রাজ্জাক, ইয়াহিয়া সহ অনেক নাম আছে। যা মুলত সৃষ্ট্রিকর্তা কে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এবং প্রতিটি নামেরই এক একটি গুনবাচক সুন্দর অর্থ আছে। শুধুমাত্র পবিত্র কোরআন শরিফ এ আল্লাহ শব্দটি পাওয়া য়ায় যেখানে আল্লাহ্ এর অস্তিত্বকে সর্বদা শিরক মুক্ত বা অন্য কোনো উপাস্যর সাথে তুলনা দেয়া হয় নি। আমি আমার লেখার মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ঈশ্বরের যে সব নাম প্রচলিত তা ব্যবহার করে থাকি। পৃথিবীর সব ধর্মই তাওহিদ বা একেশ্বরবাদ কে বিশ্বাস করে। এখন দেখা গেছে মানুষ ভুল বুঝে অনেক সময় দেবতাদের নামের সাথে সৃষ্টিকর্তার নাম যুক্ত করেছে। যেমন শ্রী কৃষ্ণ ভগবান। এজন্য আমি সৃষ্টিকর্তার নামের আগে তাওহিদের বা একেশ্বরবাদের কথাটা গেঁথে দেই যাতে আমার কথার মধ্যে কোনো ভাবেই শিরক চলে না আসে। এবার আপনাদের মনে হয়তো আরো প্রশ্ন জাগতে পারে যে আমি তাওহিদের আল্লাহ্ কথাটা কেনো ব্যবহার করি। এখানে মুসলিম ধর্মের অনেক হাদিসগুলোয় আল্লাহ কে এমন হাস্যকর করে তোলা হয়েছিলো যাতে স্পষ্ট ধরা পরে এই হাদিস কোনো কুচক্রি মহল দ্বারা সৃষ্ট।

আমার মনে হচ্ছে এবং নিশ্চিত ভাবে বলছি যে, আমি যে সব লেখা আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করেছি তার মধ্য থেকেই এসবের উত্তর পেয়ে যাবেন।

তারপরও মনে কোনো সংসয় থাকলে আমি যে সব ব্যাক্তি বর্গ ও যে সকল ধর্মগ্রন্থ বা অন্যান্য মাধ্যমের রেফারেন্স বা যে কথা উল্লেখ করেছি সেই সব যদি পড়ে দেখেন তাহলে আপনার মনে এমন হাস্যকর প্রশ্ন কখনই উদয় হবার কথা না।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৪

বাংলার ঈগল বলেছেন: কোন গির্জার কোন খ্রিষ্টান যাযকের লেকচার এটা ? উত্তর দিবেন আশাকরি।

আজ আমি আপনি হয়ে যান আর আপনি আমি হয়ে যাই..... এই একটা কথায় খ্রিষ্টান যাযকের জ্ঞানের পরিধি বুঝতে পারছি!!!

উদাহরনে মুহম্মদ (স:) কে না টানলেও পারতেন। বললে... যিশু/ঈসা, গৌতম বুদ্ধ, শ্রীকৃষ্ণ এদের সবার উদাহরন দিতেন অথবা সবার নামই বলতেন। একজনের নামে উদাহরন দিয়ে এখানে ব্যক্তিগত / জাতি বা ধর্মগত হিংসা প্রকাশ পেয়েছে!!!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৪

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আজ আমি আপনি হয়ে যান আর আপনি আমি হয়ে যাই..... এই একটা কথায় খ্রিষ্টান যাযকের জ্ঞানের পরিধি বুঝতে পারছি!!!


উত্তরঃ এখানে মানব জাতির একতার কথা বলা হয়েছে। মোহাম্মদ কেনো সব মহামানবই আপনার আমার মতো মানুষ হয়ে মানুষের মধ্য থেকেই আত্মপ্রকাশ ঘটান।

আমি আপনার মতো জ্ঞানি নই যে এতো সহযেই একজন খ্রিষ্ট্রান যাযকের জ্ঞানের পরিধি বুঝে যাবো। তারপরও যা বুঝি তাতে ঐ খৃষ্ট্রান যাযক পর্যন্ত আমার যাবার দরকার হবে না যদি আপনি নিচের লাইনটি বুঝে থাকেন।

তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব,
সকল কালের জ্ঞান,
সকল সাস্ত্র খুঁজে দেখো সখা,
খুজে দেখো নিজ প্রান।
..............................নজরুল

নজরুল এই সাম্যবাদি কবিতাটি শুধু আমার জন্যই লেখেন নি , পৃথিবীর সব মানুষের জন্যই লিখে গেছেন।
তারপরও আমি নজরুলের দেয়া ধর্মগ্রন্হ গুলো পাঠ করে সত্যতা যাচাই করে নিয়েছি। আমি কোনো রেফারেন্স পেলে যাচাই করার চেষ্টা করি। এমনকি পবিত্র কোরআন কে যাচাই করে তারপর বিশ্বাস করেছি। আমরা অনেক সময় না বুঝেই অহেতুক বিতর্কে জড়াতে চাই। আপনার কি মনে হয় না জেনে বিতর্কিত মন্তব্য করা ঠিক? প্রশ্ন করা যায় ঠিকই কিন্তু একজন খৃষ্টান কেনো একজন মানুষকে যাচাই করতে গিয়েও ভেবে নিতে হয় যে, আমি কি আসলে আমার পরিপূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন বা মন্তব্যটি করতে পেরেছি?

উদাহরনে মুহম্মদ (স:) কে না টানলেও পারতেন। বললে... যিশু/ঈসা, গৌতম বুদ্ধ, শ্রীকৃষ্ণ এদের সবার উদাহরন দিতেন অথবা সবার নামই বলতেন। একজনের নামে উদাহরন দিয়ে এখানে ব্যক্তিগত / জাতি বা ধর্মগত হিংসা প্রকাশ পেয়েছে!!!

মোহাম্মদ কি উদাহরনের যোগ্য না? মোহাম্মদ কার বাপের সম্পতি যে উদাহরন দেয়া যাবে না? মোহাম্মদ সকল মানুষের শান্তির জন্য তাওহিদের আল্লাহ্ কর্তৃক প্রেরিত দুত/বার্তাবাহক/নবী/রাসুল এবং মোহাম্মদ আপনার আমার মতোই একজন মানুষ হয়ে মানুষের কাছে স্রষ্টার বানী পৌছে দিয়েছিলো। মোহাম্মদ এর বড়গুন তিনি নির্ভুল মানুষ ছিলেন এবং স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থেকে পরিপূর্ণ আল্লাহ্ এর বানি আমাদের মাঝে রেখে গেছেন। এজন্য মোহাম্মদকে খতমে নবিউন বলা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.