![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!
প্রিয় বন্ধু!
চৈত্রের এই শেষ বিকেলে আমার পক্ষ থেকে বৈশাখের নওরোজের শুভআগমনের সুর দিয়ে একেশ্বরবাদের ছায়াতলে সবাইকে একত্র হবার জন্য বিনীত নমস্কার জানাচ্ছি।
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।
................................শ্রী শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বৈশাখ আসছেন অথবা আমরা বৈশাখের কাছে যাচ্ছি। এই মধুর ক্ষনের প্রতিক্ষায় আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর মানুষগুলো হাজার হাজার বছর ধরে প্রতিক্ষা করেছিলো। আজ যেনো সকল স্বপ্নগুলোকে স্বপ্নলোক থেকে আমাদের মনের আনন্দলোক দ্বারা স্বজোড়ে টেনে আমাদের এই ধরায় প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছি। এখানেই মানুষের বিশ্বাসের সার্থকতা। এখানে এসেই সবযুগ, সবকাল, সবসৃষ্টি, সবজ্ঞান, সবঅবতার, সববিজ্ঞান, সবশিক্ষা, সবআশির্বাদ, সবস্বপ্ন, সবঐতিহ্য, সবউৎসব, সবধর্ম, সবআনন্দ, সববেদনা, সবস্মৃতি, সবশ্রদ্ধা, সবপ্রেম, সবঅভিনন্দন, সবস্নেহ, সবসাংস্কৃতি, সবস্মৃতি, সবত্যাগ, সবযুদ্ধ, সবআন্দোলন, সবকৈফিয়ত, সবসৃষ্টি, আরও সব জীবনানন্দ এক হয়ে যায়। আজ হয়তো আপনাদের বাকি থাকবার কথা না যে, আমি মানুষ, যিনি আমার কথা শুনছেন তিনিও মানুষ, এই মানুষই মানুষের পরম আপন, সব মানুষ ও সৃষ্টিজগতের যা কিছু আছে সব একজন সৃষ্ট্রিকর্তা তৈরি করেছেন। এই সৃষ্ট্রিকর্তা এক ও অদ্বিতীয়, যার কোনো শরিক নাই এবং যিনি আমাদের সকল অনুভূতির বাইড়ে থেকেও নিজেকে জানান দিয়ে বেড়ান, তিনি আমাদের খুব কাছে থেকে এবং সৃষ্ট্রি জগতের মধ্যে থেকেই আমাদের সাহায্য করেন।
আজ এই মায়া লগনে আপনার বুঝতে মোটেও কষ্ট হবার কথা না যে, আমাদের এই পৃথিবী, এই মহাবিশ্ব এবং আমার এই আত্মার অস্তিত্ব সব একটি সযংক্রিয় সিস্টেমে চলে। আমি আপনাদের এটুকুই বলার জন্য এসেছি। আপনি সব পারেন যদি আপনিও এই সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ তাওহিদের রবের প্রতি পূর্ণবিশ্বাস রেখে, এবং ঐ মহান কারিগর এর তাওহিদের সুন্দর মালা গলায় জড়িয়ে নিয়ে নিয়মের মধ্য থাকতে জানেন। স্রষ্টা সর্বদা সত্য ও সুন্দরের পক্ষে থাকেন –এই সত্যউপলব্ধি আজ আপনি বুঝে গেছেন। সব কিছু আজ ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে গেছে – সব কুলহারা মানুষগুলোর কাছে। এ আমার অলিক কল্পনা না বরং এ আমার সত্যসাধনা ও জ্ঞান দ্বারা অর্জিত দ্বায়িত্ববোধের কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ। এই সব কৃতজ্ঞতাকে প্রেমের তবারক বানিয়ে আপনার হাতে তুলে দিলাম।
আমরা বলি বায়লজি। বায়লজি বলতে গিয়ে আমরা ভুলে গিয়েছিলাম যে, বায়লজি একটি টেকনোলজি। শুধু বায়লজি কেনো স্রষ্ট্রার সৃষ্টি এই ধরায় ও মহাবিশ্বে যা কিছু আছে সবই টেকনোলজির মধ্যে পড়ে। বায়লজির কথা এজন্য বলছি যে, আমরা আমাদের শরিরকে নিয়ে খুব বেশি ভিতু হয়ে উঠেছিলাম। একজন চিকিৎসক যে একজন টেকনিক্যাল গবেষক হয়ে উঠতে পারে আবার যে কোনো পেশার মানুষই অন্য পেশা বা সব পেশার উপর কাজ করা ও বলার অধীকার রাখেন তা আমরা ভুলে যেতে বসেছিলাম। একজন ত্যাগি ধার্মিক তাওহিদে বিশ্বাসী মানুষ যে সব ধর্মের কথা একসাথে বলতে পারে বা অধিকার রাখে তা আমরা ভুলে যেতে বসেছিলাম। এক সাস্কৃতির মানুষ যে ভিন্ন সাস্কৃতির উপর সত্য ও সুন্দরের প্রভাব ফেলে বিশ্বসাস্কৃতির মহাআকাশ রাঙিয়ে তোলার যোগ্যতা রাখে তা আমরা ভলে যেতে বসেছিলাম। একজন মানুষ যে, সব দেশের পলিটিক্স এর কথা বলার অধিকার রাখে তা আমরা ভুলে যেতে বসেছিলাম। একটি নির্দিষ্ট ভাষার মানুষ হয়েও অন্য সব ভাষার জন্য কাজ করার চেষ্টা করতে পারে তা আমরা ভুলে যেতে বসেছিলাম। একজন মানুষ অন্যমানুষের উপকারের জন্য তার আপন অস্তিত্বের সবটুকু ঢেলেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে তা আমরা ভুলে যেতে বসেছিলাম। যে তাওহিদের স্রষ্টা মানুষকে সেরা করে বানিয়েছেন তিনি যে- সব পারেন তা আমরা ভুলে যেতে বসেছিলাম। এই ভুলে যাওয়ার সময়ই এক সুন্দর সুরের আগমনে আজ সব হারিয়েও আমরা সব ফিরে পেয়েছি। এই কৃতিত্ব আপনার মনের প্রেম ভরে চাওয়া দ্বারা মহান তাওহিদের স্রষ্টার কাছে চাওয়ার ফসল। এই সবুজ ফসল শুধু আপনার একার তা কিন্তু নয় এই সবুজ ফসলকে আমাদের অন্তরে এবং অন্তরের বাইড়ে থেকে সবার কাছে পৌছে দিতে হবে।
যদি আমাদের সৃষ্ট্রিকর্তা একক হয়ে একটি সৃষ্ট্রিজগত আমাদের উপহার দিয়ে আমাদের মঙ্গল করে যেতে পারেন তাহলে আপনি আমি কেনো পারবো না আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে আমাদের মতো সাজিয়ে নিতে? আজ তো আমরা বুঝে গেছি যে, প্রকৃতির মধ্য থেকেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যাকে আমরা অসম্ভব ভেবে ভুল পথে হেটেছিলাম সেই অসম্ভব তো এখন আপনার পায়ের কাছে এসে লুটোপুটি খাচ্ছে। শুধু এই অসম্ভবের কান ধরে টেনে এনে মানুষের কল্যানে কাজ করালেই বিশ্বশান্তি কে আর বড় বড় গোলটেবিলে বসা মিটিং এর রুচিকর কোনো অধরা আলোচনা বলে মনে হবে না।
এই তাওহিদের বিশ্বাস নিজের অন্তর গভীরে গেঁথে নিন। যদি কখনও আপনার তাওহিদের বিশ্বাস আপনার কছে সন্দেহের মতো জেগে ওঠে তখন আবার তাকে অন্তরের গভীরের গভীরে স্থাপন করে নিন। এটাই সৃষ্ট্রি জগতের নিয়ম। অন্তরের গভীর থেকে গভীরে মানুষ ছুটতে পারে বলেই বিশাল মহাবিশ্বকে ছোট করে মানুষ তার অস্তিত্বকে বিলিন হতে দেয় না। এ আমার শুধু মুখের কথাই না এ আমার চিরদ্বায়িত্ব- এ আমার দ্বায়িত্ববোধের কৃতজ্ঞাতার স্পর্শ। এই তাওহিদের স্পর্শ দ্বারা একবার ভালোমতো নিজেদের মেজরমেন্ট করে নিতে জানলে আপনার মনের অশান্তি কখনই আসবে না। মনের অশান্তি সমাজ সহ সৃষ্ট্রি জগতের প্রতিটা জায়গায় প্রভাব ফেলে। আর মনের অশান্তি আসে মিথ্যা, মন্দ ও বাজে পথে চলে যাবার জন্য। এই কথা প্রমাণিত সত্য হিসেবে আমি আপনাদের উপস্থাপন করে দিয়েছি – তাতে আপনি যে দিকেই তাকান না কেনো আর যে বিষয় দিয়েই রিচার্জ করে দেখুন না কেনো? পারবেন না এই তাওহিদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে।
বন্ধু! শুধু একটি জাতি নিয়ে আজ আমাদের এগোলে হবে না। আজ আমাদের এগোতে হবে সকল জাতির প্রতিটা মানুষকে এক একটি ইউনিট বা আমার একদম সমকক্ষ একজন ভাই-বন্ধু মনে করে। বিশেষ করে মানুষের মৌলিক অধিকারের ব্যাপারে বিন্দু পরিমান ছাড় দেবার চেষ্টা করবেন না। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। বিশ্বের প্রতিটি মানুষ সর্বোচ্চ স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে অধিকার চায়। এই চাওয়াগুলো পুরণ করাই আপনার আমার এবাদাত। এই চাওয়া পাওয়া দ্বারা আমরা কেউই ছোট হবো না বরং নিজেদের বড় করে মানবতার স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে সক্ষম হবো। আল্লাহ্ অবশ্যই আমাদের মঙ্গলের পথে সব কিছু দিয়ে দিবেন। বান্দা যা আশা করে তার থেকে বহুগুন বেশী স্রষ্টা আমাদের দিয়ে দেন যদি আমরা তাওহিদের শক্তি দিয়ে সব কিছু পাবার চেষ্টায় রত থাকি।
আপনি আমি যে জাতির মানুষ বলেই মনে করি না কেনো আমরা সবাই বিশ্ব জাতি। আমরা সবাই বিশ্ব সাস্কৃতির মধ্যেই থেকে যাই। আমরা আমাদের শুভকর্মগুলো এমন ভাবে রেখে দিতে পারি যা এই বিশ্বসাস্কৃতির আসল ফিলিংস ও সত্যিকার অর্থেই সভ্যতা বিস্তার বিকাশে সহায়তা করবে।
মানুষ তার নিজের মধ্যে তাওহিদের সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিজগতের ডিরেকশন থেকে শুভশিক্ষা গ্রহন করতে পারে বলেই মানুষ মহান হয়ে যায়। আর মহান মানুষের স্থান হয় সেই স্বর্গলোকের অনন্ত শান্তির স্তরে। যেখানে কোনো ভয় নেই, বাধা নেই, অপূরন যোগ্য কোনো আশা নেই, নিজের সাধ্যের বাইরে কোনো কিছুই নেই। এই স্বর্গকে সৃষ্টিকর্তা গিফট করার প্রক্রিয়া আমাদের জন্য রাখেন নি এবং স্বর্গকে অর্জন করে নিতে হয়। এখানেই মানুষ মনের সৃষ্ট্রিশিলতার স্বাধীনতা ও আপন অস্তিত্বের কৃতিত্ব বলে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে।
আজ আমি যে কথা আপনাদের কছে বলছি তা যদি আমি আগে প্রমাণ করার চেষ্টা না করতাম তাহলে কি বর্তমান সভ্যতার বেশিরভাগ মানুষের কাছে কি, আমার এই বাণি অগ্রহনযোগ্য বা অমুলক বা বিতর্কিত বলে মনে হতো না বলুন? একজন মানুষের মানুষ হিসেবে জানান দেয়ার জন্য তার জীবনের লক্ষ্যকে ধারাবাহিক ভাবে কাজে লাগাতে হয়। শত দুঃখেও ভেঙে পড়তে হয় না। শাত লাঞ্চনাকেও বুক সামনে ঠেলে ধরে সয়ে নিতে জানতে হয়। শত অপমানের মধ্যেও নিজের আপন স্বপ্নীল তাওহিদের প্রেম মনের মধ্যে ধারন করে রাখতে হয়। শত বেইমান, মোনাফেকদের মধ্য থেকেও নিজের আপন জ্ঞান অর্জন করে তার সুবাস ছড়িয়ে দিতে হয়। জীবন মানে নিজের কর্তব্য বোধ থেকে এরিয়ে যাওয়া না, জীবন হলো অন্য মানুষের কর্তব্যকে সহজ করে দেবার জন্য বাধাহীন ভাবে সৎকর্ম করে যাওয়া। এখানেই মানুষের জন্য মানুষের উপকার করে স্থায়ি স্বর্গের দাওয়াত নিজের মনে খুঁজে পাওয়া।
আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। আপনার মধ্যে প্রেম থাকতে হবে। আপনার মধ্যে কঠিন দুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনার মধ্যে অন্য অবিশ্বাসীদের ক্ষমা করার মতো মানুষিকতা থাকতে হবে। আপনার মধ্যে নিজ জাতি এবং বিশ্বের গুনিজন, ত্যাগি, ধ্যানি, শহিদ, মহামানব, অবতার ও মহাবতারদের ত্যাগকে নিজের আপন কৃতজ্ঞতাবোধ দ্বারা প্রেজেন্ট করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনি নিজের আপন কক্ষপথকে কখনও ভুলে যেতে পারেন না। আপনি আপনার আগে আগত সবাইকে তাচ্ছিল্য করতে পারেন না। বাজে মানুষকে নয় বরং মানুষের ভিতরে যে বাজে চিন্তা থাকে তাকে সরিয়ে দেবার জন্য ব্রতি হন। তাতে আজ আপনার সাময়িক অসুবিধা মনে হলেও কিছু যায় আসে না। কারন আপনি অন্যের ভালোর জন্য কাজ করছেন কারণ আপনি জানেন আপনি একজন ভালোমানুষ। এখন যদি আপনি নিজেই ভালো না হন তাহলে এই বিশ্ব মানবের কল্যান করবার উপদেশ দেবার যোগ্যতা রাখেন। এজন্যই অনেক বাজে মানুষ ধর্মের নাম করে নিজেদের বড় করতে চেয়েছিলো। কিন্তু আজ কোথায় সেই ভন্ডের দল? আপনাদের প্রাণ প্রিয় তাওহিদের সৃষ্টিকর্তা সব সময় মিথ্যা, কুলশিত, পচা, বাজে, মন্দ, অমঙ্গলকর, ভন্ড, মোনাফেকির ফসল সহ সকল মানব সৃষ্ট্র দূর্গতি দুর করে দেন। আপনার তাওহিদের রব সর্বদা সত্য ও মঙ্গলের পক্ষে থাকেন এবং তিনি ন্যায়বিচারক।
আমাদের সাস্কৃতির মধ্যে একটি খেলা প্রচলিত ছিলো। বিশেষ করে যা আমাদের আবহমান কাল থেকেই সাধারন সংসারগুলোর মধ্যে প্রচলিত ছিলো। সেই খেলার নাম “গানের কলি” খেলা। পারিবারিক বা বন্ধু-বান্ধবী পরিমন্ডলে এই খেলা খেলা হতো। একজন একটি গান বা গানের অংশবিশেষ গায়। এই অংশবিশেষ গাইবার পরে অন্য আর একজন গীত গান/গানের কলি/স্থায়ী/অন্তরা এর শেষ অক্ষর/শব্দ দিয়ে আর একটি গান গাইবে। এভাবে আমরা আমাদের একটি সময় চরম আনন্দে পাড় করেছিলাম। এই ছোট্ট একটি সামাজিক প্রথা/গেইম/রিতি থেকে আমরা একটি লিংকিং করতে জানতাম। আমাদের মন আনন্দে ভরে উঠতো। ঠিক এমনি ভাবে জগতে সব সৃষ্ট্রিকুলের মধ্যে চমৎকার লিংকিং খুঁজে পাওয়া যায়। এবং আমি আপনাদের যেভাবে বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করেছি তা থেকে আজ আর আপনার বুঝে নিতে অসুবিধা হবার কথা না। এই ভাবে যদি আমরা আমাদের ও আমাদের অনাগতদের জন্য শিক্ষা, মুল্যবোধ, ব্যাক্তিত্বের বিকাশ, আত্মস্বাধীনতা, ম্যাথমেটিকস, কারিগরি, ধর্ম, সায়েন্স সহ সব বিষয় শিক্ষা অর্জনের উদ্ভাবন করে নিয়ে, বিশ্বপাড়ার সবাইকে দিতে পারি তাহলে আমরা আমাদের জ্ঞান এবং সত্য ও সুন্দরকে স্থায়ী ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে অবশ্যই সক্ষম হবো।
করি যে ভাবোনা,
সেদিন আর পাবো না,
ছিলো বাসনা,
সুখি হইতাম।
দিন হতে দিন,
আসে যে কঠিন,
করিম দ্বীনহিন কোন পথে যাইতাম?
..........................................সাধক শাহ্ আব্দুল করিম
আমি শ্রদ্ধাচিত্তে মরমী আদর্শর প্রতি সম্মান রেখে বলছি যে. শাহ আব্দুল করিম আমার কাছে প্রশ্ন রেখে গেছে “কোন পথে যাইতাম?”। আজ এই অসুন্দরের কাছ থেকে ফিরে এসে আমরা যে কল্যানের দিকে যাচ্ছি তার মধ্যে কি আপনারা আজও করিমের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যান নি বলুন?
এই প্রশ্ন শুধু করিমের একার না। এই প্রশ্ন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মনে দিবানিশি উদয় হয়। আমরা পথের দেখা পাই না বলে আসল পথে যেতে চাই না। বা যখন সবকিছু অস্পষ্ট হয়ে যায় তখন এতো বেশি বাজে বাজে পথ আমাদের সামনে এসে হাজির হয় যে, আমরা সঠিক পথ কোনটা তা উপলব্দি করতে সক্ষম হই না বরং নিজে নিজে ক্লান্ত হয়ে সব আশাকে অক্ষম ও শক্তিহিন বলে মনে হয়। আর একারনেই মহাকল্যানের তাওহিদের রাস্তা সহয করার জন্য মহাশক্তিধর অবতারদের আবির্ভূত হতে হয়। যা মোটেও অস্বাভাবিক না। যা মোটেও যাদুবিদ্যা না। যা মোটেও কাউকে ছোট করার জন্য না। যা মোটেও গোলকধাঁধাঁ না। যা মোটেও অযুক্তিক না। যা মোটেও ক্ষমতার লোভ না। বরং এই মহাশক্তিধর অবতারদের আগমন প্রকৃতির এর একটি সিস্টেম মাত্র যার রক্ষক একমাত্র তাওহিদের আল্লাহ্।
যখন খুব বড় অকল্যান ও মানবজাতির অস্তিত রক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে তখন একজন মহাশক্তিধরের মহাআবির্ভাব হয়। এবং আমরা ঐ সব মহাশক্তিধরদের সমকালে উপযুক্ত ভাবে না বুঝে সামনের অমঙ্গল ডেকে নিয়ে আসি। আমি আবারও বলছি প্রয়োজনে আপনার জ্ঞানের অহংকার দিয়ে এই সব মহাশক্তিধরদের ইতিহাসের স্পেশাল ক্যারেক্টারও বলুন তাতে কোনো অসুবিধা নাই কিন্তু কোনো ভাবেই এদের বিতর্কিত করবেন না। মহাশক্তিধর মহাঅবতার তো বটেই একজন সাধারণ সাধককেও অপমান করার শাস্তি আপনাকে পেতে হবে। এবং সেই শাস্তি কোনোভাবেই এড়ানো সম্ভব না। আপনি কোথায় পালাবেন বন্ধু?