নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বপ্রেম ও বিশ্বশান্তি

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!



নব নব আনন্দময়ীর আগমনে আনন্দাভিসারের আনন্দলোকের আনন্দ জানবেন।



অসম্ভবের খোলস ছেড়ে আজ বাংলা নববর্ষ চিরনতুন বৈশাখের নওরোজের সাওগাত হয়ে কোমল আলোর মতো আপনাদের বুকে আলোক-ঝটার মতো ঝুড়ে ঝুড়ে স্থায়ী স্পর্শ দিচ্ছে। যারা এই কোমল উপলব্ধিকে নিজের প্রাণ গভীর দিয়ে দিনের পর দিন অনুভবের চেষ্টা করে চলছিলেন, তাদের আজ বুঝতে বাকি থাকার কথা না।



এখন আর মনে হবার কথা না যে পৃথিবীটা অনেক বড়। পৃথিবী আপনার মনের থেকে কিভাবে বড় হবে বলুন? আমরা আমাদের জগতটাকে মিছে মিছে কিছু আবর্জনা দিয়ে বড় করে তুলি। আপনার স্বাধীনতাকে যদি আপন বিবেকের অসৎব্যবহারের কর্ম দ্বারা মিথ্যে ইট দিয়ে বাউন্ডারি গেঁথে রাখেন তাহলে তো সবকিছুকে অসম্ভব বলেই মনে হবে। মানুষ আর অসম্ভব একসাথে ও একই ঘরে বেশিদিন বাস করতে পারে না।



বিশ্বমায়ের এই বিশ্বঘরে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কালে-অকালে অসম্ভব এসেছিলো। মানুষ প্রথম প্রথম অসম্ভবের ভয়ে এমন ভাবে ভিতু হয়ে উঠেছিলো যে, কোনো কোনা কাঞ্চিতে নিজেদেরকে থর থর ভিতু কম্পনের অস্তিত্ব দ্বারা কেঁপে উঠতো। অসম্ভব এই ভিতু মানুষের দুর্বলতাকে দেখে আরও বেশী বেশী দম্ভ অহংকারের পোষাক গায়ে দিয়ে ভয় দেখিয়ে যেতো। ভয়ে কাঁপা মানুষগুলো নিজেদের অস্তিত্বের বিলীন হবার আসঙ্কা যতটা না বেশি করতেন তার থেকে অনেক বেশী দেখতে লাগলেন ঐ অসম্ভবের গায়ে দেয়া রং চঙে ভরা পোষাখের ভয়ঙ্কর রূপ। যার প্রতিফলন নিজেদের মধ্যে দেখে মানুষ তো হতোবাগ কি করে বাঁচবো? সবাই সেই অহংকার ও মিথ্যে শক্তির রংচংয়ে ভরা অসম্ভবকে যখন তোয়াজ করে নিজের একা একা অনেক হয়ে বাঁচতে লাগলো। ঠিক তখনই একজন বলে উঠলো বা নিজমনে উপলব্ধি করলো, “এমন অসম্ভব তো আর নতুন কিছু না। কি আছে ঐ অসম্ভবের মিথ্যে অহংকারের আড়ালে?”



এমন একটি সাহসের উপরে সাহস ভরা প্রশ্ন নিজের মনে আসে বলেই মানুষ সেরা। একটি মানুষ সেই অসম্ভবের উপরে যে মিথ্যে খোলস পড়া আছে তাকে টেনেটুনে অসম্ভবকে নিজের পদতলে নিয়ে আসবার তিব্র বাসনা-কাতর হয়ে পড়ে। একটি মানুষ অন্য মানুষদেরকে বলতে চায় “তোমরা ভয় পেও না। চেয়ে দেখো অহঙ্কারী দানবকে তোমরা বড় বলে দেখ বলে ও বড় হয়ে উঠেছে। এসো আমরা আর অসম্ভব কে বড় করে দেখবো না। এক না হয় আমরা মুক্ত হবো নতুবা না হয় অসম্ভবকে নিজের কাছে গোলাম করে রেখে দেবো। তাতে আমাদের পরাজয় হবে তো হবেই না বরং আমাদের সম্ভাবনার রাস্তা খুলে যাবে। খেয়াল করে দেখো দানব একটি আর আমরা অনেক হয়েও একই রকমের মন আছে আমাদের সবার অন্তরে। আমরা আমাদের চেতনাকে বিকাশিত করার ক্ষমতা রাখি। কিন্তু কথা হলো তোমাদের মধ্য যদি দানব ভয় কেউ বুকের মানিক ডোরে পুশে রাখো তাহলে আবারও আরো অসম্ভব হয়ে দানবের রাস্তা তোমরা খোলাই রাখলে।”



অনেকে এই সত্যকে উপলব্ধি করে অনেকে করে না। যিনি উপলব্ধি করেন তার মধ্যে থাকে চরম মানবতার বিশ্বাস আর যিনি উপলব্ধি করতে চান না তার মধ্যে থাকে অবিশ্বাস। আর যিনি একটু বিশ্বাস আর একটু অবিশ্বাসের দেলনার মতো নড়াচড়ায় আটকে যান তিনি হয়ে ওঠেন মানবতার চিরশত্রু যা অবিশ্বাসিদের থেকেও নিশ্চিত ভাবে খারাপ।



একজন মানুষ অন্য একজন মানুষকে ভালোবাসতে শেখে। ভালোবেসে নিজেকে ঐ মানুষের সমস্ত মঙ্গলের সাথে ইচ্ছে করেই গেঁথে থাকার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে। এই প্রয়োজন চিরন্তন। এই প্রয়োজনের দ্বারা বিরজিত হয়ে প্রতিসরনের প্রতিফলনই মানুষের স্থায়ী শান্তি। মানুষের ভিতরের এই মহান চির অম্লান প্রেম শক্তি আছে বলেই মানুষ তার নিজেদের সভ্যতাকে নিজেরা রক্ষা করে নেয়। এ যেনো কোনো সুন্দর চম্পা, মালতি, গোলাব, লিলি, হাসনাহেনা সহ হরেক রকম ফুলবাগানে কিছু আগাছা মাত্র। সেই আগাছাকে একজন ঐ বাগানের শত্রু হিসেবে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেয়। প্রথম প্রথম কিছু কিছু ফুল বুঝতে চায় না। তারা বলে ঐ আগাছা থাক না। তারপরও যিনি হাতের আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেন তিনি সবাই কে বোঝাতে থাকেন। অন্য সুন্দর ফুল গুলোর মনের মধ্যে এক ধরনের বোধ জেগে ওঠে এবং বুঝতে শেখে তাদের মতো কোনো নিরিহ ফুলের সাথে বেঈমানি করে ঐ আগাছা ঢুকে পড়েছিলো, কোনো এক কালে। এখন হঠাৎ অনেক ফুল খুব বেশী হতবাগ হয়ে ভিতু হয়ে ওঠে, বলে, “এতো এতো আগাছা জমে ছিলো আর আমরা কোথায় ছিলাম? আমাদের বাগান তো এখনই শেষ হয়ে যাবে? আমরা এখন কি করবো? আমরা এই ভাবে জেনে শুনে ভুল কিভাবে করলাম?”। এই হতবিহ্বল ও প্রচন্ড বেগে ভয় পাওয়া ফুলগুলোকে দেখে, ঐ আঙ্গুল তোলা প্রাণ ফুল বলে ওঠে, “বন্ধু! তোমরা ভয় পেও না, আমাদের যে একমাত্র বনমালী তাকে আমি ডেকেছি, তিনি আমার ডাক অবশ্যই শোনেন, তোমরাও ঠিক মতো ডাকো আর নিজেদের আগাছাকে শুধু ভয় নয় বরং ঘৃনা করে দূরে ঠেলে দাও, মালি না এসে পারবেন না”। ওদিকে মালি ভিষন ক্ষিপ্ত ছিল যে একটি সুন্দর নীয়ম করে দেবার পরও ওরা নিজেরা আগাছার প্রভাব বিস্তার ঘটিয়েছিলো আমি সেখানে ওদের কিভাবে হঠাৎ সাহায্য করবো, আরে ওরা তো নিজের সাহায্যই নিজেরা বোঝে না, আমাকে বুঝবে কিভাবে। আর অবিশ্বাসী ফুলগুলো মনে মনে বলে ওঠে, “দুর ছাই! মালিকি কখনও ছিলো নাকি? আমরা ঐ আগাছাকেই বন্ধু বানিয়ে ফেলি”। আগাছাও চায় একবার যদি ফুল আমাকে বন্ধু বানাতে শেখে তাহলে ওদের মালি আরও ক্ষেপে যাবে তখন আমি আরো বেশী ফুলবাগানের প্রভাবক হতে পারবো এবং ফুলেরাও তা বুঝবে না। কিন্তু ঐ একজন অসম্ভবের সাধক যিনি তার মালির কাছে বাগান রক্ষার ভার নিজের হাতে তুলে নিতে চান এবং সেই সাথে মালির সহযোগীতাকে ভুলেও অস্বীকার করেন না। এখন মালি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না। বলে থাকনা আমার তৈরি ফুল বাগান। এমন কতো কি যে আমার আছে, দিয়ে দেই না ওদের আরো কিছু যাতে ঐ সব ফালতু আগাছা বাগানে আসলেও শুধু লাথির পর লাথি দিতে ঐ সব ফুলের পক্ষেই যথেষ্ট হবে।



বন্ধু! আজ বড় বেশী অসহায় লাগছে নিজেকে। মানুষ প্রেম করবে। মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে। মানুষের ভালোবাসা শুধু মনের সামান্য কিছু আবেগের বহিঃপ্রকাশই না। মানুষের প্রেম শুধু অধিকারই না। মানুষের প্রেম শুধু চিরন্তনই না। মানুষের প্রেমই হলো মানুষ। যখন প্রেম দূরে চলে যায় বা প্রেমকে দূরে ঠেলে দিয়ে বাঁচতে শেখা লাগে তখন তিনি মানুষ থাকে না। তখন হয়ে যান একজন সত্যিকারের প্রেমের প্রতিক্ষক। আজ পহেলা বৈশাখ। আমি আপনার সাথে কথা বলছি। আর আমার মনের সেই প্রেমময় চাওয়া কার সাথে কথা বলছে? সে কে? সে এই মনের প্রেম। প্রেম মানুষকে কর্তব্যপরায়ন করে তোলে।



আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন। আমাদের এই মিথ্যে, বাজে, পচা, সনাতন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন পৃথিবীর সব দেশেই, একজন পুরুষ আর একজন নারী মিলে দু’জন দু’জন কে প্রাণের থেকেও বেশী ভালোবেসে সংসার করতে চায়। কিন্তু এই সমাজ ব্যবস্থার ও সমাজের কিছু কুরুচিপূর্ণ মানুষের ভুলের কারণে ঐ পায়াস ক্যাপল ঘর বাঁধতে পারে না। পারে না একসাথে থাকতে। তাতে কি, অনেকে বাজে সমাজের সাথে মানিয়ে নিয়ে জ্যান্ত লাশ হয়ে যায় আর অনেকে নিজের আসল প্রেমের মর্মতা না বুজে আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নেয়। আত্মহত্যা নামক এক মানবতাবিরোধী জানালা দিয়ে একটি জুটির একজন পালিয়ে যায় ঠিকই। তারপর জুটির অন্যজন বেঁচে থাকার তাগিদে বেঁচে থকেন। হয়তো বার বার ভুলে থাকার চেষ্টা করতে করতে জীবন কেটে যায়। সবাই বলে দেখো দেখো ঐ মানুষটি কতো পাষান, ওর কারনে একজন চলে গেলো আর ও সুন্দর ভাবে জীবন ধারন করছে। না বন্ধু! ঐ সুন্দর আসলে কুৎসিতের উপর প্রলেপ দেয়া কোনো কিছু। যা বাইড়ে থেকে সুন্দরের মতো মনে হয় মাত্র কিন্তু মনের ভিতরে চিতার আগুন দেহর পর দেহ পূড়িয়ে অসুন্দরের মহাশ্মসান হয়ে যায়। এই কারনেই আত্মহত্যা মহাঅন্যায়। আত্মহত্যা জীবন থেকে কাপুরুষের মতো পালিয়ে যাওয়া মাত্র। একজন জোড়া যখন আলাদা থাকে তখোন তারা কোনোদিনও আলাদা না। হয়তো সামাজিক চাপে, নিজেদের কম আত্মবিশ্বাস বা হরেক রকম প্রতিকূলের দোহাই তাদের আলাদা করে রাখে কিন্তু এই প্রেম ভরা মনের সব প্রেম চলে যায় তার কাছে। প্রেম এমন একস্থানে গিয়ে অবস্থান নিয়ে নেয় যেখানে প্রেমের কোনো অমর্জদা বলে কথা নেই, প্রেমের কোনো আমানতের খেয়ানত হবার সম্ভাবনা নাই, প্রেমের কোনো বিনাশ নাই তো বটেই সেই সাথে আছে প্রেমের আগুনের ব্যাপ্তি। এই ব্যাপ্তি আছে বলেই মহাবিশ্বের যা কিছু আছে তার একদম সমান সমান দুভাগ মিলে একভাগ হয়ে যাবার নামই নারী-পুরুষের প্রেম।



আজ আমি অনেক প্রতিকুলতার মধ্যেও লিখছি। আমাকে আমার কাছের মানুষগুলোও পাগল ভাবে। আমি তা জানি। এবং আমি আমার নিজের সম্পর্কেও জানি। এই পাগলামি আমি ঠিকই মেনে নেই। বুঝি ওরা যা খুশি তাই করুক আমি আমার অভিযাত্রার পথেই ছিলাম, আছি ও থাকবো। কিন্তু আজ আমি চাই না আমার প্রেমিকা মুন আমাকে পাগল বলে জাস্টিফাই করুক। একজন দুরে থাকা মনের মানুষকে অন্য কেউ পাগল বললেও নিজের মনের শেষ পর্দার আড়ালের কাছাকাছি গিয়ে হলেও মানুষ করুন আর্তনাদ করে কেঁদে ওঠে। ও অমন এক স্থান যেখানের কান্না তার পাশে থাকা মানুষগুলোও বুঝতে পারে না বা বুঝতে চায় না।



বন্ধু আসুন এই বৈশাখে নিজেদের কে চির মঙ্গলের পথে থাকার জন্য স্থায়ী ভাবে ব্রতি হই।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.