![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!
আমার নিজের প্রাণদেব আপনাকে প্রেম নিবেদন করে ধন্য হতে চাচ্ছে। আপনার মনের মাঝেও চিরকল্যানের পরশদেব আবির্ভূত হোক।
বন্ধু! আপনারা জানেন, বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্ব তৈরি পোষাকের জন্য একটি বিশস্ত মোকাম। বাংলাদেশ তৈরি পোষাখ ইন্ডাস্ট্রিতে সবার কাছে একটি পরিচিত ও আস্থার জায়গা। আমাদের এই বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনে তৈরি পোষাক ইন্ডাস্ট্রির বিশাল একটি অবদান ও প্রভাব আছে।
বাংলাদেশ নিয়ে ইউরোপ, এ্যামেরিকা সহ বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্র বিভিন্ন রকম গবেশনা করেন এবং আমাদের এই সদাসুন্দর নিরিহ জাতির ভালো-মন্দের ব্যাপারে কথা বলেন। আপনি যে দেশের নাগরিক বা যে ইনভারনমেন্ট ও যে এ্যাডুকেশন সিস্টেমের মধ্য থেকে আপনি বড় হয়ে উঠে আজকে বাংলাদেশ নিয়ে গবেষনা করছেন তাতে কিন্তু আপনার ঐ সকল ইনভায়রনমেন্ট, কান্ট্রি, চাইল্ডহুড লিভিং প্লেস, এ্যাডিকেশনাল ডায়মেনশন, লিভিং সোসাইটি, থিংকিং ডাইমেনশন, স্টাটাসের প্রভাব থাকবেই। এখানে আমার পরামর্শ হলো যে, আপনি যদি সত্যিকারের বিশ্ব নিয়ে রিচার্স, পারফেক্ট ওয়েল থিংকিং এন্ড এক্সিকিউশন অব ডেভেলপিং করে সাফল্যজনক ফল পেতে চান তাহলে আপনাকে দেশ, কাল, জাতি, গোত্র, ধর্ম ইত্যাদি বাঁধা ভুলে কাজ করতে হবে।
আপনি জানেন যে, বাংলাদেশ এর আয়তন অনেক কম কিন্তু জনসংখ্যা অনেক বেশী। এই বিষয় আপনাকে ইওরোপ, এমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া বা এশিয়ার জনকির্ন বা স্বাভাবিক জনবহুল এলাকার মানুষদের ভাবিয়ে তোলে? এ কি করে সম্ভব? এতো মানুষ, আয়তন এতো কম, এতো রাজণৈতিক অস্তিরতা তারপরও এই বাঙালি জাতি কি ভাবে খাদ্য, বস্ত্রে পুরোপুরি সয়ংসম্পন্ন? এছাড়া শিক্ষা ও চিকিৎসা জগতে আমরা আজ বুক ফুলিয়ে নিজেদেরকে সয়ংসম্পন্ন বলতে পারতাম কিন্তু ভয়াল ব্যাধি দূর্ণীতি সাহেব আমাদের এই নিরিহ বাঙালীদের উপর এমন ভাবে দিবানিশী চপাঘাত করে চলছেন যে আমরা বিদ্যুৎ সহ বহুকিছুর সঠিক ব্যবহার করতে পারছি না।
বাংলাদেশ এর মানুষ আজ সব থেকে বেশী ঝামেলায় পড়ে যেতো নিজেদের পোশাক নিয়ে, যদি না আমাদের তৈরি পোশাকের এমন একটি সুদৃঢ় ইন্ডাস্ট্রি না থাকতো। পোশাক শিল্পে আমার বাঙালী সন্তানরা যেমন রুটি রোজগারের সুযোগ পাচ্ছে, আবার একই ভাবে আমাদের জনসংখ্যার প্রায় সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই শিল্পের প্রসারের ফলে নিজেদের বস্ত্রের চাহিদা মিটাতে পারছে। বাংলাদেশের আজ সব জনগন/মানুষের গায়ে পোশাকের জন্য আলাদা ভাবে বড় করে ভাবতে হয় না, এর পিছনে আমাদের বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রসারে যেসব ব্যাক্তিবর্গ ও যে সব দেশ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নিয়মিত উপকার করেছিলেন, করে চলছেন এবং করবেন সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রণাম নিবেদন করছি।
বন্ধু! আমি মানুষ। আপনি মানুষ। আমরা সবাই মহাবিশ্বের পৃথিবীর মানুষ সম্প্রদায়। আমি, আপনি, আমরা সবাই মানুষ বলেই আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ট জীব এবং এই প্রকৃতি জগতের রাজা। আমার মতোই অন্য একজন মানুষ কিন্তু যে মানুষটি পোশাকের অধীকার বঞ্চিত হয়ে জীবন কাটাচ্ছে, সেই মানব সমষ্টির জন্য আমাদের কিছু করার আছে। এখন আপনি হয়তো বলবেন, পোশাকের এই সমস্যা বহুকালের, এক-আধ দিনে এই সমস্যা সমাধানযোগ্য না। আমি বলি আমরা একটু সামান্য কৌশলি ও আন্তরিক হলে পুরো বিশ্বের পোশাক সমস্যা নিমিষেই দূর করা সম্ভব।
আমাদের এই এভারগ্রীন বাংলাদেশে যে পরিমান রেডিমেট বস্ত্র উৎপাদন হয় তার মধ্যে ৫% থেকে ১০% তৈরি পোষাক থাকে উৎপাদন ঘাটতির মধ্যে। অর্থাৎ রপ্তানিমুখি পোশাকের মধ্য যে পরিমান পোষাক শিপমেন্ট হবে, এর মধ্য বাড়তি ৫%-১০% পোষাক উৎপাদন হয় যা উৎপাদনের সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে গন্য করা হয়। আর এই ৫%-১০% উৎপাদন ঘাটতি ধরা হলেও এতো পরিমান পোশাক কিন্তু নষ্ট হয় না। বরং এই ৫%-১০% বাড়তি টার্গেট ধরে নেয়ার দরুন বাংলাদেশ এর পোষাক শিল্পে বিশাল বিশাল দূর্যোগ চলে আসে, যা আমাদের সামাজিক ন্যায়বিচার ও দূর্ণীতি মোকাবেলার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে গন্য হয়। এই বাড়তি পোশাক ও অন্যান্য কিছু সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবৈধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে বা প্রভাবিত হয়ে এক শ্রেণীর মানুষ ঝুট ব্যাবসা, স্টক লড, স্টক লড শিপমেন্ট ইত্যাদি বাহারি নামের ব্যবসার আড়ালে মূলত দূর্ণিতি ও মানুষের অধীকার এবং মানুষের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলছে। এই বাজে কাজের জন্য কিছু বিদেশী মানুষও প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত আছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। ঐ সব ব্যবসা দিয়ে খুব সামান্য সময়ের মধ্যে, কিছু স্বল্প শিক্ষিত মানব কল্যানের পরিপন্থি চিন্তাধারার মানুষ সামাজিক ভাবে এবং দুর্নিতি করার ক্ষমতা অর্জন করার মধ্য দিয়ে সুন্দর সমাজকে অসুন্দর করে তুলছে। এখানে সেই সব মানুষরা সমাজের নানা ভাবে ক্ষতি করে চলছে আবার এদের প্রকৃতপক্ষে আইনের আওতায় নিয়ে আসারও তেমন কোনো স্বচ্ছ পথ চোখে পড়ে না। এই সামান্য কিছু ধান্দাবাজ মানুষ আমাদের গার্মেন্ট ইন্ডাষ্ট্রির মালিক/শ্রমিকদের ভয়ভিতি প্রদর্শন এবং শ্রমিকদের উপর বাজে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বাংলাদেশের নিরিহ সুন্দর গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির সার্বিক সুনামের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে। গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিক বঞ্চিত হওয়া, গার্মেন্ট মালিক ন্যায্য মুনাফা ও নিরাপত্তা এবং অন্য কোনো মানবসৃষ্ট্র দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা বা দূর্ঘটনা পরবর্তি সঠিক পদক্ষেপ নেয়া সরকারের প্রতিও বিশাল হুমকী স্বরূপ প্রতিয়মান হতে আমরা দেখেছি। আপনারা হয়তো বুঝবেন যে আমাদের গার্মেন্ট ইন্ডাষ্ট্রি আমাদের কান্ট্রির ইমেজের জন্য অনেক বেশী সেনসিটিভ। গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্য কোনো আঘাত এলে সেই আঘাতে শুধু যে রাস্ট্রিয় ব্যবস্থার সরকার একাই শুধু ভোগেন এমন নয় এর সাথে দেশপ্রেমিক প্রতিটা সাধারণ মানুষের মনে হাহাকার রব ওঠে। কিন্তু এতো দূর্যোগের জন্য দায়ী কিন্তু অল্প কিছু বাজে চিন্তাধারার মানুষ এবং ঐ মানুষগুলোর অবস্থান গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিরই খুব কাছে এবং আশেপাশে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশই অনুধাবন করলে বুঝবে যে, একটি দেশের প্রধান প্রধান শিল্পের উপর গভীর কোনো দূর্যোগ বা দূর্যোর্গের আগমন বার্তা এলে জাতির মনে কতখানী সংশয় সৃষ্ট্রি হতে পারে। যে শিল্প দ্বারা একটি দেশের বিরাট একটি জনগোষ্টি জীবন ধারন করে, সেটা যে শুধু শিল্প তা কিন্তু নয়- এই শিল্পই তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আপমর জনগনের কাছে সৃষ্টিকর্তার কৃপা সরূপ মনে করা স্বাভাবিক এবং সুন্দর আবেগের অন্তপ্রকাশ ও বহিপ্রকাশ।
এজন্য এই সব আএক্সপেকটেড কিছু পাবলিকদের চিন্হিত করে ব্যবস্থা নেয়া গেলে তা সাময়িক ভাবে সমস্যার সমাধান করলেও আবারও মাথাচারা দিয়ে নিজেদের অসুন্দরকে জানান দিতে সময় লাগবে না। বিশেষ করে যে জাতির মধ্যে স্বল্প শিক্ষিত একটি বাজে চিন্তাধারার কিছু মানুষ সবসময় থেকে যায়, সেই জাতিকে এমন কোনো পথ খোলা রাখতে হয় না যার মধ্য থেকে ঐ সিভিল সোসাইটির জন্য দূর্নিতির সুযোগ থেকে যায়।
বিশ্বদরবারের সকল সুরূচিপূর্ণ-চিন্তাশিল মানুষ যারা মানব কল্যানের সাথে সংপৃক্ত আছেন, সেই সব সুন্দর মনের মানুষের কছে আমার প্রস্তাব যে, আমাদের সবার সম্মিলিত একটু সামান্য চেষ্টা এই পৃথিবীর মানুষগুলোকে খুব দ্রুত পোশাকে সয়ংসম্পন্ন করে তুলতে পারে। আমরা যদি আমাদের পোশাক শিল্পের মধ্যে কোনো স্টক লড/ ড্যামেজিং রেশিও কোয়ানটিটি বা অন্য যে সব ছিট কাপড়, ফেব্রিক আইটেম অর ইকুইপমেন্ট সেইভ হবে তার মধ্য থেকে ৫০% সবসময় আলাদা করে রাখতে পারি এবং এই আলাদাকরণ করে সংরক্ষনে রাষ্ট্র দ্বায়িত্ব নিবে এর সাথে যুক্ত হবে ব্যবসায়ী সমাজ এবং গার্মেন্ট মালিক, শ্রমিক সহ সবাই। প্রয়োজনে আমরা এখানে ১০০% ও সেইভ করতে পারি। একই সাথে বাংলাদেশ এর সাতে ইন্ডিয়া, চায়না, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন সহ যে সব দেশ তৈরী পোশাক শিল্প আছে, সেই সব দেশ একসাথে এই পোশাখ গুলোকে একত্র করে হিসাব করে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাদাতাদের তহাবির তৈরি করে পোশাক বঞ্চিত মানুষগুলোকে পৌছে দিতে পারি তাহলে খুব দ্রুত খুব ইম্পর্টেন্ট একটি ইস্যু দুর করা সম্ভব।
আপনারা জানেন ও বোঝেন আজ আফ্রিকার নিরিহ দেশগুলোর, নিরিহ মানুষজন খুব বেশী অসহায় হয়ে বেঁচে আছে। আমরা অনেক সময় ঐ সব কালো ঝকঝকে আলোকভরা মানুষগুলোর স্বল্প বেশ-বুশা দেখে ভেবে নেই – ওরা বুঝি অসভ্য বা সভ্য হতে পারে নি। আমরা যদি ওভাবে না ভেবে নিজেদের কাছে এটুকু উপলব্দি করতাম যে, ঐ সব মানুষকে আমরা অসভ্য ভাবি বলেই ওরা অসভ্য হয়ে আমাদের চোখে ধরা দেয়। মানুষের আসল সভ্যতা থাকে অন্তরে। ওদের পোশাকের চাহিদা মিটাবার মতো সামর্থ ও টেকনোলজি নাই বলেই ওরা অমন পোষাক পড়ে থাকে। আপনারা যদি হিসেব করে দেখেন তাহলে দেখবেন এই সব আফ্রিকান পোশাকের অভাবে ভোগা মানুষের টোটাল সংখ্যা খুব বেশি নয়। ইথোপিয়া, রুয়ান্ডা, কেনিয়া, চাদ, মধ্যআফ্রিকা, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, সেনেগাল, মালি, সুদান সহ একই বলয়ের দেশগুলোর মধ্যের প্রতিটি দেশের মানুষের স্থায়ী পোশাকের সমাধান করা কিন্তু মোটেও দুস্কর নয়। আমরা যদি নতুন কিছু পলিসি এই গার্মেন্ট ইন্ডাষ্ট্রিতে ব্যবহার করতে পারি তাহলে অবশ্যই পুরো পৃথিবীর খাদ্য ও পোশাক সমস্যা দুরিকরন শুধু সামান্য কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আমরা যদি অন্যদের সহযোগীতা না করি তাহলে এই বিশ্ব কিভাবে শান্তিময় হয়ে উঠবে বলুন? আমাদের কাছে এই পৃথিবী অনেক কিছু আশা করে। একটি জাতি অন্য জাতিকে সাহায্য করতে জানলে কেউ গরিব বা কেউ বড়লোক হয় না বরং উভয় জাতিই নিজেদের মনের স্বাধীনতা অর্জন করে স্থায়ী ভাবে সুখি হয়। এটা সর্বক্ষেত্রে প্রজোয্য।
আপনারা হয়তো দেখেছেন ইন্ডিয়ার মানুষগুলোর একটি অংশের খাদ্যের পাশাপাশি বস্ত্রের সমস্যা প্রকট আকার ধারন করে আছে। এখানে বাংলাদেশ কিন্তু ইন্ডিয়াকে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু ইন্ডিয়ার কিছু বাজে পলিসি এবং নিজেদেরকে জোড় করে বাংলাদেশের কাছে বড়লোক সাজার নীতি কিন্তু ইন্ডিয়ার বিশ্ব ইমেজ ও সাধারণ নাগরিকদের অধীকার প্রশ্নকে বিশ্ব দরবারে সংকটে ফেলে দিয়েছে। কোনো দেশেরই উচিৎ না তার সাধ্যের বাইড়ে থাকা অবস্থান দেখিয়ে বিশ্বদরবারে বড় সাঁজা বা প্রতিবেশী রাস্ট্রের উপর প্রভাব বিস্তার করার বাজে চেষ্টা করা।
আমরা পৃথিবীর প্রতিটা দেশ যদি নিজেদের আসল রূপ অন্যদের কাছে তুলে ধরতে শিখি তাহলে আমাদের প্রতিটা দেশের সমস্যার সমাধানই সহজ হয়ে উঠবে। প্রতিটি ব্যাক্তি যখন সুখি, সমৃদ্ধ ও শান্তিতে থাকে তখন ঐ দেশ এমনিতেই বড় হয়ে যায়, তাতে আয়তন বা জনসখ্যায় যত ছোট বলেই মনে হোক না কেনো। আবার একটি বড় দেশও তার ইমেজ হারিয়ে অন্যদেশের জন্য হাসির পাত্র হতে পারে যখন সে দেশ নিজেদের যা নেই তা নিয়ে গর্ব করে এবং মিথ্যেকে উৎসাহিত করে। এগুলো প্রকৃতির স্বভাবগত সত্য কথা।
আপনারা জানেন ও বোঝেন যে, ল্যাটিন এ্যমেরিকার বহুদেশ আজও পোশাকে সয়ংসম্পন্ন হতে পারে নি। আমরা কিন্তু ওই সব দেশগুলোর মানুষগুলোকে সাহায্য করতে পারি। তারা আমাদের মতোই মানুষ। একটু শুধু চেষ্টা যা পরবর্ততে চিরসাহায্য হয়ে ওঠে। এভাবেই মানুষ তার সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ও মানবতার জয়গান গেয়ে বেড়ায়। এখানেই মানবজনম স্বার্থক হয়।
আমরা তো বহুদিন ধরে বহু অকল্যান চিন্তা করে দেখেছিলাম। কি এমন উপকার হয়েছিলো তাতে? আজ আমরা তিব্র শ্বফথ নিয়ে বিশ্বের সকল মানুষের কল্যানে একে অপরের সাথে মিলে মিশে কাজ করা শুরু করে দিলাম। এই হোক আমাদের চেতনা বোধ। এই হোক আমাদের নিজেদের রঙ্গীন আত্মপরিচয়। এই হোক আমাদের প্রেমের প্রকাশ। এই হোক আমাদের অহংকারে জয়গাথা।