![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আমার সাথে আপনার সংযোগ হোক!
হয় নি সকাল, তাই বলে কি,
সকাল হবে না কো?
আমরা যদি না জাগি মা,
কেমনে সকাল হবে?
তোমার ছেলে জাগলে মাগো,
রাত পোহাবে তবে।
..............................নজরুল
যেদিন প্রথম তুমি এসেছিলে ভবে,
কেঁদেছিলে তুমি তখন,
হেসে ছিলো সবে।
এমন জীবন তুমি করিবে গঠন,
মরনে হাসিবে তুমি,
কাঁদিবে ভুবন।
..........................(সংগ্রহিত)
একজন শিশু যখন এই বিশ্বলয়ে আসেন তখন ঐ শিশু একটি পরিবার, একটি সমাজ বা একটি রাষ্ট্রেরই সম্পদ নয় বরং ঐ শিশু বিশ্ব সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। শিশুবাচ্চা কোনো প্রডাক্ট নয় বরং শিশুবাচ্চা আমাদের মানবজাতির একজন সম্পদ হিসেবে গণ্য হয়। বর্তমান বিশ্ব শিশু অধীকার, শিশুর মেধা বিকাশ, শিশুর প্রকৃত পূর্নাঙ্গ শিক্ষা, শিশুর হ্যান ত্যান বলে চিৎকারে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। বাস্তবে এর প্রভাব কোথায়?
একটি অসুস্থ পরিবেশের সবচেয়ে বড় শিকার হয়ে ওঠেন শিশু সমাজ। আমরা অসুস্থ পরিবেশের মধ্যে থেকে অবুঝ সম্ভাবনার ফুলের কলিকে ধরেবেঁধে জোড় করে অসুস্থ ও সামাজিক বোমা বানিয়ে ফেলি এবং নিজেরাই তা বুঝতে চাই না। এর খেসারত প্রতিটা জাতিকে দিতে হয়েছিলো, হয়েছে এবং হচ্ছে। আপনি আমি বাচ্চা ছিলাম। শুধু আপনি আমিই না সকল যুগের সকল মানবপ্রজাতিই বাচ্চা হিসেবে এই ধরায় আসেন। এসে কান্নাকাটি করেন। আমরা ঐ শিশুকে সভ্য করে তোলবান দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নেই। যেখানে অদৃশ্য শয়তান অসভ্যতা সমাজে গুন গুন করে কুৎসিত ভাবে ঘুরে বেড়ায়, সেখানে আমরা কিভাবে বাচ্চাকে প্রকৃত সভ্যতা শিখাই বলুন? আমরাই তো আমাদের সম্পর্কে অবগত ও সুন্দরের আত্মবিশ্বাসী থাকতে জানি না। আমাদের এই অজানা ওদের উপর এতো বেশী প্রভাব ফেলেছে যে আজ সভ্যপিতাও তার অসভ্য বাচ্চাদের ভয়ে ঘরে বসে রাম-লক্ষন-সিতা-রাবন-রাবন খেলা খেলে খেলে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। একটি সাধারণ ঘরের পরিবেশও এই বিশ্বমায়ের অশান্তিকে আঙ্গুল তুলে দেখানোর জন্য যথেষ্ট।
“এমন কেনো হলো?” বলেই অনেকে ক্ষ্রান্ত হতে চান আবার অনেকে “এমন কেনো হলো?” এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে কিছু বুঝে উঠবার আগেই বাচ্চারা বড় হয়ে সমাজের বোঝায় পরিনত হয়ে আবারও “এমন কেনো হলো?” কথাটি মনের মধ্যে চলে আসে।
বন্ধু! আমি আপনাদের যেটুকু আঙ্গুল তুলে দেখিয়েছি তাতে আপনাদের আর বুঝতে বাকি থাকবার কথা না যে, ‘এমন কেনো হলো?’। তারপরও কিছু কিছু সমাধানের আলোচনা করে নিজেদের (মানব জাতি) এই দুরবস্থার অশুভ শক্তিকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করার প্রতিজ্ঞা করে নেই। আপনি নিজ থেকেই আজ বুঝতে পারছেন যে, সকল দেশের সকল নবাগত বিশ্বশিশুরা যেখানে বিশ্বদূত হবার যোগ্যতা রাখেন সেখানে তারা বদ্ধকূপের স্বদেশী ভূত হয়ে কি করে বিশ্বমানবতাকে লাঠি-বল্লম-চাকু-রাইফেল নিয়ে তাড়িয়ে বেড়ায়। শুধু হাতের অস্ত্র হলে এতো কথা ছিলো না- সেই সাথে মুখের বুলি বাহাদুরের যে হিংসের দক্ষতার আগুন জালিয়ে সমাজের ক্ষতি করে যাচ্ছেন আর সেই সাথে যে পরিমান মুখের দূর্গন্ধও বেড় হচ্ছে, এসব দেখে টুথব্রাস আর টুথপেষ্টগনও লজ্জায় বালিকা বধুর মতো লাল হয়ে ওঠেন।
বন্ধু! মিথ্যে, কুসংস্কার, বাজে বিশ্বাস, অকারনে বাঁধার ডাক-ঢোকর যে একটি বাচ্চাসমাজকে কিভাবে কুলঙ্গার করে দিতে পারে, তাঁর প্রমান আজ আপনাকে অনেক দূরে গিয়ে জোগার করতে হবে না বরং সবখানেই এর প্রতিধ্বনী প্রতিয়মান হয়ে মূর্তিমান প্রতিবিম্ব প্রিতিদিন প্রেতের ভয় দেখিয়ে মানবতাকে ছোট করবার দুঃসাহস দেখিয়ে যাচ্ছে। সবদূর্যোগ থেকেই পরিত্রানের ব্যবস্থা এই প্রকৃতি করে রেখেছেন। কিন্তু যদি আপনি অনাগত দুর্যোগ দিয়েই দূর্যোগের সমাধান খুঁজে বেড়িয়ে এক্সিকিশন করতে থাকেন, তাহলে কি পাবেন? খুব সহয দূর্যোগের কুৎসিত সমাহার চোখের সামনে সাগর মৌজের মতো দৈত্যাকার হয়ে ধেয়ে আসবে।
এখন থেকে আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের বাচ্চা সোসাইটিকে আমাদেরই মুক্তির পথ বাতলে দিতে হবে। বাচ্চা সোসাইটিকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। বাচ্চা সোসাইটিকে আলোর দিশারি বানাবার জন্য আমাদেরই চেষ্টা তাকবির করতে হবে। কিন্তু যখন বয়স্ক বাচ্চার ভিতরে কুলঙ্গার ধর্মান্ধতার কুসংস্কার সদাজাগ্রত থাকে তখন সেই নিজ সম্পর্কে অজ্ঞাত কুমানুষ শিশু বাচ্চা সোসাইটিকে দাওয়া দেবার মতো যোগ্যতা কি করে রাখেন?
শরীরের টিকা না হয় কিছু রোগ থেকে শিশু ভদ্রলোকদেরকে মুক্ত রাখেন ঠিকই কিন্তু মনের একটি কুসংস্কার যখন বার বার কুপ্রস্তাব হয়ে সমাজ পাড়ার অন্য বাড়ির মানুষের রাতের ঘুম নষ্ট করে দেয় তখন এর প্রভাবে কতগুলো মানুষ কষ্ট পায়, একবারও বোঝার চেষ্টা করেছেন? অনেকে নিজের বাচ্চার দোষ দেখতে পান না। আসলে বাচ্চারা কখনও দোষি হতো না যদি আমরা আমাদের নিজের ও সামাজিক দোষের কুশিক্ষাগুলো ওদের মগজে না ঢুকিয়ে দিতাম। এই জাত, কাল, বিবেধ নিয়ে শিক্ষা গ্রহন করার পরও মানুষ তার মেধার কতোখানি কাজে লাগাতে শিখেছে? জাত, কাল, গোত্র, বিবাধ, অহেতুক বিরোধ শিক্ষা একদম ছোটবেলা থেকেই বাচ্চা সোসাইটির মনে গেঁথে যাচ্ছে। এবং বয়সের প্রতিটি স্তরে এই কুশিক্ষাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মহাকুসমারহে বাচ্চারা বড় হচ্ছেন আর সাথে সাথে তাদের পরবর্তি বাহিনি আরো বড় দুর্যোগ ঘটানোর জন্য সামনে এগিয়ে আসছেন। এরজন্যই তো একজ্বালা শেষ না হতে হতেই অন্যজ্বালা হাজির হয়ে বলেন, “পালাবি কোথায় রে পাপলিক-সিটিজেন?”। এই আতকে ওঠার মধ্যেই আমরাও সুন্দর মানিয়ে নিয়ে, কিছু করার নাই ভেবে, একদিন বিনাকারনে হার্টফেল করে খেল খতম হয়েছে বলে বাঁচতে চাই তারপর স্রষ্ট্রার নিয়মে পূর্ণজন্ম নিয়ে আবারও শুরু হয় সেই পাপের রাজ্যে ডুবে থেকে পাপ করার ফলাফল। আর সেই একই কথা ঘুরে ফিরে আসে, “পালাবি কোথায় রে পাপলিক-সিটিজেন?”
বন্ধু! আজ আমাদের বোধদয় হয়েছে। আমরা বুঝেছি হানাহানি-কাটাকাটি-রক্তারক্তি ও ভিন্নমানুষের প্রতি ঘৃনা দ্বারা কখনও সমাজে স্থায়ী শান্তি তো হয়ই না সেই সাথে শান্তি পালিয়ে গিয়ে অশান্তিময় পাগলাটে প্রানহীন সমাজ দৈত্যের মতো আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। আমি আপনাদের বার বার বুঝাতে বা বলতে চেয়েছি যে, আমদের বিশ্বপ্রকৃতি ও বিশ্বঘরের সাথে খুব সহজ একটি সম্প্রিতির মিতালি আছে। এই মিতালি যদি আমাদের হৃদয়দেবের দ্বারা উপলব্ধি পূর্বক প্রমাণিত বিশ্বাস হয়ে ওঠে তাহলে সব আপনি থেকেই ঠিক হয়ে যাবে। আপনি নিজেই নিজেকে ঠিক করে নিতে সক্ষম যদি আপনার মধ্যে তাওহিদ পরশ পাথরে মেজরমেন্টাল এ্যাপায়ারেন্স একবার চলে আসে।
বাচ্চারা জন্ম নেবার পর থেকেই ইচ্ছে স্বাধীন মানুষের গুনাগুন প্রকাশ করতে থাকে। আমরা সময়ের সাথে সাথে বাচ্চাকে বশ করার চেষ্টা করি। এই বশ করা মোটেও অযুক্তিক না, যদি সেই বশ করার মধ্যে থেকেই আদর্শিক শিক্ষা, এটুচুয়েট, স্বকিয়স্বাধীনতাবোধ, মানবতা ও সত্য-সুন্দরকে গেঁথে দিতে শিখি। তাতে বাচ্চার স্বাধিনচেতা মনোভাব ঠিক থেকেও অনন্যসুন্দর হয়ে বিশ্বমায়ের স্থায়ী রক্ষক হয়ে উঠবেন। আমাদের বুঝতে হবে গার্ডিয়ানদের গোড়ামি বিশ্বাস, হিংসাত্বক মনোবৃত্তি, অমুলক কথাবার্তা, নিজ সাংস্কৃতির প্রতি ঘৃনা, অযুক্তিক কাজে অসন্তোষ্টির প্রলাপ, সাংসারিক অমিল ও ভুল ধর্ম বিশ্বাস বাচ্চার জীবনে ভাইরাসের মতো ইফেক্ট ফেলে জনসম্পদ হবার বদলে জনগ্লানি হয়ে ওঠে।
প্রকৃতি বাচ্চাদের এমন কিছু গুনাগুন দিয়ে দিয়েছেন যার ফলে বাচ্চাদের সঠিকরূপে মানুষের মতো মানুষ করা একদম সহজ হয়ে যায়। আবার এই গুনের অপব্যবহারের ফলেই একটি বাচ্চা মনের অস্বাভাবিকতা বিশাল ভাবে এই সমাজে তো বটেই সেই সাথে পুরো বিশ্বকে ভয়াল ধ্বংসাত্বক অবস্থার মধ্যে নিয়ে যেতে পারে। যার প্রমাণ আজ বিশ্বপারার প্রতিটা বাড়িতেই চোখে পড়ার মতো। বন্ধু! বাচ্চাদের বড় গুন বয়সের সাথে সাথে বাচ্চাদের মনে প্রচুর প্রশ্নের উদয় হয়। একন এই প্রশ্নের উত্তরগুলো যদি পারফেক্ট ভাবে গার্ডিয়ান, পারিপাশিক পরিবেশ, প্রতিবেশী, বিদ্যালয় কিংবা সমাজ ব্যবস্থার মধ্য থেকে দেয়া যায় তাহলে কিন্তু এই যৌক্তিক সত্য বিশ্বাসের রক্ষাকবচ সহকারে ঐ শিশু বাচ্চাটি বড় হতে শিখবে। শনিগ্রহের বলয়ের মতো ঐ সাবলিল বিশ্বাসের রক্ষাকবচের সাথে যখন অন্যায় কুটিল পথ যুদ্ধ করতে আসবে তখন কিন্তু সত্যেরই জয় হবে।
উদাহরন স্বরূপ, একটি বাচ্চা যখন সৃষ্ট্রিকর্তা সম্পর্কে জানতে চায়, তখন বাচ্চাকে সত্যিটা বলে দিন যে , বিশ্বভুমন্ডলে আমাদের চোখ ও মনের গোচরে এবং অগচোরে যা কিছু আছে এ সবের সৃষ্ট্রিকর্তা একজনই এবং তিনি নিরাকার। ঐ স্রষ্টাকে সব ধর্মের রাস্তা দিয়েই পাওয়া সম্ভব। এজন্য কোনো মানুষকে কখনও অমর্জাদা, অমঙ্গল কামানা কিংবা অসম্মান করা মোটেও ধর্মের পরিচয় না। আপনাকে বাচ্চার সাথে রেগে গেলে চলবে না। বাচ্চার প্রশ্নগুলো ধর্য্য ধরে শুনতে হবে এবং বুঝতে হবে। আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখবেন শিশুবাচ্চাদের মধ্যেও মেন্টাল সেটিসফেকশন প্রচন্ড রকম কাজ করে। বাচ্চারা তার আপন জিজ্ঞাসায় যখন একটি বিষয়ে পুরুপুরি নিজেকে নিশ্চিত মনে করে বা প্রশ্নের উত্তরে আর ঐ বিষয়ে প্রশ্ন খুঁজে না পায় তখন কিন্তু তাকে মনের কোনো এক গোপন কুঠিরে আটকে রেখে দেয়। যার প্রভাব ঐ সময় বোঝা না গেলেও , জীবনের চলার পথের কোনো না কোনো সময় যখন প্রয়োজন হয়, তখন অবচেতন থেকে চেতনে ফিরে আসবেই।
আমাদের সমাজের গার্ডিয়ান, আশেপাশের লোকজন এবং শিক্ষিত পরিচয়দানকারি কিছু মুর্খ চন্ডালদের একটি বড় সমস্যা হলো বাচ্চাদের প্রশ্নকে গুরুত্ব না দেয়া এবং সেই সাথে প্রশ্নের উত্তরে ভুল তথ্য বা বিশ্বাসকে ঢুকিয়ে দেয়া। আপনারা নিশ্চই খেয়াল করে দেখছেন যে, ফাস্ট ওয়াল্ডের বাচ্চাদের মধ্যে গরীব দুনিয়ার মানুষগুলোকে হিংসা করার রাস্তা খুব মধুর করে ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয়। আবার আমাদের এই সমাজে তুলনামুলক দারিদ্র সমাজে ঐ ফাস্ট সোসাইটি বা ওয়ার্ল্ডের প্রতি খুব খারাপ মনোভাব শিশু বেলায়ই প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। এখানে কারও চেয়ে কেউ কম না। একজন উপর তলায় বসে নিচে থাকা সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর গায়ে পচা আবর্জনা দিয়ে ঢিল তৈরি করে অট্টোহাসিতে ছুড়ে মারছে আবার নিচে থাকা মানুষগুরো উপরের বড়মিয়াদের ছুড়ে মাড়ছে ভাঙ্গাইট, পাথর অথবা মাটির দলা। এই বাজে ফলের দুষ্টুমিতেই যদি জীবন নামের সুন্দর ফুলের আসল পথের ঠিকানা না আসে তাতে দোষ কার?
মনে রাখবেন, মানুষের মেধার উন্নতি ও অহিংস মনোভাব গড়ে নেবার জন্য সমাজের স্তরের বিশাল অসামঞ্জস্যতা প্রধান কারণ না। প্রধান কারণ নামক অপবাদ দিয়ে কাউকে যদি দোষি করতেই হয় তাহলে নিজেদের বাচ্চা বেলার সাথে সাথে জীবনের প্রতি মূহুর্তের বাজে জিনিস গ্রহন করাকেই দোষ দেওয়া যায়।
আমরা ছোট বেলায় মিনা নামের একটি কার্টুন দেখি। এই কার্টুনটি এমন এক ফরমাটে করা যাতে ভারতবর্ষের প্রতিটি জাতির মাঝে প্রদর্শিত হলেও, পর পর মনে হয় না। এরকম কিছু কমন ফরমাট থাকতে হয়। আমরা আমাদের কৃয়েটিভিটি দিয়ে পুরো পৃথিবীতে প্রচারযোগ্য একই ফরমাটে এমন কিছু তৈরি করার যোগ্যতা রাখি। এই কার্টুন গুলো বার বার প্রচার করলে তা শুধু শিশুদের উপরই না বরং শিশুদের দেখার দাবির তলে বড়দের ব্রেন ও চিন্তাধারায় প্রভাব ফেলে। আমরা যদি আমাদের তাওহিদের বিশ্বাসের ব্যাপারে আপোষ না করে এ ধরনের সুখাদ্য মিডিয়া প্রতিনিধিত্বমূলুক অনুষ্ঠান প্রচার করতে থাকি তাহলে এর ফল দ্রুত মানুষকে সজাগ করতে পারে।
বাচ্চারা সমাজ ও পরিবেশ থেকে যা পাবে তাই নিবে। যখন সমাজে ভালোর চেয়ে খারাপের প্রভাব বেশি হয় তখন বেশি শিশু মানুষিক অসামাঞ্জস্যতা নিয়ে বড় হয়ে ওঠে। আপনার ভ্রান্ত বিশ্বাস, আপনার বাজে চিন্তার প্রকাশ, আপনার অসহনশীর মনোভাব, আপনার ভিনধর্মীর প্রতি শত্রুতা, আপনার দূর্ণীতিময় চিন্তাধারা, আপনার চারিত্রিক দূর্বলতা, আপনার কুকামনা, আপনার কুরুচি যদি আপনার আশে পাশে বাচ্চাদের উপর প্রভাবফেলে ঐ স্বাধীনচেতা শিশুদের উপর জোড় করে বাজে মনমানুষিকতা তৈরি করে দেয় তাহলে ঐ শিশুকে আপনি খারাপ বলে আসলে কি তৈরি করছেন? শয়তান দিয়ে শয়তানের লড়াই। আরো সহয করে বললে মন্দের সাথে মন্দের লড়াই। এখানে ভালোটা কিভাবে আপনি আশা করেন? যেখানে উভয় পক্ষের বেইজডই হলো মন্দ ধারনার প্রতিফলন সেখানে ভালোটা বেড় হয়ে আসার সম্ভাবনা কি করে থাকে?
আজকে আমি এই লেখাটি লিখছি। আগামি বিশ বছর ১ দিন পরে যে মানুষটির বয়স ২০ বছর ১দিন হবে তার কাছে এই কথা ২০বছরের পুরোনো হয়ে উঠবে। আমরা যদি আজ এই মুহুর্ত থেকেই বাচ্চাদের স্বাধীনতার শুভ বিকাশের জন্য কাজ করি তাহলে ঐ জেনারেশন ঠিক হয়ে যেতে বাধ্য এবং সেই স্রোতে যারা শিখানোর তালে থাকবেন তারাও ঠিক হয়ে যাবে। এজন্যই যুগে যুগে মনিষিরা এসব সেনসিটিভ ব্যাপার গুলো এক্সিকিউশনের জন্য প্রচুর তাড়াহুড়া করে গেছেন। আমরা বুঝিনি বলে আজও সেই অশুভ এমন করে সব স্থানে গেঁথে গেছে- যেনো মনে আনলেই গা ছিম ছিম করে ওঠে।
আমরা আমাদের সমাজে এমন সব বাজে বাজে জিনিস প্রবেশ করিয়েছি তা আজ শুনলেও গা জ্বলে ওঠে। দেখুন আজ বিশ্বে মেয়েদের জরায়ু ক্যানসার, জরায়ু সমস্যা, মেয়েদের জরায়ু জনিত কারনে বন্ধত্য কত ভয়াভহ আকার ধারন করেছে। কিন্তু কেনো? একশ্রেনীর বাজে লোক অনেক মেডিক্যাল বা ডাক্তার দ্বারা ইচ্ছেকৃত ভাবে অনেক মেয়েকে গোপনে বন্ধত উপহার দিয়ে সমাজের কিছু কিছু মানুষের অকাজ কে জায়েজ করার চেষ্টায় রত থেকে নিজেদের উপরে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন। যার ফল আজ কত নিরিহ মহিলাকে মাতৃত্বর সাধ তো নিতেই দেয় নি বা মা হবার সম্ভাবনাও শেষ সেই সাথে নিজের অধীকারও প্রশ্নবিদ্ধ? কেনো এই কুকাজ এলো? কারা এগুলো করেন তা কি সব মানুষেরই অজানা? অবশ্যই না। ঐ নিরিহ বোকা নারী না হয় জানলো না তাই বলে সৃষ্ট্রিকর্তাকে ফাঁকি দেয়া কি সম্ভব বলুন?
আমাদের বুঝতে হবে নিজেদের সাবলম্বিতা, আয়-ইনকাম, ভরনপোষনের ক্ষমতা বা অন্য যে কোনো অসস্তির কারনে জন্মনিয়ন্ত্রন করা দারুন বেশী দরকারি এবং এই জন্মনিয়ন্ত্রনের বিপক্ষে কোনো ধর্মই বলে না। কারন জন্মনিয়ন্ত্রন মানুষের একটি ন্যায্য অধিকারের পর্যায়ে পরে। যে ধর্ম ন্যায় ন্যায্য অধিকারে বাধা দেয়, সেই ধর্ম বিশ্বাস মানুষের শান্তির নিশ্চয়তার সাথে সাংর্ঘষিক যা মূলত তাওহিদের স্রষ্ট্রার নিয়মের সাথেই সার্ঘর্ষিক অবস্থান নেয়। যেখানে বিশ্বের সকল ধর্মের মূলভিত্তি তাওহিদ এবং প্রতিটা ধর্মই মৃত্যুর পরে জন্মান্তর বাদের কথা স্পষ্ট করে বলেন সেখানে মানুষের অধিকার ও সমাজের শান্তির বিরুদ্ধাচারন করা মূলত অবিশ্বাসীদের কাজ অথবা ধর্মের মর্ম না বুঝে তর্ক বা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনই বুঝায় মাত্র।
বিশ্বমায়ের সন্তানদের এই রেশারেশির প্রভাব কোথায় গিয়ে পরেছে দেখেছেন? আজ ইওরোপ ও ফাস্টওয়াল্ডে জনসংখ্যা সংকট এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যা মোটেও যুক্তিক বলে মনে হয় না। একটি জাতির নিজস্ব কাঠামোকে মজবুত করার জন্য জনসংখ্যার বিকল্প নাই। ভৌগলিক অবস্থান খেয়াল করলেও দেখবেন যে, ইওরোপ, জাপান, রাশিয়া ও ইউ.এস.এ.-কানাডার মতো কান্ট্রি গুলোয় জনসংখ্যা বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন। তাতে খাদ্যের ঘাটতি তো হবেই না বরং খাদ্য আরও বেড়ে যাবে। সেই সাথে সামাজিক আত্মবিশ্বাসও অনেক গুন বাড়বে। কিন্তু কেনো এই জনসংখ্যা বিপর্যয়? এর উত্তর আপনি নিশ্চই জানেন তারপরও বলছি, এই সমস্যার একমাত্র কারন নিজেদের মনে আসল স্বস্তি না আসা। নিজে থেকে প্রকৃত শান্তি উপলব্ধি করতে না পারা এবং আরও ভয়ঙ্কর যে কারনটি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে তা হরো নারী পুরুষে একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত না। এর প্রভাব আজ ইওরোপ, এমেরিকা, অস্ট্রলিয়া, পূর্ব এশিয়া সহ পৃথিবীর বহু স্থানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একসময় ইওরোপ কিন্তু এমন ছিলো না। তাদের একটি পারিবারিক ঐতিহ্য ছিলো। আমরা আমাদের মিথ্যে দ্বারা এমন ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলাম যে, ব্যাক্তি অধিকারকে বাজে ভাবে পেতে গিয়ে ঐতিহ্য ও জাতি সম্পৃতির বড় সম্মদ সস্কৃতি আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। আসলে খারাপের পরিনাম কখনই মঙ্গল নিয়ে আসতে পারে না।
বন্ধু! আমি চাই না আর সেই পিছনের পঁচা ইতিহাস গুলোকে মুখে পর্যন্ত উচ্চারন করতে। পচা দ্বারা পচাই আসে। আমরা বলতে চাই সবজাতির সারল্য, উদারতা, প্রশান্তি ও সমৃদ্ধির ইতিহাস। আজ কোনো জাতি হতাশ হবেন না। যা গেছে তা গেছে। এখন আমরা একই বিশ্বকে নিজের বুকের মধ্যে ধারন করে একইসাথে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে চলবো। আমাদের সবার সামনে অফুরন্ত সম্ভাবনা আছে। আমাদের কিছুই শেষ হয়ে যায় নি। আমরা আমাদের ফিরে পেয়েছি। আমরা সবাই এই পৃথিবীর মানুষ। আমরা ইচ্ছে করলেও মানব জীবনে এই পৃথিবী থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারছি না। তাহলে কেনো আমরা আমাদের কুৎসিত সুচিবায়ু দিয়ে নিজেরা নিজেদেরকে কষ্ট দেবো। যেখানে সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে, সেখানে আমরা কল্যানের পথে এগিয়ে যাবার জন্য দেরি করবো। ভালো পথে যাবার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে যায় যখন নিজে থেকে ভালো পথের গুরুত্ব অনুধাবন করতে শেখে। আর খারাপ কাজ, খারাপ পলিসি, খারাপ চিন্তাধারা মানুষ করে একান্ত ভালো পথ না পেয়ে।
বহুবাজে পথে হেঁটে আসার পরে আমরা আমাদের এই সুন্দর একটি প্লাটফরম পেলাম এবং যা পুরোপুরি সত্য, সঠিক ও একমাত্র তাওহিদের ঈশ্বরের মঙ্গলজনক প্লাটফরম। এই প্লাটফরমকে কেনো আমরা পদদলিত করবো বন্ধু? তাতে আমাদের কি লাভ হবে ঐ মন্দ দ্বারা ধ্বংস হওয়া ব্যাতিত?
আসুন আমাদের মনের সকল জড়তা, ইতস্ততা ভুলে গিয়ে নিজেদের আসল মর্জাদা বুঝে নিয়ে সবাই সৎকর্মশীল হয়ে এই বিশ্বভুবন কে নিজেদের মতো রাঙিয়ে নেই। এখানে আমরা সব মানুষ সব মানুষের স্থায়ী মিত্র।
(আমার আর্থিক অসংগতি ও বাবা, মা পরিবারের দুখঃ কষ্ট দেখে মনটা ভিষন খারাপ। আমাদের এই পরিবারটা অনেক আর্থিক অস্বচ্ছলতার মধ্যে নিমজ্জিত। তারপরও যা পারছি দিয়ে যাচ্ছি। শিশুদের নিয়ে আমার অনেক কিছু করার আছে। আপনারা ভরসা রাখবেন।)