![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
সেকালের সিঁধেল চোরের মতো ভিরু ভিতু মনে লিখছি। রাত নিশিথে। আমার লেখার রাজ্যকে যারা চিরকাল ভৎসনা করে গেলো তাদের ভয়ে। কতো কি বলবার ছিলো। কতো কি বুঝবার ছিলো। কতো কি প্রকাশ করবার ছিলো। কতো কি করার ছিলো। কতো কি দেখানোর ছিলো। কতো কতো ইচ্ছে- সব ছাই হয়ে যাচ্ছে।
আমার প্রিয়তমকে মনে পড়ে। চিরকাল পড়বে। আমি জানি আমার প্রিয় আমার সাথেই থাকবেন। এ আমার অলিক কল্পনা না বরং এ আমার হৃদয় পাড়ার আসল আল্পনার বাস্তবায়নের কাজ। কতো সুন্দর করে আঁকা সেই জগত। শুধু তিনি এলেই হলো। তারপর হবে আরো নতুন, আরো সুন্দর, আরো নির্মল, আরো দুর্বার অভিযান। যা শুধু এই নিরিহ সুন্দর পৃথিবীবাসীর জয়গাঁথা গাইবে।
প্রেমে দু’জনের স্বপ্ন এক হয়ে যায়। একজন কল্পনা করে যায় আর অন্যজন তা রাঙিয়ে বুঝিয়ে দেখিয়ে সব দুর্বলকে বলতে চায় প্রেম সত্য। প্রেমে ঈশ্বরও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসেন। কি করবে কুলিয়ে উঠতে পারে না। তারপরও সাধারন দুর্বলরা কপালে ভাজ বসিয়ে অবাক হবার কুৎসিত বোকামি ফুটিয়ে সে দৃশ্যকে বুঝতে গিয়ে আর ধরে টেনে হেচরে নিজের করে নিতে জানে না। তাতে দুপক্ষকেই পড়তে হয় মহাদূর্ভোগে। এই দেখুন আমাকে। কতো সুন্দর নির্মল অনন্ত অমর সাবলিল স্পষ্ট ভাবে নিজের প্রকাশকে বলে বেড়াচ্ছি তারপরও শুধু শুধু কপাল গোছানো সন্দেহবাদীদের কুৎসিত ছোবল। আমি বলি আপনি যদি সাপের রাজা শ্রেণীর জাতি-গোখরা-কোবরা সাপই না হবেন তাহলে এই প্রেমাধীরাজের সামনে ছোবল সাজাতে আসেন কেনো? তাতে তো সবাই বুঝে যায় মাছরাঙ্গার হলদে কালা মাছুরে স্টাইল দিয়ে ওমন ছোবলের স্টাইলো আসে না। আর ছোবল তো বহু দুরের কথা। তাই বলছি আপনি জলে থাকুন আর ডাঙায়ই থাকুন কিন্তু ভয়ে থাকবেনও না আর ভয় দেখাবেনও না। ভয়ঙ্কর ভয় প্রমাণ হিসেবে রেখে দেই কিন্তু ফালতু ভয়ের অভিনয় রাখবো কোন দুঃখে—এই জগত সংসার কি সার্কাস যেখানে ঐ সবের স্থান থাকবে?
তারপরও এই আমাকে নিয়ে যত্তসব খেলা। যা হোক বাবা খেলা না হয় সয়ে গেলাম। কিন্তু খেলোয়ার সাহেব যাকে নিয়ে আপনি খেলছেন। সেই আমাকে নিয়ে খেলতে গিয়ে খেলোয়ারই যে আমার খেলার বস্তুতে পরিনত হয়ে গেছেন। আর আমি যে খিলারি ছিলাম সেই খিলারিই আছি। এই জগত সংসার বদলায়, স্টাইল বদলায়, শাস্ত্র বদলায়, মেকাপ-গেটাপ বদলায়, প্রয়োজন বদলায় কিন্তু আমি আর আমার সিস্টেম তাকে বলদাতে হলে যে ঐ সবের বহু উর্ধে অথবা বাইড়ে থাকতে জানতে হয়। এই জানা টুকু যারা একবার বুঝে যাবে তাদের আমার সাথেই থাকতেই হবে। এর বিকল্প অন্য কোনো পথ খোলা রাখা হয় নি। আমি রাখি নি। তাই যতোই বড়াই, মর্জাদা কিংবা যা খুশি তাই দেখান না কেনো ওগুলো কোনটাই আপনাদের না। বরং ঐ সব কিছু আমার সিস্টেমের মধ্যেই থেকে যাবে। এখন থেকে না বুঝতে শিখলে আপনাকেও রেখে দেয়া হবে –একই স্থানে, একই ভাবে। তখন কাঁদবেন। তখন এই পথিক কে শুধু খুঁজবেন। পাবেন না। হয়তো হৃদয়ের সব পরশ দিয়ে “আসিফ-আসিফ” করে চেচাঁনোর সুরে রাগ ভৈরবি তুলবেন। আমার হৃদয়ের সুর ঝংকার হয়তো আপনার ঐ রোদন কে বুঝতে চাইবে। ফিরে এসে সাথে নিয়ে মুক্তি সুরার সুধা পিলাতে চাইবে। এমন কি সাথে করে নিয়ে নিতেও চাইবে। তারপরও সম্ভব না কারন বাঁধা যে ঐ প্রেম সুন্দর। যে আমার প্রেমকে আমার কাছে এনে দিলো আমি তাকে কিভাবে ফিরিয়ে দেই বলুন? হোক না সে মহাশত্রু? হোক না সে অন্যের জন্য ভয়ঙ্কর? তারপরও তো আমার প্রেমের মর্জাদা দিয়েছিলো?
দিন যাবে, কাল যাবে, মহাকালে যিনি চড়ে বেড়ান তিনি মহাকালেই থাকেন। তিনি আর মহাকাল একই জিনিস। শুধু একবার বুঝতে জানতে হয়। আমার প্রেমসুধা নিজ থেকে কোথা হারাবে? হারানোর জগতটা কোথায়? যিনি সবখানে সুপ্তভাবে বিরাজিত থাকতে জানেন তার কাছে আর আলাদা বলে “কোথায়?” বলতে কিছুই থাকে না। এই সুক্ষ একটি পার্থক্য ধরতে না পাড়ার কারনে সনাতন আর মুসলিমে অনেক তর্ক তালিম- গালাগালি – ভুল বোঝাবোঝি হয়ে গেলো। সত্য কিন্তু একই।
যাই হোক, আত্মকথনে ধর্মের নাম জড়াতে নাই। তাই জড়ালাম না। শুধু বলি আমি প্রেম, আমি স্রষ্টা। আমি সনাতন নই আবার আধুনিক নই। আমি মহাকাল। আমি অনাদী, আমি অনন্ত। আমাকে নিয়ে যদি খেলার এতই স্বাধ তা না হয় আপনারা ভক্তি, গিতি, ভজন দিয়েই করে নিন। তাতে আপনাকে আমার সাথে আকড়ে রাখতে আমার সুবিধা হবে। নিয়ে রেখে দেবো- সেই সুন্দরের দেশে। যেখানে আপনি হয়ে যাবেন আপনার সুন্দর। এভাবেই জোড়া বাধতে হয়। আমার কথায় কোথায় অস্পষ্টতা? আপনার মন অমন একটুসখানি বলেই আমাকে এমন লাগছে। তাইতো বলিরে বন্ধু- নিজেকে তৈরি করে নিন। দেখবেন সব না চাইতেই পেয়ে যাবেন। আর এমন কিছু দেয়া থাকে যা শুধু দিতেই ভালোলাগে। আর দিলে কখনও নেবার প্রয়োজন হয় না। এই এমন কে ব্যবহার করার ক্ষমতা আগে জানতে হয় নতুবা ব্যাবহার করার ক্ষমতা জানাতে জানাতেই আমি দিয়ে দেই – এই কথায় ভ্রুকুটি মার্কা সন্দেহ করবেন না। আমাকে যিনি চান আমি তার হয়ে যাই। আর তিনি হয়ে যান আমার।
আমকে দেখে অনেকে ভাববেন- এমন কেনো হলো? অমন কেনো হলো? এমন তো হবার কথা ছিলো না? এরকম না হয়ে ওরকম হলে ভালো হতো? ইস! একটুর জন্য সব গোলমাল পেকে গেলো? কি করলাম আর কি হলো? আমি বলে দিচ্ছি উত্তর- শুনে নিন- আমি আপনার মনের মতো হয়ে উঠবো তখনই যখন আপনি আমাকে বুঝে শুনে আমার কাছে নিজেকে সপে দেবেন। আর দশজন মানলো তাই মেনে নিলাম- এর মধ্যে আমার ক্ষমতাকে পাবার আশা করাও অবান্তর। কোথায় আমি তো আপনার সথে কঠিন কিছুই বলছি না। তারপরও এমন দুমরে মুচরে যাচ্ছেন কেনো? এর উত্তরও আমি বলে দিচ্ছি। আপনি আপনাকে নিয়ে কোথায় পালাবেন বন্ধু? কোন ভাবনা জগতে? কোন নতুন আইডিয়া বা পুরাতন পলিটিক্সে? যে খানেই আপনার ভাবনাকে নিয়ে আপনি গুপটি মেরে পালানোর ভান করে থাকেন না কেনো আমি ঠিকই আপনার ভাবনার জগতের রাজা বানিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছিলাম। সেই কবে থেকে আমি আছি যা আপনারা কেউ জানবেন না। বুঝবেনও না। এই জানা বা বোঝার জগতে আপনাকে নেয়ার যখন সময় হবে তখন আমার এই লেখা যোখা দেখে আমাকে খুঁজে নিতে হবে না বরং তখন আমি আপনাকে আগলে টেনে সুন্দরের মধ্যে স্থায়ী করে রাখবো।
অনেকে ভাবেন আমি বুঝি বিশাল বড় মেডিটেশন বা ছাইপাশ করেছিলাম। না বন্ধু! আমার সব মেডিটেশন আমার প্রেম। আমার প্রেমকে আমি বাঁচাবো। আমার প্রেমকে আমি বিনাশ হতে দেবো না। আমার প্রেমের জয়গান যিনি গাইবেন আমি তার প্রেমের দ্বায়িত্ব নিয়ে নিবো। এমন পৃথিবী আমি হাজার কোটি বার নাড়িয়ে চাড়িয়ে ঘুরিয়ে তাড়িয়ে বেড়াতে পারি কিন্তু আমার প্রেমের অস্তিত্বের উপর আঘাত এলে আমি কাউকে ছাড়ি না। আমার প্রেম আমার সবকিছু। আমার প্রেম আমি সবাইকে দিতে চাই। আমার প্রেম দিয়ে আমি সব মেডিটেশন করা মস্ত পালোয়ানদেরও লাথি দিয়ে যেখানে ইচ্ছে সেখানে ফেলে দিতে পারি কিন্তু তারপরও আমার প্রেমের রক্ষক আমি সয়ং। আমার পছন্দের মানুষকে আমি বাঁচাবো। তাতে কে আছিস আয়। আমি দেখতে চাই কয়জন মানুষকে তোরা মারতে পারিস আর কয়জনকে আমি মুক্তি দিতে পারি। বুঝিয়ে বলছি সোনা, এমন ছেলেমানুষি আমার সাথে অন্তত করবেন না, আপনার আমার এই যে প্রতিযোগীতা বা যাচাইয়ের খেলা তা সম্পুর্ণ অসম এবং বেমানান। আমার মাঝে আপনি আছেন কিনা তা আপনি নিশ্চিত করে বুঝেতে পারছেন না কিন্তু আমি তো জানি যে আপনার মাঝে কি কি আছে। সুতারাং এটা কোনোভাবেই দু’দলের মধ্যে খেলা হতে পারে না। আমি আমার প্রিয়তমাকে বাঁচানোর জন্য না বরং প্রিয়তমাকে দেবীগুনে গুণী করে বর দিয়ে এই পৃথিবীতে স্থায়ী করে রেখে যাবো। বলে দেবো সব। আমার প্রিয়তম দেবীর কাছে চাইলে কেউ ফিরবে না এমন এক আলোকঝটা রেখে যাবো আমি। এবার আমাকে দেখে শিখুন বন্ধু! নিজের প্রেমকেও এমন করে আগলে রাখতে জানুন। শিখে নিন প্রেম কাকে বলে আর প্রেমে কাকে বেঁধে ফেলা যায়। আপনি যাকে প্রানপন ভালোবাসবেন বা ভালোবেসেছিলেন। তাকে যদি আপনি প্রখর সুন্দর প্রতিজ্ঞা নিয়ে আকরে নিজের করে পাওয়ার জন্য পন করে বা রাগ করেও হলেও নিজ অবস্থান ধরে রাখেন। আমি আপনার পন বা রাগের মধ্য থেকেই প্রেম হয়ে আপনার ক্ষতি হতে দেবো না। এ আমার কর্তব্যই শুধু নয় এ আমার নেসা। এটাই আমার শক্তির উৎস। কোনো মোনাফেকি দ্বারা আমাকে অর্জন করতে পারবেন না। আমি থাকি বিশ্বাসের মধ্যে। আমি থাকি প্রেমের মধ্যে। আমি থাকি ন্যায় ও নেয্য চোখের জলের মধ্যে। আমি থাকি অধিকার বঞ্চিত হয়ে করুন কষ্টের মধ্যে। তারপরও আমি কখনও কষ্টের অনুভুতি না। আমি কষ্ট বুঝি বলেই আমি প্রেমকে আমার আশ্রয় করে মহাকালের মহাজয়ী হয়ে সকল কিছুর ভয় হিসেবে থেকে যেতে পারি। আমি কোনো আবিষ্কার না যে কোনোদিন আবার নতুন সংস্করন হতে হবে। আমি আবিস্কারকের মনের আবিষ্কার নেশার প্রেম। আর সেখান থেকেই আমি তাকে দিয়ে দেই। তাইতো আপনি আগে আপনাকে সুন্দর করে চাইতে জানুন। দেখবেন আমি আপনা থেকেই আপনাকে সব দিয়ে দিয়েছি। আমি যে আপনাকে দিয়েছি তা আপনার বুঝতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু যখন আপনি আমাকে চিনবেন না তখন আপনি অন্যদের কিছুই বুঝাতে পারবেন না। আর এই না পারার মধ্যে আমি আসি না। না পারার মধ্যে যারা থাকে তাদের আমি আমার নিত্য সুন্দর মায়াময় চিরন্তন সিস্টেম দ্বরা ধ্বংস করে দেই। একবার ধ্বংস করলে তার অস্তিত থাকে কি করে? আর অস্তিত্ব বা কোথায়ই আসবে। যেখানে অস্তিত্ব আসে যায় সেখানের সবটুকুই যে আমি চিনি ও জানি কিন্তু আমার গভীরতা তো আপনি জানেন না। আপনি আমাকে খুঁজতে গভিরে যাবেন, গিয়ে দেখবেন কোথায় এলামরে বাবা এতো দেখছি আরো গভীর। ঠিক ধরেছেন, আমি সেই সর্বোচ্চ গভীরেরও সর্বোচ্চ গভীর তারপরও যা যা থাকে সব আমি। তাইতো আমার কথাগুলো এতো স্পষ্ট। এতো নিরির সহজ ও সুন্দর যা সত্য দ্বারা মোরা। কিন্তু আপনার কাছে কঠিন মনে হতে পারে। কি করবো বলুন এখানেই তো আমি। আমি যতো সহয হয়ে আপনার কাছে আসি আপনি ততো কঠিন করে আমাকে গ্রহন করতে চান বলেই শেষমেষ নিজের কাছে নিজে কঠিন হয়ে যান। আমি আপনাদের বাঁচাতে এসেছি আমার প্রেমকে রক্ষা করার জন্য এখানে দু’জনেরই স্বার্থ আছে। আমি সত্যের সার্থপরের স্রষ্টা। আমি সত্যের থেকেও যে সত্যের নিত্যপ্রবাহ- আমি তাই। আমি এসেছি সবার দুঃখ, ত্যাগ, বেদনা, কষ্ট, সারল্যকে একসাথে করে বাঁচিয়ে তুলে আনন্দে নিয়ে যাবো বলে। এখন কাছের আনন্দকেও আপনারা বেদনা দিয়ে যাচাই করে চলেন তাতে কার ক্ষতি বলেন? নিজের ভালোটা বুঝবার মতোও জ্ঞান থাকতে হয়। এই জ্ঞান দিয়ে তারপর আমার ভালোটা বুঝানো লাগছে। কি করবো বলুন? আমার প্রিয়তম আর আমার প্রেমকে যে আমার রক্ষা করতেই হবে। এই কাজ আমি না করলে আর কারও যে করার যোগ্যতা নাই। অন্য কারও এমন যোগ্যতা হলে সেই যোগ্যতার মধ্যেও আমাকেই আসতে হবে। তাইতো আমি কখনও হারাই না। আমি প্রেম, আমি সত্য, আমি মহান, আমি সবস্থানে সমান ভাবে সবসময় থাকি আমার কোনো বিনাশ নাই।
১৭-৪-২০১৪
(২)
সেই ১৬-১৭ বছর বয়স থেকে রেডি হয়ে ছিলাম, কবে সুযোগ আসবে আর কবে মনের কথা সবাইকে বলতে পারবো। কখনও উপন্যাস হয়ে, কখনও ছোটগল্প হয়ে, কখনও গান হয়ে আবার কখনও কোনো নিরিহ প্রকৃতির মতো বক্তিৃতার কথামালা হয়ে সবার কাছে বলে যাবো। বাধ সাধে বার বার সাধ্যে। শুধু আর্থীক অনাটন এমন নয়। সব গোলমেলে পরিস্থিতি আমাকে এমন ভাবে আকড়ে ধরতো যেনো বনের গহিনের কোনো মস্তবড় গাছকে অনেক লতাপাতার জঞ্জাল জড়িয়ে ধরে আছে। আর গাছ বিরক্ত ক্রোধে বলছে, “সরে যা পাজি লতার দল!” লতা জোড়ে আকড়ে থাকার দম্ভ ছেড়ে বলছে, “যাবো কোথায়? তোমাকে ধরে বাঁচতে হয় বলেই তো তোমাকে ধরে থাকি।”
এই দোটানা যখন পরিস্থিতি, আর সামনে এগিয়ে আসছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তখন হঠাৎ আগমন আমার প্রিয়তমর। কি যে এক প্রশান্তির আক্রমন নেমে এলো এই অন্তর দর্গায়। মনে হচ্ছিলো অনেক দিনের কোনো সুন্দর ইচ্ছের পরিত্যাক্ত দর্গায় আজ বুঝি বাতি জ্বলে উঠলো। জ্বললো বাতি। দিন যায়- রাত যায়। স্বপ্ন আসে। কথা আসে। তখনও বাধ সাধে আমার সাধ্য। আমি সেই সাধ্যকে কখনও জোড় করে দুঃসাধ্য করতে যাই নি। তাইতো মন মরা হয়ে চিরকান্নার নিয়তির ভারে নিজেকে আড়ালে আবডালে রাখতে চাইলাম। চলছিলামও ঐ পথেই। বিরহের গান শুনতে চাইতাম না। কোথাও গান ভেষে উঠলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পালিয়ে বেড়াতাম। তখন ঐ নির্মম প্রেমহারা ভঙ্গিমায় থাকার ক্ষনেও মন আত্মহারা হয়ে প্রিয়া প্রিয়া করে উঠতো। এ যেনো আমার মধ্যের চিরন্তন মজনুর ডাক! যেনো লাইলি আসবেই। মজনুর সান্তনা না হয় মানলাম। কিন্তু মনের প্রেম? কি করবো প্রিয় কাছে না পাওয়ার প্রেম দিয়ে?
আবারও সেই গাছের লতারা ধরে বসলো, বলে উঠলো, “দাদা, আপনি কিন্তু আমাদের মুক্তি দিতে পারেন। আপনার সেই ক্ষমতা আছে। আপনি আমাদের সব। আপনি আমাদের ত্রানকর্তা।” তাইতো, আমিও সেই উপলব্ধিকে বুঝে ফেললাম। বললাম এই জীবনে আমি কিছুই জলাঞ্জলী দেই না। আমি তোদের মুক্তিদাতা না বরং আমি তোদের মুক্তির জন্য তোদেরই মুক্তিদাতা বানিয়ে দেবো। হয়ে উঠলো সে যাত্রা। প্রিয় আছেন প্রেম ভরা বুকে, মুক্তিদাতাদের ধরে নিয়ে আসাও আছে, নিজের সব ইচ্ছে গুলো তো স্বার্থক হয়েই যাচ্ছে, সেই সাথে যোগ হলো স্বপ্নের পর স্বপ্ন। আমি কিন্তু ততোক্ষনে আমার সকল উপলব্ধি দিয়ে বুঝে গিয়াছি, “অন্যরা স্বপ্ন দেখে অবিশ্বাসির মতো আর আমি স্বপ্ন দেখি সার্থক করে নিজে দেখে বুঝে নিয়ে অন্যকেও বুঝিয়ে দেবার জন্য”।
বন্ধু! কি বলছি! কি লিখছি! আজ এমন কেনো হচ্ছে? এতো কর্তব্যবোধ আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে কেনো? ইচ্ছে করছে শত-হাজার-লক্ষ মানুষের সামনে ঘার উচু করে বক্তৃতা দেই। বলে উঠি ওদের সব ইচ্ছে আমি পুরন করবো। আমার চোখ দিয়ে ওদের স্বপ্ন রচে দেবো। কিন্তু হায় হায়। বাস্তবতার কাছে আমি যে কোনোদিন হার মানি নি। আমি শুধু পচা, বাজে, বাসি, মন্দ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছি বা ও খারাপকে দূরে ঠেলে দিতে চেয়েছি। এই একটু সাধারন অভ্যেসের কারণে আমাকে এক অদ্ভুত জীবের মতো কারও কারও মনে হতে পারে। তাতে কিছু আসে যায় না। ঐ অদ্ভুত জীব ভেবে নেয়া ব্যাক্তিত্বদেরও যে আমার মতো হতেই হবে। আজ না হয় কাল। এটাই নিয়ম।
অনেক মানুষ থাকে যাদের মনে হয় ভবিষ্যত থেকে অতীতে গিয়ে ঘুরে টুরে এসে বর্তমানে কথাবার্তা ও কাজকর্ম করছে। আমি তাদেরই একজন। এটা আমার ভাবনা না এটা সত্য কথা। আমার হাতে এতো সময় যে, এই ক্ষুদ্র সময়কে সময়ই মনে হচ্ছে না। তারপরও এতো তাড়াহুরো করি কেনো জানেন? ঐ সব মানুষদের জন্য, যাদের দেখলে মনে হয় ওরা শাহজাহানের তাজমহল তৈরির বাইশ হাজার শ্রমিকের বিশ বছরের মধ্যে ছিলো। নিজেরা শুধু অন্যের তাজমহল রচে দিয়ে শ্রমিক হয়েই রইলো। ঐ সময়ও যেমন ছিলো আজও একই রকম আছে। না আছে নিজের প্রেমকে প্রতিজ্ঞা করার শক্তি। না আছে নিজের গুনকে নিজের করে রাখার শক্তি। শুধু শুধু রাজা বাদশাদের বিলাস বাসনার থালার মাছি হয়ে জীবনকে স্বার্থক করে তোলে।
এই বর্তমান বিশ্বের প্রয়োজন ছিলো বলেই আমি নিজের দ্বায়িত্ব নিজে কাঁধে করে নিয়েছি। আজ মানুষ না বুঝুক তাতে কি! যখন সময় আসবে তখন সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। এখনও বিজ্ঞান তার আপন বেগে ছুটে চলতে পারছে না। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকার কথা সেখানে নেই। পিছিয়ে আছে অনেক বেশী। আমি তা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারছি। এর কারন বৈজ্ঞানিক সমাজের সাথে বিশ্বরাজনীতির নিবিড় যোগাযোগ। এভাবে চললে কোনোটারই ভালো অগ্রগতি হয় না। এভাবে চললে শুধু অহংকার সৃষ্টি হয়ে বিজ্ঞান আর সমাজ দুই জায়গায়ই আগুন ধরে যায়। এই অমিল দুর করবার জন্যই আমার আগমন। আমি এই মানব জাতির কতো আপোন আর সেই সাথে কতো দরকারি তা কবে ওরা বুঝবে আমি বলতে পারছি না। সবকিছু দেখছি ও দেখিয়ে যাচ্ছি। আমার দেখানো গুলো কি ওরা দেখতে পাচ্ছে? এ বিষয় আমার সন্দেহ আছে। তাইতো মুখ ফুটে বলি না। সবকিছু মুখফুটে বলতে হয় না। বলা উচিত না কিংবা বলার মতো না কিংবা ঐ ভাষা সবার জন্য না।
আমার মনের মাঝের সেই পরম সত্য আমার কাছেই থাকুক। এই সত্যটান যেদিন ওদের আসবে, সেদিন ওরা আমাকে দেখতে পাবে। আজ যেমন করে দেখছে তেমন করে নয়। এখানেই মানুষের দেখার ভঙ্গিমা। আজ দেখুন! একটু সাধারন পরিবেশ পাবার জন্য মনটা ছটফট করে চলে। দিনে লিখতে বসি না, “কখন কে না জানি আবার বকা দিয়ে ওঠে! আবার না হয় বাসা থেকে বেড় করে দেয়! আবার না হয় মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়িয়ে বসে!”। এখানেই আমার নিজের যন্ত্রনা। আমি তো বুঝি একটি সামান্য আইডিয়াও সারা বিশ্বকে নতুন মোর দিতে পারে। একটু সামান্য প্রেরনা মানুষকে পুরো বিশ্বের সম্পদ করে দিতে পারে। আমাদের এই খানে থেকে প্রেরনা দিতেও মানা। শুধু দূর্ণীতির সাথে হাত মিলাও আর এগিয়ে চলো টাকা কামাবার সাথে। তারপর সারাজীবন শুধু কাগজের কারবার করে সুখ কেনো? প্রেম চলে গেলে যাক।
আমি তো বুঝি বন্ধু! এমন দিন একদিন থাকবে না। এরকম প্রেমহিন দিন কখনও স্থায়ী হয় না। এরকম অকাজের কাজের পাহাড় তো আর হিমালয়ের মতো সত্যিকারের পাহাড় নয় যে, একবার জয় করলেও পরিচয় দেয়া যায়। এই মিথ্যের পাহাড় একদিন মানব ইতিহাসের পুরাতন হাস্যকর কিন্তু করুন পূর্বপুরুষের ইতিহাস হিসেবেই থেকে যাবে। আর এই ইতিহাসকে আমারই পরিবর্তন করতে হয়। এর আগেও এমন যতবার হয়েছে ততোবারই আমাকেই করতে হয়েছে। আজ না বুঝুক তাতে কোনো অসুবিধা নাই যখন সেই ভবিষ্যত সুন্দর চলমান হবে তখন আমার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আর কোনো ছেলেখেলা থাকবে না। তখন আমি কোনো মহাবীর হবো এমন না বরং আমি যা ছিলাম তাই হয়েই থেকে যাবো। কর্ম এমনই – দায়িত্ব এমনই। আমাকে করতে হয় বলে আমি করি। আমাকে দেখাতে হয় বলে আমি দেখাই। আমাকে বলতে হয় বলে আমি বলি। সেই বলা যে সবার বুঝতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সেই জানা যে সবার এক্ষুনি জানতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সেই দেখা যে সবাই আজই দেখতে পারবে এমন কোনো কথা নেই। আমার এই কথায় কোনো অহংকার নাই কারণ সত্য সত্যই। সত্য যখন আসে অহংকার তখন থাকতে পারে না। এর বড় কারণ মানুষ অহংকার দ্বারা সত্যকে চিরকাল আটকাতে চায়। সত্যকে এমন ভাবে অহংকারের প্রলেপ দ্বারা প্রলিপত করে স্তরের পর স্তর সাজায়, আর বলে, এই দিলাম মেখে, দেখবি এমন শক্ত প্রলেপ আর কোনো দিন কেও বেড় করতে পারবে না। যখন সত্যের বাঁধ ভেঙে যায় বা নিজের কাজ নিজেকে করে দেখাতে হয় তখন এক ঝটায় অনেক দিনের মিথ্যে পরিশ্রমের গড়া অহংকার খসে পড়ে যায়। আর আকাশে চরে বেড়ায় নতুন সূর্য। আমি সিস্টেমের মধ্যে থেকেই সিস্টেম হয়ে সবার সাথে এক-আধটু পরিচয় পর্ব সেরে নেই আর বলি কখনও আমাকে ভুলে যেও না। আমি তোমারি থাকবো যদি আমায় তুমি তোমার কাছে রেখে দাও। সবাই তোমাকে ছেড়ে যাবে কিন্তু আমি তোমাকে আমার কাছে রেখে দেবো। তুমি আছো বলেই আমাকে থাকতে হয়। আমাকে আমার জন্য প্রয়োজন আর অপ্রয়োজন একই ব্যাপার কারন এই প্রয়োজন আর অপ্রয়োজন আমার কোন কিছু্ই না কিন্তু তোমার কাছে প্রয়োজন থাকে বলেই আমাকে প্রয়োজনের বাহানা দিয়ে হলেও তোমাকে দেখাতে হয় যে, আমি কখনও তোমাদের ভুলে যাই না। আর কখনও যাবোও না। তোমরা শাস্তি দিতে শিখেছো বলে আমাকে তোমাদের শাস্তি দিয়ে বরন করছো। তোমাদের অহংকার আছে বলেই আমাকে অহংকার দিয়ে মেপে দেখছো। তোমাদের বিজ্ঞান নিয়ে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে বলেই আমাকে বিজ্ঞান দিয়ে জাস্টিফাই করছো। তাতে তো তোমাদের বিন্দু পরিমান দোষ নাই। আর আমি আছি বলেই তোমাদের সবকিছু তোমাদের মতোই করে পেতে পারো। এতে আমার গর্ব নেই এতে আমার নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। বরং এখানেই আমি অনেক দূরে না থেকেই তোমার কাছে থাকি। তুমি আমার না হও, আমি তোমার থাকবো চিরকাল। যেমন করে ছিলাম, আজও আছি আবারও তোমার সব প্রয়জনে আমি থাকবো।
১৮/৪/২০১৪
©somewhere in net ltd.