নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটবেলার একটি স্মৃতি

১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

আমার খালাতো ভাইয়ের নাম সোহাইব হোসেন খান। আমার থেকে নয় বছরেরও বেশী ছোট। বর্তমানে প্রাইভেট একটি মেডিকেল কলেজে এম.বি.বি.এস. পড়ছে। আমার বয়স তখন ১১-১২ বছর হবে। ঝালকাঠীতে নানা বাড়ীতে আমরা থাকতাম। একই টিনের চৌচালা ঘরের একটি ছোট্ট রূমে আমাদের পরিবার আর অন্য একটি রুমে খালার পরিবার থাকতেন। খালু বিদেশে থাকতেন। আমার নানীর বাপের বাড়ী ঐ বাড়ী থেকে কাছাকাছি। কাছাকাছি বলতে যে একদম বাড়ী ঘেসে বাড়ী এমন না। নানীর সাথে জন্ম থেকেই যেতে যেতে ঐ বাড়ী খুব আপন মনে হতো। তাইতো একদিন নানী বা অন্যকেউ আমাকে কোনো একটি কাজে নানীর বাপের বাড়ী পাঠিয়েছিলো হয়তো। কি কাজে গিয়েছিলাম তা পুরোপুরি মনে করতে পারছি না। তবে আমার সাথে আমার খালাতো ভাই সোহাইব হোসেন খান কে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর বয়স তখন ২-৩ বছর হবে হয়তো। খুব দুরন্ত চঞ্চল ছিলো। ঐ বাড়ী থেকে ফেরার পথে অর্থাৎ নানীর বাপের বাড়ীর পথে উচু একটি কালভার্ট আছে। তার সামনের ঢাল বেয়ে নামার পথে খালাত ভাই সোহাইব হোসেন খানের হাতের টেনিস বলটি হাত থেকে পড়ে যায়। ও দোড়াতে লাগলো। বল গিয়ে পড়লো বড় খালের শাখা খাল মাঝারি সাইজের খালের মধ্য। ঢালের পাকা রাস্তায় দৌড়াতে গিয়ে ও খাল পারে কি করে নেমে গেলো আর চোখের নিমিষেই হাত পা পিছলে পড়ে গেলো খালের ভিতর। (ঐ খালের অপজিটে একটি কালি খোলা, কোনো মন্দির না, তবে প্রতিবছর কালিপুজো হতো, কালিখোলা এলাকাটা সবসময় খুব বেশি নিস্তব্ধ থাকতো,) এক নিমিষে ঘটে গেলো। খালে পড়ে যাবার সাথে সাথেই ওর কোনো চিতকার নাই। কিন্তু হাত দিয়ে পানি থাবড়ে বেড়াচ্ছে। খালেও জোয়ার। আমি কিছু ভেবে ওঠার আগেই এক ডিসিসন আমাকে নিতে হলো। এবং ডিসিসন মেকিং এতো তাড়াতাড়ি ঘটে গেছে যে, কখন আমি এমন ডিসিসন নেবার সময় পাই তা আজও বুঝে উঠতে পারি না। দৌড়ে নেমে পড়লাম খালে। খালাতো ভাই সোহাইব হোসেন খানকে শরীরের সকল শক্তি দিয়ে ধরে রাখলাম। ছোট খাল। তারপরও ঐ সামান্য বয়সে একটি মানুষের আর কতটুকুই বা বল থাকে আর আমার শারিরিক গঠনে এমনিতেই বয়সের থেকে কমবয়সী লাগতো। পাড়ে এসে যেই ভাইকে নিয়ে উঠতে চাইলাম, হিতে বিরপরীত হয়ে গেলো হাত যত শক্ত করে আগলে রাখতে চাই আর পিচ্ছিল কাঁদায় হাত পিছলে পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। তারপরও খালাতো ভাই সোহাইব হোসেন খানকে আগলে ধরে আছি। কয়েক বার এমন হবার পর পাড়ে উঠে যাই। মজার ব্যাপার হলো আমি যখন পিচ্ছিল কাঁদায় হাত ফসকে নাকানি-চুবানি খাচ্ছি তখন এক রিকশাওয়ালা ঐ পথে যাচ্ছিলেন। রিকশা থামালেন। একবারও আমাকে সাহায্য করার প্রয়োজন বোধ করলেন না। হয়তো বেচারা অবাক হয়ে এই নিষ্ঠুর সুন্দর দৃশ্য অবলোকন করতে ছিলেন। আমিও কোনো সাহায্য না চেয়ে, নিজের চেষ্টায়ই সফল হয়ে গেলাম। পাড়ে ওঠার পরে খালাতো ভাই নিশ্চুপ। আমি সোহাইব হোসেন খানের পেটে দু’হাত দিয়ে কয়েকটি চাপ দিলাম। মুখে পানি চলে এলো। রিকশাওয়ালা এই পুরো দৃশ্য দেখার প্রয়োজনবোধ না করেই পা প্যাডেলে একতা করে পথের চালানে চলে গেলেন। কোলে তুলে বুকের কাছে চেপে রাখলাম খালাতো ভাই সোহাইব হোসেন খানকে। এর মধ্যে ও কান্না শুরু করে দিলো। বাড়ি নিয়ে এলাম। খালা মনে করলেন আমার সাথে বুঝি কিছু হয়েছে তাই কান্না করছে। ছুটে এলেন কাছে। বড় চোখ বড় চোখ আমার দিকে তাক করা। আমি পুরো ঘটনা হয়তো এভাবে বর্ননা করেছিলাম, “আসার সময় কালিখোলার সামনের খালে পড়ে গিয়েছিলো, আর আমি ওকে তুলে এনেছি।”। তারপর আমার মা খালাতো ভাই সম্পর্কে মন্তব্য করলেন, ও কালিখোলায় ভয় পেয়েছে, এই ভয় কাটাতে হলে ঐ খালের পানিতে ওকে কয়েকদিন নিয়ে গিয়ে গায়ে পানি ঢেলে দিতে হবে। এমনটিই হয়তো করেছিলো। আজ এতো বছর বাদে আমার কাছে আমার প্রশ্ন, আমি আর দশটি বাচ্চাদের মতো ঐ বিপদঘন মূহুর্তে একবারের জন্যও একটি চিৎকার দেবার প্রয়োজন বোধ করলাম না কেনো? আর যখন রিকশাওয়ালা এতো কাছে, আর আমিও বারবার কাঁদামাটিতে হাত পিছলে পানিতে পড়ে যাচ্ছিলাম তখন কেনো ঐ লোকটির কাছে সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন বোধ করলাম না কিংবা আত্মচিৎকার করলাম না?



এর নাম কনফিডেন্স। আমার খুব ছোট বেলা থেকেই ওই একটি নিরব কনফিডেন্স আমার সম্বল। এতটুকু জীবনে এতো পথ পাড়ি দিলাম, এত কিছু দেখলাম, বুঝলাম, শুনলাম তারপরও ঐ চেরাগ বাঁতির মতো কনফিডেন্সটুকু সবসময় কাছে থেকে যায়। আর এই কনফিডেন্সটির জোড় শুধু আমি নিজেই উপলব্ধি করতে পারি। আমার অনেক কাছে, একই ঘরে, একই পাড়ায়, একই সোসাইটি কিংবা অনেক কাছের কোনো কোনো বন্ধুও যখন আমার সাথে থাকতো- তাদের কেউ আমার এই নিরব চেরাগ বাঁতিকে দেখতে পেয়েছে বলে আমার মনে হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি অন্যকে কখনও কাবু করতে চাই নি, আঘাত দিতে চাই নি, জুলুম করার তো প্রশ্নই আসে না বরং যখন কাউকে কোনো ভাবে উপকার করার প্রয়োজন বোধ করেছি। করে গেছি। বুঝতে দেইনি। বুঝতে দেইনি বলতে আমি মুখ ফুটে বলি নি। তখনও যেমন আশা ছিলো আমি না বললেও ওরা একদিন না একদিন বুঝে যাবে আর আজও সেই আশা আমার আছে। কিছু কিছু ব্যাপার থাকে যা মানুষকে বুঝিয়ে বলতে নেই শুধু বুঝে নিতে জানতে হয়। যখন নিজে থেকে বুঝতে পারে তখন সে নিজের চেঁরাগবাতি নিজেই উপলব্ধি করতে পারে। আর এই ক্ষমতাটি এমন এক ক্ষমতা যার মধ্যে থাকে, সে কখনও নিজ থেকে অন্যকে উপকার করেও বলবে না যে উপকার করেছি। এই ভাবের নিশ্চয়তা আর এই ক্ষমতা একই সুতোয় গাঁথা।



আমি জানি না আপনি আমায় কি ভাবছেন? তারপরও আপনাকেই আমি অনুরোধ করবো, জীবনের প্রতিটা সময়, প্রতিটা পরিস্থিতিতে -:তা সে পরিস্থিতি আপনার অনুকুল আর প্রতিকুল যাই বলে আপনি মনে করেন না কেনো:- কখনও নিজের উপর কনফিডেন্স হারাবেন না। আর এই কনফিডেন্সকে আপনি হারাতে না চাইলেও হারিয়ে যাবে যদি না আপনার মধ্যে তাওহিদের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস না থাকে।



আমি ছোট বেলা থেকেই কালি, শিতলা, মনসা, লক্ষ্মী, কার্তিক, দুর্গা, শনি, গনেশ সহ যে সব দেবদেবীর মূরতী অথবা কোনো স্যালুনে বা কোনো হিন্দুর ঘরে দেখতাম, আর কোনো দেবদেবীকেই আমার পর পর বলে মনে হতো না। কিন্তু আমি সবসময় উপলব্ধি করতাম আমার আল্লাহ্ আমাকে রক্ষা করতে জানেন। তা যে কোনো ভয়াভহ পরিস্থিতি আসুক না কেনো? এই আমার কনফিডেন্স। এজন্যই জীবনের অনেক বাঁকে আমি কিছুদিন কিছুদিন ইচ্ছে করে নিরব থেকে যেতাম। কখনও ২দিন, কখনও ৫দিন। কেনো নিরব থাকি আমি তার ব্যাখ্যা কোনোদিন কাউকে দিতে চাই না। তারপরও আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমার না বলা কথার ব্যাখ্যাও একদিন এই মানব সমাজের মধ্য থেকেই অনেকে নিজ নিজ অবস্থান ও অভিজ্ঞতা থেকে করে নিবে। এবং যারা করবে তারা নিজের কনফিডেন্স নিয়েই করবে।



মানব জীবনের পথে পথে যদি আপনি ভেবে বসেন বা নিজেই নিজের সাথে পন করেন যে, আপনাকে কনফিডেন্স অর্জন করতে হবে। তাতে আপনার তেমন বড় লাভ হবার সম্ভাবনা নাই। যখন আপনি একদম নিজের মনেপ্রাণে উপলব্ধি পূর্বক তাওহিদে বিশ্বাসী হয়ে তাওহিদের কনফিডেন্সকে বুঝতে পারবেন বা উপলব্ধি করতে পারবেন তখন সেই কনফিডেন্স হবে নিরবিচ্ছিন্ন। আপনি ইচ্ছে করলেও সেই কনফিডেন্স কে দুর করতে পারবেন না কারণ ঐ কনফিডেন্সটুকুই আপনার সত্যিকারের অস্তিত্ব যার মধ্যেই আপনার প্রেম আপনার সব আশা-আকাঙ্খা গেঁথে থাকে।



বন্ধু! আমার এই মানব জীবন, আমার সব স্বপ্ন শুধু আপনার জন্য। শুধু আপনি ও আপনার মতো এই ছোট্ট পৃথিবী গ্রহবাসীর মঙ্গল ও কল্যান করাই আমার ব্রত হিসেবে আমি নিয়ে নিয়েছি। আমার নিজ ভাষা, নিজ সাংস্কৃতি ও নিজ বিচারবুদ্ধির মধ্য থেকেও যে আমি এই বিশ্বের সবার প্রতি ন্যায়-নেয্য ও সত্য সাম্যের আচরণ করার পুরোপুরি যোগ্যতা রাখি – এটা আমার পূর্ণ কনফিডেন্স। একবার ভাবুন তো, যে ছেলেটি কখনও তার নিজের কনফিডেন্স থেকে নিজেকে আলাদা হতে দেয়নি বা আলাদা হবার মতো কোনো প্রয়োজন বোধ করে নি বা আলাদা হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না- সেই ছেলে কিভাবে অসম্ভবকে তার পায়ের কাছে নিয়ে ইচ্ছে মতো খেলা করার অযোগ্য হয়?



এই বিশ্বাস আজ আপনার মনেও রাখতে হবে। সবাই চায় তার সন্তান বা বংশধর নিজের মতো হোক। আমিও চাই আপনার বংশধর আপনার মতোই হোক আর তার মধ্যে যদি আসিফ এর মতো একটি কনফিডেন্স সাথে থাকে তাহলে আপনার সন্তান কখনও তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবে না। শুধু এই সামান্য কর্তব্য বোধটুকুর জন্যই আমার এই অনন্ত অভিযান। আমি আপনার কোনো কৃত্রিত্বে ভাগ বসাতে চাই না। শুধু আপনার মঙ্গল চাই।



আপনারা হয়তো দেখেন মেঘে মেঘে ঘর্ষনে তিব্র আলোক ঝটার বিজলী-জড়ি হয়। একবার যদি ঐ ঘর্ষনের স্থানটির কষ্টকে উপলব্ধি করতে বুঝতেন- তাহলে ঐ যন্ত্রনাকে নিজের মধ্যে পুষে রাখতে চাইতেন কিনা জানি না! তবে এটুকু বুঝে নিবেন, যত কষ্টই হোক না কেনো ঐ আলোকউৎপত্তিস্থলের তারপরও আলো দেবার সাধ ঐ যন্ত্রনাকে ভুলিয়ে দেয়। আমি চাই ঐ তিব্র কষ্ট না বুঝেও আপনি যাতে আলো পান আর সে ব্যবস্থা যেনো আমি করে দিতে পারি। আপনি যদি আলো পাবার যোগ্য না হন তখন আমার কি করার থাকে বলুন? আমি তো চাই আলো দিতে? আমি তো চাই আমার নিজের যত যন্ত্রনাই আসুক না কেনো, আপনারা অর্থাৎ এই পৃথিবীবাসী প্রতিটি মানুষ ভালো থাকুন আর চির সুখে-শান্তিতে থাকুন। তারপরও আপনি সেই প্রকৃত শান্তি পাবার যোগ্য কিনা সেই বিচার আমার হাতে না, সেই বিচার আপনার নিজের হাতে- কারণ তাওহিদের স্রষ্ট্রা আপনাকে খুব সহযে তার পথ চিনিয়ে দেবার ব্যবস্থা করে দিয়ে দেন। তাওহিদের স্রষ্ট্রা কখনও তার ডিসিসন পরিবর্তন করে না।



মানুষ তার ডিসিসন পরিবর্তন করতে পারে। মানুষের এই ডিসিসন পরিবর্তন করার ক্ষমতা যে কতো বেশি এ্যাডভান্টেজ তা অনেক মূর্খ্য স্বীকার করে না বলেই ধুকে ধুকে কষ্ট পায়। একজন মানুষ কখনও নিজেকে আপোষহীন ভাবা –মারাত্মক মানুষিক সমস্যা ছাড়া কিছু না। মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য আপোষ করতে হয়। আপোষ করতে পারা মানুষের দুর্বলতা না বরং বিশাল বড় ক্ষমতা। তাই অনেক বেশি বাজে বকে যাওয়া মানুষও মূহুর্তের মধ্যে নিজেকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে নিতে পারে।



মনে রাখবেন, একজন মানুষ তখনই প্রকৃত ভাবে সঠিক রাস্তায় পদার্পণ করেন, যখন সেই মানুষ আর কোনো দিনও সঠিক রাস্তা থেকে সরে আসতে পারেন না। এখানেই মানুষের সর্বোত্তম স্বাধীনতা। মানুষ তখন পুরোপুরি তাওহিদের রবের জিম্মায় নিজেকে সপে দিয়ে পরম আত্মতৃপ্তি ও চিরস্থায়ী নিরাপত্তা বুঝতে পারে।



আমি বিনীত ভাবে আপনাকে বলতে চাই, দয়া করে পৃথিবীর কোন ধর্ম বা কোনো মহামানবদের কখনও বাঁকা নয়নে দেখবেন না। এমনকি অজানা মানুষকেও না। একজন খোদার পেয়ারা ব্যাক্তির অপমানের খেসারত যে কতো মারাত্মক ভাবে আপনাকে দিতে হতে পারে তা সম্পর্কে আপনি অবগত নাও হতে পারেন। তাই এটা আমার উপদেশ এবং আমি জানি একজন প্রকৃত তাওহিদের পথের পথিককে অপমানের খেসারত অনেক বেশী ভয়াভয় হয়ে ওঠে। এটাকে যদি আপনারা প্রকৃতির নিয়ম বলেন তাতেও কোনো অসুবিধা নাই আবার মহামানবদের প্রতি ঈশ্বরের আশির্বাদ বলেন তাতেও কোনো অসুবিধা নাই কিন্তু যদি না মানেন তাহলে আপনারই অসুবিধা। দয়া করে সব বাচ্চাদের এটুকু অন্তত বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন যে, নিজ ধর্ম হোক আর ভিন্ন ধর্ম হোক, কোনো ভাবেই যেনো কোনো মহামানবকে অসম্মান না করে।



জোড় করে বাধ্য হয়ে যে সম্মান দেয়া লাগবে এমন কোনো কথা নেই কিন্তু কোনো ভাবেই যেনো অসম্মান করা না হয়। এই অপরাধের সাঁজা অনেক বেশী মারাত্বক।



২১-০৪-২০১৪

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

পংবাড়ী বলেছেন: বকবক

১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: বকবক থেকে বাকবাকুম এরপর বাকবাকুম পায়রা, মাথায় দিয়ে টায়রা.........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.