নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশী নিউজপেপার (রিপোটিং, কলাম ইত্যাদি)

১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪০

আগে বলে নেয়া ভালো কোন ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সাংবাদিকতার সাথে জড়িত কোনো মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমি এই বিষয়ে আলোচনা করছি না, যদি কারও কাছে খারাপ লাগে দয়াপূর্বক নিজগুনে ক্ষমা করে দিবেন।



আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলো এখনও তার আপন গতিবেগ ফিরে পাচ্ছে না দেখে আমি হতাশ। তাই কিছু গাইডলাইন ও সংশ্লিষ্ট সামান্য কিছু আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছি।



মূল আলোচনায় যাবার আগে আমি এই সময়ের কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিব্র ধিক্কার জানাই কিছু ইন্টর্নী ডাক্তারদের বাজে ও আক্রমানত্মক আচরনকে। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত তার নিজ সীমার মধ্য থেকেই স্বাধিনতা প্রকাশ করা। কোনো ইন্টার্নী ডাক্তার, ডাক্তার, সাংবাদিক বা অন্য যে কোনো পেশাজিবি কেনো; কোনো মানুষই আমার পর না বরং আমি মানুষকে অনেক বেশি আপন মনে করি। কিন্তু মানুষের বাজে কর্ম ও ব্যাক্তিত্বের বাজে প্রকাশকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে ভালোর দিকে আমন্ত্রন জানানো সব মানুষের মানবিক দ্বায়িত্বের মধ্য পড়ে। সাংবাদিকদের উপর হাত তোলা হচ্ছে এ কথা অনেক বেশি লজ্জাজনক তারথেকেও বেশি লজ্জ্বাজনক হলো ডাক্তার প্রফেশনের মানুষ কেনো অন্য মানুষের উপর গায়ে হাত তুলবে? এ কেমন সীমালঙ্ঘন? একজন ডাক্তারকে রোগি, রোগির আত্নিয় স্বজনের মার খেতে হতে পারে, একজন ডাক্তারকে একজন রোগি ও রোগির আশেপাশের লোকজনের চোখের জলে নিজের ইউনিফর্ম ভিজে যেতে পারে- এমন মনমানুষিকতা থাকতে হবে। ডাক্তার এমন একটি কাজ যার সাথে মানুষের আবেগ-দুঃখ-কষ্ট-মৃত্য জড়িত। একজন স্বজন হারা মানুষ অনেক বেশী আবেগি হয়ে ডাক্তারের গায়ে আঘাত পর্যন্ত করতে পারে। ডাক্তার রাতে তার স্বামী/স্ত্রী পরিবারের সাথে আছেন- তখন রোগির প্রয়োজনের আবেগে ঘরের তালা ভেঙ্গে, দরজা ভেঙ্গে, ডাক্তারকে ধরে বেঁধে নিয়ে যেতে পারে। এটা স্বাভাবিক আবেগের বহিঃপ্রকাশ। এরকম ঘটনা থাকবেই। যার সাথে মৃত্যু, অঙ্গহানী বা মানুষের চরম পরিনতি জড়িত তার সাথে আবেগ থাকে। এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করার জো নাই। একজন ডাক্তার কে তার নিজ ব্যাক্তিত্ব বলে এই সমস্যার মোকাবেলা করতে জানতে হবে। তা না হলে তিনি কি করে মানব সেবার এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মটি করার যোগ্য হবেন? ডাক্তার যখন ভুলে যান যে তিনি ডাক্তার নামক সেবক আর সেই স্থানে নিজেকে রোবট বানিয়ে নেন বা রোবট হবার চেষ্টায় রত থাকেন সেই সময় এমন করুন অবস্থা চোখে পড়ে।



আজ কি করে ময়মনসিংহ হাসপাতালের বিশেষ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়, “দালাল ও সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ”। একজন সাংবাদিকের পাশে দালাল কথা যতখানী না শোভা পায় তারথেকে একজন ডাক্তারের পাশে দালাল কথাটি বেশি মানায়- অন্তত আমাদের কয়েক যুগের ধারাবাহিক অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে যা আজও বর্তমান। কোথায় বাংলাদেশের প্রেস মিডিয়া সহ অল মিডিয়ার ইউনিটি? আজ “দালাল ও সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ” কথাটি কারা লিখেছে? দালাল, সাংবাদিক, পুরোহিত, বেশ্যা সবাই রোগি হতে পারে। রোগি হবার পর তারা কার কাছে যাবে?



আমি খুব স্পষ্ট অক্ষরে বলে দিতে চাই, একজন সাংবাদিক একজন ডাক্তার কেনো আরো অনেক ভি.আই.পি, ভি.ভি.আই.পি. পারসন কে উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করতে পারে যদি তা অনেক বেশি সেনসিটিভ ইস্যু হয়। সাংবাদিকরা জনগনের প্রশ্নই করেন। জনগনের আবেগকে মূল্য দিতে না জানলে তিনি ভালো সাংবাদিক হবার যোগ্যতা হারান। যখন কারও মৃত্যু বা অনেক ঘোলাটে পরিস্থিতি আসে তখন সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনির পেশাজিবিদের উত্তেজিত হবার প্রয়োজন হতে পারে। এখানে সরাসরি তাদের জনগনের ইমোশনের সাথে মিশে যেতে হয়। এখানেই প্রফেশনালিজমের পরিচয়। যখন স্বজন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থেকে মৃত্যু বরন করে নেয়- আর সেই মরন যখন স্বজনের চোখের সামনে ঘটে যায়- তার বেদনা কতখানী হতে পারে তা মানুষমাত্রই উপলব্ধি করতে পারে। এখানে ডাক্তারদের পরিস্থিতি বুঝতে হবে। তা না করে একজন ডাক্তার যদি পুরোপুরি বিপরিত আচরন করে সন্ত্রাসীদের মতো হয়ে যায়- তখন তাকে অসভ্যতা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না।



পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই আইন করে ডাক্তারদের ধর্মঘট নামক আপদ কে চিরতরে দুরে ঠেলে দেয়া উচিত। ডাক্তার কখনও কোনো রোগীকে জিম্মি করতে পারে না। যদি কোনো ডাক্তার রোগিকে জিম্মি করে তাহলে সে ডাক্তার না। এই নীতিবোধ ও এই উপলব্ধিবোধ সৃষ্ট্রি না হওয়া পর্যন্ত কেই নিজেকে ডাক্তার বলে দাবি করার যোগ্যতা রাখেন না।



যাই হোক, মূল আলোচনায় ফিরি, একটি নিউজ মিডিয়ায় কি কি থাকে? কাদের নিয়ে নিয়মিত কাজবাজ? কোনো বিষয় প্রেজেন্ট করতে হয়? – এ সম্পর্কে মিডিয়া কর্মিরা ভালো জানেন ও বোঝেন। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্পর্কে আমি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতাম কিন্তু আমার বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি খুব সোচনিয় বলে কম সময়ে বলতে হচ্ছে- তাই এরিয়ে গিয়ে আপনাদের কাছে তুলে দিলাম। তারপরও আমার কোন কোন আলোচনায় বিশেষ কিছু উল্লেখ করা আছে।



পলিটিক্যাল নিউজ কভার করে প্রেজেন্ট করা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। আমাদের এই দেশগুলোতে একজন পলিটিক্যাল লিডার কে জনগনের কাছে যত বেশি হাস্যকর ও ব্যাক্তিত্বহীন করে তুলে ধরা হয়- তা সত্যিই দুঃখজনক। এ কাজ অনেক আগে থেকেই এই সব (তৃতিয় বিশ্ব, উন্নয়নশীল ও আরো কিছু বিশেষ অসত কারনে বিশেষ কিছু রাস্ট্রে) কান্ট্রির মিডিয়ায় ট্রাডিশন হিসেবে চালিয়ে আনা হয়েছে- যা পিছনে স্বজাতির যতখানী হাত ছিলো তার থেকে বিশেষ কিছু সম্প্রদায়ের অনেক বড় প্লানের ধারাবাহিক এক্সিকিউশন ছিলো। আমাদের এই বাজে ট্রাডিশন থেকে বেড় হয়ে আসতে হবে। সরকারি দল, বিরোধি দল বা বিশেষ কোনো দল নয়, তার থেকে- সব দলের এমন কিছু মানুষকে মিডিয়ার নিউজে দেশের মানুষের কাছে পুরোপুরি ক্লিন ইমেজে রাখতে হয়। একজন পলিটিক্যার পারসন ভুলের উদ্ধে নয়। কোনো পলিটিশিয়ান বেশি বেশি ভুল করে আবার কোনো পলিটিশিয়ান খুব সামান্য দু’একটি ভুল করে বসে। আমি বলতে চাচ্ছি যারা আসলেই যোগ্য বিশেষ করে ও তুলনামুলক কম ভুল করে, দূর্নিতি করে না, বাজে বকে না, নির্দিষ্ট চেতনা আদর্শকে লালন করে থাকতে জানেন তাদের কোনো ক্রমেই নিজ দেশের মিডিয়ায় নেগেটিভ করে দেখাতে হয় না। কোনো পরিস্থিতিতেই না। ক্ষমতায় আছে কি নাই তা দিয়েও জাস্টিফাই করতে হয় না। এরকম ক্লিন ইমেজের পলিটিশিয়ান থাকলে জনগনের মনের জোড় অনেক বেশী থাকে। তারা তাদের রাস্ট্র নিয়ে গর্ব বোধ করতে পারে।



পলিটিক্স এমন একটি ফিল্ড যেখানে একজন পলিটিশিয়ানকে একই দিনে বিভিন্ন টাইপের কাজ করতে হয় তারসাথে জনগণ সরাসরি সপৃক্ত আছে, এখানে ভুল হবার সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে। কারও কম কারও বেশি। আর মিডিয়া কর্মী ও পলিটিশিয়ানরা প্রতিদিনকার বন্ধু! মিডিয়ার আড়ালে রেখেও অনেক সাময়িক ভুলের সমাধান সম্ভব। এবং এই সমাধান অবশ্যই নৈতিক ভাবে সম্ভব। এখানে কোনো দলাদলির প্রশ্ন নাই এখানে প্রশ্ন হলো বন্ধুর জন্য বন্ধুত্বর আমানত রক্ষা করা। বন্ধুত্বর বড় আমানত হলো বন্ধুর ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে, বন্ধুর বিপদে এগিয়ে আসা।



আজ নিউজের দিকে তাকালে খুব সহজেই বোঝা যায়, যে রিপোর্টার রিপোর্ট করছেন তিনি তার নিজের ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে তো অবগত নয়ই তার সাথে যাকে নিয়ে রিপোর্ট করছেন তাকে জনগনের কাছে খারাপ ভাবে তুলে ধরছেন এবং যা শুধু চা দোকানে বসে কুরুচিপূর্ন আলোচনার জন্ম দিতে দিতে- দ্রুততার সাথে মন্দের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। মিডিয়ার এই অবস্থান ঠিক করতে হবে। একটি জাতি নিজেরা নিজেদের গর্বিত ভাবতে ভাবতে পুরো বিশ্বকে তাদের গর্বে গর্বিত করে তুলে- এ বিশ্বাস অন্তত পলিটিশিয়ান আর মিডিয়াশিয়ানদের বোঝা উচিত তাহলে মানুষকে নির্ভেজান জীবন স্বাদ দিতে কোনো ম্যাজিশিয়ানের আশায় বসে থাকতে হবে না। মিডিয়ার অনেক ব্যাপার দিনে দিনে পরিবর্তন করে নিতে হয়। অনেক সময় সৎ ইচ্ছা ও সৎ কর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কিছুটা সময় নিয়ে অগ্রজাত্রার পথে এগোতে হয় বিশেষ করে আজকের এই সময়। যারা মিডিয়া পলিটিক্স সম্পর্কে অবগত তারা আমার কথা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন।



আমাদের বুঝতে হবে, খারাপে খারাপে যদি সমকক্ষ করার চেষ্টা করা হয় তাহলে কোনো পক্ষই জয়ী হয় না বরং দু’পক্ষই হারে আর সাথে করে বয়ে বেড়ায় বৈরিতার অভিষাপ। আর ভালো ভালো দিয়ে যদি সমকক্ষ করার চেষ্টায় রত করা যায় তাহলে চিরদিনের জন্য সবাই ভালো হয়ে ইতিহাসে স্থায়ী আসন লাভ করে নেয়।



এবার কলামের প্রসংগে আসি, আমি বহুদিন ধরে দেখেছি যে, বর্তমান সময়ে, আমাদের কলামিস্টরা যে কলাম গুলো লেখে তা একদিনের পত্রিকার মতো করেই লেখেন যা মূলত একটি সাময়িক নিউজকেই ম্যাগনিফাইং গ্লাস লাগিয়ে দেখার চেষ্টা। এতে পাঠকের রেশ থাকে না। পাঠকের মধ্যে একদিনের রসালো আলোচনার ছেলের মোয়া আসে ঠিকই কিন্তু সুপ্ত চেতনাকে ঘা মারা হয় না। চেতনাকে নিয়মিত আঘাত করাই প্রকৃত কলামিস্টের কাজ। আবার কিছু কিছু কলাম পড়লে আপনার কলামিস্ট সম্বন্ধে এক ধরনের ঘৃনা জন্মাবে তাদের ঘটনা বিশ্লেষনের জ্ঞান গড়িমা দেখে। আর ইদানিং কিছু পলিটিশিয়ান কলামিস্ট সাজার ফলে অবস্থা হয়েছে আরো ভয়াভহ। পত্রিকার পৃষ্ঠা রাজনিতি করার জন্য না বরং রাজনিতি সহ সকল খবর মানুষের হাতে পৌঁছে দেয়াই পত্রিকার কাজ। যখন পত্রিকা দ্বারা রাজনিতি করা হয়, তখন এর ইফেক্ট শুধু পাঠকের উপরই না বরং এর ইফেক্টে পলিটিক্স এবং মিডিয়া দুটোই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একজন কলামিষ্টের প্রচুর জানাশোনা ও নিয়মিত জ্ঞান চর্চার সময় থাকতে হবে। কলামিস্ট প্রোফেশনটাই এমন। একজন কলামিস্ট লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে একসাথে কথা বলে অন্তরে ঠাই করে নিতে পারেন। এবার সেই ঠাঁই কি ঘৃনার সাথে হবে নাকি বিশ্বস্ততার সাথে হবে- তা কলামিস্টকেই বেড় করে নিতে হবে। অনেকে হয়তো বলবেন- এইসব ছাড়া তো আমার মিডিয়ায় স্থান হবে না। এ অজুহাত খোড়া। আপনারা সবাই যদি একটি একক পরিবার হয়ে উঠতে পারেন তাহলে কোনো বাধাই বাধা না। প্রেস মিডিয়ার ইয়োলো রিপোটিং কে আগে বিদায় জানান।



বিশ্ব মিডিয়ার দিকে তাকালে দেখবেন, আজ পৃথিবীর যে সব রাস্ট্র উন্নত তাদের এই উন্নতিতে মিডিয়ার বিশাল বড় একটি প্রভাব ছিলো। যাতে পলিটিশিয়ান আর মিডিয়া কর্মিদের মধ্যে দারুন একটি সততার বোঝাপড়ার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিলো। এর ফলে ঐ সব কালে এমন কিছু মিডিয়া জেনারেশন গড়ে উঠেছিলো তাদের কথা মানুষ চিরকাল স্মরন রাখবে। বাংলাদেশের মিডিয়ায় খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও এরকম একটি বসন্তের আবাস পাওয়া গিয়েছিলো। তবে তা এসেছিলো খুব সামান্য সময়ের জন্য। এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করার আছে। ধারাবাহিক ভাবে যুগ, কাল, ব্যাক্তিত্ব রত্নদের নাম ও দরকারি কাহিনি গুলো উপস্থাপন করা না হলে মজা পাবেন না। আজ সময় থাকলে বলতাম। যেদিন সুযোগ পাবো আপনাদের জানিয়ে দেবো।



আমি এই পরামর্শগুলো দিচ্ছি শুধু বাংলাদেশের ইর্ন্টারনাল মিডিয়াগুলোর জন্য। অনেক দেশের মিডিয়ায় দুই বা ততোধিক নীতি থাকে। তাই এই লেখাটি বিশ্বপরিসরের লেখা না। তবে আপনারা মনে রাখবেন দেশের মধ্যে দেশের মানুষদের কর্নধারদের পজেটিভ ইমেজ তৈরি করতে না পারলে – সেই জাতি উন্নতি হতে পারে না, কারণ তখন পজেটিভ কর্নধার আর পজেটিভ মিডিয়া দুটোরই অভাব হয়ে যায়।



আমাদের আর একটি বড় সমস্যা হলো সম্পাদকীয় তে আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ খুব কম আসে বা আসেই না। একটি দেশের মিডিয়াকে স্টান্ডার্ড রূপ দিতে গেলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষন খুব বেশি জরুরী। দেশের জনগনের এই ব্যাপারে আগ্রহি করে তুলতে হবে। একজন যোগ্য সম্পাদক শুধু মাত্র দেশের ইস্যু নিয়েই ভাববেন না তার কাছে আন্তর্জাতিক ইস্যু ও সমাধানের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। এখানেই একজন সম্পাদক, পত্রিকার পুরো টিম ও মিডিয়াকে শক্তিশালি করে তোলে। বাংলাদেশের মিডিয়া তাদের কোয়ালিটির কথাগুলো কেনো ভাবছে না? কিছু কর্পোরেট বিজ্ঞাপন, কোনো ব্যবসায়িক গ্রুপের নিজস্ব মালিকানায় চলা পত্রিকায় ঐ গ্রুপের বিজ্ঞাপন আর নিজস্ব স্বার্থ সম্পর্কিত কথাই যদি বড় করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়, তাহলে একজন ব্যবসায়ী আর একজন সাংবাদিক নামক মানুষের সরাসরি সেবকের পার্থক্য কোথায়?



আমি যা বুঝি তাতে আমাদের এই নির্মল সুন্দর বাংলাদেশের প্রতিটা মিডিয়াকর্মির একতা হওয়া ছাড়া উপায় নাই। যে ভাবেই হোক আমাদের এই একতা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।



আমি বিশ্ব মিডিয়ার একতার কথা শুধু স্বপ্ন আর আশাই করে যাচ্ছি না বরং বিশ্ব মিডিয়াকে এক হতেই হবে। এখানেই আমাদের পৃথিবীবাসির বড় একটি অগ্রযাত্রা নিহিত আছে। পৃথিবীর স্থায়ী শান্তি ধরে রাখতে এই কাজ করতেই হবে। না হলে এতো কষ্ট করে সবকিছুকে গুছিয়ে নেয়া আবার গুলিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে পারে। আপনারা নির্বিঘ্নে মানুষের কল্যানে ব্রতি হয়ে কাজ করতে থাকুন। আমরা আমাদের নিজেকে, সমাজকে, রাস্ট্রকে, পৃথিবীকে নিজেদের মতো রাঙিয়ে নিয়ে- মানুষের জয়গাঁথাকে স্থায়ী করার প্রক্রিয়ার নাবিকদের নাবিকের ভুমিকায় থাকবো। ইনশাআল্লাহ্



পরিশেষে বলতে চাই, আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের বর্তমান মিডিয়া জগতে প্রচুর সংখ্যক রূচিবান মানুষ আছে। যারা যাদের আপন রূচিবোধের জৈতি দ্বারা অনেক মানুষের রূচিকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। আর আমাদের এই বাঙালী পূর্বপুরুষরা ইংরেজ শাসনের মতো ভয়াভহ সময়ও যে সব পথ আমাদের সামনে তুলে দিয়ে গেছেন তা এক কথায় অবিস্বাশ্য। তাঁরা চিরস্মার্ট। এই মানুষদের দিকে আজ আমাদের তাকাতে হবে এবং বুঝতে হবে চেতনা কাকে বলে। এই পূর্ণস্বাধিনতা ভোগ করার সময়ও যদি আমরা আমাদের এভাবে নষ্ট করে দেই তাহলে এই অধ্যায় চিরকলঙ্কিত হয়ে থাকতে বাধ্য। আমি আপনাদের সবার সহযোগীতা কামনা করছি। নিজেদের অগ্রপথিক ও অগ্রদূতদের চিনে নিতে জানলে আর কোনো সমস্যা থাকার কথা না।

২৫-০৪-২০১৪

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.