নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেনশনশীল নয় চিন্তাশীল মানুষ দরকার

১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

একটি জাতি, দেশ ও পৃথিবীর দ্রুত অগ্রগতির জন্য চিন্তাশিল মানুষের যে কতো বেশি দরকার তা আজ বলাবাহুল্য। আমরা মানব জাতির অগ্রগতির অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধারাবাহিকতার পারফমেন্স একটু অনুধাবন করতে পারলেই চিন্তাশিল মানুষের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝে যাবো। যখন যে জাতি উন্নতির শিখরে নিজেদের নিয়ে গেছে- তার পথ্যে ও নেপথ্যে একদল চিন্তাশিল মানুষের দেখা মেলে। আজ গোটা পৃথিবিতে চিন্তাশিল মানুষের একটি শুন্যতা চোখে পরার মতো। যা বর্তমান সার্বিক সভ্যতার অগ্রযাত্রার এই চরম পন্থি মুহূর্তের অবস্থানের সাথে বেমানান মনে হচ্ছে। আপনার মতো আমারও প্রশ্ন, কেনো এমন হলো?



অনেক সময় পথের বাঁককে দুর থেকে পথের সমাপ্তির মতো মনে হয়। আমিও এমন করে ভাবতে চাই যে আমরা একটি নতুন পথের বাঁকে এসে বুঝতে পারছি আমরা যেখানে পথের সমাপ্তি মনে করেছিলাম- আসলে তা পথের বাঁক মাত্র। এই আমাদের টার্নি পয়েন্ট এন্ড টার্নি মোমেন্ট।



[ বন্ধু! আমি আসলে যে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি, তা খুব ব্যাপক পরিসরে করা উচিত। আমি নিজে থেকেই এই সম্পর্কে বেশ কিছু পুস্তক সমান বিস্তির্ন কথা বলে যাবার প্রয়োজন বোধ করছি। তারপরও আমার এই বর্তমান পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা আমার কৃটিসাইচ স্থানে পরিনত হয়ে উঠেছে। আমাকে পালিয়ে পালিয়ে লিখতে হচ্ছে। যদি এই চরম আপত্তিকর অবস্থা কেটে যায় তখন বিস্তারিত ভাবে এই বিষয়গুলো আপনাদের বলবো। তারপরও আমার এই সিমিত পরিসরে যেটুকু আলোচনা করা যায়- তা করছি। ]



বন্ধু! আজকের এই পৃথিবিতে চিন্তাশিল মানুষ প্রকৃতপক্ষে নিজ চিন্তাশিলতার সহজ প্রবাহকে বেগবান অবস্থায় ইনজয় ও ইউটিলাইজ করতে পারছে না। ওয়ার্ল্ড পটিটিক্স, ওয়ার্ল্ড মিডিয়া, সায়েন্স, এডুকেশন, রিলেশন, সিভিলাইজেশন, পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট, ইনভায়রনমেন্ট, সোসাল ওয়্যালফেয়ার, রিলেজন সহ প্রতিটা সেক্টরে এই শুন্যতা আমাদের আজ ভাবিয়ে তুলছে। আমরা আমাদের কন্ট্রিবিউট করার ক্ষমতাকে একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে থামিয়ে দিচ্ছি। একেতো চিন্তাশিল মানুষের আকাল তার উপর একজন চিন্তাশিল মস্তিস্কের অকালে থেমে যাওয়া বা পরিতিপ্তিবোধে আসল গতিপথ থেকে সরে আসা- আমাদের আগামীর স্বাভাবিক সুন্দর অগ্রযাত্রার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে আজ আমার কাছে মনে হচ্ছে।



আমি আপনাদের সবসময়ই বলতে চাই যে, সব সমস্যারই সহজ সমাধান থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একইসংগে একটি বিকট, পাহাড়সম, কুম্ভকার, বৃহৎ, জটিল সমস্যার একাধিক সহয সমাধান থাকে। কিন্তু সমস্যা হলো এই সহজ সমাধানকে আইডেন্টিফাই করে দেবার মতো চিন্তাশিল মানুষদের। অনেক জটিল সমস্যাকে বাস্তবিক অর্থেই একক ভাবে একক ব্যাক্তি তখনই খুব সহয ও সবার উপযোগি গ্রহনযোগ্য করতে পারে, যখন তিনি ইতিহাসের খুব বেশি স্পেশাল ক্যারেকটার হন। কিন্তু এই স্পেশাল ক্যারেকটার মানব সভ্যতায় সব সময় নিয়মিত বিরতিতে আসেন বা আসবেন এমন কোনো নজির নাই। তথাপিও একজন স্পেশাল ক্যারেক্টার একটি সুন্দর গাইড লাইন দিয়ে যান এবং তার জীবনিকালে যতটুকু সম্ভব তা তিনি করে দেখান। কিন্তু এই স্পেশাল ক্যারেকটার মানুষগুলোও টিম ওয়ার্কের সিস্টেম তৈরি করে দেন মাত্র। স্পেশাল ক্যারেক্টারের কথা আলোচনা করার কারণ হলো, “ইতিহাসের একজন স্পেশাল ক্যারেক্টার পুরো একটি অস্বাভাবিক চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতিকে নিজের যোগ্যতা বলে পরিবর্তন করে একটি গোত্র/জাতি/দেশ/অঞ্চলের মধ্যে বড় একটি পজেটিভ প্লাটফরম গড়ে দিতে পারে। এবং যার কার্যপ্রক্রিয়া ও ক্ষমতা মানুষকে অনন্তকাল প্রেরনা দিয়ে যায়”। যেহেতু এই মহাআবির্ভাবগুলো অনেক বেশি বিরল তাই এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোকপাত অন্য কোনো একসময় করে নেয়া যাবে।



এখন স্বাভাবিক ভাবে আমরা বুঝতে পারি যে, একটি প্রকৃত চিন্তাশিল মানব গোষ্টি একটি জাতির অগ্রগতির জন্য স্বাভাবিক ভাবে একান্ত দরকারী। আর বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে একটি দেশ বা অঞ্চল নয় – আমাদের পুরো বিশ্ব নিয়ে একসাথে কাজ করা ছাড়া উপায় নাই। এখন এই কাজ করার জন্য যখন প্রকৃত কাজের লোকগুলোরই ভাটা পরে যায় বা দারুন অভাব মনে হয়- তখন এর থেকে মারাত্মক উৎকন্ঠার ব্যাপার আর কি হতে পারে?



আমাদের নিজেদের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে হলেও আমাদের এই সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উঠতে হবে। আমাদের কর্মজীবনে আমরা যে চিন্তাশিলতার দ্বারা সৃষ্ট্রিশিলতার ব্যবহার দিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেই তার ধারাবাহিকতা না থেকে আমাদের চিন্তাশিলতা হয়ে ওঠে টেনশনশীলতার গ্লানিকর অভিষাপ। আমি বিশ্বাস করি আমরা একটু সামান্য নিজেদের পর্যালোচনা করে ঝালাই করে নিলেই এই সমস্যা থেকে আপতত পরিত্রানের পথে হাঁটতে পারি।



মানুষ অভ্যাসের দাস। মানুষের কাছে আজ যা স্বপ্ন কাল তা তার নিজের পজিশন। আজ মানুষ যেখানে যাবার কল্পনায় নিজেকে প্রমান করার জন্য সদা ব্যাকুল কাল সেই সুন্দরের বুকে অবস্থান নেবার পর থেমে যায়। আমি বলছি, নিজ পজিশনে থাকা অবস্থায় কিছু অভ্যাসের দাস হয়ে যায় মাত্র এবং যা একটি স্থির অবস্থান মাত্র। যেখান থেকে সম্ভাবনা আরও প্রবলবেগে শুরু হবার কথা সেখানেই সম্ভাবনার গর্ভপাত হচ্ছে। চিন্তাশিল মানুষিকতা থেকে টেনশনশীল মানষিকতা সৃষ্টি হবার প্রধান কারন বলে আমি মনে করি মিথ্যা ও সন্দেহের প্রবল ব্যবহার। মানুষ যখন খুব বেশি মিথ্যা ও সন্দেহের মধ্যে দিন যাপন করে তখন তার টেনশন নামক কর্মপরিধির সমাপ্তিরেখা আসতে বাধ্য এবং এই টেনশন ব্যাধিটি অনেক বেশি ঘাতক শয়তান। যা মানুষের আসল ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। যখন একজন মানুষকে তার নিজ অবস্থান ধরে রাখবার জন্য কুটকৌশল, কুটচাল ও মিথ্যের আশ্রয় নেবার মতো মনমানুষিকতার ব্যবহার করার প্রয়োজন বলে নিজের কাছে মনে হয় তখন থেকেই তার আসল চিন্তাশিলতার বিকাশ নষ্ট হয়ে যায়। তারচেয়ে এই বোধ টুকু আসার আগে বা এখনও কেউ ভালো করে নিজেকে যাচাই করে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন নিজ অবস্থান ধরে রাখার জন্য কুটচাল, মিথ্যের পথে যাবার দরকার আসলে একটি আপেক্ষিকতা ও বাজে ভ্রম ছাড়া কিছু না। আপনি আপনার স্বঅবস্থান আরো বেশী মজবুত করে রাখতে পারেন যদি আপনি ঐ পথে না হাঁটেন। এখানেই অভ্যাসের কথা চলে আসে। আমরা পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে খুব বেশি নিজেকে যাচাই করতে চাই বলেই এমনটা হয়। মানুষ তার নিজের চিন্তাশিলতা দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিবে। মানুষের কি নেই? যেখানে মানুষ চাইলে তার সৃষ্ট্রিকর্তার সাথে পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারে। মানুষ চাইলে তার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সৃষ্ট্রিকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে চলতে পারে।



এই সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করার জন্য আজ সত্যিকারের চিন্তাশিল মানুষের মধ্যে একটি ইউনিটি খুব বেশি দরকার। এমনভাবে একতা বদ্ধ হওয়া দরকার যার মধ্যে চিন্তাশিল মানুষেরই সংখ্যাগড়িষ্ঠতা সবসময় বেশি থাকবে। বাজে চেতনা বিজগুলো অনেক স্বাভাবিক নির্মল কোমল মানুষকেও ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে- ইতিহাস ও বর্তমান সময়ে এর প্রমাণ আহরহ। চিন্তা করলে দেখবেন, অনেকগুলো সত্যিকারের চিন্তাশিল মানুষের মধ্যে অল্পকিছু বাজে মানুষ যদি কোনো কুমতলব কায়েম করতেও এসে হাজির হয় তারপরও ঐ কুমতলব সুমতলব হয়ে যায়। অর্থাৎ খারাপ মানুষিকতার মানুষটি অন্যদের সুন্দর পরশ পাথরে নিজেও একজন সুন্দর চিন্তাশিল মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে শিখে যাবে। এজন্য চিন্তাশিল মানুষের কোনো দেশ থাকতে হয় না, গোত্র থাকতে হয় না, জাতি থাকতে হয় না। আর একারনেই একজন চিন্তাশিল মানুষ নিজ কাল, দেশ, গোত্র, সাস্কৃতির পূর্ন ধারক হয়েও সকলের তরে অর্থাৎ পুরোবিশ্বের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। আমার কথা বুঝতে অসুবিধা হলে আমি আরো সহজে বলে দিচ্ছি যে, একজন প্রকৃত চিন্তাশিল মানুষ কখনও কোনো বিষয়ে গোড়া ভাবাপন্ন হন না। শুধুমাত্র নিজের সত্য ও সুন্দর চেতনার কাছে নিজে সর্বদা দ্বায়বদ্ধ থাকেন।



বন্ধু! আমার জন্মভুমি বাংলাদেশ এর পলিটিক্যার লিডারের যে পরিপূর্নতা আজ থাকতে পারতো বা যে সম্ভাবনা ছিলো তা কিন্তু আজ মৃতপ্রায়। একজন আদর্শ লিডার বা একজন লিডার তৈরির কারিগর যখন চলে যান তার খেসারত যে কতো খারাপ ভাবে দিতে হতে পারে তা আমার এই বর্তমান বাংলাদেশকে দেখলেই বোঝা যাবে। দেবতা মুজিব একজন মধ্যপন্থি লিডার। যার নিজ অবস্থান নিজ থেকে সর্বদা সত্য ও সরল ভাবে প্রকাশ করতে পারতেন। এমনকি দেবতা মুজিব এর ড্রেস চুজিং ও ছিলো সময়ের সাথে, জাতির সাথে ও নিতির সাথে সমন্বয় করা। যা দ্বারা তাতে তার নিজ ধর্ম, জাতি, আদর্শের মধ্য থেকেও মধ্য পন্থি হিসেবেই চিনে নেয়া যেতো আবার বিশ্ব পরিসরেও তার স্মার্টনেসের ঘাটতি হতো না। দেবতা মুজিবের চিন্তাধারা ছিলো অনেক বেশি সুদুরপ্রসারি ও ন্যায়-নেয্য। এই লিডারের কাছে যে সব তরুন নেতা ছিলেন তারা আজ বয়স্ক হয়ে উঠেছেন ঠিকই কিন্তু তাদের সত্যিকার আদর্শের ডেভলপ কতখানি হয়েছে। একজন আদর্শ লিডার যখন নির্মমতা ও স্বরজন্ত্রের স্বীকার হয়ে চলে যান তার রিএ্যাকটা এতো বেশী গোটা সমাজ ও জাতির উপর পরে যে, যখন এই উপলব্ধি আসে তখন দেখা যায়, সাজানো বাগান নষ্ট হয়ে গেছে আর সবার চোখ ছিলো ভিন্ন দিকে। সেই সময়ে যারা দেবতা মুজিবের সাথে ছিলেন তারা যদি আরো দীর্ঘ সময় অর্থাৎ ২০-২৫ বছর তার পাশে থাকতে পারতেন তাহলে এই সব মানুষদের লিডারশিপ এতোখানি গ্রো করতো যে, আজ তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পলিটিক্স ও বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে প্রবল ব্যাক্তিত্ব নিয়ে অবদান রাখতে পারতেন। সহযে বলতে গেলে, একজন ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্রেন এর সাথে থাকতে পারলেও তিনি ওয়ার্ল্ড ক্লাস হয়ে যান। আর আজকের এই বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম একটি শক্তিশালি ও শান্তির দেশ হিসেবে বিবেচিত হতো বা নিজ গুনে জেগে যেতো। একজন বিশ্বমানের মানুষ কখনও সংকির্ন হন না। তিনি সর্বদা দিতে চান। এই এই সহযাত ভাবে দেবার মানুষিকতা না থাকলে তিনি কোনো ভাবেই বিশ্বে নিজ মেধায় প্রতিষ্ঠিত হবার যোগ্যতা রাখেন না।



এসব দেখেই আজ বিশ্বের চিন্তাশিল মানুষদের ইউনিটি হয়ে কাজ করতে হবে। চিন্তাশিল মানুষরা কখনও নিজের অবস্থান নিয়ে চিন্তা করেন না বরং নিজের চিন্তাধারার স্বাভাবিক সহজাত প্রকাশ দ্বারাই সময় নিজ থেকেই তাদের অবস্থান তৈরি করে দেয়। এজন্য পুরোবিশ্বে চিন্তাশিল মানুষের সংখ্যা যত বেশীই হোক না কেনো কখনও তাদের মধ্যে অযুক্তিক রেসারেসি আসতে পারে না। আমি এর ভুরি ভুরি উদাহরন আপনাদের সামনে পেশ করতে পারি। ইচ্ছেও করছে। কিন্তু বর্তমানে আমার এই বজেঅবস্থার জন্য বলতে পারছি না বলে আমাকে নিজগুনে ক্ষমা করে দিবেন। যদি কখনও নির্বঘ্ন পরিবেশ আসে আমি বলে দেবো। ভরসা রাখবেন।



একটি সাবলিল কর্মপরিবেশকে যখন সত্যিকার অর্থে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের পরিপন্থি করে তোলা হয় ঠিক তখনই চিন্তাশিলতার বিকাশের পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। বর্তমান মিডিয়া এতো বেশী মিথ্যানির্ভর হয়ে গেছে এই কারনেই। একজন চিন্তাশিল মানুষ তার আসল কাজ থেকে সরে এসে কিছু গৎবাধা বাজে কাজের মধ্যে বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এবং এছাড়া উক্ত ব্যক্তির কোনো পথও খোলা থাকে না। এই যে প্রতিকুল পরিবেশ তা কাটিয়ে ওঠার দ্বায়িত্ব কিন্তু উক্তব্যাক্তিবর্গের উপরই চলে আসে। আমি যদি ঠিকমতো জ্ঞান অর্জন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে না থাকতে পারি তাহলে আমার জ্ঞান দেবার কোনো যোগ্যতাই নাই। কিংবা আমি যদি একটা পর্যায় পর্যন্ত নিজের চিন্তাশিলতা দিয়ে নিজ অবস্থানের কথা ভেবে এগিয়ে চলি এবং যখন নিজ অবস্থানে উঠে আসি তখন যদি আমার আর জ্ঞান অর্জনের স্বাভাবিক পথ বন্ধ করে দেই তাহলে পরবর্তিতে আমি শত ইচ্ছেতেও আমার জ্ঞানকে সঠিক ভাবে বিকাশিত করতে পারবো না। এটা চিরন্তন সত্যি কথা। জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া সদা চলমান। এর কোনো বয়স নেই। সবার জ্ঞান অর্জন প্রক্রিয়া, স্টাইল বা জ্ঞানের বিচ্ছুরন একরকম নয় আর এজন্যই একটি চিন্তাশিল পরিবেশ থাকা বাঞ্চনীয়। তাতে কখনও এই মানব সভ্যতায় চিন্তাশিল মানুষের অভাব হবে না। সব মানুষ যে নিজে থেকে পরিবেশ তৈরি করে নেয়ার যোগ্যতা রাখে- এ কথা কোনোভাবেই সঠিক না। আবার প্রত্যেক চিন্তাশিল মানুষেরই জ্ঞানের পরিধি যে ব্যালেন্সিভ হবে- এ কথাও মানা যায় না। এজন্য চিন্তাশিল মানুষের পরিবেশের মধ্য থেকেই চিন্তাশিল মানুষ স্বাভাবিক ভাবে তৈরি হয়ে যায়। আর স্পেশাল ক্যারেকটার শত কোটি প্রতিকুল পরিবেশকে অতিক্রম করে হলেও নিজেই নিজের জন্য একটি প্লাটফরম তৈরি করতে সক্ষম হয় এবং সেই প্লাটফরম দেখে পরিবেশও তাকে সেলাম করে, আর সাথে সাথে ঐ প্লাটফরম-ঐ পরিবেশ অনেক মানুষকে একসাথে উজ্জিবিত করে তোলে। এই পার্থক্যটুকু সবসময় ছিলো। আর একটু ব্যাপক করে বুঝিয়ে বললে বলতে হয়, একজন স্পেশাল ক্যারেকটারকেও নিজেকে প্রমান করে নিজ অবস্থান তৈরি করে নেয়ার পিছনে অনেক চিন্তাশিল মানুষের প্রভাব থাকে এবং ঐ প্রভাবটা গৌন বলে মনে হতে পারে তারপরও চিন্তাশিল মানুষদের গড়ে দেয়া ছোট ছোট কর্মপরিধির উপর পা রেখে পরিবেশের সমন্বয় করে নেয়াটাই তার উথ্থানের প্রধান কারণ বলে ধরে নেয়া যায়। এখানেই মানুষের মহিমা প্রকাশ পায়। আমাদের বিশ্বসভ্যতার বিকাশ এভাবেই হয়েছে।



আমাদের আজকের এই শুন্যতাকে পূর্নতায় পরিনত করার সময় এসেছে। আমরা যদি আমাদের প্রতিটা সেক্টরকে আজও একটি চিন্তাশিল পরিবেশের মধ্যে নিয়ে না আসতে পারি তাহলে আমাদের এই অনুকুল পরিবেশের এ্যাডভানন্টেজ পেতে অনেক বেশি দেরি হয়ে যেতে পারে।



সেই সাথে আজ যে অসম্ভবের সম্ভাবনা আপনাদের সামনে জ্বল জ্বল করে হাতে ধরা দিতে শুরু করেছে তার মহিমা ম্লান হয়ে আপনাদেরকে ইতিহাসের কলঙ্ক হিসেবেই অনাগত সমাজ ধিক্কার দিতে থাকবে। এই সত্যতা আপনাদের বুঝতে হবে। আসুন আমরা আমাদের শিক্ষা, জ্ঞান, সত্য, ধ্যান, সাধনা ও অনুকুল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে এই পৃথিবীকে খুব অল্পসময়ে চিরশান্তির প্রতিষ্ঠিত রূপ দিয়ে যাই। আমাদের একটি প্রতিজ্ঞাই এই সাফল্যের প্রধান হাতিয়ার হবে বলে আমি মনেপ্রাণে মানি ও বিশ্বাস করি।



(চিন্তাশীল বলতে স্বাধীন মনে কল্যানকর ভাবনাকে বুঝানো হয়েছে)



২৩-০৪-২০১৪



টেনশনশীল নয় চিন্তাশীল মানুষ দরকার



একটি জাতি, দেশ ও পৃথিবীর দ্রুত অগ্রগতির জন্য চিন্তাশিল মানুষের যে কতো বেশি দরকার তা আজ বলাবাহুল্য। আমরা মানব জাতির অগ্রগতির অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধারাবাহিকতার পারফমেন্স একটু অনুধাবন করতে পারলেই চিন্তাশিল মানুষের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝে যাবো। যখন যে জাতি উন্নতির শিখরে নিজেদের নিয়ে গেছে- তার পথ্যে ও নেপথ্যে একদল চিন্তাশিল মানুষের দেখা মেলে। আজ গোটা পৃথিবিতে চিন্তাশিল মানুষের একটি শুন্যতা চোখে পরার মতো। যা বর্তমান সার্বিক সভ্যতার অগ্রযাত্রার এই চরম পন্থি মুহূর্তের অবস্থানের সাথে বেমানান মনে হচ্ছে। আপনার মতো আমারও প্রশ্ন, কেনো এমন হলো?



অনেক সময় পথের বাঁককে দুর থেকে পথের সমাপ্তির মতো মনে হয়। আমিও এমন করে ভাবতে চাই যে আমরা একটি নতুন পথের বাঁকে এসে বুঝতে পারছি আমরা যেখানে পথের সমাপ্তি মনে করেছিলাম- আসলে তা পথের বাঁক মাত্র। এই আমাদের টার্নি পয়েন্ট এন্ড টার্নি মোমেন্ট।



[ বন্ধু! আমি আসলে যে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি, তা খুব ব্যাপক পরিসরে করা উচিত। আমি নিজে থেকেই এই সম্পর্কে বেশ কিছু পুস্তক সমান বিস্তির্ন কথা বলে যাবার প্রয়োজন বোধ করছি। তারপরও আমার এই বর্তমান পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা আমার কৃটিসাইচ স্থানে পরিনত হয়ে উঠেছে। আমাকে পালিয়ে পালিয়ে লিখতে হচ্ছে। যদি এই চরম আপত্তিকর অবস্থা কেটে যায় তখন বিস্তারিত ভাবে এই বিষয়গুলো আপনাদের বলবো। তারপরও আমার এই সিমিত পরিসরে যেটুকু আলোচনা করা যায়- তা করছি। ]



বন্ধু! আজকের এই পৃথিবিতে চিন্তাশিল মানুষ প্রকৃতপক্ষে নিজ চিন্তাশিলতার সহজ প্রবাহকে বেগবান অবস্থায় ইনজয় ও ইউটিলাইজ করতে পারছে না। ওয়ার্ল্ড পটিটিক্স, ওয়ার্ল্ড মিডিয়া, সায়েন্স, এডুকেশন, রিলেশন, সিভিলাইজেশন, পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট, ইনভায়রনমেন্ট, সোসাল ওয়্যালফেয়ার, রিলেজন সহ প্রতিটা সেক্টরে এই শুন্যতা আমাদের আজ ভাবিয়ে তুলছে। আমরা আমাদের কন্ট্রিবিউট করার ক্ষমতাকে একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে থামিয়ে দিচ্ছি। একেতো চিন্তাশিল মানুষের আকাল তার উপর একজন চিন্তাশিল মস্তিস্কের অকালে থেমে যাওয়া বা পরিতিপ্তিবোধে আসল গতিপথ থেকে সরে আসা- আমাদের আগামীর স্বাভাবিক সুন্দর অগ্রযাত্রার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে আজ আমার কাছে মনে হচ্ছে।



আমি আপনাদের সবসময়ই বলতে চাই যে, সব সমস্যারই সহজ সমাধান থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একইসংগে একটি বিকট, পাহাড়সম, কুম্ভকার, বৃহৎ, জটিল সমস্যার একাধিক সহয সমাধান থাকে। কিন্তু সমস্যা হলো এই সহজ সমাধানকে আইডেন্টিফাই করে দেবার মতো চিন্তাশিল মানুষদের। অনেক জটিল সমস্যাকে বাস্তবিক অর্থেই একক ভাবে একক ব্যাক্তি তখনই খুব সহয ও সবার উপযোগি গ্রহনযোগ্য করতে পারে, যখন তিনি ইতিহাসের খুব বেশি স্পেশাল ক্যারেকটার হন। কিন্তু এই স্পেশাল ক্যারেকটার মানব সভ্যতায় সব সময় নিয়মিত বিরতিতে আসেন বা আসবেন এমন কোনো নজির নাই। তথাপিও একজন স্পেশাল ক্যারেক্টার একটি সুন্দর গাইড লাইন দিয়ে যান এবং তার জীবনিকালে যতটুকু সম্ভব তা তিনি করে দেখান। কিন্তু এই স্পেশাল ক্যারেকটার মানুষগুলোও টিম ওয়ার্কের সিস্টেম তৈরি করে দেন মাত্র। স্পেশাল ক্যারেক্টারের কথা আলোচনা করার কারণ হলো, “ইতিহাসের একজন স্পেশাল ক্যারেক্টার পুরো একটি অস্বাভাবিক চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতিকে নিজের যোগ্যতা বলে পরিবর্তন করে একটি গোত্র/জাতি/দেশ/অঞ্চলের মধ্যে বড় একটি পজেটিভ প্লাটফরম গড়ে দিতে পারে। এবং যার কার্যপ্রক্রিয়া ও ক্ষমতা মানুষকে অনন্তকাল প্রেরনা দিয়ে যায়”। যেহেতু এই মহাআবির্ভাবগুলো অনেক বেশি বিরল তাই এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোকপাত অন্য কোনো একসময় করে নেয়া যাবে।



এখন স্বাভাবিক ভাবে আমরা বুঝতে পারি যে, একটি প্রকৃত চিন্তাশিল মানব গোষ্টি একটি জাতির অগ্রগতির জন্য স্বাভাবিক ভাবে একান্ত দরকারী। আর বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে একটি দেশ বা অঞ্চল নয় – আমাদের পুরো বিশ্ব নিয়ে একসাথে কাজ করা ছাড়া উপায় নাই। এখন এই কাজ করার জন্য যখন প্রকৃত কাজের লোকগুলোরই ভাটা পরে যায় বা দারুন অভাব মনে হয়- তখন এর থেকে মারাত্মক উৎকন্ঠার ব্যাপার আর কি হতে পারে?



আমাদের নিজেদের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে হলেও আমাদের এই সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উঠতে হবে। আমাদের কর্মজীবনে আমরা যে চিন্তাশিলতার দ্বারা সৃষ্ট্রিশিলতার ব্যবহার দিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেই তার ধারাবাহিকতা না থেকে আমাদের চিন্তাশিলতা হয়ে ওঠে টেনশনশীলতার গ্লানিকর অভিষাপ। আমি বিশ্বাস করি আমরা একটু সামান্য নিজেদের পর্যালোচনা করে ঝালাই করে নিলেই এই সমস্যা থেকে আপতত পরিত্রানের পথে হাঁটতে পারি।



মানুষ অভ্যাসের দাস। মানুষের কাছে আজ যা স্বপ্ন কাল তা তার নিজের পজিশন। আজ মানুষ যেখানে যাবার কল্পনায় নিজেকে প্রমান করার জন্য সদা ব্যাকুল কাল সেই সুন্দরের বুকে অবস্থান নেবার পর থেমে যায়। আমি বলছি, নিজ পজিশনে থাকা অবস্থায় কিছু অভ্যাসের দাস হয়ে যায় মাত্র এবং যা একটি স্থির অবস্থান মাত্র। যেখান থেকে সম্ভাবনা আরও প্রবলবেগে শুরু হবার কথা সেখানেই সম্ভাবনার গর্ভপাত হচ্ছে। চিন্তাশিল মানুষিকতা থেকে টেনশনশীল মানষিকতা সৃষ্টি হবার প্রধান কারন বলে আমি মনে করি মিথ্যা ও সন্দেহের প্রবল ব্যবহার। মানুষ যখন খুব বেশি মিথ্যা ও সন্দেহের মধ্যে দিন যাপন করে তখন তার টেনশন নামক কর্মপরিধির সমাপ্তিরেখা আসতে বাধ্য এবং এই টেনশন ব্যাধিটি অনেক বেশি ঘাতক শয়তান। যা মানুষের আসল ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। যখন একজন মানুষকে তার নিজ অবস্থান ধরে রাখবার জন্য কুটকৌশল, কুটচাল ও মিথ্যের আশ্রয় নেবার মতো মনমানুষিকতার ব্যবহার করার প্রয়োজন বলে নিজের কাছে মনে হয় তখন থেকেই তার আসল চিন্তাশিলতার বিকাশ নষ্ট হয়ে যায়। তারচেয়ে এই বোধ টুকু আসার আগে বা এখনও কেউ ভালো করে নিজেকে যাচাই করে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন নিজ অবস্থান ধরে রাখার জন্য কুটচাল, মিথ্যের পথে যাবার দরকার আসলে একটি আপেক্ষিকতা ও বাজে ভ্রম ছাড়া কিছু না। আপনি আপনার স্বঅবস্থান আরো বেশী মজবুত করে রাখতে পারেন যদি আপনি ঐ পথে না হাঁটেন। এখানেই অভ্যাসের কথা চলে আসে। আমরা পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে খুব বেশি নিজেকে যাচাই করতে চাই বলেই এমনটা হয়। মানুষ তার নিজের চিন্তাশিলতা দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিবে। মানুষের কি নেই? যেখানে মানুষ চাইলে তার সৃষ্ট্রিকর্তার সাথে পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারে। মানুষ চাইলে তার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সৃষ্ট্রিকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে চলতে পারে।



এই সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করার জন্য আজ সত্যিকারের চিন্তাশিল মানুষের মধ্যে একটি ইউনিটি খুব বেশি দরকার। এমনভাবে একতা বদ্ধ হওয়া দরকার যার মধ্যে চিন্তাশিল মানুষেরই সংখ্যাগড়িষ্ঠতা সবসময় বেশি থাকবে। বাজে চেতনা বিজগুলো অনেক স্বাভাবিক নির্মল কোমল মানুষকেও ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে- ইতিহাস ও বর্তমান সময়ে এর প্রমাণ আহরহ। চিন্তা করলে দেখবেন, অনেকগুলো সত্যিকারের চিন্তাশিল মানুষের মধ্যে অল্পকিছু বাজে মানুষ যদি কোনো কুমতলব কায়েম করতেও এসে হাজির হয় তারপরও ঐ কুমতলব সুমতলব হয়ে যায়। অর্থাৎ খারাপ মানুষিকতার মানুষটি অন্যদের সুন্দর পরশ পাথরে নিজেও একজন সুন্দর চিন্তাশিল মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে শিখে যাবে। এজন্য চিন্তাশিল মানুষের কোনো দেশ থাকতে হয় না, গোত্র থাকতে হয় না, জাতি থাকতে হয় না। আর একারনেই একজন চিন্তাশিল মানুষ নিজ কাল, দেশ, গোত্র, সাস্কৃতির পূর্ন ধারক হয়েও সকলের তরে অর্থাৎ পুরোবিশ্বের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। আমার কথা বুঝতে অসুবিধা হলে আমি আরো সহজে বলে দিচ্ছি যে, একজন প্রকৃত চিন্তাশিল মানুষ কখনও কোনো বিষয়ে গোড়া ভাবাপন্ন হন না। শুধুমাত্র নিজের সত্য ও সুন্দর চেতনার কাছে নিজে সর্বদা দ্বায়বদ্ধ থাকেন।



বন্ধু! আমার জন্মভুমি বাংলাদেশ এর পলিটিক্যার লিডারের যে পরিপূর্নতা আজ থাকতে পারতো বা যে সম্ভাবনা ছিলো তা কিন্তু আজ মৃতপ্রায়। একজন আদর্শ লিডার বা একজন লিডার তৈরির কারিগর যখন চলে যান তার খেসারত যে কতো খারাপ ভাবে দিতে হতে পারে তা আমার এই বর্তমান বাংলাদেশকে দেখলেই বোঝা যাবে। দেবতা মুজিব একজন মধ্যপন্থি লিডার। যার নিজ অবস্থান নিজ থেকে সর্বদা সত্য ও সরল ভাবে প্রকাশ করতে পারতেন। এমনকি দেবতা মুজিব এর ড্রেস চুজিং ও ছিলো সময়ের সাথে, জাতির সাথে ও নিতির সাথে সমন্বয় করা। যা দ্বারা তাতে তার নিজ ধর্ম, জাতি, আদর্শের মধ্য থেকেও মধ্য পন্থি হিসেবেই চিনে নেয়া যেতো আবার বিশ্ব পরিসরেও তার স্মার্টনেসের ঘাটতি হতো না। দেবতা মুজিবের চিন্তাধারা ছিলো অনেক বেশি সুদুরপ্রসারি ও ন্যায়-নেয্য। এই লিডারের কাছে যে সব তরুন নেতা ছিলেন তারা আজ বয়স্ক হয়ে উঠেছেন ঠিকই কিন্তু তাদের সত্যিকার আদর্শের ডেভলপ কতখানি হয়েছে। একজন আদর্শ লিডার যখন নির্মমতা ও স্বরজন্ত্রের স্বীকার হয়ে চলে যান তার রিএ্যাকটা এতো বেশী গোটা সমাজ ও জাতির উপর পরে যে, যখন এই উপলব্ধি আসে তখন দেখা যায়, সাজানো বাগান নষ্ট হয়ে গেছে আর সবার চোখ ছিলো ভিন্ন দিকে। সেই সময়ে যারা দেবতা মুজিবের সাথে ছিলেন তারা যদি আরো দীর্ঘ সময় অর্থাৎ ২০-২৫ বছর তার পাশে থাকতে পারতেন তাহলে এই সব মানুষদের লিডারশিপ এতোখানি গ্রো করতো যে, আজ তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পলিটিক্স ও বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে প্রবল ব্যাক্তিত্ব নিয়ে অবদান রাখতে পারতেন। সহযে বলতে গেলে, একজন ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্রেন এর সাথে থাকতে পারলেও তিনি ওয়ার্ল্ড ক্লাস হয়ে যান। আর আজকের এই বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম একটি শক্তিশালি ও শান্তির দেশ হিসেবে বিবেচিত হতো বা নিজ গুনে জেগে যেতো। একজন বিশ্বমানের মানুষ কখনও সংকির্ন হন না। তিনি সর্বদা দিতে চান। এই এই সহযাত ভাবে দেবার মানুষিকতা না থাকলে তিনি কোনো ভাবেই বিশ্বে নিজ মেধায় প্রতিষ্ঠিত হবার যোগ্যতা রাখেন না।



এসব দেখেই আজ বিশ্বের চিন্তাশিল মানুষদের ইউনিটি হয়ে কাজ করতে হবে। চিন্তাশিল মানুষরা কখনও নিজের অবস্থান নিয়ে চিন্তা করেন না বরং নিজের চিন্তাধারার স্বাভাবিক সহজাত প্রকাশ দ্বারাই সময় নিজ থেকেই তাদের অবস্থান তৈরি করে দেয়। এজন্য পুরোবিশ্বে চিন্তাশিল মানুষের সংখ্যা যত বেশীই হোক না কেনো কখনও তাদের মধ্যে অযুক্তিক রেসারেসি আসতে পারে না। আমি এর ভুরি ভুরি উদাহরন আপনাদের সামনে পেশ করতে পারি। ইচ্ছেও করছে। কিন্তু বর্তমানে আমার এই বজেঅবস্থার জন্য বলতে পারছি না বলে আমাকে নিজগুনে ক্ষমা করে দিবেন। যদি কখনও নির্বঘ্ন পরিবেশ আসে আমি বলে দেবো। ভরসা রাখবেন।



একটি সাবলিল কর্মপরিবেশকে যখন সত্যিকার অর্থে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের পরিপন্থি করে তোলা হয় ঠিক তখনই চিন্তাশিলতার বিকাশের পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। বর্তমান মিডিয়া এতো বেশী মিথ্যানির্ভর হয়ে গেছে এই কারনেই। একজন চিন্তাশিল মানুষ তার আসল কাজ থেকে সরে এসে কিছু গৎবাধা বাজে কাজের মধ্যে বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এবং এছাড়া উক্ত ব্যক্তির কোনো পথও খোলা থাকে না। এই যে প্রতিকুল পরিবেশ তা কাটিয়ে ওঠার দ্বায়িত্ব কিন্তু উক্তব্যাক্তিবর্গের উপরই চলে আসে। আমি যদি ঠিকমতো জ্ঞান অর্জন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে না থাকতে পারি তাহলে আমার জ্ঞান দেবার কোনো যোগ্যতাই নাই। কিংবা আমি যদি একটা পর্যায় পর্যন্ত নিজের চিন্তাশিলতা দিয়ে নিজ অবস্থানের কথা ভেবে এগিয়ে চলি এবং যখন নিজ অবস্থানে উঠে আসি তখন যদি আমার আর জ্ঞান অর্জনের স্বাভাবিক পথ বন্ধ করে দেই তাহলে পরবর্তিতে আমি শত ইচ্ছেতেও আমার জ্ঞানকে সঠিক ভাবে বিকাশিত করতে পারবো না। এটা চিরন্তন সত্যি কথা। জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া সদা চলমান। এর কোনো বয়স নেই। সবার জ্ঞান অর্জন প্রক্রিয়া, স্টাইল বা জ্ঞানের বিচ্ছুরন একরকম নয় আর এজন্যই একটি চিন্তাশিল পরিবেশ থাকা বাঞ্চনীয়। তাতে কখনও এই মানব সভ্যতায় চিন্তাশিল মানুষের অভাব হবে না। সব মানুষ যে নিজে থেকে পরিবেশ তৈরি করে নেয়ার যোগ্যতা রাখে- এ কথা কোনোভাবেই সঠিক না। আবার প্রত্যেক চিন্তাশিল মানুষেরই জ্ঞানের পরিধি যে ব্যালেন্সিভ হবে- এ কথাও মানা যায় না। এজন্য চিন্তাশিল মানুষের পরিবেশের মধ্য থেকেই চিন্তাশিল মানুষ স্বাভাবিক ভাবে তৈরি হয়ে যায়। আর স্পেশাল ক্যারেকটার শত কোটি প্রতিকুল পরিবেশকে অতিক্রম করে হলেও নিজেই নিজের জন্য একটি প্লাটফরম তৈরি করতে সক্ষম হয় এবং সেই প্লাটফরম দেখে পরিবেশও তাকে সেলাম করে, আর সাথে সাথে ঐ প্লাটফরম-ঐ পরিবেশ অনেক মানুষকে একসাথে উজ্জিবিত করে তোলে। এই পার্থক্যটুকু সবসময় ছিলো। আর একটু ব্যাপক করে বুঝিয়ে বললে বলতে হয়, একজন স্পেশাল ক্যারেকটারকেও নিজেকে প্রমান করে নিজ অবস্থান তৈরি করে নেয়ার পিছনে অনেক চিন্তাশিল মানুষের প্রভাব থাকে এবং ঐ প্রভাবটা গৌন বলে মনে হতে পারে তারপরও চিন্তাশিল মানুষদের গড়ে দেয়া ছোট ছোট কর্মপরিধির উপর পা রেখে পরিবেশের সমন্বয় করে নেয়াটাই তার উথ্থানের প্রধান কারণ বলে ধরে নেয়া যায়। এখানেই মানুষের মহিমা প্রকাশ পায়। আমাদের বিশ্বসভ্যতার বিকাশ এভাবেই হয়েছে।



আমাদের আজকের এই শুন্যতাকে পূর্নতায় পরিনত করার সময় এসেছে। আমরা যদি আমাদের প্রতিটা সেক্টরকে আজও একটি চিন্তাশিল পরিবেশের মধ্যে নিয়ে না আসতে পারি তাহলে আমাদের এই অনুকুল পরিবেশের এ্যাডভানন্টেজ পেতে অনেক বেশি দেরি হয়ে যেতে পারে।



সেই সাথে আজ যে অসম্ভবের সম্ভাবনা আপনাদের সামনে জ্বল জ্বল করে হাতে ধরা দিতে শুরু করেছে তার মহিমা ম্লান হয়ে আপনাদেরকে ইতিহাসের কলঙ্ক হিসেবেই অনাগত সমাজ ধিক্কার দিতে থাকবে। এই সত্যতা আপনাদের বুঝতে হবে। আসুন আমরা আমাদের শিক্ষা, জ্ঞান, সত্য, ধ্যান, সাধনা ও অনুকুল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে এই পৃথিবীকে খুব অল্পসময়ে চিরশান্তির প্রতিষ্ঠিত রূপ দিয়ে যাই। আমাদের একটি প্রতিজ্ঞাই এই সাফল্যের প্রধান হাতিয়ার হবে বলে আমি মনেপ্রাণে মানি ও বিশ্বাস করি।



(চিন্তাশীল বলতে স্বাধীন মনে কল্যানকর ভাবনাকে বুঝানো হয়েছে)



২৩-০৪-২০১৪



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

পংবাড়ী বলেছেন: আপনি যেকোন ধরণের একটা চাকুরী নিন, বা টিউশনি করুন

১৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমি আপনাদের সহযোগীতা চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.