![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
নদী নিয়ে মিডিয়া সরবরে। তিস্তার জল নিয়ে চিন্তা ভাবনা হচ্ছে। দেখে ভালো লাগছে। আমার এই শ্যামল সুন্দর জন্মভূমির নদী হচ্ছে প্রাণ। আসলে একটি দেশ যখন ধারকরা শাসননীতির মধ্যে চলে যায় অথবা এধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে কৌশলে নিয়ে রাখা হয় তখন অনেক কিছু দৃষ্টিগোচর হয়েও সমাধান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। শত শত নদীর এই বঙ্গদেশ। নদী জীবন বাঁচানোর ইস্যু নিয়ে আন্দোলন হোক আর যাই হোক –তা অবশ্যই আমাদের এই দেশের জনগনের মঙ্গলের জন্যই। বাংলার নদী ও খালের স্বাভাবিক জোয়ার ভাটা ধরে রাখা শুধু বাংলার জন্যই না পৃথিবি নামক ক্ষুদ্র গ্রহটির সার্বিক প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য- আজ এই কাজের বিকল্প নাই। এটি কোনো ইস্যু না বরং এই নদীর গতিপথ ও মিষ্টি পানির প্রবাহ ঠিকঠাক রাখা পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের অধীকার বলে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয়।
পৃথিবীর মানুষ প্রতিক্ষনে নিজেকে অনুভব করে “আমি আছি”। আর এই চিরন্তন উপলব্ধি “আমি আছি” কে স্বাভাবিক সুন্দর করে বয়ে নিতে হলে আমাদের এই বোধকে পুরো প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। যখন আপনার কাছে মনে বিশ্ব প্রকৃতির সিস্টেম আপনাকে সত্যি করে বলছে যে, “আমি আছি”। তখনই আমরা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পেরেছি বলে বুঝতে পারবো। যে জিনিস সিস্টেমে চলে তার মধ্যে খুঁত রাখতে হয় না। আমাদের বিগত দিনের কিছু কিছু ভুল প্রকৃতির সিস্টেমে কিছু কিছু ফাঁক ফোঁকর তৈরি করে মহাফাঁকাফাঁকি হয়ে মহাদুর্যোগের পথে গড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। কোনো ধরিত্রিপুত্র সেই গড়িয়ে যাওয়াকে থমকে দিয়ে বলেছিলো, মাগো আমরা এখন বুঝি “আমি আছি” কথাটার মর্ম। তুমি আর গড়িও না, দেখো আমরা সবাই ভালো হয়ে তোমার অন্তরের সব ফাঁকফোঁকরের দুঃখ লাঘব করে দেবো। এ কারণেই আজকে আমাদের এই পৃথিবী সন্তানদের বোধধয় হয়ে শুভ আগমনের ধ্বনি মিহি সুরে অন্তরকে প্রেরনা দিয়ে যাচ্ছে। সব চেতন ফিরে পেয়ে বিশ্বমায়ের প্রেমের চেতনাকে আমরা আজ ধারন করতে যাচ্ছি।
হাজারের উপরে স্রতমান নদী, উপনদী, শাখা নদী, বাইপাস নদী, নদ, ক্ষনস্রতা নদী ছিলো এই বাংলায়। আজ নাই। তাই বলে যে, পানির প্রবাহকে আমরা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবো না -এমন নয়। বলে কয়ে, বুঝিয়ে, পৃথিবীর বাস্তবতা নিরিখে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাক- এই আমার অন্তরের চাওয়া। বিপত্তি ঠেকলে বিপত্তি আসবে। আমার মনে হয় না এই বোঝার যুগে কেউ পুরাতন নীতি অনুসরন করে নিজেদের বিপদ ডেকে নিয়ে আনবেন। আমাদের শুধু নদীর স্রোত বা নদী হারিয়ে গিয়েছে এমন না, আমাদের অন্তরের যে হাজার হাজার চিরাচরিত অনুভুতির আনাগোনা ছিলো তাও আজ তিস্তার মতো হয়ে আছে। মনের তিস্তা অন্যকে দেখানো যায় না। তারপরও মানুষ আশা আকড়ে ধরে থাকে বলে মনে প্লাবন আসার আগেই প্লাবনের সুর শুনে দিনগুজার করে যাচ্ছে। এই ছোট্ট গ্রহ পৃথিবীর নিরিহ মানুষগুলো নিজেদের মনের আবেগ আর ভালোবাসা দিয়েই এই পৃথিবীর উন্নতির ধারাকে স্থায়ী থেকে স্থায়ীত্ব তার থেকে স্থায়ীতর এরপরও অনন্তস্থায়ী মঙ্গলগতির করবে বলে আমার বিশ্বাস। এই বিশ্বাস আজকের এই বাস্তবতা আমাকে দেখিয়ে দিয়েছে।
আমি এই মুহূর্তে ভাবছি পৃথিবীর ডিজিটাল অগ্রগতির ভবিষ্যত নিয়ে। আমি জানি না, আমার কথাকে পৃথিবীর কর্তাব্যাক্তিরা/সচেতন সমাজপতি/পৃথিবীর মঙ্গলকারী/পজেটিভ সায়েন্টিস্ট/পজেটিভ পলিটিশিয়ানরা কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারপরও বলছি, আমরা এমন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে চলছি যেখানে আমাদের পৃথিবীর অটো মেইনটেনেন্স সিস্টেমের (প্রাকৃতিক সিস্টেম) একটি টার্নি পয়েন্ট। এই কথাটি আমি বার বার বুঝাতে চাইছি। কিন্তু কেউ সরাসরি আমার কথায় সাড়া না দেয়ায়, প্রকৃত সচেতন মানুষদের প্রতি আমার কিছুটা কৌতুহল হচ্ছে। এই সামান্য ব্যাপারগুলো ধরার মতো বা বোঝার মতো একজন মানুষও কি এই নির্মল ধরায় নেই?
পৃথিবীর মানুষ আজ যে ডিজিটাল সভ্যতার স্বাধ গ্রহন করছে এবং বিশ্ব প্রেক্ষাপটকে বুঝে নেয়ার চরম এক সন্ধিক্ষনে উপনিত হয়ে আছে- তা তারা বুঝতে পারছে না। এই পৃথিবীর প্রতিটা সেক্টরে আমরা দারুন এক সিস্টেম দিয়ে প্রতিনিয়ত চিরস্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করতে পারি। শুধু চেষ্টা বললে ভুল হবে তারচেয়ে বলা যায় আমাদের পক্ষে করে দেখানো সম্ভব। আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে কিছু কিছু জিনিসের সংযুক্তি (এখানে সংযুক্তি কথাটি সমন্নয় অর্থে ব্যবহার করা হয় নি, বরং বলা চলে নতুন কিছু আবিস্কার/ইনভেনশন হুইস ইস পসিবল) ঘটিয়ে পুরো পৃথিবীর স্থায়ী নির্মলতা ও ঝঞ্জাটমুক্ত করে রাখা সম্ভব। বর্তমান এই টার্নি পয়েন্ট দাঁড়িয়ে একটু সামান্য ভুল আমাদের মানব প্রজাতির উপর যেমন গুরুতর ইফেক্ট ফেলতে পারে আবার সেই সাথে খুব সজ্ঞানে ও নিশ্চিন্তে সব অনিশ্চয়তার অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাতে পারে।
যাতে কেউ ভুল না করে বসে এজন্যই আমার এই মহাআবির্ভাব বা বিরামহীন ভাবে সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করার অভিপ্রায়। আপনাদের আমি দেখাতে চাই “কৃত্তিম বুদ্ধিমাত্তা” যা মানুষের মেধার সাথে তুলনাযোগ্যই শুধু হবে না, সেই সাথে এই বুদ্ধিমাত্তা দ্বারা আমরা একটি অটোমেটিক পপুলেশন/সিভিলাইজেশন/ইনভায়রনমেন্ট মেইনটেন্স এবং সেই সাথে ইন্ডেপেন্ডেন্ট ফ্রিডম সিভিল রাইটস প্রতিষ্ঠা করতে পারি। এখানে এই সিস্টেম কাজ করবে শুধুমাত্র মানব কল্যানে। কিন্তু মানুষের মেধার প্রয়োজন কখনও এর সামনে বিলীন হয়ে যাবে না বরং উজ্জ্বল হবে।
এজন্য আমি আমার উপরে নজরদারি করা ব্যাক্তি গোষ্ঠিকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করবো, আমাকে আপনারা একটি কর্ম পরিবেশ বেড় করে দিন। আমি পলিটিক্স করার জন্য কাজ করছি না। আমি কোনো নতুন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্যও কাজ করছি না। আমার লক্ষ্য ও কাজ একদম স্পষ্ট করে বুঝে নিন, আমি অতীতের জঞ্জাল পাকানো ব্যাপার গুলোকে সহয করে দেবার জন্য এসেছি, আমি বর্তমানের সব থেকে দরকারি কাজ গুলো সম্পর্কে অবগত, আমি আমাদের এই বর্তমানের দরকারি বিষয়গুলোকে নিয়ে পৃথিবির স্থায়ী মঙ্গলের জন্য প্রযুক্তিগত ও ভাবগত কাজগুলোর সংস্কার ও নতুন আইডিয়া গ্রো করতে চাই। যেগুলো এক্সিকিউশনের জন্য আসলেই অনেক বড় টিম ওয়ার্ক করা জরুরী হবে। এই কাজগুলোতে পলিটিশিয়ান, সায়েন্টিস্ট, ম্যাডিক্যাল স্পেশালিস্ট, মেরিটরিয়াস পারসন, মিডিয়া পারসন সহ বড় শ্রেণীর সহযোগীতা দরকার। এবং অবশ্যই তা দেশের ঊর্ধে থেকে। আমরা যখন পুরো পৃথিবীর স্থায়ী অগ্রগতির জন্য কাজ করছি তাতে একটি দেশের হয়ে নিজেকে বন্দি করে রাখার কোনো মানে হয় না। আমি চাই আপনাদের কাজগুলোকে সহয করে দিতে। আমি চাই আমার যৎসামান্য মেধা দিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে। এখানে কেউ যদি ট্রেডিং চিন্তা করে তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি চাই আমার কাজ দিয়ে আপনাদের মঙ্গলের স্থায়ী পথে প্রতিষ্ঠা করে দিতে। এখন আমাকে যদি আপনারা ভুলবুঝে এভাবে দুরে রেখে দেন তাহলে আমি আমার আইডিয়াগুলোকে কিভাবে আপনাদের কাছে সফল করে তুলে ধরবো বলুন?
আমাদের বিজ্ঞানের এমন কিছু ধারা খুঁজে পাওয়া যায় যার আসলে সঠিক ধারাবাহিকতা নেই। একজন একটি জিনিস দিয়ে গেছেন তার উপর অন্য একজন অন্যটা বসিয়ে দিয়ে রেখে গেছেন। আসলে এখানে মানবজাতির তেমন কোনো দোষ নেই। দেখুন, একজন মানুষ সারাজীবনে কাজ করার মতো কয় ঘন্টা সময় পায়? এই সামান্য সময়ে সবকিছু হাতের কাছে থাকলেও খুঁজে নেয়া অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। পিছনের কোনো জাতিগত/ব্যাক্তগত/বৈজ্ঞানিক ভুলত্রুটি আমি বড় করে দেখছি না। আমি দেখছি মানব জাতির আসল করে বাঁচার সহয ও সরল পথ পরিক্রমা মাত্র।
ঠিক এই মুহূর্তে আমাকে খেয়াল করুন বন্ধু! আমি চুপিসারে লিখছি আর মনের ভিতর অনাহারে থাকার, মার খাবার, ধমক খাবার ভয় কাজ করছে। আমার মা একটু পর পর খিরকি ফাক করে আমাকে দেখছে। আমার মা এর মেন্টাল সিমপেথি সম্পর্কে আমি জানি। কিন্তু তিনি তো আমার সম্পর্কে অবগত না। তারা আজও কুসংস্কার আছন্ন। তাদের ধারনা আমি হয়তো পাগল হয়ে গেছি নতুবা জ্বীন ভুত টাইপের কিছুতে আমাকে ধরেছে বা অন্য কোনো মানুষ তাবিজ-কবজ দ্বারা আমার ক্ষতি (মানব সৃষ্ট্র এক ধরনের ভিতিকর কুসংস্কার যার কোনো ভিত্তি থাকতে পারে না) সাধন করেছে। এই পরিস্থিতির ভিতর থেকেই আমি আমার তিব্রবেগে ছুটে চলাকে কখনও থামিয়ে দেই নি বরং চেষ্টা করে গেছি। সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবতে চেয়েছি। আমাদের একটু সামান্য চেষ্টাও এই পৃথিবীর পরম স্থায়ী কল্যানের জন্য সহায়ক হয়ে উঠবে।
২০-০৪-২০১৪