![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য কাহিনি “দু’বিঘা জমি” পড়েছিলাম ছেলেবেলায়। আজ সেই কাহিনির উপেন এর মতো নিজেকে মনে হচ্ছে। বাগান স্কয়ার সাইজের করবেন বলে জমিদার বাবু উপেন এর শেষ সম্ভল জমিটুক জোড় করে নিয়ে গেলেন। তার বহুদিন পরে দেশ দেশান্তর ঘুরে ফিরে উপেন আবার নিজ গ্রামেই চলে এলেন। উপেন এর জায়গাটি হয়ে গেছে জমিদার বাবুর বাগানের অংশ। উপেন বাগানে বসলেন। গাছ থেকে একটি আম পড়ল। উপেন আমটি হাতে নিলেন। জমিদার বাবুর পেয়াদারা উপেনকে চোর সাভ্যস্ত করে ধরে নিয়ে গেলেন। আমি এই উপেন এর কাহিনিটি সম্পর্কে পরবর্তিতে কয়েক জনের মুখে শুনে জেনেছি ঐ জমিদার নাকি সয়ং রবীন্দনাথ ছিলেন। (আমি এর পক্ষে কোনো জোড়ালো রেফারেন্স এখন পর্যন্ত পাইনি, তারপরও উল্লেখ করলাম এই কথাটি আমাদের বুদ্ধিজিবি সমাজে প্রচলিত বলে। মনে মনে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।) যে রবীন্দ্রনাথ কৃষি ব্যাংক চালু করে এতো গুলো টাকা লস (রবীন্দ্রনাথের উক্তিতে মাঠে মারা গেলো) দিয়ে দিলেন তিনি যে এমন কান্ড ঘটাতে পারেন তা আমি বিশ্বাস করতে পারি না।
যাই হোক, উপেনের মতো নিজেকে মনে করার তেমন কোনো কারণ নাই তারপরও পারিপার্শ্বিক এই বন্দিত দশা আমাকে এমন করে দোলা দিচ্ছে। এই অবস্থায় নিজেকে সেই ভাওয়ালের রাজার পূর্নাগমনের মতো নিজেকে অযাচিত মনে হয়। এমনটা হয়তো ভাওয়ালের সেই রাজার ক্ষেত্রেও হয়েছিলো। বেচারার বৌ বেচারাকে মেরেই ফেলেছিলেন। আবার প্রতিষ্ঠিত ভাবেই (চিতায় দেবার পর খারাপ আবহাওয়ার দরুন অন্যেরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এলেন: আর ঐ ফাঁকে রাজা কে একদল সন্নাসী নিয়ে যায় :: তখন নাকি ভাওয়ালের রাজা হুশ পেয়েছিলেন) ভাওয়ালের রাজা মারা গেলেন। কি দুর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্য সন্নাস জীবনে ঘুরে ফিরে ভাওয়ালের রাজা ঢাকার মধ্যেই চলে এলেন। রাজা সাহেবের নাকি স্মৃতিভ্রম ঘটেছিলো। এ কাহিনী আপনাদের জানা তাই আমি বিস্তারিত বলতে চাই না। এখনও পৃথিবীর কেস মামলা জগতে (আইডেন্টিফিকেশন ল এন্ড এক্সক্লুসিভ কেস স্টাডি) বাংলাদেশের এই প্রসাদ ষড়যন্ত্রের স্বীকার আত্মভোলা ভাওয়ালের রাজার মামলাটি খুব বেশি রহস্যে ঘেরা ও চমকপ্রদ।
একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে হলে নিজ অবস্থানে থেকে অন্যের দুঃখ সমস্যাকে উপলব্ধি করতে জানতে হয়। শুধু উপলব্ধি না সেই সাথে এর সমাধানে এগিয়ে আসতে হয়। তাহলে একটি সমস্যা যেতে যেতে বহু সমস্যার বিদায় হয়। আমরা সবাই সমাজবদ্ধ। আজকের যে সমাজ- তা আর আদিম সমাজের মতো ছোট ছোট না – আজকের সমাজ বিশ্বসমাজ। আমরা সবাই মানবজাতির একেকজন সম্মানিত কর্ণধার। এই বড় সমাজের সুবিধা হলো, এখান থেকে মানুষের সমস্যগুলোকে অনন্য সুন্দর রূপসীর চুল বাগানের উকুনের মতো ধরে ধরে টিপে মেরে ফেলা সহজ ব্যাপার। এভাবে মানুষ মানুষের জন্য এগোতে থাকলে, এবং একে অন্যের সমস্যার সমাধানে সর্বাত্বক চেষ্টা করলে, সামাজিক অনেক ব্যাধি তো কমেই যাবে আর সেই সাথে পাওয়া যাবে, বৃর্দ্ধাআগঙ্গুলের নকে করে উকুন ফুটানোর মজা। আমরা অনেক সময় সহজ সমস্যাকে ভয় পেয়ে একটি জাতি, গোত্র, নির্দিষ্ট সোসাইটি বা নির্দিষ্ট একটি এলাকার মানুষকেই সমস্যা মনে করে বসেছিলাম। একজন মানুষকে যতই ভয়ঙ্কর মনে হোক না কেনো- সে মানুষ। এবং সব মানুষের ভিতরের ভয়ঙ্কর-কুৎসিত পশুটাকে মানুষ চেষ্টা, সহ্য, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, স্নেহ-শ্রদ্ধা ও শাসন দ্বারা সরিয়ে দিতে পারে। এটা মানুষের যোগ্যতা। এই যোগ্যতা আছে বলেই মানব সমাজ আজও ধ্বংস হয়ে যায়নি এবং কোনোদিন যাবেও না।
আজ কাকে ডাকছো তুমি
স্মৃতি সাগর চুমি চুমি।।
কাল যারে করেছিলে হেলা?
তোমার দাঁরে কাঁদতো এসে
তুমি লাথি দিতে হেসে হেসে
ভুলে গেলে সেই নিঠুর খেলা?
নিজে ব্যাথা সয়ে নিয়ে
তোমার হাতে গেলেন দিয়ে,
নতুন দিনের নতুন সাঝের বেলা?
একজন মনুষ কখনও শক্তিহিন না। একজন মানুষ তার দু’হাত দিয়েই এই পৃথিবীকে রক্ষা করার যোগ্যতা রাখে। আবার একটি মানুষের সামান্য একটু অচেতন ও অবহেলার জন্য এই পৃথিবীতে মহাদুর্যোগ ঘটে যেতে পারে।
২৪-০৪-২০১৪
©somewhere in net ltd.